শরৎ
ঘুম ভাঙ্গা ঝাফসা সকালের আকাশ , আর
টিপ টিপ শিশিরে দাগকাটা ভেজা বারান্দার মাটি
রামধনুর গায়ে মাখা শরতের রঙিন চিঠি ।
রুক্ষ রুষ্ট মেঘাচ্ছন্ন অম্বরে ,তিমির আঁধার ঠেলে
শরতের দিপ্ত পাখা মেলে –
স্বর্গের তিলোওমা তুমি, আমার দেবালয়ে –
আলতো পায়ে, আবার ফিরে এলে ।
হিমের ছুঁয়ায় দোল খায় , একাকী দুপুর, শাদা কাশবনে
পাল তুলে মাঝি বাড়ী ফীরে, আগমনীর গানে ।
সমুদ্রসৈকতে অধিস্থিতা উর্বশী, নাকি
প্রবাহমান যন্ত্রণার স্রোতে প্রেরণার উৎস তুমি!
ব্রহ্মপুত্রের জলরাশি তোমার চরণ ছুয়ে
দুখ বেদনা বুকে নিয়ে, নিস্তব্ধ নিরবে
অনন্ত কাল থেকে অবিরাম ছুটে চলে
অজানা ঠিকানার খুঁজে ।
ঝিম হাওয়ায় শিউলি ঝরায় , গন্ধ ছরায় প্রাণে
গাছের পাতায় মৃদু টোকায় , শিশির ঝরায় বনে !
অপলক চেয়ে দেখো ব্রহ্মপুত্রে যদি
শরতের শামীয়ানায় হেঁসে উঠে নদী!
নীলাচলের গা ঘেঁষা শাদা মেঘ, রাশি রাশি
শরৎ ! তোমায় ভীষণ ভালোবাসি ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নূরুল ইসলাম সাইফুল ১২/০৯/২০১৪অনেক ভালো লাগলো।
-
একনিষ্ঠ অনুগত ১২/০৯/২০১৪শরতের সৌন্দর্য বর্ণনা, বেশ ভালো লাগলো
-
নূরুজ্জামান নাঈম ১১/০৯/২০১৪শরতের প্রাকৃতিক বর্ণনা ভাল লাগল।
-
অর্চন মুখোপাধ্যায় ১১/০৯/২০১৪কবিতাটি যথেষ্ট সুন্দর, এবং হৃদয়গ্রাহী। মাঝে মাঝে ছন্দতে আরও ভালো লেগেছে। আর পারিপার্শিকের সঙ্গেও বেশ মানিয়েছে।
আপনাকে শারদ শুভেচ্ছা! @@
U -
মনিরুজ্জামান শুভ্র ১১/০৯/২০১৪রামধেনু > রামধনু, অধিস্তিত >অধিষ্টিতা হবে, স্রুতে > স্রোতে হবে, শরৎ বানানটা এটা হবে যখন একক ভাবে বলা হবে। নিস্তব্দ > নিস্তব্ধ, । কবিতাটা কিন্তু আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে ।