জীবন বন্দনা
আজ কুয়াশায় নগরের পথে ছুটছে যন্ত্রযান
আমি ছুটছি জীবিকা তাগিদে, ভিতরে রুদ্ধ প্রাণ।
প্রান্তরময় সবুজ শস্য, সোনালী ধানের ছড়া
হাত নেড়ে নেড়ে ডাকছে, দেখি ভিতরে অন্তক্ষরা।
সোনা মাখা রোদ, শিশির ছুঁয়েছে, মুক্তোর দানা যত
আলগোছে আমি হাত বুলিয়ে নিজেকে বুঝাই কত!
বুকের ভিতরে মরা নদী টানে উজানে বৃষ্টি নাই
আর কতটা খুঁড়লে নিজেকে ফল্গুর দেখা পাই।
মাঠের কিষাণ ব্যস্ততা ভারী পাকা ধান মাঠে তাই
মানুষে গিলবে শেয়ালেও খাবে রাত হলে ঘুম নাই
দু’দিন পেরোলে ফসল উঠবে উঠোনে ভরবে সোনা
তারই মাঝে কোন কিষাণীর ঘরে ফিরে আসে দিন গোণা।
তাদের রয়েছে নিজস্ব লিপি প্রতিদিন লেখা হয়
আমার এ জীবন তার থেকে খুব আলাদা, সেটাও নয়
আমিও খুঁজছি ক্ষুধার অন্ন, ফাইলে, দেরাজে, ফ্লাটে
আমার স্বপ্ন লুটোপুটি খেলে, সোজন বেদের ঘাটে।
আমার এবং তাদের জীবন পৃথক রাজ্য পাটে
এখানে আগুন প্রতিদিন পোড়ে বুকের কোমলতাকে
ওখানে কৃষক গোলা ভরে তোলে সোনালী প্রেমের শীষে
এখানে আমরা জীবনকে ভরাই লোভ-ঘৃণা-দ্বেষ বিষে।
আমার দহন আমার সৃজন, এমন কখনো নয়
প্রতি পদক্ষেপ, নিঃশ্বাস আর নাগরিক অবচয়
আমাকে পুড়ছে, বিষে নীল করে টানছে ক্ষয়ের দিকে
সকালে সূর্য উঠছে ঠিকই, জীবন হচ্ছে ফিকে।
মাঠের কৃষক, ঘাটের মাঝি, বেকার দিন মজুরে
যেভাবে জীবন যাপন করছে, আমি নই তার দূরে,
তবুও আমি মাঠ-ঘাস আর নদী ক্ষেত ভালবাসি
মৃত্যুর আগে একবার যেন এই গ্রামে ফিরে আসি!
না থাক সেখানে আঙুলের অালো, আঙুলের জল ধারা
জোছনার আলো, দূর পাড়ি হাওয়া আসুক ছন্নছাড়া
বন্ধনহীন এই আলো হাওয়া, নির্মল স্বাদু জল
মৃত্যুর অাগে এই যেন পাই, জীবন কর্ম ফল।।
আরশাদ:alien:অপর সময়
১৭ নভেম্বর ২০১৫: ঢাকা।
আমি ছুটছি জীবিকা তাগিদে, ভিতরে রুদ্ধ প্রাণ।
প্রান্তরময় সবুজ শস্য, সোনালী ধানের ছড়া
হাত নেড়ে নেড়ে ডাকছে, দেখি ভিতরে অন্তক্ষরা।
সোনা মাখা রোদ, শিশির ছুঁয়েছে, মুক্তোর দানা যত
আলগোছে আমি হাত বুলিয়ে নিজেকে বুঝাই কত!
বুকের ভিতরে মরা নদী টানে উজানে বৃষ্টি নাই
আর কতটা খুঁড়লে নিজেকে ফল্গুর দেখা পাই।
মাঠের কিষাণ ব্যস্ততা ভারী পাকা ধান মাঠে তাই
মানুষে গিলবে শেয়ালেও খাবে রাত হলে ঘুম নাই
দু’দিন পেরোলে ফসল উঠবে উঠোনে ভরবে সোনা
তারই মাঝে কোন কিষাণীর ঘরে ফিরে আসে দিন গোণা।
তাদের রয়েছে নিজস্ব লিপি প্রতিদিন লেখা হয়
আমার এ জীবন তার থেকে খুব আলাদা, সেটাও নয়
আমিও খুঁজছি ক্ষুধার অন্ন, ফাইলে, দেরাজে, ফ্লাটে
আমার স্বপ্ন লুটোপুটি খেলে, সোজন বেদের ঘাটে।
আমার এবং তাদের জীবন পৃথক রাজ্য পাটে
এখানে আগুন প্রতিদিন পোড়ে বুকের কোমলতাকে
ওখানে কৃষক গোলা ভরে তোলে সোনালী প্রেমের শীষে
এখানে আমরা জীবনকে ভরাই লোভ-ঘৃণা-দ্বেষ বিষে।
আমার দহন আমার সৃজন, এমন কখনো নয়
প্রতি পদক্ষেপ, নিঃশ্বাস আর নাগরিক অবচয়
আমাকে পুড়ছে, বিষে নীল করে টানছে ক্ষয়ের দিকে
সকালে সূর্য উঠছে ঠিকই, জীবন হচ্ছে ফিকে।
মাঠের কৃষক, ঘাটের মাঝি, বেকার দিন মজুরে
যেভাবে জীবন যাপন করছে, আমি নই তার দূরে,
তবুও আমি মাঠ-ঘাস আর নদী ক্ষেত ভালবাসি
মৃত্যুর আগে একবার যেন এই গ্রামে ফিরে আসি!
না থাক সেখানে আঙুলের অালো, আঙুলের জল ধারা
জোছনার আলো, দূর পাড়ি হাওয়া আসুক ছন্নছাড়া
বন্ধনহীন এই আলো হাওয়া, নির্মল স্বাদু জল
মৃত্যুর অাগে এই যেন পাই, জীবন কর্ম ফল।।
আরশাদ:alien:অপর সময়
১৭ নভেম্বর ২০১৫: ঢাকা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ০৩/১২/২০১৫চমৎকার
-
হাসান কাবীর ২১/১১/২০১৫খুব সুন্দর।
-
জেনিথ জনি ১৯/১১/২০১৫ছ্ন্দ অসাধারন
-
রাশেদ খাঁন ১৯/১১/২০১৫দারুন হইছে
-
মোঃ মুলুক আহমেদ ১৭/১১/২০১৫সুন্দর ভাবে সাজিয়ে লিখেছেন|
ভালো লাগলো| -
মোবারক হোসেন ১৭/১১/২০১৫ভাল লাগলো।ধন্যবাদ কবি।