www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

বুক ভাঙ্গার ব্যথা

বুক ভাঙ্গার ব্যথা
- কবি আরেফিন পিয়াল

মন আমার
দুখের অনলে, ব্যাথার অনলে দহেছে বহুদিন,
বড় নিরবতায়
পুড়েছে এই বুক,
ক্ষয়ে গেছে বহু দিন ।

ভেবেছিনু তাই
প্রানের শিহরন থেমে গেছে আজ,
কারের দগ্ধতায় ,
অনলেও দহিনা
থিরথির কেঁপে উঠিনা আর,
সুখের ছোঁয়ায় ।

এলো নব জীবন

চৈত্রের ভীষন দুপুরে
কে তুমি বর্ষিলে জল-নিরবে নিভৃতে,
বিষটুকু পান করে
আমার ভাঙ্গা বুক ভরে দিলে অমৃতে ।

মরিয়া বাঁচিয়া ছিলাম
কে তুমি জাগালে অভাগারে , পড়ন্ত বেলায়,
আমার অনুভুতির সমাধিতে
তশতরি করে আনিলে প্রান, দানিলে জীবন তাই ।

তাই ভালবাসিলাম
এতটুকু বেশি বাসেনি কাহারে কোন সহচর,
তাই বোন পাতিলাম
মোরা অভিন্ন মায়ের উদরে লালিত দুটি সহোদর ।

শত শুভ্রতা মেখে
স্নেহ-রস ঢেলে , নির্মল সচ্ছতায়,
মহাকালের পবিত্র আসনে
বসালাম তোমারে সারা বুক জুড়ে অমর ভাতৃছায়ায় ।

তাই তোমার হাসির ছটায়
খুজে পাই আমি. আমার অহংকার ,
তোমার কান্নার সুর যেন
সারা বুক জুড়ে, আমার বুক ফাটা চিৎকার ।

তোমার সুখটুকুরে
বুঝিতে শিখেছি আমার নিজের সুখ,
তোমার অসুখে
বিষিয়ে উঠে যে, রক্ত-মাংশ-বুক ।

ভাগ্যের পরিহাস !
মধু বৃক্ষ বুনেছি, মধুফল নেই- থোকা থোকা বিষফল,
সুখের নদী বয়ে
এলো না সুখ, এলো তপ্ত জ্বালাময়ী ঢল ।

আমার দোষে বিধেঁছে তোমরা
কছি বুকে বয়ে গেছে, কাল বোশেখের ঝড়,
সাদা বুকটুকু মলিন করে
মম কারনে সহিলে যাতনা. সারা দিন ভর ।

কত ব্যাথা বুকে বিধিলেঁ তোমার
হাসির উৎস বিলীন হয়ে , আখিঁ হয় ছল ছল ,
আমি কতটুকু নির্মম হলে
জীবন দাত্রী ভগিনীর চোখে আসে জল ।

এখন জেগেও দু:স্বপ্ন দেখি
পৃথিবীময় আমি পচ্ছন্ন উপহাস, কোন অশুরের জিদে ,
দু-চোখে নিদ্রার আনাগোনা নেই
জগতের সব সুর যেন শতমুখী কাঁটা হয়ে বিধেঁ ।

সর্বস্ব হারায়াছি যেদিন
সেদিনো নিজেরে লাগেনি এতো অসহায় ,
ঘুমাতে পারিনা আজ
একলা জাগি রাত, পাজরে - পাজরে গুমড়ানো ব্যাথায় ।

অনেক দেখেছি সুন্দর
তবে-এবার দেখেছি সুন্দরের বিভৎসতা,
নির্মলতার ওপিঠে
পাইনি স্বচ্ছতা, দেখিলাম একরাশ কষ্টগন্ধ কুলষতা ।

বাতাসে ভরে গেছে বিষ
দম নিতে খুঁজি এক-ফোটা মুক্ত বাতাস ,
নিভে গেছে চোখের জ্যোতি
দু-চোখ ভরে দেখিনা আলো, অনাবিল হা-হুতাস।

অনেক সয়েছি দু:খ-বেদনা
উষ্ঞ অশ্রুতে বারবার হয়েছি বিধোত,
প্রান হরনিয়া বিষে
এক দেহে কতবার গড়িবে , সমাধি সৌধ ।

নিরবে কেঁদেছি অনেক
জানো না ! চাপাকান্না কাদেঁ মন, কত দু:খ এলে,
দেখেছ নিশ্চয়
ভেতরে- ভেতরে তুষের আগুন , কত ভয়ানক জ্বলে ।

আর কত অনলে দহিলে
আমার সর্বনাশের ষোলকলা হবে পুর্ন ,
আর কত ব্যাথা বুকে পুরিলে
আমার পাঁজর ফেটে- ফেটে হবে চুর্ন ।

নিভালে প্রদীপ শিখা
আঁধারে লুটায়ে পড়ি- ধুলি ধরা চুমি,
কেঁদে ভাসালে ধরা
সেই জলে ডুবে -ডুবে আমি যে মরি ।

কি অলীক অঘটনে
অতল পতন-- মিলছেনা বটে হিসেবের খাতা,
কতটুকু হারালাম
সে শুধু আমিই জানি, আর জানে মোর বিধাতা ।

হতভাগা পথচারীরে
দেখবেনা কোনদিন আর - তোমাদের ভীড়ে,
বুকের ব্যাথা ভীষন বাজিলে
নিভৃতে হেঁটে যাব, তোমাদের পদচিহ্ন ধরে ।

আমি এক বিগত পথিক
পথভুলে এসেছিনু ব্যাথা জাগাবার তরে ,
আমারে ভুল বুঝোনা
ভুলে যাও দুখটুকু, সেই সাথে দুখদাতারে ।

তোমারে স্বর নি:শ্বাস সম
রহিবে গাঁথা চিরদিন, দু-চোখের মুশল ধারায়.
তোমারে খুজিনা আর ব্যার্থ প্রয়াস
তবু রহিবে বাঁচি, নব-নব রুপে , আমার সকল প্রার্থনায় ।

তোমার সুখেতে অংশ নেবনা
তবে দুখের দিনে আমি বারবার আসিব ফিরে,
সকল প্রয়োজনে
ভাই ফোঁটা হয়ে রহিবো পাশে, তোমার ছোট্টনীড়ে ।
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৭৮১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৬/০৯/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • হৃদয়ের অন্তস্তলের মধ্য হতে এক দলা দীর্ঘ নিঃশ্বাস বেড়িয়ে গেলো এই দীর্ঘ কবিতা পড়ে।অসম্ভব অসম্ভব ভালো লাগলো।সত্যিই অসাধারণ।
    • ওহ ধন্য হলুম দাদা
      • আরো কবিতা চাই।
 
Quantcast