পানাম নগর ও সোনারগাঁও ভ্রমন
কয়েক দিন আগের কথা, শহরের যান্ত্রিক জীবন থেকে বেরিয়ে কিছুটা স্বস্তির আশায় চার বন্ধু মিলে ঠিক করলাম দর্শণীয় স্থান ভ্রমণ করব। যেই কথা সেই কাজ। একদিন সকাল বেলা আমি, আহসান, ইকবাল ও চান মিয়া বেরিয়ে পড়লাম পানাম নগর ও সোনারগাঁও ভ্রমণে। পথিমধ্যে এক ছোট ভাই যোগ দেয়। বাইরে রিমঝিম বৃষ্টি তবুও বৃষ্টিতে ভিজে নতুন উদ্দীপনায় উৎফুল্লভাবে এগিয়ে চলা। প্রথমে পানাম নগর পৌছালাম। পানাম নগর বাংলার প্রাচীনতম শহর। ঈসা খাঁ এর আমলে বাংলার রাজধানী ছিল পানাম নগর। এখানে কয়েক শতাব্দীর পুরনো ঔপনিবেশিক আমলের মোট ৫২টি স্থাপনা রয়েছে। নিঁখুত নকশার নিদর্শণ পানাম নগর। এখানে আবাসিক ভবন ছাড়াও রয়েছে কূপ, গোসলখানা, টাকশাল, উপসানালয়,পান্থশালা, ভোজনালয়, বিচারালয়, দরবার কক্ষ ইত্যাদি। পানামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পঙ্খীরাজ খাল, গ্রান্ড ট্রাংক রোড। যা সকলকে অভিভূত করবে। এরপর পৌছালাম সোনারগাঁও। ১৯৭৫ সালে তৈরি করা হয় সোনারগাঁও যাদুঘর যা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন লোক ও কারুশিল্প যাদুঘর নামে পরিচিত। প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষার্থে এই যাদুঘর। ১৯৮১ সালে পুরাতন সর্দার বাড়ীতে এটি স্থানান্তর করা হয়। এখানে অনেকগুলো গ্যালারী রয়েছে যা সকলকে মুগ্ধ করার মতই।গ্যালারীগুলোতে কাঠ খোদাই, কারুশিল্প, পটচিত্র ও মুখোশ, আদিবাসী জীবনভিত্তিক নিদর্শন, গ্রামীণ লোকজীবনের পরিবেশ, লোকজ বাদ্যযন্ত্র ও পোড়ামাটির নিদর্শন, লোকজ অলংকারসহ রয়েছে অনেক কিছু। কিছু আকর্ষণীয় ভবন ছাড়াও রয়েছে পাঠাগার, সেমিনার হল, ডকুমেন্টারি সেন্টার, ক্যান্টিন, কারুমঞ্চ, গ্রামীণ উদ্যান, মনোরম লেক ও নৌবিহার। প্রতিটা মুহুর্ত স্মৃতিটাকে ক্যামেরাবন্দী করতে আমরা সবাই ব্যস্ত ছিলাম। ফেরার কোন তাড়া ছিলনা। তবুও দিনশেষে যান্ত্রিক শহরে ফিরে আসা। এমন সুন্দর একটা ভ্রমণ যা সারাজীবন স্মৃতিতে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে হৃদয়ের মনিকোটায়। আপনাদেরও ঘুরে অাসার আমন্ত্রণ রইল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৬/০৯/২০১৮ঘুরে এসেছি। আবার যাওয়ার ইচ্ছে আছে।
-
রাকিব ইমতিয়াজ. ১৬/০৯/২০১৮সুন্দর
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১৬/০৯/২০১৮খুব ভাল লাগল