নিষিদ্ধ হোক ছাত্র-রাজনীতি
আমার লেখার এই শিরোনামটি দেখে অনেকেই বিরোধিতা করবেন জানি। আর ছাত্র-রাজনীতির সাথে যারা জড়িত তারা তো রীতিমত আমার উপর ক্ষোভে ফেটে পড়বেন। তাতে আমার কিছুই আসে-যায়না। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে এটা আমার মুক্তচিন্তার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এতে সবাইকে একমত হতে হবে এমন কোন কথা নেই।
বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির অতীতটা ছিল অত্যন্ত গর্বের, কিন্তু বর্তমানে এসব ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীরা উশৃঙ্খলতার চরম সীমা অতিক্রম করতে চলেছে। বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তারা চালিয়ে যাচ্ছে একের পর এক অপকর্ম। চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, বোমাবাজী সহ খুন-ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে ছাত্র সংগঠনগুলো। এমনকি মানুষকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে বা পিটিয়ে হত্যার মত ঘটনাও ঘটছে এদের দ্বারা। আমি কোন বিশেষ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের কথা বলছি না। কারণ; এদের কোনটাই ধোয়া তুলশিপাতা নয়। এসব ছাত্র সংগঠনের নেতীবাচক কর্মকান্ডের কারনে এদেশের সাধারণ জনগন যেমন অতিষ্ঠ তেমনি বহিঃর্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।
যাদের হাতে থাকার কথা ছিল কলম, যাদের সম্পৃক্ত থাকার কথা ছিল বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজে, যারা এই দেশ ও সমৃদ্ধশালী জাতী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারত, আজ তারাই এই জাতীকে করছে কলংকিত। কি লাভ এসব ছাত্র সংগঠন রেখে? যাদেরকে দিয়ে সমাজের কোন উপকার হয়না। তবে কি তাদের হাতে খুন, ধর্ষন, আর চাঁদাবাজীর শিকার হবার জন্যই জাতী তাদের পুষবে? এখনই যদি এসব ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা না হয় তবে অদূর ভবিষ্যতে এ জাতী অমানিশার অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হবে। সেদিনই হয়তো আমার এই লেখাটির মূল্যায়ন হবে, কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যাবে। তখন হয়তো আর কিছুই করার থাকবেনা।
বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির অতীতটা ছিল অত্যন্ত গর্বের, কিন্তু বর্তমানে এসব ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীরা উশৃঙ্খলতার চরম সীমা অতিক্রম করতে চলেছে। বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তারা চালিয়ে যাচ্ছে একের পর এক অপকর্ম। চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, বোমাবাজী সহ খুন-ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে ছাত্র সংগঠনগুলো। এমনকি মানুষকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে বা পিটিয়ে হত্যার মত ঘটনাও ঘটছে এদের দ্বারা। আমি কোন বিশেষ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের কথা বলছি না। কারণ; এদের কোনটাই ধোয়া তুলশিপাতা নয়। এসব ছাত্র সংগঠনের নেতীবাচক কর্মকান্ডের কারনে এদেশের সাধারণ জনগন যেমন অতিষ্ঠ তেমনি বহিঃর্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।
যাদের হাতে থাকার কথা ছিল কলম, যাদের সম্পৃক্ত থাকার কথা ছিল বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজে, যারা এই দেশ ও সমৃদ্ধশালী জাতী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারত, আজ তারাই এই জাতীকে করছে কলংকিত। কি লাভ এসব ছাত্র সংগঠন রেখে? যাদেরকে দিয়ে সমাজের কোন উপকার হয়না। তবে কি তাদের হাতে খুন, ধর্ষন, আর চাঁদাবাজীর শিকার হবার জন্যই জাতী তাদের পুষবে? এখনই যদি এসব ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা না হয় তবে অদূর ভবিষ্যতে এ জাতী অমানিশার অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হবে। সেদিনই হয়তো আমার এই লেখাটির মূল্যায়ন হবে, কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যাবে। তখন হয়তো আর কিছুই করার থাকবেনা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আরিয়ান খান ২৬/১০/২০১৩এমন রাজনীতি কারও কাম্য নয় কিন্তু এটাই হচ্ছে, তাই অবশ্যই ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া উচিৎ।
-
সায়েম খান ২৪/১০/২০১৩রাজনীতি হোক কলঙ্কমুক্ত। যে রাজনীতি জনগণের জন্য অকল্যাণকর এমন রাজনীতি আমরা চাইনা।
-
আরিয়ান খান ২৩/১০/২০১৩আরজু পনি ভাইয়ের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে আমি উত্তর দিন অপশনে ক্লিক করেই উত্তর দিচ্ছি কিন্তু সে নোটিফিকেশন আপনি পাচ্ছেন না জেনে কষ্ট পেলাম। মাননীয় এডমিন বিষয়টা দেখবেন কি?
-
আরজু নাসরিন পনি ২৩/১০/২০১৩অনুগ্রহ করে মন্তব্যকারীর মন্তব্যের নিচেই লাল করে লেখা থাকে 'উত্তর দিন' ...ওখানে মন্তব্যের জবাব দিলে নোটিফিকেশন পেলে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, মন্তব্য যা করেছি তার জবাব পেলাম ।
একটু ভেবে দেখলে ভালো হয় ।
শুভেচ্ছা রইল আরিয়ান ।। -
আরিয়ান খান ২৩/১০/২০১৩আসল কথা হলো চাদাবাজী, মাস্তানি আর সবখানে ক্ষমতার দাপট দেখানোর লোভেই অনেকে ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পরে।
-
আরজু নাসরিন পনি ২৩/১০/২০১৩লেজুরবৃত্তি রাজনীতি আমারও পছন্দ নয় । দেশের স্বার্থে শিক্ষার্থীরা দাবী আদায়ের বা অন্য কোন ধরণের সুশৃঙ্খল আন্দোলন করতে পারে । তবে ধ্বংসাত্নক কাযকলাপ মোটেই সমর্থন যোগ্য নয় ।
কয়দিন রাজনৈতিক পাতি নেতাদের সাথে ঘুরেই শুরু হয়ে যায় চাঁদাবাজি, মাস্তানী, রাস্তার গাড়ি ভাংচুর... এসব দেশেরই ক্ষতি ।
তাই আমিও মনে করি ...ধুররর বন্ধ হয়ে যাক ছাত্র রাজনীতি... ( অতীতের দিকে একটু ভার বোধও করি !) -
আরিয়ান খান ২৩/১০/২০১৩ধন্যবাদ মিঃ সাখাওয়াৎ আমার সাথে একমত পোষণ করার জন্য। আগামীতে আবার পাশে চাই।
-
আরিয়ান খান ২৩/১০/২০১৩ধন্যবাদ মিঃ প্রবাসী পাঠক। আমার লেখাটা পুনরায় পড়ার আহবান জানাচ্ছি। ছাত্ররাজনীতির অতীতটা যে গর্বের ছিল তা আমি উল্লেখ করেই দিয়েছি আর আমার সাথে সবাই একমত হবেন না একথাও আমি বলে দিয়েছি।
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ২২/১০/২০১৩আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত।সময়ের প্রয়োজনে যেকোন আন্দোলনই করা যায়।কিন্তু বর্তমানে আমাদের দিন এসেছে তাতে কোন অবস্থা তেই এই সব ছাত্র রাজনীতি আমরা কামনা করি না।যারা অতীতের সব সফল আন্দোলনের সাথে ছাত্র রাজনীতি কথা সামনে নিয়ে আসেন, তাদের বলি যে নিজের অস্তিত্বের প্রয়োজনে যেকোন পরিস্থিতি তে সবাই একাত্মতা করে।আর ছাত্র রা যেহেতু যুবক সেহেতু তারাই আগে এগিয়ে আসে।তাই বলে এটা নয় যে ছাত্র রাই রাজনীতি করে বলে সব তারাই করেছে।ধন্যবাদ লেখার জন্য।
-
প্রবাসী পাঠক ২২/১০/২০১৩আপনার মতের সাথে সম্পূর্ণ একমত হতে পারলাম না । ৫২ এর ভাষা আন্দোলন , ৬৯ এর গন অভুরথান , স্বাধীনতা যুদ্ধ , ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন প্রতিটাতেই ছাত্র রাজনীতির বিশাল ভূমিকা রয়েছে। তাই আমি মনে করি ছাত্র রাজনীতি নয় বরং ছাত্র রাজনীতির বর্তমান ধারাকে বিলুপ্ত করা হোক।