ধোঁয়াশা আর কুয়াশা ঘেরা বন পাহারের দেশে
‘এখানে মেঘ পাহাড়কে দেয় চুমো, পাহাড়ি ঝরনার-নূপুর বাজে রুমো-ঝুমো, এসো বন্ধু দেখে যাও সেই স্বর্গ তুমি, এখানে আকাশ ছুঁয়েছে পাহাড়, পাহাড় ছুঁয়েছে ভূমি।’ —স্মোকি মাউন্টেন। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা, টেনিসি এবং ক্যান্টাকি তিন অঙ্গরাজ্যের মিলনস্থল। যেখানে শীত বা গ্রীষ্ম যেকোনো সময়েই ধোঁয়াশা আর কুয়াশায় জড়িয়ে থাকে। ধোঁয়াশা ভরা সকাল পেরিয়ে ভাঙা নরম রোদের ফালি স্মোকি মাউন্টেন খুবই উপভোগ্য। অদ্ভুত কুয়াশাই এই পাহাড়ের বিশেষত্ব। নামকরণের কারণও তাই।
অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল, স্বাদ নেব সবুজে ঘেরা এ পাহাড়ের। চার দিনের ছুটি আমার সেই স্বপ্নকে সত্যি করল। সফর সঙ্গী হিসাবে পাওয়া গেল বাংলাদেশ থেকে ঘুরতে আসা এক পরিবারসহ আরও তিনটি পরিবার। দুই রাত তিন দিনের জন্য ভাড়া করলাম চার বেডরুমের তিনতলা কটেজ।
ঝকঝকে মিষ্টি রোদের সকালে উজ্জ্বল দা ও গোপি বউদিসহ রওনা দিলাম সবুজে ঘেরা পাহাড়ের পানে। রেদোয়ান ও ফারিয়া তাদের দেশ থেকে আসা খালা খালুকে নিয়ে অন্য গাড়িতে। মিশিগান পেরিয়ে ওহাইও রাজ্যের এক কফি শপে দুই গাড়ি একত্র হলাম। সবাই মিলে সংক্ষিপ্ত সভা। কোথায় খাব দুপুরের খাবার।
ভর দুপুরে ছয় ঘণ্টা গাড়ি চালানোর পর কেনটাকি রাজ্যের এক শহরে থেমে সেরে নিলাম দুপুরের খাবার। আবারও যাত্রা শুরু। বাকি আরও পাহাড়ি আড়াই ঘণ্টা পথ। ক্যান্টাকি অঙ্গরাজ্য পেরিয়ে যখন টেনেসি অঙ্গরাজ্যের সীমানায়, ওয়েলকাম সেন্টারে পৌঁছাতেই ঝুম বৃষ্টি। একটানা দ্রিমি-দ্রিমি-দ্রাম-দ্রামের প্রতিধ্বনির শব্দ। আকাশে কৃষ্ণকলি মেঘের মিছিলের ফাঁক দিয়ে এক অসাধারণ আলোকচক্র। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো আকাশ জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ চমকিয়ে পাহার গুলো ভিজেছে চিড়ে ভেজার মতো।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় আমার মতো আরও অনেকেই এসেছেন। আমাদের কটেজটি ছিল পাহাড়ের টিলার ওপর। সারা দিনের হাজার মাইল পথ, পাহাড় পর্বত পেরিয়ে যখন পৌঁছালাম তখন সন্ধ্যা পেরিয়ে রাতের শুরু। ক্ষুধায় পেট চোঁ চোঁ করছে। দুপুরের রেস্টুরেন্টের খাবারে পেট ভরলেও মন ভরেনি। খেতে হবে বাংলা খাবার। পথে কেনা হয়েছিল আলু, পেঁয়াজ, ডিম আর বাসমতি চাল। রাতের গরম ভাত, আলুভর্তা, ডাল আর ডিম ভাজির অসাধারণ স্বাদ। পেটে ক্ষুধা থাকলে ঝাল লবণ যে কোনো ব্যাপার না তা আবার প্রমাণ করলাম।
পেট পুরে খেয়ে সকলে বারান্দায় চেয়ারে গা এলিয়ে গল্পে মশগুল। ততক্ষণে আকাশের সীমান্তে মেঘের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে একফালি চাঁদের আলো। আমরা চায়ের কাপ হাতে ক্লান্ত শরীরে খোশ গল্প। উফ, মন ছুঁয়ে গেল।
আমাদের আরেক সহযাত্রী নব দম্পতি রেদোয়ান-ফারিয়া যুগল সব বাচ্চাদের নিয়ে নিচ তলায় নেমে মেতেছে খেলায়। ফুসবল (অনেকটা ফুটবলের মত বোর্ড গেম) ও বিলিয়ার্ড খেলায় মত্ত একদল, যেন ভুলে গেছে দশ ঘণ্টার জার্নি।
স্মোকি মাউন্টেনে শীত বা গ্রীষ্ম যেকোনো সময়েই কুয়াশায় জড়িয়ে থাকে। ধোঁয়াশা ভরা সকাল পেরিয়ে ভাঙা নরম রোদের ফালি স্মোকি মাউন্টেনের পাহাড়ি পথের মাটি স্পর্শ করেছে।
সকালে নাশতা সেরে দুই গাড়িতে বেরিয়ে পড়লাম সকলে। গেটলিনবাগ শহরের রাস্তা পেরিয়ে ঢুকে পরলাম স্মোকি মাউন্টেনের পাহাড়ি পথে। পথের ধারে আকাশের ঠিকানায় পাহাড়ের ঢেউ। পথের প্রতিটি মোড়ই যেন এক মায়াময় ছবির পোস্টকার্ড! বন পাহাড়, তিরতিরে নদীর বহতা আর ফিনফিনে ঝরনার ঝরে পড়া। ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখির দল সাঁতার কাটে অবলীলায়।
প্রকৃতির মাঝে এক অনবদ্য আয়োজন। ভিজে জমিনে সবুজের আভাস। দুই পাহাড়ের মাঝে রাজার প্রান্তসীমা। না, এখন পলাশের নামগন্ধ নেই, শুধুই সবুজের বাহার। নতুন পাতার সৌরভে আরও নানা বৃক্ষের সমাবেশ। সেই জঙ্গল পেরিয়ে পাথরের মাঝে ছলাৎ ছলাৎ বয়ে আসছে পাগলপারা শীতল জলের ধারা। ধূসর আকাশের বধূ সাজে রাঙানো আকাশকে সঙ্গী করে কাকভোরে পাহাড় দাঁড়ায়। মেঘ ভাঙা রোদে, আদুরে দুপুরে প্রকৃতি উদার-উদাস। সঙ্গে এদিক-ওদিক ছড়িয়ে আছে ঢাউস ঢাউস পাথর। শনশনে ভেজা বাতাসে, সবুজ পাতার আন্দোলন।
পাহাড়ের বাঁকা পথে পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম স্মোকি মাউন্টেনের সর্বোচ্চ পয়েন্ট ক্লিংম্যানস ডোম। ৬৬৪৩ ফুট উঁচু চূড়ায়। গাড়ি ক্লিন্সম্যানস ডোমের কাছে পার্ক করতে হয়েছে। তারপর মাইলের মতো হাটতে হয়েছে। এত খাঁড়া পাহাড়-সকলে প্রায় হাজার ফুট না পেরোতেই বিশ্রাম নিচ্ছেন। বিশ্রামের জন্য কংক্রিটের বেঞ্চ রয়েছে। খাড়া পথ মাড়িয়ে সেই প্রতীক্ষিত সর্বোচ্চ পয়েন্টের অবজারভেশন টাওয়ারে। এখান থেকে ১০০ মাইল পর্যন্ত দেখা যায়। ৩৬০ ডিগ্রিতে প্রায় ৭টি অঙ্গরাজ্য দেখা যায় বলে জনশ্রুত আছে। মেঘের দলকে ওপর থেকে দেখার এ এক অনন্য অনুভূতি। যেন ভুলিয়ে দিয়েছে মাইল পথের খাঁড়া পথের ক্লান্তি।
বেলার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খিদে। ফিরে এলাম গেটলিনবাগ শহরে। আমেরিকান রেস্টুরেন্টে খাবার পর্ব সেরে নিলাম। শহরে পর্যটকদের জন্য সব দোকানপাট। দু’একটা দোকান ঘুরে দেখলাম। একটা গিফট শপে দুকে ঘোরাঘুরি করছি-বাইরে তখন আকাশ ভেঙে বৃষ্টি। স্থানীয় দোকানিরা জানালেন এখানের আবহাওয়ার অবস্থাও এমনি। এই রোদ এই ঝুম বৃষ্টি।
অসাধারণ নিসর্গের আভা। শ্রাবণের ধারায় লেকের জল টইটম্বুর, পাহাড়ের কোলে সবুজেরা আরও সবুজ। এ পথের উপচে পড়া সৌন্দর্য অনেকটা এ রকম। বৃষ্টি থামতে ফিরে এলাম আমাদের পাহাড়ি কটেজে। সারা সন্ধ্যা আমরা রান্না-আড্ডা জমেছিলাম আমরা। আমাদের সহযাত্রীদের এক পরিবার এসেছিলেন বাংলাদেশ থেকে বেড়াতে। তাঁদের কাছ থেকে বাংলাদেশের গল্প শুনছিলাম। গল্পে গল্পে মধ্যরাত তবুও যেন গল্প শেষ হয়নি।
সকালে ধীরে স্থিরে উঠে কটেজ পরিষ্কার করে, লাগেজ ব্যাগেজ সবকিছু গাড়িতে তুলে প্রস্তুত। চারপাশে অপরূপ সৌন্দর্যের ছবি তুলে গাড়ি ছাড়লাম ক্যান্টাকি অঙ্গরাজ্যের পথে। নিয়ে এলাম বিস্ময়ে ভরা সব পাহাড়ি স্মৃতি।
অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল, স্বাদ নেব সবুজে ঘেরা এ পাহাড়ের। চার দিনের ছুটি আমার সেই স্বপ্নকে সত্যি করল। সফর সঙ্গী হিসাবে পাওয়া গেল বাংলাদেশ থেকে ঘুরতে আসা এক পরিবারসহ আরও তিনটি পরিবার। দুই রাত তিন দিনের জন্য ভাড়া করলাম চার বেডরুমের তিনতলা কটেজ।
ঝকঝকে মিষ্টি রোদের সকালে উজ্জ্বল দা ও গোপি বউদিসহ রওনা দিলাম সবুজে ঘেরা পাহাড়ের পানে। রেদোয়ান ও ফারিয়া তাদের দেশ থেকে আসা খালা খালুকে নিয়ে অন্য গাড়িতে। মিশিগান পেরিয়ে ওহাইও রাজ্যের এক কফি শপে দুই গাড়ি একত্র হলাম। সবাই মিলে সংক্ষিপ্ত সভা। কোথায় খাব দুপুরের খাবার।
ভর দুপুরে ছয় ঘণ্টা গাড়ি চালানোর পর কেনটাকি রাজ্যের এক শহরে থেমে সেরে নিলাম দুপুরের খাবার। আবারও যাত্রা শুরু। বাকি আরও পাহাড়ি আড়াই ঘণ্টা পথ। ক্যান্টাকি অঙ্গরাজ্য পেরিয়ে যখন টেনেসি অঙ্গরাজ্যের সীমানায়, ওয়েলকাম সেন্টারে পৌঁছাতেই ঝুম বৃষ্টি। একটানা দ্রিমি-দ্রিমি-দ্রাম-দ্রামের প্রতিধ্বনির শব্দ। আকাশে কৃষ্ণকলি মেঘের মিছিলের ফাঁক দিয়ে এক অসাধারণ আলোকচক্র। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো আকাশ জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ চমকিয়ে পাহার গুলো ভিজেছে চিড়ে ভেজার মতো।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় আমার মতো আরও অনেকেই এসেছেন। আমাদের কটেজটি ছিল পাহাড়ের টিলার ওপর। সারা দিনের হাজার মাইল পথ, পাহাড় পর্বত পেরিয়ে যখন পৌঁছালাম তখন সন্ধ্যা পেরিয়ে রাতের শুরু। ক্ষুধায় পেট চোঁ চোঁ করছে। দুপুরের রেস্টুরেন্টের খাবারে পেট ভরলেও মন ভরেনি। খেতে হবে বাংলা খাবার। পথে কেনা হয়েছিল আলু, পেঁয়াজ, ডিম আর বাসমতি চাল। রাতের গরম ভাত, আলুভর্তা, ডাল আর ডিম ভাজির অসাধারণ স্বাদ। পেটে ক্ষুধা থাকলে ঝাল লবণ যে কোনো ব্যাপার না তা আবার প্রমাণ করলাম।
পেট পুরে খেয়ে সকলে বারান্দায় চেয়ারে গা এলিয়ে গল্পে মশগুল। ততক্ষণে আকাশের সীমান্তে মেঘের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে একফালি চাঁদের আলো। আমরা চায়ের কাপ হাতে ক্লান্ত শরীরে খোশ গল্প। উফ, মন ছুঁয়ে গেল।
আমাদের আরেক সহযাত্রী নব দম্পতি রেদোয়ান-ফারিয়া যুগল সব বাচ্চাদের নিয়ে নিচ তলায় নেমে মেতেছে খেলায়। ফুসবল (অনেকটা ফুটবলের মত বোর্ড গেম) ও বিলিয়ার্ড খেলায় মত্ত একদল, যেন ভুলে গেছে দশ ঘণ্টার জার্নি।
স্মোকি মাউন্টেনে শীত বা গ্রীষ্ম যেকোনো সময়েই কুয়াশায় জড়িয়ে থাকে। ধোঁয়াশা ভরা সকাল পেরিয়ে ভাঙা নরম রোদের ফালি স্মোকি মাউন্টেনের পাহাড়ি পথের মাটি স্পর্শ করেছে।
সকালে নাশতা সেরে দুই গাড়িতে বেরিয়ে পড়লাম সকলে। গেটলিনবাগ শহরের রাস্তা পেরিয়ে ঢুকে পরলাম স্মোকি মাউন্টেনের পাহাড়ি পথে। পথের ধারে আকাশের ঠিকানায় পাহাড়ের ঢেউ। পথের প্রতিটি মোড়ই যেন এক মায়াময় ছবির পোস্টকার্ড! বন পাহাড়, তিরতিরে নদীর বহতা আর ফিনফিনে ঝরনার ঝরে পড়া। ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখির দল সাঁতার কাটে অবলীলায়।
প্রকৃতির মাঝে এক অনবদ্য আয়োজন। ভিজে জমিনে সবুজের আভাস। দুই পাহাড়ের মাঝে রাজার প্রান্তসীমা। না, এখন পলাশের নামগন্ধ নেই, শুধুই সবুজের বাহার। নতুন পাতার সৌরভে আরও নানা বৃক্ষের সমাবেশ। সেই জঙ্গল পেরিয়ে পাথরের মাঝে ছলাৎ ছলাৎ বয়ে আসছে পাগলপারা শীতল জলের ধারা। ধূসর আকাশের বধূ সাজে রাঙানো আকাশকে সঙ্গী করে কাকভোরে পাহাড় দাঁড়ায়। মেঘ ভাঙা রোদে, আদুরে দুপুরে প্রকৃতি উদার-উদাস। সঙ্গে এদিক-ওদিক ছড়িয়ে আছে ঢাউস ঢাউস পাথর। শনশনে ভেজা বাতাসে, সবুজ পাতার আন্দোলন।
পাহাড়ের বাঁকা পথে পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম স্মোকি মাউন্টেনের সর্বোচ্চ পয়েন্ট ক্লিংম্যানস ডোম। ৬৬৪৩ ফুট উঁচু চূড়ায়। গাড়ি ক্লিন্সম্যানস ডোমের কাছে পার্ক করতে হয়েছে। তারপর মাইলের মতো হাটতে হয়েছে। এত খাঁড়া পাহাড়-সকলে প্রায় হাজার ফুট না পেরোতেই বিশ্রাম নিচ্ছেন। বিশ্রামের জন্য কংক্রিটের বেঞ্চ রয়েছে। খাড়া পথ মাড়িয়ে সেই প্রতীক্ষিত সর্বোচ্চ পয়েন্টের অবজারভেশন টাওয়ারে। এখান থেকে ১০০ মাইল পর্যন্ত দেখা যায়। ৩৬০ ডিগ্রিতে প্রায় ৭টি অঙ্গরাজ্য দেখা যায় বলে জনশ্রুত আছে। মেঘের দলকে ওপর থেকে দেখার এ এক অনন্য অনুভূতি। যেন ভুলিয়ে দিয়েছে মাইল পথের খাঁড়া পথের ক্লান্তি।
বেলার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খিদে। ফিরে এলাম গেটলিনবাগ শহরে। আমেরিকান রেস্টুরেন্টে খাবার পর্ব সেরে নিলাম। শহরে পর্যটকদের জন্য সব দোকানপাট। দু’একটা দোকান ঘুরে দেখলাম। একটা গিফট শপে দুকে ঘোরাঘুরি করছি-বাইরে তখন আকাশ ভেঙে বৃষ্টি। স্থানীয় দোকানিরা জানালেন এখানের আবহাওয়ার অবস্থাও এমনি। এই রোদ এই ঝুম বৃষ্টি।
অসাধারণ নিসর্গের আভা। শ্রাবণের ধারায় লেকের জল টইটম্বুর, পাহাড়ের কোলে সবুজেরা আরও সবুজ। এ পথের উপচে পড়া সৌন্দর্য অনেকটা এ রকম। বৃষ্টি থামতে ফিরে এলাম আমাদের পাহাড়ি কটেজে। সারা সন্ধ্যা আমরা রান্না-আড্ডা জমেছিলাম আমরা। আমাদের সহযাত্রীদের এক পরিবার এসেছিলেন বাংলাদেশ থেকে বেড়াতে। তাঁদের কাছ থেকে বাংলাদেশের গল্প শুনছিলাম। গল্পে গল্পে মধ্যরাত তবুও যেন গল্প শেষ হয়নি।
সকালে ধীরে স্থিরে উঠে কটেজ পরিষ্কার করে, লাগেজ ব্যাগেজ সবকিছু গাড়িতে তুলে প্রস্তুত। চারপাশে অপরূপ সৌন্দর্যের ছবি তুলে গাড়ি ছাড়লাম ক্যান্টাকি অঙ্গরাজ্যের পথে। নিয়ে এলাম বিস্ময়ে ভরা সব পাহাড়ি স্মৃতি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জানবক্স খান ১৭/০৭/২০২০ইংরেজি নামগুলো পড়তে অসুবিধা হলেও দারুন লাগল। খুব সুন্দর মনোরম। আরো লিখুন। ভাল থাকবেন।
-
সারা ইশাল ১০/০৭/২০২০লেখাটি ছন্দময় এবং তত্থবহুল।
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১১/০৬/২০২০ভালইতো লাগলো।
-
ফয়জুল মহী ১০/০৬/২০২০অপরিসীম ভালো লাগলো..