নিলাদ্রীর প্রতি চিঠি ৩
প্রিয় নিলাদ্রী,
অনেকদিন তোমাকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লেখা হয়না। অনেকগুলো কথা জমেও আছে বটে। আমি তোমাকে কোন কথাই না বলে থাকতে পারিনা, বদহজম হয়তো। আচ্ছা কেমন আছো তুমি? মাস দুয়েক আগে স্বপ্নে দেখেছিলাম তুমি অনেক অসুস্থ, তোমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। খুব করে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিলো আমার। দুটোদিন ভিষণ রকম মন খারাপ ছিলো। আচ্ছা শরীরের প্রতি কি যত্ন নেয়া যায়না! তুমি এমন কেনো বলোতো? সারাটাজীবনই কি হেয়ালি করে কাটাবে। তোমার চোখের নিচের ওই কালোদাগগুলো কি এখনো আছে? কারও চোখের নিচে কালোদাগ দেখলে তাকে খুব অসহায় মনে হয়। ইচ্ছে হয় জিজ্ঞেস করতে রাতগুলো কিভাবে কাটে। তুমি যদিওবা রুপচর্চায় এতোটা আগ্রহী ছিলেনা কখনোই। এখনতো একটু আধটু করতে পারো। তোমার উনি অনেক পয়সাওয়ালা বটে। নামীদামী পার্লারে আসা যাওয়া থাকলে সমাজেও বেশ নামডাক থাকে।
আচ্ছা শুনলাম তুমি নাকি এখন অনেক বেশি খাদ্যের প্রতি নজর দিচ্ছো? সেটা অবশ্য তোমাকে দেখলেই বোঝা যায়। সেই পাতলা গড়নের তুমি এখন অনেক লুতুপুতু হয়ে গেছো। আচ্ছা ওজনটা কি ষাটের বেশি চলে গেলোনাতো! তুমিতো আমাকে বলেছিলে তুমি পুরোজীবনে কখনোই পঞ্চান্ন অতিক্রম করবা নাহ। আর শুনো তোমার ওই চিকেন এর প্রতি প্রেম কি এখনো আছে? একটু কি কমানো যায়না। আর কতো বলো! তোমার বয়স হয়েছে তো। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর চিকেন ফ্রাই খেয়ে খেয়ে তো তোমার টুইটুম্বুর অবস্থা। তুমিতো এতোটাই চিকেন পছন্দ করো আমার মনে হয় শুধু সেদ্ধ করে দিলেও কেজি তিনেক অনায়েসে চালান করে দিতে পারবে।
বেশি মাংস খাওয়া কিন্তু মোটেও ভালো নাহ। দেহে টক্সিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। লিভার, কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। সবচেয়ে বড় কথা ডায়াবেটিস হয়ে যাবেতো। আর একবার যদি ডায়াবেটিস হয় তাহলে তোমার সুখ চুলোয় যাবে। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে শরীরচর্চা করতে হবে। তাতে তোমার ঘুমেরও বারোটা বেজে যাবে। তারচেয়ে ভালো কিছুটা কন্ট্রোল করে নাও। স্বর্গে গেলে ওইখানে আমি তোমাকে রান্না করে খাওয়াবো।
ধর্মকর্ম ভালো করে করছো তো? তুমি অবশ্য আগে থেকেই এসব নিয়ে একটু আগ্রহী ছিলে। তার ফলাফল আমাতেও কিছুটা আশির্বাদ হয়ে এসেছিলো। আমি ওইসব নিয়ে অতটা মাথাঘামাতাম নাহ। কিন্তু তুমিই পিড়াপীড়ি করে আমাকে চব্বিশ ক্যারেটের ধার্মিক বানিয়ে দিয়েছিলে। তুমি রীতিমতো শাসন করেই প্রার্থনা করাতে। আমার কাছে ভালোই লাগতো অবশ্য। একপ্রকার প্রশান্তি পাওয়া যেতো। প্রেরণা পাওয়া যেতো। এখন তুমিও নেই পীড়াপীড়ি করারও কেউ নেই। তাই ওইসব থেকে কিছুটা দূরে সরে গেছি। তবে, মাঝে মাঝে তোমার কথা মনে উদিত হইলে আবার প্রশান্তির জন্য সিজদায় পড়ি। যাক ওইসব বলে এখন আর কি লাভ বলো! আমি হয়তো নরকেই যাবো। তুমিতো স্বর্গে যাবে। ভালোভাবে ধর্মকর্ম করো যাতে করে আমাকেও তোমার সাথে নিয়ে যেতে পারো। আমার মতো একটা নিরীহ প্রাণী জাহান্নামে জ্বলে যাবে তা দেখে কি তোমার সহ্য হবে বলো!?
আর শুনো,ওইখানেও কিন্তু ফিরিয়ে দিওনা। ওইখানটায় অন্তত মুখ ফিরিয়ে নিওনা। তোমার সেবাযত্ন করার জন্য হলেও আশেপাশে রেখে দিও।
তোমার দিনগুলো এখন কিভাবে কাটে খুব জানতে ইচ্ছে করে। বিষণ্ণতায় ডুব দিচ্ছোনাতো। জানো, এই একটা বড় সমস্যা ডিপ্রেশন। ধীরে ধীরে খোলসা করে দেয় মানুষকে, লক্ষহীন করে দেয়। সময় কাটানোর জন্য কি করো তুমি? গান শুনো,বই পড়ো,নাকি ঘুমিয়েই কাটিয়ে দাও। আমি খুব চিন্তায় থাকি তোমাকে নিয়ে। এই ডিপ্রেশন নামক জিনিসটা যেনো কখনোই তোমাকে ছুঁতে না পারে। যে কোন কিছু একটা নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করবা। আর বেশি খারাপ লাগলে তোমার উনিতো আছেই😊😍। উনার সাথে ভাগ করে নিবে সময়। দেখবে একদম কেটে যাবে। টেরই পাবেনা। আচ্ছা ভালো কথা, তোমার হানিমুনের কয়েকটা ছবি আমি দেখেছি। খুব সুন্দর আর প্রাণবন্ত দেখাচ্ছে তোমাকে সদ্যফোটা ফুলের মতই। কতগুলো দিন হয়ে গেলো মন্ত্র পড়েছিলে, প্রায় সাড়ে পাঁঁচবছর। মাঝে মাঝে ট্যুরে যেতে পারো তাতে মন ভালো থাকে।
তোমার বয়স তো কম হয়নি। এখন তো তুমি কচিখুকী নও। রীতিমত বুড়ীই বটে। অসুখ বাঁধিয়ে কি চুপচাপ বসে থাকো আগের মতোই। তুমি তো আগের সেই সহজ সরল গ্রাম্য বালিকা নও। তুমি এখন দাপিয়ে বেড়াও পুরো শহর। তোমার সাথে কি ওইসব ইনিয়েবিনিয়ে চলা ম্যাচিং হয়!। শরীর খারাপ হওয়া মাত্রই অবশ্যই ডাক্তার দেখাবে। আমিতো নেই, থাকলেতো চড়,থাপ্পড় দিয়ে হলেও চুলের মুঠি ধরে নিয়ে যেতাম। আচ্ছা তুমি নাকি এখন নিয়মিত চশমা ব্যবহার করছো! চোখের এই সমস্যাটা জোগাড় হলো কবে থেকে।? চশমা পরা তোমাকে কেমন দেখায় খুব দেখতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে। আর শুনো, চোখের ডাক্তার দেখিও একটা। বলা তো যায়না সমস্যাটা বেড়েও যেতে পারে তাই নিয়মিত চেকআপ করানোটাই ভালো।
আর কি লিখবো মাথায় আসছেনা। মনে করে টুকে রাখবো। হঠাৎ করে আবার চিঠি লিখতে বসে যাবো। জানো, এই কয়েকদিন তোমাকে বারবার বারবার স্বপ্নে দেখছি। জানিনা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কারণ কি! মনটা দো-টানায় পড়ে আছে। মনে হচ্ছে তুমি খুবই অসুস্থ। 😒😞
সবকিছু জয় করে তোমাকে সুখে থাকতে হবে
সবকিছু জয় করে
অনেকদিন তোমাকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লেখা হয়না। অনেকগুলো কথা জমেও আছে বটে। আমি তোমাকে কোন কথাই না বলে থাকতে পারিনা, বদহজম হয়তো। আচ্ছা কেমন আছো তুমি? মাস দুয়েক আগে স্বপ্নে দেখেছিলাম তুমি অনেক অসুস্থ, তোমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। খুব করে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিলো আমার। দুটোদিন ভিষণ রকম মন খারাপ ছিলো। আচ্ছা শরীরের প্রতি কি যত্ন নেয়া যায়না! তুমি এমন কেনো বলোতো? সারাটাজীবনই কি হেয়ালি করে কাটাবে। তোমার চোখের নিচের ওই কালোদাগগুলো কি এখনো আছে? কারও চোখের নিচে কালোদাগ দেখলে তাকে খুব অসহায় মনে হয়। ইচ্ছে হয় জিজ্ঞেস করতে রাতগুলো কিভাবে কাটে। তুমি যদিওবা রুপচর্চায় এতোটা আগ্রহী ছিলেনা কখনোই। এখনতো একটু আধটু করতে পারো। তোমার উনি অনেক পয়সাওয়ালা বটে। নামীদামী পার্লারে আসা যাওয়া থাকলে সমাজেও বেশ নামডাক থাকে।
আচ্ছা শুনলাম তুমি নাকি এখন অনেক বেশি খাদ্যের প্রতি নজর দিচ্ছো? সেটা অবশ্য তোমাকে দেখলেই বোঝা যায়। সেই পাতলা গড়নের তুমি এখন অনেক লুতুপুতু হয়ে গেছো। আচ্ছা ওজনটা কি ষাটের বেশি চলে গেলোনাতো! তুমিতো আমাকে বলেছিলে তুমি পুরোজীবনে কখনোই পঞ্চান্ন অতিক্রম করবা নাহ। আর শুনো তোমার ওই চিকেন এর প্রতি প্রেম কি এখনো আছে? একটু কি কমানো যায়না। আর কতো বলো! তোমার বয়স হয়েছে তো। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর চিকেন ফ্রাই খেয়ে খেয়ে তো তোমার টুইটুম্বুর অবস্থা। তুমিতো এতোটাই চিকেন পছন্দ করো আমার মনে হয় শুধু সেদ্ধ করে দিলেও কেজি তিনেক অনায়েসে চালান করে দিতে পারবে।
বেশি মাংস খাওয়া কিন্তু মোটেও ভালো নাহ। দেহে টক্সিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। লিভার, কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। সবচেয়ে বড় কথা ডায়াবেটিস হয়ে যাবেতো। আর একবার যদি ডায়াবেটিস হয় তাহলে তোমার সুখ চুলোয় যাবে। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে শরীরচর্চা করতে হবে। তাতে তোমার ঘুমেরও বারোটা বেজে যাবে। তারচেয়ে ভালো কিছুটা কন্ট্রোল করে নাও। স্বর্গে গেলে ওইখানে আমি তোমাকে রান্না করে খাওয়াবো।
ধর্মকর্ম ভালো করে করছো তো? তুমি অবশ্য আগে থেকেই এসব নিয়ে একটু আগ্রহী ছিলে। তার ফলাফল আমাতেও কিছুটা আশির্বাদ হয়ে এসেছিলো। আমি ওইসব নিয়ে অতটা মাথাঘামাতাম নাহ। কিন্তু তুমিই পিড়াপীড়ি করে আমাকে চব্বিশ ক্যারেটের ধার্মিক বানিয়ে দিয়েছিলে। তুমি রীতিমতো শাসন করেই প্রার্থনা করাতে। আমার কাছে ভালোই লাগতো অবশ্য। একপ্রকার প্রশান্তি পাওয়া যেতো। প্রেরণা পাওয়া যেতো। এখন তুমিও নেই পীড়াপীড়ি করারও কেউ নেই। তাই ওইসব থেকে কিছুটা দূরে সরে গেছি। তবে, মাঝে মাঝে তোমার কথা মনে উদিত হইলে আবার প্রশান্তির জন্য সিজদায় পড়ি। যাক ওইসব বলে এখন আর কি লাভ বলো! আমি হয়তো নরকেই যাবো। তুমিতো স্বর্গে যাবে। ভালোভাবে ধর্মকর্ম করো যাতে করে আমাকেও তোমার সাথে নিয়ে যেতে পারো। আমার মতো একটা নিরীহ প্রাণী জাহান্নামে জ্বলে যাবে তা দেখে কি তোমার সহ্য হবে বলো!?
আর শুনো,ওইখানেও কিন্তু ফিরিয়ে দিওনা। ওইখানটায় অন্তত মুখ ফিরিয়ে নিওনা। তোমার সেবাযত্ন করার জন্য হলেও আশেপাশে রেখে দিও।
তোমার দিনগুলো এখন কিভাবে কাটে খুব জানতে ইচ্ছে করে। বিষণ্ণতায় ডুব দিচ্ছোনাতো। জানো, এই একটা বড় সমস্যা ডিপ্রেশন। ধীরে ধীরে খোলসা করে দেয় মানুষকে, লক্ষহীন করে দেয়। সময় কাটানোর জন্য কি করো তুমি? গান শুনো,বই পড়ো,নাকি ঘুমিয়েই কাটিয়ে দাও। আমি খুব চিন্তায় থাকি তোমাকে নিয়ে। এই ডিপ্রেশন নামক জিনিসটা যেনো কখনোই তোমাকে ছুঁতে না পারে। যে কোন কিছু একটা নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করবা। আর বেশি খারাপ লাগলে তোমার উনিতো আছেই😊😍। উনার সাথে ভাগ করে নিবে সময়। দেখবে একদম কেটে যাবে। টেরই পাবেনা। আচ্ছা ভালো কথা, তোমার হানিমুনের কয়েকটা ছবি আমি দেখেছি। খুব সুন্দর আর প্রাণবন্ত দেখাচ্ছে তোমাকে সদ্যফোটা ফুলের মতই। কতগুলো দিন হয়ে গেলো মন্ত্র পড়েছিলে, প্রায় সাড়ে পাঁঁচবছর। মাঝে মাঝে ট্যুরে যেতে পারো তাতে মন ভালো থাকে।
তোমার বয়স তো কম হয়নি। এখন তো তুমি কচিখুকী নও। রীতিমত বুড়ীই বটে। অসুখ বাঁধিয়ে কি চুপচাপ বসে থাকো আগের মতোই। তুমি তো আগের সেই সহজ সরল গ্রাম্য বালিকা নও। তুমি এখন দাপিয়ে বেড়াও পুরো শহর। তোমার সাথে কি ওইসব ইনিয়েবিনিয়ে চলা ম্যাচিং হয়!। শরীর খারাপ হওয়া মাত্রই অবশ্যই ডাক্তার দেখাবে। আমিতো নেই, থাকলেতো চড়,থাপ্পড় দিয়ে হলেও চুলের মুঠি ধরে নিয়ে যেতাম। আচ্ছা তুমি নাকি এখন নিয়মিত চশমা ব্যবহার করছো! চোখের এই সমস্যাটা জোগাড় হলো কবে থেকে।? চশমা পরা তোমাকে কেমন দেখায় খুব দেখতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে। আর শুনো, চোখের ডাক্তার দেখিও একটা। বলা তো যায়না সমস্যাটা বেড়েও যেতে পারে তাই নিয়মিত চেকআপ করানোটাই ভালো।
আর কি লিখবো মাথায় আসছেনা। মনে করে টুকে রাখবো। হঠাৎ করে আবার চিঠি লিখতে বসে যাবো। জানো, এই কয়েকদিন তোমাকে বারবার বারবার স্বপ্নে দেখছি। জানিনা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কারণ কি! মনটা দো-টানায় পড়ে আছে। মনে হচ্ছে তুমি খুবই অসুস্থ। 😒😞
সবকিছু জয় করে তোমাকে সুখে থাকতে হবে
সবকিছু জয় করে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৮/১০/২০১৭অসম্ভব উচ্ছ্বাস!
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৮/১০/২০১৭সুন্দর ভাবনা!
-
আজাদ আলী ১৮/১০/২০১৭Nice letter. Deepawali Suveccha priy kobi
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ১৮/১০/২০১৭বেশ চিঠি !
একেবারে খারাপ হয়নি ।
ভাল লাগলো চিঠিটি পড়ে ।
আরো গোছানো হলে ভাল হতো ।