কাল জন্ম দিন (পার্ট-২)
খায়েস সাহেব তার ঘরে যাওয়ার সময় দেখল সেই লোকটি ডাইনিং রুমের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। খায়েস সাহেব তাকে দেখে অবাক হয়ে পিছন দিকেই আস্তে আস্তে বলল, এই যে শুনছেন? লোকটি খায়েস সাহেবের দিকে তাকালো। খায়েস সাহেব মুখ দেখে হাসতে হাসতে বলল, আরে কবি সাহেব! কখন আসলেন?
-এসেছি কিছুক্ষণ পূর্বে। কিন্ত আপনার দেখা পেলাম সবে মাত্র।
কি বলছেন? যেকারো কাছে বললেই তো হতো।
-বলেছিলাম। তারা বলল আপনি বেরাতে গেলেন। বাসায় নেই।
খায়েস সাহেব এবার বাহিরের দিকে তাকিয়ে পিয়াসকে ডেকে এনে বলল, উনি আমার কথা জিজ্ঞাস করেছিল? পিয়াস সেই লোকটির দিকে তাকিয়ে একটু আমতা আমতা করে বলল, " আমি আপনার কাছে বলতে চাইছিলাম কিন্তু রফিক বলল, আপনি ভীষণ ব্যস্ত আছেন।" খায়েস সাহেবের দিকে তাকিয়ে এই কথা বলে আবার লোকটির দিকে একটু উত্তেজনায় রাঙা চোখে তাকিয়ে বলল, " আপনি এখানে আসলেন কি করে? আপনাকে না বললাম চলে যেতে। বাড়িতে কোন কাম-কাজ নেই? যান বাড়িতে যান...!" এই কথা শুনে কবি সাহেব তার চশমাটায় হাত দিয়ে অনেক লজ্জায় মাথাটা নিচু করে আবার মাথাটা একটু উচু করে খায়েস সাহেবের দিকে তাকালো। এমনি খায়েস সাহেব জোরে পিয়াসের গালে একটি চড় মারিল। পিয়াস চড় খেয়ে আমতা আমতা করে তার মাথা নিচু করে বলল, আমার কি দোষ? আমাকে বলল তাই আমি বললাম।
-এই চড়টা তুমি রফিকের গালে গিয়ে দাও।
ঔযদি আবার আমারে মারে?
-তাহলে তুমিও মারবে।
এই কথা শুনে পিয়াস তার গালে হাত দিয়ে আলতু ভাবে আদর করছে আর ভীষণ রাগে রফিকের দিকে যাচ্ছে। খায়েস সাহেব এবং কবি সাহেব তার পিছন দিকে তাকিয়ে আছে।
রফিক দরজাটা বদ্ধ করে পূর্বের জায়গাতেই বসেছিল। বসে বসে রফকি ভাবছে আচ্ছা আমি যে ছবিটির মুখে খালি দিলাম তাহলে সাহেব আসলে কি বলবো? সাহেব এসে যদি জিজ্ঞাস করে, নষ্ট করল কে? তাহলে আমি কি উত্তর দিবো? ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার মাথায় বুদ্ধি এলো-সে বলবে একটি বড় আকাড়ের বিড়াল এসেছিল এবং সেই বিড়াল তার লেজে খালি মাখিয়ে ছবিটিকেও নষ্ট করে পেলল।
এমনি পিয়াস এসে দরজায় নক করল। দরজায় নক শুনে রফিক ভয়ে ভয়ে তার কপাল হতে ঘাম মুছতে মুছতে দরজার দিকে তাকালো। পিয়াস আবার দরজায় নক করল। রফিক এবার তার দুই চোখ ঘুরাতে ঘুরাতে একবার ছবিটির দিকে তাকায় এবং আরেকবার দরজার দিকে তাকায়। এখন সে বসে বসে ভাবল ছবিটির মুখে খালি দিয়ে ভুল করেছি। পিয়াস আবার দরজায় নক করল। রফিক আর কোন উপায় না পেয়ে তার মাথা নিচু করে চোখ ঘুরাতে ঘুরাতে ধীরে ধীরে গিয়ে দরজাটি আস্তে করে খোলে নিচের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পিয়াস কোন কথা বলল না। সেও চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে তার ভাব দেখছে। এবার একটু মাথা তুলে দেখল খায়েস সাহেব আসে নি। তার ভিতরটা এবার একটু শান্তি হলো। এই সময় রফিক তার মাথা তুলে পিয়াসকে কি যেন বলতে চেয়েছিল এমনি পিয়াস কোন কথা না বলে জোরে দিল এক চড়। রফিক অবাক হয়ে আবার কি যেন বলতে চেয়েছিল এমনি পিয়াস আরেকটি জোরে চড় মারল এবং বলল, " সাহেবের আদেশ।" এই কথা বলে পিয়াস চলে যাচ্ছে এবং রফিক তার দিকে চেয়ে চেয়ে গালে হাত দিয়ে আদর করতে করতে ঘরের দরজা বদ্ধ করে পূর্বের জায়গায় গিয়ে বসে রইল।
-এসেছি কিছুক্ষণ পূর্বে। কিন্ত আপনার দেখা পেলাম সবে মাত্র।
কি বলছেন? যেকারো কাছে বললেই তো হতো।
-বলেছিলাম। তারা বলল আপনি বেরাতে গেলেন। বাসায় নেই।
খায়েস সাহেব এবার বাহিরের দিকে তাকিয়ে পিয়াসকে ডেকে এনে বলল, উনি আমার কথা জিজ্ঞাস করেছিল? পিয়াস সেই লোকটির দিকে তাকিয়ে একটু আমতা আমতা করে বলল, " আমি আপনার কাছে বলতে চাইছিলাম কিন্তু রফিক বলল, আপনি ভীষণ ব্যস্ত আছেন।" খায়েস সাহেবের দিকে তাকিয়ে এই কথা বলে আবার লোকটির দিকে একটু উত্তেজনায় রাঙা চোখে তাকিয়ে বলল, " আপনি এখানে আসলেন কি করে? আপনাকে না বললাম চলে যেতে। বাড়িতে কোন কাম-কাজ নেই? যান বাড়িতে যান...!" এই কথা শুনে কবি সাহেব তার চশমাটায় হাত দিয়ে অনেক লজ্জায় মাথাটা নিচু করে আবার মাথাটা একটু উচু করে খায়েস সাহেবের দিকে তাকালো। এমনি খায়েস সাহেব জোরে পিয়াসের গালে একটি চড় মারিল। পিয়াস চড় খেয়ে আমতা আমতা করে তার মাথা নিচু করে বলল, আমার কি দোষ? আমাকে বলল তাই আমি বললাম।
-এই চড়টা তুমি রফিকের গালে গিয়ে দাও।
ঔযদি আবার আমারে মারে?
-তাহলে তুমিও মারবে।
এই কথা শুনে পিয়াস তার গালে হাত দিয়ে আলতু ভাবে আদর করছে আর ভীষণ রাগে রফিকের দিকে যাচ্ছে। খায়েস সাহেব এবং কবি সাহেব তার পিছন দিকে তাকিয়ে আছে।
রফিক দরজাটা বদ্ধ করে পূর্বের জায়গাতেই বসেছিল। বসে বসে রফকি ভাবছে আচ্ছা আমি যে ছবিটির মুখে খালি দিলাম তাহলে সাহেব আসলে কি বলবো? সাহেব এসে যদি জিজ্ঞাস করে, নষ্ট করল কে? তাহলে আমি কি উত্তর দিবো? ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার মাথায় বুদ্ধি এলো-সে বলবে একটি বড় আকাড়ের বিড়াল এসেছিল এবং সেই বিড়াল তার লেজে খালি মাখিয়ে ছবিটিকেও নষ্ট করে পেলল।
এমনি পিয়াস এসে দরজায় নক করল। দরজায় নক শুনে রফিক ভয়ে ভয়ে তার কপাল হতে ঘাম মুছতে মুছতে দরজার দিকে তাকালো। পিয়াস আবার দরজায় নক করল। রফিক এবার তার দুই চোখ ঘুরাতে ঘুরাতে একবার ছবিটির দিকে তাকায় এবং আরেকবার দরজার দিকে তাকায়। এখন সে বসে বসে ভাবল ছবিটির মুখে খালি দিয়ে ভুল করেছি। পিয়াস আবার দরজায় নক করল। রফিক আর কোন উপায় না পেয়ে তার মাথা নিচু করে চোখ ঘুরাতে ঘুরাতে ধীরে ধীরে গিয়ে দরজাটি আস্তে করে খোলে নিচের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পিয়াস কোন কথা বলল না। সেও চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে তার ভাব দেখছে। এবার একটু মাথা তুলে দেখল খায়েস সাহেব আসে নি। তার ভিতরটা এবার একটু শান্তি হলো। এই সময় রফিক তার মাথা তুলে পিয়াসকে কি যেন বলতে চেয়েছিল এমনি পিয়াস কোন কথা না বলে জোরে দিল এক চড়। রফিক অবাক হয়ে আবার কি যেন বলতে চেয়েছিল এমনি পিয়াস আরেকটি জোরে চড় মারল এবং বলল, " সাহেবের আদেশ।" এই কথা বলে পিয়াস চলে যাচ্ছে এবং রফিক তার দিকে চেয়ে চেয়ে গালে হাত দিয়ে আদর করতে করতে ঘরের দরজা বদ্ধ করে পূর্বের জায়গায় গিয়ে বসে রইল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সিন্ধু সেঁচে মুক্তা-আব্দুল কাদির মিয়া ১৮/১১/২০১৮ভাল
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৫/১১/২০১৮বড় গল্প!
-
ন্যান্সি দেওয়ান ১৪/১১/২০১৮Great...