এইচ সি এস
ড. এইচ.কে ল্যাবে ঢুকতেই দেখতে পেলেন যে ল্যাব-সিক্স এর পরিচালক সাব্বির আহম্মেদ ড. মজিবুর রহমানের
এর সাথে কথা বলছে । পরিচালকের
মুখের ভাব দেখে মনে হলো খারাপ কিছু ঘটে গেছে ।
ভারী কাঁচের আবরনের ঠিক
ভেতরেই রয়েছে জিনিসটা । ঠিক মতো কিছুই বোঝা যাচ্ছে না ।
জিনিসটা কি? জিজ্ঞাসা করলেন ড. এইচ.কে ।
এটা এইচ.সি.এস ভাইরাস । লেন্টিভাইরাস (Lentivirus) গোত্রের অন্তর্গত
এবং এই ভাইরাসের ধরনটা এইডস
(AIDS) রোগের কারণ যে ভাইরাস অনেকটা সেটার মতো । এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় না, এটি সেটিকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয় ।
এই ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর এই অবস্থায় পৌছতে বেশি লাগে না । এটি এক পর্যায়ে মস্তিষ্কের নিউরনের মাঝে নিজের তথ্য প্রবেশ করিয়ে দেয় । এর ফলে শরীরে এই ভাইরাস একবার সংক্রমিত হলে তা কমানো সম্ভব হলেও সম্পূর্ণ দূর করে এখনো সম্ভব নয় তাই
শেষপর্ষন্ত আক্রান্ত ব্যক্তি ঐ ভাইরাসের হোস্টে পরিনত হয় ।
এইচ.সি.এস ভাইরাসটি প্রধানত মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রধান কোষগুলো যেমন সাহায্যকারী টি কোষ (helper T cells) (বিশেষ করে সিডি৪+ CD4+ টি কোষ সমূহ),
ম্যাক্রোফেজ এবং ডেনড্রাইটিক
কোষগুলোকে নিয়ন্ত্রন করে আমাদের ন্যানো রোবটগুলোকে আক্রমন করে শেষ করে দেয়, তাই আমাদের এটিকে নিয়ন্ত্রনের কোন প্রচেষ্টাই সফল হচ্ছে না ।
মনে হচ্ছে এইচ,সি,এস লেভেল টেন মাত্রার বুদ্ধির অধিকারী ।
হালকা শব্দ করে কামরায় প্রবেশ করলাম আমি । পুরু কাঁচের স্তরের ভেতরে থাকা এইচ,সি,এস এর উপর থেকে চোখ না সরিয়েই আমি কথা বলতে আরম্ভ করে দিলাম,
'পাঁচ সেকেন্ড দেরী হয়েছে।'
'হে হে । আগে আসলে কি মনে হয়
তুমি এইটার কোন সমাধান করতে পারবে ? এই ভাইরাসটা আমাদের থেকে দুই মাত্রার বেশি বুদ্ধিমান ।'
'আমি কাউকে কোন সমাধান না দিতে না পারলেও এত সহজে হার মানবো কেন ? হোয়াই ?' চোখ সুরু
করে তাকিয়ে আবারো ভাইরাসটাকে একবার দেখে নিলাম । পুরু সুরক্ষা ব্যবস্থা, সেখানে এখন ঢোকা সম্ভব নয় ।
'তুমি এই ব্যাপারে এত আত্ম বিশ্বাস আছ ? তাড়াতাড়ি বললো ড. এইচ.কে ।
আমাকে আজ রাতে একটা স্টেপ নিতে হবে, হাতেপর্যাপ্ত সময় নেই ।'
'তোমার কাজের সাহায্যের জন্য একটি দল লাগবে ।' বললেন ড.এইচ.কে ।
ওনার দিকে ফিরে হালকা ভাবে একটা নিঃশ্বাস ফেললাম । 'এই দিকে একটু শুনে যান ।'
কাছাকাছি ঝুকে এলেন তিনি । 'ঘটনা কী ? সাঙঘাতিক কিছু?'
'আমি আগামী পাঁচ ঘন্টার মাঝেই কাজ শুরু করে দিতে চাই ।'
'সেকি। কিছু প্রস্তুতি না নিয়েই ?
সময় নষ্ট না করে এই মূহুর্তেই কাজে যোগ দেয়া উচিত্ ।'
'কী করবে শুনি বাপু ।
'ইয়ে মানে... আমি এখনই তা বোঝাতে পারব না ।
আপনি জানেন কি পৃথিবীর অনেক বিপদ । মানুষের বিপদ । বাতাসের স্পশে আসতেই মহামারীর চাইতেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে এই ভাইরাস ।'
ড.এইচ.খান শরীরে ভেতর দিয়ে একটা শীতল স্রোত অনুভব করলেন । তার পৃথিবী । তার জন্মস্থান !
এর সাথে কথা বলছে । পরিচালকের
মুখের ভাব দেখে মনে হলো খারাপ কিছু ঘটে গেছে ।
ভারী কাঁচের আবরনের ঠিক
ভেতরেই রয়েছে জিনিসটা । ঠিক মতো কিছুই বোঝা যাচ্ছে না ।
জিনিসটা কি? জিজ্ঞাসা করলেন ড. এইচ.কে ।
এটা এইচ.সি.এস ভাইরাস । লেন্টিভাইরাস (Lentivirus) গোত্রের অন্তর্গত
এবং এই ভাইরাসের ধরনটা এইডস
(AIDS) রোগের কারণ যে ভাইরাস অনেকটা সেটার মতো । এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় না, এটি সেটিকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয় ।
এই ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর এই অবস্থায় পৌছতে বেশি লাগে না । এটি এক পর্যায়ে মস্তিষ্কের নিউরনের মাঝে নিজের তথ্য প্রবেশ করিয়ে দেয় । এর ফলে শরীরে এই ভাইরাস একবার সংক্রমিত হলে তা কমানো সম্ভব হলেও সম্পূর্ণ দূর করে এখনো সম্ভব নয় তাই
শেষপর্ষন্ত আক্রান্ত ব্যক্তি ঐ ভাইরাসের হোস্টে পরিনত হয় ।
এইচ.সি.এস ভাইরাসটি প্রধানত মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রধান কোষগুলো যেমন সাহায্যকারী টি কোষ (helper T cells) (বিশেষ করে সিডি৪+ CD4+ টি কোষ সমূহ),
ম্যাক্রোফেজ এবং ডেনড্রাইটিক
কোষগুলোকে নিয়ন্ত্রন করে আমাদের ন্যানো রোবটগুলোকে আক্রমন করে শেষ করে দেয়, তাই আমাদের এটিকে নিয়ন্ত্রনের কোন প্রচেষ্টাই সফল হচ্ছে না ।
মনে হচ্ছে এইচ,সি,এস লেভেল টেন মাত্রার বুদ্ধির অধিকারী ।
হালকা শব্দ করে কামরায় প্রবেশ করলাম আমি । পুরু কাঁচের স্তরের ভেতরে থাকা এইচ,সি,এস এর উপর থেকে চোখ না সরিয়েই আমি কথা বলতে আরম্ভ করে দিলাম,
'পাঁচ সেকেন্ড দেরী হয়েছে।'
'হে হে । আগে আসলে কি মনে হয়
তুমি এইটার কোন সমাধান করতে পারবে ? এই ভাইরাসটা আমাদের থেকে দুই মাত্রার বেশি বুদ্ধিমান ।'
'আমি কাউকে কোন সমাধান না দিতে না পারলেও এত সহজে হার মানবো কেন ? হোয়াই ?' চোখ সুরু
করে তাকিয়ে আবারো ভাইরাসটাকে একবার দেখে নিলাম । পুরু সুরক্ষা ব্যবস্থা, সেখানে এখন ঢোকা সম্ভব নয় ।
'তুমি এই ব্যাপারে এত আত্ম বিশ্বাস আছ ? তাড়াতাড়ি বললো ড. এইচ.কে ।
আমাকে আজ রাতে একটা স্টেপ নিতে হবে, হাতেপর্যাপ্ত সময় নেই ।'
'তোমার কাজের সাহায্যের জন্য একটি দল লাগবে ।' বললেন ড.এইচ.কে ।
ওনার দিকে ফিরে হালকা ভাবে একটা নিঃশ্বাস ফেললাম । 'এই দিকে একটু শুনে যান ।'
কাছাকাছি ঝুকে এলেন তিনি । 'ঘটনা কী ? সাঙঘাতিক কিছু?'
'আমি আগামী পাঁচ ঘন্টার মাঝেই কাজ শুরু করে দিতে চাই ।'
'সেকি। কিছু প্রস্তুতি না নিয়েই ?
সময় নষ্ট না করে এই মূহুর্তেই কাজে যোগ দেয়া উচিত্ ।'
'কী করবে শুনি বাপু ।
'ইয়ে মানে... আমি এখনই তা বোঝাতে পারব না ।
আপনি জানেন কি পৃথিবীর অনেক বিপদ । মানুষের বিপদ । বাতাসের স্পশে আসতেই মহামারীর চাইতেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে এই ভাইরাস ।'
ড.এইচ.খান শরীরে ভেতর দিয়ে একটা শীতল স্রোত অনুভব করলেন । তার পৃথিবী । তার জন্মস্থান !
মন্তব্যসমূহ
-
অনিক সেনগুপ্ত ২৫/০৭/২০১৪আমার আর এখানে লিখতে ইচ্ছা করছে না । ভালো থাকবেন । বিদায় ।
-
ফাহিম মাহমুদ ২৫/০৭/২০১৪বেশ ভালো লাগলো
-
কবি মোঃ ইকবাল ২৩/০৭/২০১৪বেশ ভালো লাগলো গল্পটি।