হৃদয়ের রক্তক্ষরণ-মা
প্রায় ৩০০ কিলোমিটার জার্নি করে বড় আপার বাসায় যখন গেলাম ফর্সা কপালে চিতি পড়া বড় আপার হাস্যোজ্জ্বল মুখটা দেখে মনটা ভরে গেল । বুকের ভেতর দুরু দুরু করছিল মাকে দেখবো কেমন, কে জানে !
ঘরে ঢুকতেই দেখলাম আম্মা খাটের উপর বসে আছে । আমাকে দেখে হুঁ হুঁ করে কেঁদে ফেললেন । বেশ অনেক দিন পর মাতা-কন্যার সাক্ষাৎ । আমি এসব পরিস্থিতিতে চমৎকার সামলে উঠতে পারি । অথচ এই আমিই রাত জেগে, স্বামীর বুকে মুখ লুকিয়ে মায়ের জন্যে কেঁদে কতো রাত পার করে দিয়েছি !
সেই মায়ের সামনে হাসতে হাসতেই বললাম, "কি হলো ? আররে, ধুর ! কাদেঁন ক্যান ?!" বলতে বলতে সঙ্গে নেয়া মিষ্টি, আম আর লিচুগুলি আম্মার সামনে বাড়িয়ে দিলাম । আম্মা লিচু বেশ পছন্দ করেন । আর জ্বরের মধ্যে অফ সিজনে পেয়ারা !
সে আরেক মজার ব্যাপার ! জ্বরের মধ্যে আম্মা অফ সিজনের ফল খেতে চান । আর সে জন্যে আমাদের মধ্যে লিচুর জন্যে খোঁজ, দ্যা সার্চ পড়ে যায় !
সেবার জ্বরের মধ্যে আম্মার শরীফা ফল খেতে ইচ্ছে হলো ! আরতো পাওয়া যায় না সেই ফল ! অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া গেল শরীফা ফল ।
এতোদিন পরেও ঘটনা মনে হলে কেমন নস্টালজিক হয়ে যাই !
আম্মার ধারণা আমার হৃদয়রটা পাথরের, কারণ কোনদিন আম্মার সামনে নিজের দূর্বল চিত্তের অনুভুতিগুলো প্রকাশ করা হয় নি । কিন্তু আম্মাকে প্রতিনিয়ত কতোটা মিস করি তা কখনোই বলা হয় না আম্মাকে ।
আম্মা, কেমন করে বলি... প্রতি মুহুর্তে আপনার জন্যে আমার হৃদয়ের রক্তক্ষরণের কথা ?!
কখনোই বলা হবে না ! কখনোই বলা হবে না !
-----------
গল্প লেখার চেষ্টা
ঘরে ঢুকতেই দেখলাম আম্মা খাটের উপর বসে আছে । আমাকে দেখে হুঁ হুঁ করে কেঁদে ফেললেন । বেশ অনেক দিন পর মাতা-কন্যার সাক্ষাৎ । আমি এসব পরিস্থিতিতে চমৎকার সামলে উঠতে পারি । অথচ এই আমিই রাত জেগে, স্বামীর বুকে মুখ লুকিয়ে মায়ের জন্যে কেঁদে কতো রাত পার করে দিয়েছি !
সেই মায়ের সামনে হাসতে হাসতেই বললাম, "কি হলো ? আররে, ধুর ! কাদেঁন ক্যান ?!" বলতে বলতে সঙ্গে নেয়া মিষ্টি, আম আর লিচুগুলি আম্মার সামনে বাড়িয়ে দিলাম । আম্মা লিচু বেশ পছন্দ করেন । আর জ্বরের মধ্যে অফ সিজনে পেয়ারা !
সে আরেক মজার ব্যাপার ! জ্বরের মধ্যে আম্মা অফ সিজনের ফল খেতে চান । আর সে জন্যে আমাদের মধ্যে লিচুর জন্যে খোঁজ, দ্যা সার্চ পড়ে যায় !
সেবার জ্বরের মধ্যে আম্মার শরীফা ফল খেতে ইচ্ছে হলো ! আরতো পাওয়া যায় না সেই ফল ! অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া গেল শরীফা ফল ।
এতোদিন পরেও ঘটনা মনে হলে কেমন নস্টালজিক হয়ে যাই !
আম্মার ধারণা আমার হৃদয়রটা পাথরের, কারণ কোনদিন আম্মার সামনে নিজের দূর্বল চিত্তের অনুভুতিগুলো প্রকাশ করা হয় নি । কিন্তু আম্মাকে প্রতিনিয়ত কতোটা মিস করি তা কখনোই বলা হয় না আম্মাকে ।
আম্মা, কেমন করে বলি... প্রতি মুহুর্তে আপনার জন্যে আমার হৃদয়ের রক্তক্ষরণের কথা ?!
কখনোই বলা হবে না ! কখনোই বলা হবে না !
-----------
গল্প লেখার চেষ্টা
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ২০/১০/২০১৩খুব ভাল লাগল আরজু ভাই
-
সহিদুল হক ২০/১০/২০১৩ছোট্ট অথচ সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে গল্পটাতে।
আমরা অনেক কিছুই অন্তরে অনুভব করি কিন্তু মুখে প্রকাশ করা হয়ে ওঠেনা কখনই। এটা মানব-জীবনের একটা ট্র্যাজিডি! -
আহমাদ সাজিদ ২০/১০/২০১৩অতি সত্যকথা। চেষ্টা চালিয়ে যান।
-
প্রবাসী পাঠক ২০/১০/২০১৩আম্মা , কেমন করে বলি... প্রতি মুহূর্তে আপনার জন্য আমার হৃদয়ের রক্তক্ষরণের কথা?!
সত্যিই কখনই বলা হয়না। তবুও প্রতিটি মা নিশ্চয় বুঝতে পারে সন্তানের মনের কথা। -
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ২০/১০/২০১৩চমৎকার! অসাধারণ হয়েছে।খুবই সুন্দর একটি ভাবনা।যা প্রতি টি মানুষকে নষ্টালজিক করে।কেননা সব সন্তান ই তার প্রিয় মাকে ভালবাসে।কিন্তু খুব কম সন্তান ই তা প্রকাশ করে।আমরা সহজে কেউ বলিনা যে মা আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি।কিন্তু হৃদয়ে প্রতিনিয়ত মায়ের তরে যে রক্তক্ষরণ হয়, তা একমাত্র ঐ সন্তান ই জানে।আসলেই খুব হৃদয় ছুঁইয়ে গেল আপনার গল্পে।ধন্যবাদ খুবই সুন্দর লেখার জন্য।