অমর একুশ আমার একুশ
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো ২১শে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে। বাংলা ভাষা, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার ঐতিহ্য সবকিছু নতুন প্রান পাবে,কবিরা ভাষাকে ভালবেসে লিখবে নতুন কবিতা, শিল্পীরা গাইবেন নতুন কোন গান, চিত্রকর আকবেন নতুন কোন ছবি শহীদকে ভালবেসে, ফাশন ডিজাইনার বের করবেন নতুন কোন ডিজাইন যাতে থাকবে শহীদের চেতনা, বাংলা একাডেমিতে বসবে মাস ব্যাপী বই মেলা, ধুম পরে যাবে বাংলা বই বিক্রির, মেলার বাইরে বসবে বাহারি মৃত্তিকা শিল্পের পসরা, টেলিভিশন জুড়ে শুরু হবে ভাষা নিয়ে নানা টকশো, অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ইতিহাস, আলোচনা, সমালোচনা হবে,সারা মাস ব্যাপি চলবে এই আনন্দ মেলা। তারপর আসবে মহান ২১শে ফেব্রুয়ারী, রাত ১২টা হতে পরদিন পর্যন্ত চলবে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি, সকল টেলিভিশন চ্যানেল, সরাসরি সম্প্রচার করবে।
ভাষার জন্য আমাদের ভালবাসাও কম নয়,২১ আসার ২দিন আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু হয়ে যায়, কে কি করবো, কার কি দায়িত্ব, তাকা,সংগ্রহ,রাত জেগে ফুল সংগ্রহ করি, অনেক যত্ন নিয়ে মালা বানাই, তারপর ছপোট ভাই বোনদের হাত ধরে নিয়ে যাব শহীদ মিনারে, নগ্ন পায়ে, ফুল হাতে, কণ্ঠে কণ্ঠে মুখরিত হবে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো ২১শে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে। অতপর বিনম্র চিত্তে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অতঃপর শপথ গ্রহণ, ক্লাবে ফিরে এসে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান তারপর বিকেলে বন্ধু বান্ধব বা পরিবারের সবাইকে নিয়ে বই মেলায়।
তারপর দিন থেকে ধীরে ধীরে ম্লাণ হতে থাকে আমার একুশ। মেতে উঠি হলিউড বলিউডের গান মুভিতে, সন্তান্দের মানুষ করি বিদেশি কালচারে, ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ানোর জন্য দিন কে রাত, রাত কে দিন করে ফেলি, ভাল চাকরীর জন্য ইংলিশ স্পিকিং কোর্স করবো,IELTS করে বৃত্তি নিয়ে বিদেশে পড়তে যাব, তারপর স্থায়ী নাগরিকত্ব নিয়ে স্থায়ী হয়ে যাব।
পৃথিবীর একমাত্র দেশ বাংলাদেশ, যার মুল ভিত্তি হচ্ছে ভাষা, ভাষার জন্য আর কোন জাতি জীবন দেয়নি। এত প্রাণ কেন বলিদান দিতে হল শুধুই কি ভাষার মাস কে উদযাপন করার জন্য?
কেন আজ বাংলা একাডেমির পরিচালক পদ নিয়ে রাজনীতি হয়? হয় আলোচনা, সমালোচনা, কেন আজ নির্মিত হয়নি ভাষা জাদুঘর?
একদিন কালের স্রোতে অনেক কিছুই হয়ত বিলীন হয়ে যাবে, ইটের তৈরি ভাস্কর্য রয়ে যাবে বোবা কান্নায় গুমরে মরবে আমার একুশ।জাগো বাঙালি জাগো- এই একুশে শপথ নাও ভাষাকে বাঁচাবার।
----- অনাদী রহমান (মুক্তচিন্তার লেখক)
ভাষার জন্য আমাদের ভালবাসাও কম নয়,২১ আসার ২দিন আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু হয়ে যায়, কে কি করবো, কার কি দায়িত্ব, তাকা,সংগ্রহ,রাত জেগে ফুল সংগ্রহ করি, অনেক যত্ন নিয়ে মালা বানাই, তারপর ছপোট ভাই বোনদের হাত ধরে নিয়ে যাব শহীদ মিনারে, নগ্ন পায়ে, ফুল হাতে, কণ্ঠে কণ্ঠে মুখরিত হবে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো ২১শে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে। অতপর বিনম্র চিত্তে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অতঃপর শপথ গ্রহণ, ক্লাবে ফিরে এসে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান তারপর বিকেলে বন্ধু বান্ধব বা পরিবারের সবাইকে নিয়ে বই মেলায়।
তারপর দিন থেকে ধীরে ধীরে ম্লাণ হতে থাকে আমার একুশ। মেতে উঠি হলিউড বলিউডের গান মুভিতে, সন্তান্দের মানুষ করি বিদেশি কালচারে, ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ানোর জন্য দিন কে রাত, রাত কে দিন করে ফেলি, ভাল চাকরীর জন্য ইংলিশ স্পিকিং কোর্স করবো,IELTS করে বৃত্তি নিয়ে বিদেশে পড়তে যাব, তারপর স্থায়ী নাগরিকত্ব নিয়ে স্থায়ী হয়ে যাব।
পৃথিবীর একমাত্র দেশ বাংলাদেশ, যার মুল ভিত্তি হচ্ছে ভাষা, ভাষার জন্য আর কোন জাতি জীবন দেয়নি। এত প্রাণ কেন বলিদান দিতে হল শুধুই কি ভাষার মাস কে উদযাপন করার জন্য?
কেন আজ বাংলা একাডেমির পরিচালক পদ নিয়ে রাজনীতি হয়? হয় আলোচনা, সমালোচনা, কেন আজ নির্মিত হয়নি ভাষা জাদুঘর?
একদিন কালের স্রোতে অনেক কিছুই হয়ত বিলীন হয়ে যাবে, ইটের তৈরি ভাস্কর্য রয়ে যাবে বোবা কান্নায় গুমরে মরবে আমার একুশ।জাগো বাঙালি জাগো- এই একুশে শপথ নাও ভাষাকে বাঁচাবার।
----- অনাদী রহমান (মুক্তচিন্তার লেখক)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মুশফিকুর রহমান ০৫/০২/২০১৭ভাল লিখেছেন। তবে বাংলা একাডেমী ঘটা করে কবিতায় ‘মুই’ ‘মোর’ ‘অরা’ এধরনের শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। আমার মতে এতে ভাষার প্রকাশ ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
-
আব্দুল হক ০৩/০২/২০১৭সুন্দর লিখেছেন!