রমনীদের রান্নাঘরের নতুণ চমক সম্পর্কে জেনে নিন
রান্নাঘর আমার খুব প্রিয় একটি জায়গা কারণ এর মাধ্যমেই আমার পরিবারের ভোজনরসিক মানুষগুলোকে আমি খুশি রাখতে পারি। কিন্তু গবেষকরা বলেন- আমদের রান্নাঘরের সিঙ্কে যতটা জীবাণু জন্মায়, ততটা টয়লেট সিটেও জন্মায় না। থালা-বাসন ধোয়ার পর তাই রান্নাঘরকে কিভাবে জীবাণুমুক্ত রাখা যায় আমি সবসময় সে চিন্তায় থাকতাম।
আমার এ চিন্তাকে অনেকটাই দূর করে দিয়েছে প্রযুক্তির নতুণ একটি আবিষ্কার "ডিসওয়াশার"। এর ফলে আমার রান্নাঘরটি আর স্যাঁতসেঁতে হয়না।
রান্নাঘরে নতুণ প্রযুক্তির ছোয়া
প্রতিদিন নতুন কিছু না কিছু রান্না করা আমার শখ। আধুনিক প্রযুক্তির ছোয়া শুধুমাত্র আমার শখ পূরণেই সাহায্য করেনি, আমার রান্নাঘরকেও দিয়েছে এক নতুণ চমক। আমার রান্নাঘরের নিত্যদিনের হেল্পিং হ্যান্ড হিসেবে রয়েছে- ব্লেন্ডার, মিক্সচার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ফুড প্রসেসর, ভ্যাকিউম ক্লিনার, ডিসওয়াশার ইত্যাদি। এর মধ্যে ডিসওয়াশারটি এখন আমার প্রিয় সরঞ্জাম।
ডিসওয়াশারে থালা-বাটি ধুতে দিয়ে আমি অন্যান্য কাজগুলো সেরে ফেলি। হাতে ধোয়ার কারণে যে পানি, কাজের বুয়ার খরচ এবং ডিটারজেন্ট এর অপচয় হতো, ডিসওয়াশারে ধোয়ার কারণে এখন সেটা আর হয়না। এমনকি গরম পানির কারণে জীবাণুগুলোও ধ্বংস হয়ে যায়। এতে আপনাকে আলাদা করে থালা-বাটি শুকাতে হয়না, ডিসওয়াশারটিতে ড্রাই ওয়াশ হয়েই বের হয়।
ডিসওয়াশারের ব্র্যান্ড
আমি প্রথমে ঠিক করেছি যে, কোন ব্র্যান্ড এর ডিসওয়াশারটি আমার চাই। যদিও বাজারে কমদামে অনেক নন-ব্র্যান্ড ডিসওয়াশার পাওয়া যায় কিন্তু এর কোয়ালিটি তেমন ভালো হয়না। তাই আমি ব্র্যান্ড প্রেফার করি। আপনিও আপনার বাজেট অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন বাজারের সেরা কয়েকটি ব্রান্ডের মধ্যে একটি। বাজারে বেশ কয়েকটি ডিসওয়াশারের ব্র্যান্ড এর মধ্যে Bosch, LG, Siemens উল্লেখযোগ্য।
কোথায় এবং কেমন দামে পাবেন আপনার ডিসওয়াশারটি
একটা কথা সবসময় মনে রাখা উচিত যে আসবাপত্র বা সরঞ্জাম গুলো আমরা বছরে বা কয়েক বছরে একবার কিনি সেগুলো একটু ভেবে চিন্তে এবং ভালো জায়গা থেকে কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ। যেমন ইলেক্ট্রনিক্স এর ক্ষেত্রে সবসময় authorized রেপ্রিজেন্টেটিভ দের কাছ থেকেই কেনা উত্তম। মূলত, দেশ, ব্র্যান্ড এবং ফিচার এর উপর নির্ভর করে দামটা নির্ধারণ করা হয়। ভালো মানের ডিসওয়াশারের রেঞ্জ সর্বনিন্ম ৪০,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
রান্নাঘরে একটি স্বাস্থ্যকর ও সুরক্ষিত পরিবেশ বজায় রাখতে হলে ছোটখাটো কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। যেমন:
১. ব্যবহৃত তোয়ালে ব্যবহার করেই আবার ধোয়া বাসন মুছতে যাবেন না। বরং এর জন্য একটা নতুন শুকনো তোয়ালে ব্যবহার করুন।
২. কাটিং বোর্ড ভালো করে ধুয়ে সবসময় মুছে রাখবেন, তা নাহলে জীবাণু জন্মাতে পারে।
৩. রান্নাঘরের যেকোনো কিছু ধোয়ার পর ভালো করে শুকিয়ে নেবেন। কোনো কিছুতে পানি জমে গেলে জীবাণু জন্মানোর আশঙ্কা থাকবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ.ম. শহীদ ১৮/১১/২০২৪খুব সুন্দর লিখেছেন।
-
suman ০১/০৭/২০২৪খুব সুন্দর লেখা
-
মোঃ আবিদ হাসান রাজন ০৫/০৬/২০২৪সুন্দর
-
রাফিয়া নূর পূর্বিতা ০২/০৯/২০২১সুন্দর
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৫/০৪/২০২১সুন্দর। শিখার আছে অনেক কিছু।
-
আরজু নাসরিন পনি ২৬/১১/২০১৯বাহ্ ভালো পরামর্শ।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৫/১০/২০১৯ধন্যবাদ
-
রনোজিত সরকার(বামুনের চাঁদ) ১৮/০৪/২০১৯অসাধারণ👍
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৪/০১/২০১৯চমৎকার
-
ন্যান্সি দেওয়ান ৩১/১২/২০১৮Some info its good.
-
মনিরুজ্জামান/জীবন ২০/১২/২০১৮বাংলার সকল রমণীর জন্য রইলো শুভ কামনা।
-
নাসরীন আক্তার রুবি ১৯/১২/২০১৮চমৎকার লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১৮/১২/২০১৮Good...
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৮/১২/২০১৮এরকম রান্নাঘর বাংলার সব রমণী যেন পায়।