শোধ
বিশাল মোটা মোটা পিলারগুলোকে পাশ কাটিয়ে চার তলার উপর থেকে খুব সফলভাবেই গাড়ি নামাতে পারল মুক্তা ।
সিকিউরিটি গার্ড হর্ন শুনেও গেটটা খুলতে দেরী করলো ! গেট পার হতে যেয়ে সাপের মতো ঠান্ডা চোখে একবার গার্ডটাকে দেখে নিল সে ।
গেটের বাইরে যখন বেরিয়ে এলো ততক্ষণে বিকেলের পড়ন্ত সূর্য কমলা আলো ছড়াচ্ছে পশ্চিমাকাশে । মিনিটখানেকের জন্যে বাম হাতে স্টিয়ারিংটা ধরে তাকিয়ে থাকল লাইসেন্সটার দিকে। গতকালই পেয়েছে। সাত হাজার টাকা ঘুষও দিতে হয়েছে এর জন্যে ।
মুক্তা কতোদিন কল্পনার সাগরে ভেসেছে যে, প্রচন্ড মন খারাপ থাকা অবস্থায় ধুমধাড়াক্কা গাড়ি চালিয়ে কোন একটা দেয়ালে সজোরে গাড়ি লাগিয়ে দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় গাড়িতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকবে । তারপর হুশ ফিরে এলে নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করবে সুমিতের বাহু বন্দি অবস্থায় । ছলছল চোখে সুমিত বলবে "কেনো এমন পাগলামি করো মুক্তা ?"
ইফতারির এখনো মিনিট ত্রিশেক দেরী আছে। আজকে চাঁদ দেখলে কালকেই ঈদ । বাম ইন্ডিকেটরটা দিয়ে রওনা দিল ক্যান্টনমেন্ট-এর উদ্দেশ্যে । ঠিক ক্যান্টনমেন্ট না, ওটা মানিকদির কাছেই মাটিকাটা বলে এলাকাটাকে ।
ওভারপাসটা হওয়াতে টান দিয়ে চলে যাওয়া যায় । ঢাকার রাস্তায় যেখানে রিক্সার পেছন পেছন মেজাজ খিচ মেরে গতি রাখতে হয় ১৫ কিমি, সেখানে নিশ্চিন্তে ৭০কিমি গতি উঠিয়ে চলে যাওয়া যায় কিছুক্ষণের মধ্যেই ।
ইফতারির সময় ঘনিয়ে আসাতেই হোক বা এলাকাটাতে বসতি তুলনামূলকভাবে কম হওয়াতেই হোক রাস্তা দিয়ে হঠাৎ হঠাৎ করে গাড়ি চলছে ।
আড়চোখে গতি দেখে নিল, ৮০ তে উঠিয়েছে ! ক্যান্টনমেন্ট থানা পার হয়ে মিরপুর থানায় গিয়ে পড়লো । রাস্তা দিয়ে একটা ছেলে হেঁটে যাচ্ছে। হাতে একটা ঝোলা ব্যাগ। চারদিকে শুনশান নীরবতা ।
মুক্তা একেসেলটরে চাপ দিয়ে গতি বাড়িয়ে ১০০ তে উঠিয়ে দিয়ে ছেলেটাকে সাঁই করে একটা ধাক্কা দিয়ে পার হয়ে যেতে যেতে দেখে নিল কেউ দেখলো কি না...নাহ্ রাস্তা ফাঁকা ।
ফাঁকা রাস্তা পার হয়ে খুব সহজেই ফিরে এলো বাসায়।
শাওয়ার সেরে ল্যাপটপটা নিয়ে বসলো । হোমপেজে তাকিয়ে আছে । একসময় স্ট্যাটাস দিল ...
"অনেক অপেক্ষার পর লাইসেন্সটা পেয়ে গেলাম শেষ পর্যন্ত..."
-------
গল্প :
সিকিউরিটি গার্ড হর্ন শুনেও গেটটা খুলতে দেরী করলো ! গেট পার হতে যেয়ে সাপের মতো ঠান্ডা চোখে একবার গার্ডটাকে দেখে নিল সে ।
গেটের বাইরে যখন বেরিয়ে এলো ততক্ষণে বিকেলের পড়ন্ত সূর্য কমলা আলো ছড়াচ্ছে পশ্চিমাকাশে । মিনিটখানেকের জন্যে বাম হাতে স্টিয়ারিংটা ধরে তাকিয়ে থাকল লাইসেন্সটার দিকে। গতকালই পেয়েছে। সাত হাজার টাকা ঘুষও দিতে হয়েছে এর জন্যে ।
মুক্তা কতোদিন কল্পনার সাগরে ভেসেছে যে, প্রচন্ড মন খারাপ থাকা অবস্থায় ধুমধাড়াক্কা গাড়ি চালিয়ে কোন একটা দেয়ালে সজোরে গাড়ি লাগিয়ে দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় গাড়িতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকবে । তারপর হুশ ফিরে এলে নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করবে সুমিতের বাহু বন্দি অবস্থায় । ছলছল চোখে সুমিত বলবে "কেনো এমন পাগলামি করো মুক্তা ?"
ইফতারির এখনো মিনিট ত্রিশেক দেরী আছে। আজকে চাঁদ দেখলে কালকেই ঈদ । বাম ইন্ডিকেটরটা দিয়ে রওনা দিল ক্যান্টনমেন্ট-এর উদ্দেশ্যে । ঠিক ক্যান্টনমেন্ট না, ওটা মানিকদির কাছেই মাটিকাটা বলে এলাকাটাকে ।
ওভারপাসটা হওয়াতে টান দিয়ে চলে যাওয়া যায় । ঢাকার রাস্তায় যেখানে রিক্সার পেছন পেছন মেজাজ খিচ মেরে গতি রাখতে হয় ১৫ কিমি, সেখানে নিশ্চিন্তে ৭০কিমি গতি উঠিয়ে চলে যাওয়া যায় কিছুক্ষণের মধ্যেই ।
ইফতারির সময় ঘনিয়ে আসাতেই হোক বা এলাকাটাতে বসতি তুলনামূলকভাবে কম হওয়াতেই হোক রাস্তা দিয়ে হঠাৎ হঠাৎ করে গাড়ি চলছে ।
আড়চোখে গতি দেখে নিল, ৮০ তে উঠিয়েছে ! ক্যান্টনমেন্ট থানা পার হয়ে মিরপুর থানায় গিয়ে পড়লো । রাস্তা দিয়ে একটা ছেলে হেঁটে যাচ্ছে। হাতে একটা ঝোলা ব্যাগ। চারদিকে শুনশান নীরবতা ।
মুক্তা একেসেলটরে চাপ দিয়ে গতি বাড়িয়ে ১০০ তে উঠিয়ে দিয়ে ছেলেটাকে সাঁই করে একটা ধাক্কা দিয়ে পার হয়ে যেতে যেতে দেখে নিল কেউ দেখলো কি না...নাহ্ রাস্তা ফাঁকা ।
ফাঁকা রাস্তা পার হয়ে খুব সহজেই ফিরে এলো বাসায়।
শাওয়ার সেরে ল্যাপটপটা নিয়ে বসলো । হোমপেজে তাকিয়ে আছে । একসময় স্ট্যাটাস দিল ...
"অনেক অপেক্ষার পর লাইসেন্সটা পেয়ে গেলাম শেষ পর্যন্ত..."
-------
গল্প :
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আহমাদ সাজিদ ২১/১০/২০১৩বাহ । ভাল লেখনী
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ২১/১০/২০১৩গল্প টি চমৎকার।লেখনী ক্ষমতা আপনার খুবই ভালো।ভাষায় রয়েছে দক্ষতা।মোটামুটি খুব ভালো হয়েছে।তবে গল্পের মূল চরিত্র একটি মেয়ে।আর একজন নারীর পক্ষে কখনোই খুব সহজে একজনকে ধাক্কা দেওয়া সহজতর নয়।এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।
-
suman ২১/১০/২০১৩Plot টি quite different... শুরুতে মনে হয়েছিলো serious direction এগিয়ে যাচ্ছে ... আরো একটু detail হোতে পারতো ...আরো লেখা চাই...
-
אולי כולנו טועים ২১/১০/২০১৩পরিচিত শহরের বর্ণনা - ভালো লাগলো।
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ২১/১০/২০১৩দারুণ লিখেছেন