উপলব্ধি
বন্ধুত্ব মানে সম্পর্কের শুরু
আর প্রেম মানে সম্পর্কের শেষ ।
প্রেম হলো অভিশাপের নাম...
বন্ধুত্বে যখন অভিশাপ লাগে তখন প্রেম হয়
বিনাশ হয়
ধ্বংস হয় ।
একজন মানুষ আরেকজন মানুষের যত কাছে আসে তত সম্পর্কটা শেষের দিকে যায়...ধ্বংসের দিকে যায় !
শান্তার বর্তমান উপলব্ধিটা তেমনই ।
সমস্যাটা এখানেই । শান্তা আর তাসিরের মধ্যে প্রেম হয়েছিল, বন্ধুত্ব হয় নি ।
শান্তার সাথে তাসিরের প্রেম দেখলে ঈর্ষা করতে বাধ্য হবে যে কোন দম্পতিই ।
এতো প্রেম আসে কোথ্থেকে !
দেশে এসে বান্ধবীর সাথে সময় কাটাতে যেয়ে তাসিরকে যে কতোবার ফোন দিচ্ছে, আবার ও ফোন না দিলে তাসির দিচ্ছে ওকে ফোন...সে এক মহা যন্ত্রণার বিষয় ! অথচ তারা দু'জন কিন্তু একসাথেই দেশে ফিরেছে ।
বাংলা মোটরের কাছে যখন গাড়ি জ্যামে আটকে আছে তখন জানা গেল তাসির হোটেল সোনার গাঁ পাস করে এদিকেই আসছে ।
মোড়ে তাদের দু'জনেরই গাড়ি থামাতে হলো ... ওররে বাপস ! গাড়ি থামিয়ে রাস্তায়ই দু'জন দু'জনকে জড়িয়ে ধরলো !
যে কেউ দেখলে আর কিছু ভাবতে পারে ! স্বামী-স্ত্রী অন্তত ভাববে বলেতো মনে হয় না !
সবুজ জমিন পত্রিকাটার কোয়ালিটি কেমন সে ব্যাপারে রিনির সন্দেহ আছে বরাবরই... একদিন অফিস থেকে ফিরে রিনির বর রিনির হাতে সবুজ জমিন ধরিয়ে দিয়ে রিনিকে পড়তে বললো !
রিনি প্রথমে কিছু বুঝতে পারে নি। পাতা উল্টাতেই তাসিরের সাথে আরেক মেয়ের ছবি দেখে আঁতকে উঠলো !
খবরে প্রকাশ, তাসিরের স্ত্রী একজন প্রতারক... ইত্যাদি !
কিন্তু রিনির হিসাব মিলছে না ! কারণ তাসিরের স্ত্রীর যেই ছবি পত্রিকায় দেয়া তা শান্তার নয় !
একদিন রিনি Bay-তে জুতার মাপ দিচ্ছে সেই সময় দেশের বাইরে থেকে শান্তার ফোন !
আকুল হয়ে কথা বলতে চাচ্ছে !
রিনির বর ইশারায় বলছে পরে ফোন করতে...রিনি ফোন চেপে হিসহিস করে উঠলো...দেশের বাইরে থেকে বেচারী ফোন দিয়ে তার কষ্টের কথা বলছে আর রিনি কেমন করে তাকে পরে ফোন করতে বলবে !
বাসায় ফিরে ফ্রি হয়ে শান্তাকে টেক্সট করলো ... ডিএ্যাকটিভেট করা আইডি আবার এ্যাকটিভ করে রিনির সাথে এখন শান্তার নিয়মিত চ্যাট হয় ।
"একাকিত্ব মানুষকে পাগল করে দেয় ।" বুঝতে পেরে রিনিই শান্তাকে ডায়েরী লিখতে বলেছিল । তবে কাগজে নয়...ফেসবুকেই ।
এখন শান্তা অনেকটাই ধাতস্থ ! একসময়ের দারুণ লিখিয়ে শান্তা আবার পুরোদমে লিখছে !
হাসতে হাসতে শান্তাই রিনিকে বললো ....
জানিস রিনি "ছ্যাঁকার মধ্যে সৃজনশীলতা নিহিত থাকে"
---
গল্প
(Post20131025070953)
আর প্রেম মানে সম্পর্কের শেষ ।
প্রেম হলো অভিশাপের নাম...
বন্ধুত্বে যখন অভিশাপ লাগে তখন প্রেম হয়
বিনাশ হয়
ধ্বংস হয় ।
একজন মানুষ আরেকজন মানুষের যত কাছে আসে তত সম্পর্কটা শেষের দিকে যায়...ধ্বংসের দিকে যায় !
শান্তার বর্তমান উপলব্ধিটা তেমনই ।
সমস্যাটা এখানেই । শান্তা আর তাসিরের মধ্যে প্রেম হয়েছিল, বন্ধুত্ব হয় নি ।
শান্তার সাথে তাসিরের প্রেম দেখলে ঈর্ষা করতে বাধ্য হবে যে কোন দম্পতিই ।
এতো প্রেম আসে কোথ্থেকে !
দেশে এসে বান্ধবীর সাথে সময় কাটাতে যেয়ে তাসিরকে যে কতোবার ফোন দিচ্ছে, আবার ও ফোন না দিলে তাসির দিচ্ছে ওকে ফোন...সে এক মহা যন্ত্রণার বিষয় ! অথচ তারা দু'জন কিন্তু একসাথেই দেশে ফিরেছে ।
বাংলা মোটরের কাছে যখন গাড়ি জ্যামে আটকে আছে তখন জানা গেল তাসির হোটেল সোনার গাঁ পাস করে এদিকেই আসছে ।
মোড়ে তাদের দু'জনেরই গাড়ি থামাতে হলো ... ওররে বাপস ! গাড়ি থামিয়ে রাস্তায়ই দু'জন দু'জনকে জড়িয়ে ধরলো !
যে কেউ দেখলে আর কিছু ভাবতে পারে ! স্বামী-স্ত্রী অন্তত ভাববে বলেতো মনে হয় না !
সবুজ জমিন পত্রিকাটার কোয়ালিটি কেমন সে ব্যাপারে রিনির সন্দেহ আছে বরাবরই... একদিন অফিস থেকে ফিরে রিনির বর রিনির হাতে সবুজ জমিন ধরিয়ে দিয়ে রিনিকে পড়তে বললো !
রিনি প্রথমে কিছু বুঝতে পারে নি। পাতা উল্টাতেই তাসিরের সাথে আরেক মেয়ের ছবি দেখে আঁতকে উঠলো !
খবরে প্রকাশ, তাসিরের স্ত্রী একজন প্রতারক... ইত্যাদি !
কিন্তু রিনির হিসাব মিলছে না ! কারণ তাসিরের স্ত্রীর যেই ছবি পত্রিকায় দেয়া তা শান্তার নয় !
একদিন রিনি Bay-তে জুতার মাপ দিচ্ছে সেই সময় দেশের বাইরে থেকে শান্তার ফোন !
আকুল হয়ে কথা বলতে চাচ্ছে !
রিনির বর ইশারায় বলছে পরে ফোন করতে...রিনি ফোন চেপে হিসহিস করে উঠলো...দেশের বাইরে থেকে বেচারী ফোন দিয়ে তার কষ্টের কথা বলছে আর রিনি কেমন করে তাকে পরে ফোন করতে বলবে !
বাসায় ফিরে ফ্রি হয়ে শান্তাকে টেক্সট করলো ... ডিএ্যাকটিভেট করা আইডি আবার এ্যাকটিভ করে রিনির সাথে এখন শান্তার নিয়মিত চ্যাট হয় ।
"একাকিত্ব মানুষকে পাগল করে দেয় ।" বুঝতে পেরে রিনিই শান্তাকে ডায়েরী লিখতে বলেছিল । তবে কাগজে নয়...ফেসবুকেই ।
এখন শান্তা অনেকটাই ধাতস্থ ! একসময়ের দারুণ লিখিয়ে শান্তা আবার পুরোদমে লিখছে !
হাসতে হাসতে শান্তাই রিনিকে বললো ....
জানিস রিনি "ছ্যাঁকার মধ্যে সৃজনশীলতা নিহিত থাকে"
---
গল্প
(Post20131025070953)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফাহমিদা ফাম্মী ২৮/১০/২০১৩আমি পড়ে অনেক মজা পাইছি বিশেষ করে শেষ লাইন টা ... এক কথায় জোস
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ২৬/১০/২০১৩ভালো লিখেছেন।
-
জহির রহমান ২৫/১০/২০১৩ভালো লিখেছেন।
আমার সাথে একজনের বন্ধুত্ব হয়েছে
সেখান থেকে ভালোবাসা
ভালোবাসা থেকে আবারো বন্ধুত্ব। -
suman ২৫/১০/২০১৩সেই positive message দিচ্ছেন লেখক আজকের স্ংগ্রামমূখর নারীর জন্যে ...