ফেলে আসা এক পত্রমিতাকে
তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখব কখনও ভাবিনি
কিন্তু কেন জানি না আজ, তোমাকে নিয়ে বড্ড
লিখতে ইচ্ছে করছে।
মাত্র কয়েকদিনের পরিচয় আমাদের।
পরিচয়! হা হা হা। জানি অনেকের কাছে পুরো
ব্যাপারটাই নিছক ছেলেমানুষি বলে মনে হবে।
সেজন্য আমি তাদের দোষ দিতে পারি না।
আমি নিজেই মাঝেমাঝে সন্দিহান হয়ে পড়ি
আমার মানসিক সুস্থতা নিয়ে; ভাবি মজনু,
চণ্ডিদাসের থেকেও আমি বড় প্রেমিক কিনা, হা হা!
তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কিছুতেই ভুলতে পারি না;
উল্টো মাঝেমাঝে আবার বিরহ বেদনায় হই কাতর।
একটা পত্রমিতালী ধরণের ওয়েব সাইটে হয়েছিল
আমাদের জানাশোনা;
ওই এক-ই, শুধু কলমের বদলে কিবোর্ডে লেখালেখি।
শুরুতে শুভেচ্ছামূলক ক্ষুদে বার্তার বিনিময়,
তারপর এক পর্যায়ে সেল নাম্বার ও পরবর্তীতে
দূরালাপনিতে কথোপকথন; রাজ্যের কথোপকথন।
সত্য মাত্র কয়েকদিনে কতো কথাই না বলেছি দুজন!
সেসব মনে পড়লে আজ বড্ড বিস্ময়কর লাগে।
এমন কোনও সম্পর্ক তো আমাদের ছিল না,
তবুও কী অবলীলায় পরস্পরের সবচে' নিকটতম
মানুষের মতো আমরা অবিরত মুঠোফোনে জাবর
কেটে গেছি।
আর কতো রকমারি বিষয় ছিল আমাদের গল্পের;
মানুষের নিরামিষভোজী হওয়া উচিৎ কিনা?
আমাদের ব্যবহারিক জীবনে ধর্মের কোনও প্রভাব
আদৌ রয়েছে কিনা?
যদি থাকতো তবে কেন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এতো
অন্যায় অবিচার অনিয়ম!
কেন এতো নিষ্ঠুর শ্রেণী বিভাজন সবখানে;
তুমি দেখ, সুলভ শোভন চেয়ার শীতাতপ শয়ন
দ্বিতীয় তৃতীয় কতো বিভাজিত কামরা নিয়ে
প্রতিদিন ছুটে চলে যাত্রীবাহী একেকটি ট্রেন!
দেখ, আকাশছোঁয়া গুটিকয় মানুষের অট্টালিকার নিচে
সার বেঁধে শুয়ে আছে, অগণন সহায়সম্বলহীন মানুষ।
কেন রাষ্ট্র, সমাজ কেউ তাদের কোনও খবর রাখে না!
আমি তোমাকে আমার ছেলেবেলার পোষা বিড়ালটার
গল্প শুনিয়েছিলাম।
বাবা যখন ওকে মাঝেমাঝে মেরে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে
দিত, আমি তখন বেশ দূরের একটি মাঠে যেয়ে নিভৃতে
কাঁদতাম একা একা।
তোমাকে বলেছিলাম আমার কোলকাতা ভ্রমণের গল্প।
সেসময় দ্বিতীয়বারের মতো সদ্য কোলকাতা থেকে
বেড়িয়ে এসেছি।
তোমাকে বলেছি ওখানকার আদমটানা দুচাকা
রিক্সাগুলো ভীষণ অমানবিক,
আজ এই দুই হাজার তের সালে কী করে যে অমন
একটি সেকেলে, মধ্য যুগীয় বাহনকে সড়কে
চালাতে দিচ্ছে তারা, আমি তা বুঝি না!
অথচ কোলকাতার বাইরে সবখানে আমি সাধারণ
তিন চাকার প্যাডেল চালিত রিক্সাই চলতে দেখেছি,
তবে কোলকাতায় কেন নয়!
ওদের বোঝা উচিৎ একে ঐতিহ্য নয়, বরং মানুষের ওপর
মানুষের দীর্ঘ লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার সাক্ষী বলা যেতে পারে।
এমনি আরও কতো এলোমেলো কথাবার্তা, কতো বিষয়
আমাদের গল্পের!
কী মজা করে দুজন দীর্ঘ সময় গল্প করেছি মুঠোফোনে!
সত্যি দারুণ মধুর কিছু স্মৃতি জীবনের!
আমি তা কিছুতেই ভুলতে পারি না।
আমরা আমাদের সম্পর্কটাকে ধরে রাখতে পারিনি।
উহু না, সেসবের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে আজ আর
নাইবা গেলাম!
সেসব আজ আর এতটুকু প্রাসঙ্গিকও নয়, এবং
ওগুলো মনে পড়লে আজ তিক্ততাই শুধু বেড়ে চলে
আর কিছু নয়।
তার থেকে আমার ঢের ভাল লাগে ভাবতে যে,
আমাদের বন্ধুত্ব আজও অটুট রয়েছে আর
আমাদের মাঝে যা কিছু হয়েছিল, যতো গল্প,
হাসি ঠাট্টা, ঝগড়া বিবাদ বা ভুল বোঝাবুঝি
যাই বলি না কেন, সবটাই কোমল ও সুন্দর।
আশা করি সেসব নিয়ে আমার মতো তোমারও
আজ আর বিন্দুমাত্র কোনও ক্ষেদ নেই।
আমরা কেউ কাওকে কখনও দেখিনি বাস্তবে
শুধু সেই ওয়েব সাইটটিতে কয়েকটি ফটোগ্রাফ।
সেখানে পরিচয় জানাশোনা পরবর্তীতে ফোনালাপ
দুই হাজার তের'র জানুয়ারি মাসের শেষভাগের
কয়েকটি দিন,
আর ব্যস এটুকুই আমাদের দুজনার সবটুকু গল্প।
জানি না আর কি লিখবো আমি তোমাকে নিয়ে!
আর বিশেষ কীইবা লেখার আছে তেমন!
শিপ্রা আমার একবিতাটি যদি তুমি কখনও পড়
আমি জানি তুমি ভীষণ অবাক হবে; বিস্মিত মনে
হয়তো প্রশ্নও জাগবে, কয়েকদিনের সেই কিঞ্চিৎ
জানাশোনা নিয়ে কি কোনও কবিতা হতে পারে?
আর এর উত্তর আমার কাছেও নেই।
যেমন আমি জানি না, কেন কিছুতেই তোমাকে
ভুলতে পারি না।
আসলে মানুষ কি তার মনোজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে?
না, পারে না।
প্রেক্ষাগৃহে সিনেমার কোনও বিয়োগাত্মক দৃশ্য দেখে
দুয়েকজন অতিমাত্রায় সংবেদনশীল দর্শক ঠোঁট বাঁকিয়ে
নিঃশব্দে কেঁদে ফেলে, অভিমানী শিশুর মতো।
আর যারা কাঁদে না তাদের কাছে পুরো ব্যাপারটিকেই
নিছক হাস্যকর ও বাড়াবাড়ি বলে মনে হবে, সেই
সঙ্গে বিরক্তিকরও।
শিপ্রা আমি জানি না, কেন আজ এতদিন পরেও
তোমার কথা আমি এতো ভাবি, কেন তোমাকে
আজও এতো মনে পড়ে যায়, সময় অসময়!
আমি সত্যি জানি না। তুমি কি জান?
অথচ আমরা কেউ আজ আর একে অন্যের জীবনে
কোনভাবে জড়িয়ে নেই।
আমি প্রায় নিশ্চিত, আমাদের কোনদিন দেখা হবে না।
কখনও যদি দৈবাৎ দেখা হয়ও, তবে আমরা কেউই
একজন আরেকজনকে শনাক্ত করতে পারবো না।
আমাদের পরস্পরের বিশেষ কোনও চিহ্ন জানা নেই
একে অপরকে শনাক্ত করার।
শুধু সেই পত্রমিতালী ওয়েব সাইটের কয়েকটি ছবি,
সেও তো প্রায় বছর পাঁচেক আগের কথা।
যেভাবে দুই হাজার তের কেটে গেছে, তারপর
একে একে চৌদ্দ পনের ষোলো সাল; দেখ আমরা
আজ দুই হাজার সতেরেরও শেষভাগে এসে পড়েছি।
এভাবেই দুজনের এক জীবন কেটে যাবে।
আর কোনদিনই আমাদের দেখা হবে না।
সেদিনের মতো কখনও কথা বলাও হবে না মুঠোফোনে।
কিন্তু তাই বলে ভেব না সব শেষ হয়ে গেছে, উহু
আমি আজও সেদিনের মতো তোমার বন্ধু হয়েই আছি,
থাকবোও জীবনভর।
এধরণের সম্পর্ক আসলে দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
ভেবে দেখ জীবন চলার পথে আমরা কতো বন্ধু,
সুহৃদ, শুভাকাঙ্ক্ষীকে ফেলে এসেছি পথের বাঁকে।
যাদের সঙ্গে আর কোনদিন দেখা হবে না, কথা হবে না,
কোনদিনও জানা হবে না তাদের খবরাখবর।
আমিও না হয় তেমনি তোমার এক পথের বাঁকে ফেলে
আসা বন্ধু হয়ে রয়ে গেলাম।
আমাকে তোমার বন্ধু শুভাকাঙ্ক্ষীদের তালিকা থেকে
তুমি মুছে দিয়ো না।
মনে পড়ছে, কী সরল বিশ্বাসে সেদিন তুমি আমাকে
তোমার সেলফোনের নাম্বার দিয়েছিলে।
আমি তোমার সেই বিশ্বাসকে আজীবন হৃদয়ে
ধারণ করবো, আর এটা আমার কাছে অমূল্য।
শিপ্রা, তুমি সবসময় সুখে থেক, ভাল থেক।
ফল্গুধারায় ভরে থাক তোমার জীবনের প্রতিটি দিন।
আজ তুমি আমাকে বিশ্বাস কর, তোমার প্রতি
আমার এই শুভকামনা কোনও ছলনা নয়।
#
কিন্তু কেন জানি না আজ, তোমাকে নিয়ে বড্ড
লিখতে ইচ্ছে করছে।
মাত্র কয়েকদিনের পরিচয় আমাদের।
পরিচয়! হা হা হা। জানি অনেকের কাছে পুরো
ব্যাপারটাই নিছক ছেলেমানুষি বলে মনে হবে।
সেজন্য আমি তাদের দোষ দিতে পারি না।
আমি নিজেই মাঝেমাঝে সন্দিহান হয়ে পড়ি
আমার মানসিক সুস্থতা নিয়ে; ভাবি মজনু,
চণ্ডিদাসের থেকেও আমি বড় প্রেমিক কিনা, হা হা!
তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কিছুতেই ভুলতে পারি না;
উল্টো মাঝেমাঝে আবার বিরহ বেদনায় হই কাতর।
একটা পত্রমিতালী ধরণের ওয়েব সাইটে হয়েছিল
আমাদের জানাশোনা;
ওই এক-ই, শুধু কলমের বদলে কিবোর্ডে লেখালেখি।
শুরুতে শুভেচ্ছামূলক ক্ষুদে বার্তার বিনিময়,
তারপর এক পর্যায়ে সেল নাম্বার ও পরবর্তীতে
দূরালাপনিতে কথোপকথন; রাজ্যের কথোপকথন।
সত্য মাত্র কয়েকদিনে কতো কথাই না বলেছি দুজন!
সেসব মনে পড়লে আজ বড্ড বিস্ময়কর লাগে।
এমন কোনও সম্পর্ক তো আমাদের ছিল না,
তবুও কী অবলীলায় পরস্পরের সবচে' নিকটতম
মানুষের মতো আমরা অবিরত মুঠোফোনে জাবর
কেটে গেছি।
আর কতো রকমারি বিষয় ছিল আমাদের গল্পের;
মানুষের নিরামিষভোজী হওয়া উচিৎ কিনা?
আমাদের ব্যবহারিক জীবনে ধর্মের কোনও প্রভাব
আদৌ রয়েছে কিনা?
যদি থাকতো তবে কেন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এতো
অন্যায় অবিচার অনিয়ম!
কেন এতো নিষ্ঠুর শ্রেণী বিভাজন সবখানে;
তুমি দেখ, সুলভ শোভন চেয়ার শীতাতপ শয়ন
দ্বিতীয় তৃতীয় কতো বিভাজিত কামরা নিয়ে
প্রতিদিন ছুটে চলে যাত্রীবাহী একেকটি ট্রেন!
দেখ, আকাশছোঁয়া গুটিকয় মানুষের অট্টালিকার নিচে
সার বেঁধে শুয়ে আছে, অগণন সহায়সম্বলহীন মানুষ।
কেন রাষ্ট্র, সমাজ কেউ তাদের কোনও খবর রাখে না!
আমি তোমাকে আমার ছেলেবেলার পোষা বিড়ালটার
গল্প শুনিয়েছিলাম।
বাবা যখন ওকে মাঝেমাঝে মেরে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে
দিত, আমি তখন বেশ দূরের একটি মাঠে যেয়ে নিভৃতে
কাঁদতাম একা একা।
তোমাকে বলেছিলাম আমার কোলকাতা ভ্রমণের গল্প।
সেসময় দ্বিতীয়বারের মতো সদ্য কোলকাতা থেকে
বেড়িয়ে এসেছি।
তোমাকে বলেছি ওখানকার আদমটানা দুচাকা
রিক্সাগুলো ভীষণ অমানবিক,
আজ এই দুই হাজার তের সালে কী করে যে অমন
একটি সেকেলে, মধ্য যুগীয় বাহনকে সড়কে
চালাতে দিচ্ছে তারা, আমি তা বুঝি না!
অথচ কোলকাতার বাইরে সবখানে আমি সাধারণ
তিন চাকার প্যাডেল চালিত রিক্সাই চলতে দেখেছি,
তবে কোলকাতায় কেন নয়!
ওদের বোঝা উচিৎ একে ঐতিহ্য নয়, বরং মানুষের ওপর
মানুষের দীর্ঘ লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার সাক্ষী বলা যেতে পারে।
এমনি আরও কতো এলোমেলো কথাবার্তা, কতো বিষয়
আমাদের গল্পের!
কী মজা করে দুজন দীর্ঘ সময় গল্প করেছি মুঠোফোনে!
সত্যি দারুণ মধুর কিছু স্মৃতি জীবনের!
আমি তা কিছুতেই ভুলতে পারি না।
আমরা আমাদের সম্পর্কটাকে ধরে রাখতে পারিনি।
উহু না, সেসবের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে আজ আর
নাইবা গেলাম!
সেসব আজ আর এতটুকু প্রাসঙ্গিকও নয়, এবং
ওগুলো মনে পড়লে আজ তিক্ততাই শুধু বেড়ে চলে
আর কিছু নয়।
তার থেকে আমার ঢের ভাল লাগে ভাবতে যে,
আমাদের বন্ধুত্ব আজও অটুট রয়েছে আর
আমাদের মাঝে যা কিছু হয়েছিল, যতো গল্প,
হাসি ঠাট্টা, ঝগড়া বিবাদ বা ভুল বোঝাবুঝি
যাই বলি না কেন, সবটাই কোমল ও সুন্দর।
আশা করি সেসব নিয়ে আমার মতো তোমারও
আজ আর বিন্দুমাত্র কোনও ক্ষেদ নেই।
আমরা কেউ কাওকে কখনও দেখিনি বাস্তবে
শুধু সেই ওয়েব সাইটটিতে কয়েকটি ফটোগ্রাফ।
সেখানে পরিচয় জানাশোনা পরবর্তীতে ফোনালাপ
দুই হাজার তের'র জানুয়ারি মাসের শেষভাগের
কয়েকটি দিন,
আর ব্যস এটুকুই আমাদের দুজনার সবটুকু গল্প।
জানি না আর কি লিখবো আমি তোমাকে নিয়ে!
আর বিশেষ কীইবা লেখার আছে তেমন!
শিপ্রা আমার একবিতাটি যদি তুমি কখনও পড়
আমি জানি তুমি ভীষণ অবাক হবে; বিস্মিত মনে
হয়তো প্রশ্নও জাগবে, কয়েকদিনের সেই কিঞ্চিৎ
জানাশোনা নিয়ে কি কোনও কবিতা হতে পারে?
আর এর উত্তর আমার কাছেও নেই।
যেমন আমি জানি না, কেন কিছুতেই তোমাকে
ভুলতে পারি না।
আসলে মানুষ কি তার মনোজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে?
না, পারে না।
প্রেক্ষাগৃহে সিনেমার কোনও বিয়োগাত্মক দৃশ্য দেখে
দুয়েকজন অতিমাত্রায় সংবেদনশীল দর্শক ঠোঁট বাঁকিয়ে
নিঃশব্দে কেঁদে ফেলে, অভিমানী শিশুর মতো।
আর যারা কাঁদে না তাদের কাছে পুরো ব্যাপারটিকেই
নিছক হাস্যকর ও বাড়াবাড়ি বলে মনে হবে, সেই
সঙ্গে বিরক্তিকরও।
শিপ্রা আমি জানি না, কেন আজ এতদিন পরেও
তোমার কথা আমি এতো ভাবি, কেন তোমাকে
আজও এতো মনে পড়ে যায়, সময় অসময়!
আমি সত্যি জানি না। তুমি কি জান?
অথচ আমরা কেউ আজ আর একে অন্যের জীবনে
কোনভাবে জড়িয়ে নেই।
আমি প্রায় নিশ্চিত, আমাদের কোনদিন দেখা হবে না।
কখনও যদি দৈবাৎ দেখা হয়ও, তবে আমরা কেউই
একজন আরেকজনকে শনাক্ত করতে পারবো না।
আমাদের পরস্পরের বিশেষ কোনও চিহ্ন জানা নেই
একে অপরকে শনাক্ত করার।
শুধু সেই পত্রমিতালী ওয়েব সাইটের কয়েকটি ছবি,
সেও তো প্রায় বছর পাঁচেক আগের কথা।
যেভাবে দুই হাজার তের কেটে গেছে, তারপর
একে একে চৌদ্দ পনের ষোলো সাল; দেখ আমরা
আজ দুই হাজার সতেরেরও শেষভাগে এসে পড়েছি।
এভাবেই দুজনের এক জীবন কেটে যাবে।
আর কোনদিনই আমাদের দেখা হবে না।
সেদিনের মতো কখনও কথা বলাও হবে না মুঠোফোনে।
কিন্তু তাই বলে ভেব না সব শেষ হয়ে গেছে, উহু
আমি আজও সেদিনের মতো তোমার বন্ধু হয়েই আছি,
থাকবোও জীবনভর।
এধরণের সম্পর্ক আসলে দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
ভেবে দেখ জীবন চলার পথে আমরা কতো বন্ধু,
সুহৃদ, শুভাকাঙ্ক্ষীকে ফেলে এসেছি পথের বাঁকে।
যাদের সঙ্গে আর কোনদিন দেখা হবে না, কথা হবে না,
কোনদিনও জানা হবে না তাদের খবরাখবর।
আমিও না হয় তেমনি তোমার এক পথের বাঁকে ফেলে
আসা বন্ধু হয়ে রয়ে গেলাম।
আমাকে তোমার বন্ধু শুভাকাঙ্ক্ষীদের তালিকা থেকে
তুমি মুছে দিয়ো না।
মনে পড়ছে, কী সরল বিশ্বাসে সেদিন তুমি আমাকে
তোমার সেলফোনের নাম্বার দিয়েছিলে।
আমি তোমার সেই বিশ্বাসকে আজীবন হৃদয়ে
ধারণ করবো, আর এটা আমার কাছে অমূল্য।
শিপ্রা, তুমি সবসময় সুখে থেক, ভাল থেক।
ফল্গুধারায় ভরে থাক তোমার জীবনের প্রতিটি দিন।
আজ তুমি আমাকে বিশ্বাস কর, তোমার প্রতি
আমার এই শুভকামনা কোনও ছলনা নয়।
#
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৭/০৬/২০১৭পত্রমিতালি!
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ২৭/০৬/২০১৭বিস্তারিত।
-
আমি-তারেক ২৬/০৬/২০১৭betikrom dhormi...valo...