রাজনৈতিক কুটকৌশলে বিভাজন হচ্ছে রাষ্ট (সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু)
সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু বলে আমাদের দেশে কিছু নাই। সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু এসব রাজনীতিবিদদের তৈরী। এর থেকে তারা বিশেষ সুবিধা আদায়ের জন্য এধরনের বিভাজন সৃষ্টি করছেন। দেশের স্বাধীনতার সময় আমাদের একটাই পরিচয় ছিল। আমরা বাঙ্গালী, বাংলাদেশী, বাংলা আমাদের পরিচয়। এই স্বতন্ত্র চেতনাকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমারা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে কাধে কাধ মিলে যুদ্ধ করেছি। রক্তক্ষয়ি সংগ্রামের পর আমরা পেয়েছি বিজয়, পেয়েছি স্বাধীনতা, পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা, পেয়েছি নির্দিষ্ট ভুখন্ড, পৃথিবীর মানচিত্রে আমরা বাঙ্গালী, বাংলাদেশী এক এবং অভিন্ন চেতনার মানুষ হিসাবে বাংলাদেশের নাম লিখিয়েছি। আর আজ আমাদেরকে রাজনীতিবিদেরা রাজনৈতিক ফায়দা লুটের আসায় এক অখন্ড জাতীয় স্বত্তার মানুষগুলোকে ধর্ম ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাবে ভেঙ্গে খন্ড বিখন্ড করে ফেলছে।
সংখ্যা লঘু সংখ্যা গুরু, এসব কিসের কথা
একই গর্ভে জন্ম মোদের, বাংলা আমার মাতা।
একই গর্ভে জন্ম মোদের, বাংলা আমার মাতা।
সনতান ধর্মাবলম্বী মানুষেরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।বিশেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্যনিয়।এর জন্য বরাবরই রাষ্ট যন্ত্রের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়। যার কারণে এর পুণরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে।রাষ্ট যন্ত্র যে সময় যাদের হাতে থাকে তাদের ভূমিকা রিতিমত হাস্যকর হয়ে দেখা দেয়। সরকারী দলের নেতাকর্মীরা এর দায় এরাতে কৌশল হিসাবে একটি বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলকে দোষী করে রাজনৈতীক মাঠ সরব রাখে ।
কেউ চাই করো ঘারে দোষটা চাপাতে, কেউ আছে ব্যাস্ত নিজেদের ছাপাতে।
কাঁদা ছুড়া ছুড়ি বুঝি নেতাদের কাজ, লজ্জার মাথাটা খেয়ে গেছে আজ।
কাঁদা ছুড়া ছুড়ি বুঝি নেতাদের কাজ, লজ্জার মাথাটা খেয়ে গেছে আজ।
এতে করে পার পেয়ে যায় প্রকৃত অপরাধীরা।২০১৩ সালে ৫ই জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সনাতন ধর্মালম্বী মানুষেরা যে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হল। তার বেশির ভাগ সরকারী দল দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজনের অভিমত। কিন্ত এ পর্যায়ে সরকারী দলের ভাষ্য জামায়াত শিবিররা প্রেতাত্মা হয়ে তাদের ঘাড়ে বসে এধরনের জঘন্যতম অপরাধ করেছে। এই মূহুর্তে কে কি করেছে এটা নিয়ে চুলাচুলি না করে সরকারের দায়িত্ব যতদ্রুত সম্ভব প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করে বিশেষ ট্রাইবুনালের মাধ্যমে বিচার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদরে প্রতি আমার অনুরোধ আমরা বাঙ্গালী বাংলাদেশী এই অখন্ড চেতনার মানুষের মাঝে রাজনৈতিক সুবিধা নেবার আসায় সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু মত এরকম বিষয় এনে আমারকে বিভাজন করবেন না।
যুদ্ধ করে দেশ গড়েছি আমরা জ্ঞাতী ভাই
সুখে দুখে সবাই মিলে একই থাকতে চাই।
সুখে দুখে সবাই মিলে একই থাকতে চাই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।