আসুন আমি আপনি সবাই এক একজন রক্ত সৈনিক হয়
মানুষ মানুষরে জন্য জীবন জীবনের জন্য এই শ্বাশত বাণী যেন মানুষ হিসাবে ব্রত হয়। তবে এই পৃথীবি আর ও সুন্দর হবে। প্রায় ৩০ লক্ষ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। কিন্তু এই দেশে এখনো রক্তের অভাবে মানুষ মারা যায়। যা আমাদের মতো তরুন তরুণীদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। কিন্তু তারপরও আমরা কিছুই করছিনা, কারণ আমাদের বিবেক এখনো ঘুমন্ত।অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কেউ রক্ত দিতে আগ্রহ প্রকাশ করলে পরিবার থেকে বাধা দেওয়া হয়। তরুণ সমাজকে নৈতিক শিক্ষাই শিক্ষিত করতে সর্বপরি পরিবারের ভূমিকাই অনেক বেশি।
দেশে প্রতিদিন গড়ে ১৭০০ ব্যাগ (প্রায়) রক্তের প্রয়োজন হয়। যার বাৎসরিক হিসাব ৬২০৫০০ ব্যাগ (প্রায়)। কিন্তু আমাদের জনসংখ্যা ১৬ থেকে ১৭ কোটি হবার পরও সারা বছরে এই রক্তের ব্যবস্থা করতেই আমাদের হিমশিম অবস্থা। এমনকি রক্তের অভাবে অনেক রোগীও মারা যাচ্ছেন। আবার আমরা চাইলেই এই সমস্যা সহজে দূর করতে পারি, যেখানে প্রয়োজন শুধুমাত্র একটু সচেতনতা।
রক্তদানের যোগ্যতাঃ-
১। রক্ত দাতার বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
২। কোন প্রকার টিকা গ্রহণ করলে ২৮ দিন পর রক্ত দান করা যাবে।
৩। একজন সুস্থ্য সবল মানুষের জন্য নিয়মিত রক্তদানের পূর্বশর্ত হল ”স্বদিচ্ছা”
৪। জ্বর, সর্দি, কাশি সুস্থ্য হবার কমপক্ষে ১ সপ্তাহ পর রক্তদান করা যাবে।
৫। বিগত ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে যদি আপনার বড় কোন অপারেশন না হয়ে থাকে।
৬। এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করার কমপক্ষে ১ সপ্তাহ পরে রক্ত দান করা যায়।
৭। নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভবস্থায় এবং মেয়েলি সমস্যা চলাকালিন সময় রক্ত দিতে পারবেন না।
৮। রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমান ব্লাড প্রেসার এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে।
৯। শারীরি ওজন মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪৭ কেজি এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ৫০ কেজি বা এর বেশি হতে হবে।
১০। একজন সুস্থ্য সবল মানুষ (ছেলে) ৩ মাস অন্তর এবং মেয়ে ৪ মাস অন্তর রক্তদান করতে পারবে।
১১। রক্তবাহিত জটিল রোগ যেমন ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, জন্ডিস, মৃগীরোগ, গনোরিয়া, হেপাটাইটস, এইডস, চর্মরোগ, হৃদরোগ, ডায়বেটিকস,
টাইফয়েড এবং বাতজ্বর থাকলে রক্তদান করা যাবে না।
রক্তদানের উপকারীতাঃ-
১।রক্তদানের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ্য রাখার স্পৃহা জন্মে।
২। নিয়মিত রক্তদাতার রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যায়, তাই হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কম থাকে।
৩। রক্তদান স্বাস্থের জন্য উপকারী কারণ রক্তদান রার সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরের মধ্যে অবস্থিত ”বোন-ম্যারো” নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। বছরে ৩-৪ বার রক্তদানকারীর শরীর রোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে দেয়।
৪। নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে বিনা খরচে জানা যায় শরীরে রক্ত প্রবাহিত কোন রোগ আছে কিনা।
আমাদের পাঠ্যপুস্তকে ’এইডস’ এবং ‘জনসংখ্যা’ নিয়ে অনুচ্ছেদ থাকলেও রক্তদানের মত গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়ে কোন অনুচ্ছেদ নাই।পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে রক্তদানের উপকারিতা সম্পর্কে বুঝানো এবং সচেতন করে তোলা হলে, দেশে আর একটি মানুষও রক্তের অভাবে মারা যাবেনা মানুষকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহ দেওয়ার জন্য প্রথমে- রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা, উপকারীতা এবং যোগ্যতা বুঝাতে হবে। আর এসব করতে হবে ছোট বেলা থেকেই, তাহলে তাদের মনে গেঁথে থাকবে সবসময়। অপরদিকে এই প্রয়োজনীয়তা বুঝাতে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রাখে পাঠ্যপুস্তক।পাঠ্যপুস্তকে 'স্বেচ্ছায় রক্তদান' প্রবন্ধ যুক্ত করা হউক।
আসুন আমি, আপনি সবাই এক একজন রক্ত সৈনিক হয়। আমাদের এই সোনার বাংলাদেশে 'রক্তের অভাবে জেন আর একটি মানুষও মৃত্যুবরণ না করে' আমারা আর কাউকে রক্তের অভাবে মরতে দিতে চাইনা। ।
দেশে প্রতিদিন গড়ে ১৭০০ ব্যাগ (প্রায়) রক্তের প্রয়োজন হয়। যার বাৎসরিক হিসাব ৬২০৫০০ ব্যাগ (প্রায়)। কিন্তু আমাদের জনসংখ্যা ১৬ থেকে ১৭ কোটি হবার পরও সারা বছরে এই রক্তের ব্যবস্থা করতেই আমাদের হিমশিম অবস্থা। এমনকি রক্তের অভাবে অনেক রোগীও মারা যাচ্ছেন। আবার আমরা চাইলেই এই সমস্যা সহজে দূর করতে পারি, যেখানে প্রয়োজন শুধুমাত্র একটু সচেতনতা।
রক্তদানের যোগ্যতাঃ-
১। রক্ত দাতার বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
২। কোন প্রকার টিকা গ্রহণ করলে ২৮ দিন পর রক্ত দান করা যাবে।
৩। একজন সুস্থ্য সবল মানুষের জন্য নিয়মিত রক্তদানের পূর্বশর্ত হল ”স্বদিচ্ছা”
৪। জ্বর, সর্দি, কাশি সুস্থ্য হবার কমপক্ষে ১ সপ্তাহ পর রক্তদান করা যাবে।
৫। বিগত ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে যদি আপনার বড় কোন অপারেশন না হয়ে থাকে।
৬। এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করার কমপক্ষে ১ সপ্তাহ পরে রক্ত দান করা যায়।
৭। নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভবস্থায় এবং মেয়েলি সমস্যা চলাকালিন সময় রক্ত দিতে পারবেন না।
৮। রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমান ব্লাড প্রেসার এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে।
৯। শারীরি ওজন মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪৭ কেজি এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ৫০ কেজি বা এর বেশি হতে হবে।
১০। একজন সুস্থ্য সবল মানুষ (ছেলে) ৩ মাস অন্তর এবং মেয়ে ৪ মাস অন্তর রক্তদান করতে পারবে।
১১। রক্তবাহিত জটিল রোগ যেমন ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, জন্ডিস, মৃগীরোগ, গনোরিয়া, হেপাটাইটস, এইডস, চর্মরোগ, হৃদরোগ, ডায়বেটিকস,
টাইফয়েড এবং বাতজ্বর থাকলে রক্তদান করা যাবে না।
রক্তদানের উপকারীতাঃ-
১।রক্তদানের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ্য রাখার স্পৃহা জন্মে।
২। নিয়মিত রক্তদাতার রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যায়, তাই হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কম থাকে।
৩। রক্তদান স্বাস্থের জন্য উপকারী কারণ রক্তদান রার সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরের মধ্যে অবস্থিত ”বোন-ম্যারো” নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। বছরে ৩-৪ বার রক্তদানকারীর শরীর রোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে দেয়।
৪। নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে বিনা খরচে জানা যায় শরীরে রক্ত প্রবাহিত কোন রোগ আছে কিনা।
আমাদের পাঠ্যপুস্তকে ’এইডস’ এবং ‘জনসংখ্যা’ নিয়ে অনুচ্ছেদ থাকলেও রক্তদানের মত গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়ে কোন অনুচ্ছেদ নাই।পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে রক্তদানের উপকারিতা সম্পর্কে বুঝানো এবং সচেতন করে তোলা হলে, দেশে আর একটি মানুষও রক্তের অভাবে মারা যাবেনা মানুষকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহ দেওয়ার জন্য প্রথমে- রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা, উপকারীতা এবং যোগ্যতা বুঝাতে হবে। আর এসব করতে হবে ছোট বেলা থেকেই, তাহলে তাদের মনে গেঁথে থাকবে সবসময়। অপরদিকে এই প্রয়োজনীয়তা বুঝাতে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রাখে পাঠ্যপুস্তক।পাঠ্যপুস্তকে 'স্বেচ্ছায় রক্তদান' প্রবন্ধ যুক্ত করা হউক।
আসুন আমি, আপনি সবাই এক একজন রক্ত সৈনিক হয়। আমাদের এই সোনার বাংলাদেশে 'রক্তের অভাবে জেন আর একটি মানুষও মৃত্যুবরণ না করে' আমারা আর কাউকে রক্তের অভাবে মরতে দিতে চাইনা। ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কবি মোঃ ইকবাল ০৭/০৫/২০১৪আমি আপনার সঙ্গী হয়ে সৈনিক হতে চাই।