কাল জন্ম দিন (পার্ট-৩)
এদিকে খায়েস সাহেব কবি সাহেবকে নিয়ে আলাপ করছে। এমনি এখানে আবার পিয়াস এসে খায়েস সাহেবের দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা করে বলল, ওর গালে দুটি কষা চড় দিয়েছি! ব্যথ্যায় কান্না করতাছে। এসব কথা শুনে কবি সাহেব পিয়াসের দিকে আশ্চর্য্য নজরে তাকিয়ে আছে। পিয়াস এবার নিচের দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা করে বলল, সাহেব আমি কি এখন যাবো? খায়েস সাহেব নিচের দিকে তাকিয়ে মাথাটা একটু নাড়া দিয়ে বলল, হুম! যাও, দুই কাপ চা নিয়ে এসো..! পিয়াস চলে গেল। কবি সাহেব খায়েস সাহেবের দিকে তাকিয়ে একটু আশ্চর্য্য নজরে তাকিয়ে বলল, কি বিচিত্রময় মানুষ..! কি সুন্দর এই ভুবন বাগানের ফুল। খায়েস সাহেব এবার কবি সাহেবের দিকে তাকিয়ে বলল, কিছু কি বললেন? কবি সাহেব একটু লজ্জা পেয়ে আমতা আমতা করে চশমাটায় হাত দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে বলল, না কিছু না। আমায় যেন কেন ডাকলেন?
-একটি কবিতা লিখে দিবেন। আজ নয় আগামীকাল।
কিসের কবিতা সাহেব?
-কাল আমার ছেলের জন্মদিন। সেই জন্মদিনের স্মৃতিমূলক কবিতা। যেন কবিতাটি স্মরণে রাখে বিশ্ববাসী।
কোথায় আপনার ছেলে? আমি কি একবার দেখতে পারি?
-না। চাইলেও পারবেন না। ওরা আমাকে ছেড়ে চলে গেল। বড্ড বেইমান ওরা দুই মা-পুত্র।
কোথায় গেল? নিশ্চয় মা ছেলে নিয়ে বাপের বাড়িতে গেল..!
-না। অচিন এক দেশে। যেখানে গেলে আর কেউ ফিরে না।
হুম..! কি নাম ছিল ছেলেটির?
-রিপু। আমার বাবার নাম ছিল রিপু।
ঠিক আছে তাহলে আগামীকাল আসবো নে।
এই কথা বলে কবি সাহেব চলে যাচ্ছে। খায়েস সাহেব অনেক দিন পর একা একা বসে আজ অশ্রুঝরাছে। না হলে প্রতিদিন তিনি কষ্ট শুধু বুকের ভিতর চাপাই রেখেছে কখনো কাঁদে নি।এমন সময় এখানে আবার পিয়াস আসল দুই হাতে করে দুটি চায়ের কাপ ভর্তি চা নিয়ে এসে বলল, সাহেব এই যে নেন চা। খায়েস সাহেব পিয়াসের দিকে তাকিয়ে এখান হতে ওঠে চলে গেল। পিয়াস তার হাতে দুটি কাপ ভর্তি চা নিয়ে পিছন দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। খায়েস সাহেব বেশ দূরে চলে গেল। এমনি পিয়াস তার পাশে একটি টেবিলে চায়ের কাপগুলো রেখে একা একা গুন গুন করে বলছে, কত সুন্দর করে চা-গুলো বানালাম আর না খেয়ে চলে গেল। এই কথা বলে পিয়াস তার হাতে একটি চা নিয়ে খায়েস সাহেবের দিকে আড়ে আড়ে তাকিয়ে দেখল এবং চা মুখে নিয়ে বলল, মিষ্টি কম হইছে..! যায় একটু মিষ্টি দিয়ে নিয়ে আসি। বলে আবার মিষ্টি দিয়ে নিয়ে আসতে রান্না ঘরে চলে গেল।
খায়েস সাহেব আবার তার ছবি আঁকার ঘরে আসল। রফিক তার গালে হাত দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে চুপ করে বসে আছে। খায়েস সাহেব ধীরে ধীরে ছবিটির দিকে যাচ্ছে। ইহা দেখে রফিক ভীষণ ভয়ে মাথাটা আরো নিচু করে তার দুই চোখ ঘুরাতে লাগল। কারণ সে খুব ভাল করেই জানে তার অপরাধ কি এবং তাই তার শরীর ভীষণ ঘামছে। খায়েস সাহেব এবার ছবিটির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে দেখল ছবিটির পরিবেশ আর আগের মতো নেই। ইতিমধ্যেই ছবিটির মুখে খালি মাখিয়ে ছবিটি নষ্ট করে দেওয়া হলো। এমন অবস্থা দেখে খায়েস সাহেব রফিকের দিকে একটু আড়ে তাকালো। রফিক তার মাথা-খানা একটু উচু করে আবার দুই চোখ ঘুরাতে লাগল। নিরবতায় বেশ সময় গেল। এবার খায়েস সাহেব আবার তার দিকে তাকিয়ে দেখল সে এবার ভয়ে ঘামছে এবং গালে হাত দিয়েই তার চোখ ঘুরাতে ঘুরাতে আড়ে আড়ে দেখছে। খায়েস সাহেব মনে মনে ভীষণ হাসছে এবং তার প্রতি রাগ তুলে নিয়ে মিষ্টি মিষ্টি কণ্ঠে বলল, তোমার গালে কি হয়েছে? রফিক আবার তার দুই চোখ ঘুরাতে ঘুরাতে আমতা আমতা করে বলল, মশা কামড় দিছে।
-মশাটা কি বড় না ছোট?
হঠাৎ করে বসল! তাই দেখি নাই। মনে হয় বড় হবে।
-দিন-দুপুরে তোমারে মশা ধরেছে?
রফিক এই কথা শুনে আর কিছু বলল না। সে চুপ করে আড়ে আড়ে তাকিয়ে আবার দুই চোখ ঘুরাতে লাগল। খায়েস সাহেব ছবিটির সামনে দাঁড়ালেও ছবি সম্পর্কে কিছু বলে নি। কারণ সে ভাল করেই জানে রফিক ছাড়া এই কাজ আর কেউ করবে না। খায়েস সাহেব আবার মাথা নিচু করে রঙ তুলিটার দিকে তাকিয়ে দেখল তুলিটায় এখনো কালো রঙ মাখা। রফিক ছবিটির মুখে খালি মাখিয়ে ভুলে গেল তা আবার মুছে নিতে। খায়েস সাহেব তার দিকে তাকিয়ে রঙ তুলিটা হাতে নিল। রফিক তা দেখে আরো ঘামছে এবং সেই চোখ ঘুরাতে লাগল। খায়েস সাহেব আবার রঙ তুলিটা টেবিলের উপর রাখতে রাখতে মিষ্টি মিষ্টি করে বলল, যও। আগামীকাল আমার ছেলের জন্মদিন। পিয়াসের সাথে গিয়ে কাজ করো। যাও..! বলে খায়েস সাহেবেও রঙ তুলিটা রেখে চলে গেল। রফিক আবার ধীরে ধীরে রঙ তুলিটার কাছে গিয়ে তুলিটা হাতে নিয়ে এদিক-ঐদিক ঘুরিয়ে দেখল এবং সেও তুলিটা রেখে চলে গেল।
-একটি কবিতা লিখে দিবেন। আজ নয় আগামীকাল।
কিসের কবিতা সাহেব?
-কাল আমার ছেলের জন্মদিন। সেই জন্মদিনের স্মৃতিমূলক কবিতা। যেন কবিতাটি স্মরণে রাখে বিশ্ববাসী।
কোথায় আপনার ছেলে? আমি কি একবার দেখতে পারি?
-না। চাইলেও পারবেন না। ওরা আমাকে ছেড়ে চলে গেল। বড্ড বেইমান ওরা দুই মা-পুত্র।
কোথায় গেল? নিশ্চয় মা ছেলে নিয়ে বাপের বাড়িতে গেল..!
-না। অচিন এক দেশে। যেখানে গেলে আর কেউ ফিরে না।
হুম..! কি নাম ছিল ছেলেটির?
-রিপু। আমার বাবার নাম ছিল রিপু।
ঠিক আছে তাহলে আগামীকাল আসবো নে।
এই কথা বলে কবি সাহেব চলে যাচ্ছে। খায়েস সাহেব অনেক দিন পর একা একা বসে আজ অশ্রুঝরাছে। না হলে প্রতিদিন তিনি কষ্ট শুধু বুকের ভিতর চাপাই রেখেছে কখনো কাঁদে নি।এমন সময় এখানে আবার পিয়াস আসল দুই হাতে করে দুটি চায়ের কাপ ভর্তি চা নিয়ে এসে বলল, সাহেব এই যে নেন চা। খায়েস সাহেব পিয়াসের দিকে তাকিয়ে এখান হতে ওঠে চলে গেল। পিয়াস তার হাতে দুটি কাপ ভর্তি চা নিয়ে পিছন দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। খায়েস সাহেব বেশ দূরে চলে গেল। এমনি পিয়াস তার পাশে একটি টেবিলে চায়ের কাপগুলো রেখে একা একা গুন গুন করে বলছে, কত সুন্দর করে চা-গুলো বানালাম আর না খেয়ে চলে গেল। এই কথা বলে পিয়াস তার হাতে একটি চা নিয়ে খায়েস সাহেবের দিকে আড়ে আড়ে তাকিয়ে দেখল এবং চা মুখে নিয়ে বলল, মিষ্টি কম হইছে..! যায় একটু মিষ্টি দিয়ে নিয়ে আসি। বলে আবার মিষ্টি দিয়ে নিয়ে আসতে রান্না ঘরে চলে গেল।
খায়েস সাহেব আবার তার ছবি আঁকার ঘরে আসল। রফিক তার গালে হাত দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে চুপ করে বসে আছে। খায়েস সাহেব ধীরে ধীরে ছবিটির দিকে যাচ্ছে। ইহা দেখে রফিক ভীষণ ভয়ে মাথাটা আরো নিচু করে তার দুই চোখ ঘুরাতে লাগল। কারণ সে খুব ভাল করেই জানে তার অপরাধ কি এবং তাই তার শরীর ভীষণ ঘামছে। খায়েস সাহেব এবার ছবিটির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে দেখল ছবিটির পরিবেশ আর আগের মতো নেই। ইতিমধ্যেই ছবিটির মুখে খালি মাখিয়ে ছবিটি নষ্ট করে দেওয়া হলো। এমন অবস্থা দেখে খায়েস সাহেব রফিকের দিকে একটু আড়ে তাকালো। রফিক তার মাথা-খানা একটু উচু করে আবার দুই চোখ ঘুরাতে লাগল। নিরবতায় বেশ সময় গেল। এবার খায়েস সাহেব আবার তার দিকে তাকিয়ে দেখল সে এবার ভয়ে ঘামছে এবং গালে হাত দিয়েই তার চোখ ঘুরাতে ঘুরাতে আড়ে আড়ে দেখছে। খায়েস সাহেব মনে মনে ভীষণ হাসছে এবং তার প্রতি রাগ তুলে নিয়ে মিষ্টি মিষ্টি কণ্ঠে বলল, তোমার গালে কি হয়েছে? রফিক আবার তার দুই চোখ ঘুরাতে ঘুরাতে আমতা আমতা করে বলল, মশা কামড় দিছে।
-মশাটা কি বড় না ছোট?
হঠাৎ করে বসল! তাই দেখি নাই। মনে হয় বড় হবে।
-দিন-দুপুরে তোমারে মশা ধরেছে?
রফিক এই কথা শুনে আর কিছু বলল না। সে চুপ করে আড়ে আড়ে তাকিয়ে আবার দুই চোখ ঘুরাতে লাগল। খায়েস সাহেব ছবিটির সামনে দাঁড়ালেও ছবি সম্পর্কে কিছু বলে নি। কারণ সে ভাল করেই জানে রফিক ছাড়া এই কাজ আর কেউ করবে না। খায়েস সাহেব আবার মাথা নিচু করে রঙ তুলিটার দিকে তাকিয়ে দেখল তুলিটায় এখনো কালো রঙ মাখা। রফিক ছবিটির মুখে খালি মাখিয়ে ভুলে গেল তা আবার মুছে নিতে। খায়েস সাহেব তার দিকে তাকিয়ে রঙ তুলিটা হাতে নিল। রফিক তা দেখে আরো ঘামছে এবং সেই চোখ ঘুরাতে লাগল। খায়েস সাহেব আবার রঙ তুলিটা টেবিলের উপর রাখতে রাখতে মিষ্টি মিষ্টি করে বলল, যও। আগামীকাল আমার ছেলের জন্মদিন। পিয়াসের সাথে গিয়ে কাজ করো। যাও..! বলে খায়েস সাহেবেও রঙ তুলিটা রেখে চলে গেল। রফিক আবার ধীরে ধীরে রঙ তুলিটার কাছে গিয়ে তুলিটা হাতে নিয়ে এদিক-ঐদিক ঘুরিয়ে দেখল এবং সেও তুলিটা রেখে চলে গেল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৩/১১/২০১৮চমৎকার সুন্দর লেখনী।।।
-
রাহুল শীল(হুসবসার) ২২/১১/২০১৮বাহ্ বেশ