ডায়েবেটিস এর কিছু কথা
ডায়েবেটিস
#ডায়েবেটিস কি?
শরীরের রক্তে গ্লুকোজ এর পরিমান স্বাভাবিক এর থেকে বেড়ে যাওয়া বা ইনসুলিন
পর্যাপ্ত পরিমানে তৈরি হতে পারেনা কিংবা কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারেনা তখন ডায়েবেটিস হয়।
#ডায়েবেটিস এর লক্ষনসমূহঃ টাইপ-১ ও টাইপ-২ এর ফলে যেসব লক্ষন দেখা যেতে পারে তা হচ্ছে-
-পানির তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়া
-পস্রাব এর মাত্রা বেড়ে যাওয়া(স্বাভাবিক এর থেকে বেশি সংখ্যক বার)
-মুত্রে কিটোন পাওয়া(কিটোন্ পাওয়া যায় শরীরে ইনসুলিন পর্যাপ্ত না থাকলে)
-প্রচন্ড ক্ষুদা পাওয়া
-অপ্রত্যাশিত ভাবে ওজন হ্রাস
-ক্লান্তিবোধ(অলসতা কিংবা অল্পতেই কাজ এ ক্লান্তি আসা)
-দৃষ্টিশক্তি হ্রাস বা আবছা আবছা দেখা
-কোনো প্রকার কাটা/ঘা শুকাতে দীর্ঘসময় লাগা
-বিরক্তিবোধ ,ইত্যাদি।
#ইনসুলিন ও গ্লুকোজ ঃ ইনসুলিন একটি হরমোন যা শরীরের পাকস্থলির অগ্ন্যাশয় এর ল্যাঙ্গারহ্যান্স নামক অংশ থেকে তৈরি হয়।শরীরের কোষ সমূহে স্যুগার/গ্লুকোজ প্রবেশ করতে সাহায্য করে।রক্তে স্যুগার এর পরিমান কমাতে মূখ্য ভুমিকা রাখে ইনসুলিন।রক্তে শর্করা বা স্যুগার কমার সাথে সাথে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন ও সিক্রেশন হতে থাকে।
গ্লুকোজ বা শর্করা শরীরের কোষের শক্তি/এনার্জি সোর্স এর অন্যতম উপাদান ।এই গ্লুকোজ আসে খাবার থেকে ও লিভার থেকে।রক্তপ্রবাহে এই স্যুগার এবজর্ব হয় এবং ইনসুলিন এর সহায়তায় তা কোষে প্রবেশ করে। লিভার শর্করা সঞ্চয় করে রাখে ।গ্লুকোজ এর লেভেল কমে গেলে লিভার তার সঞ্চিত গ্লাইকোজেন ভেঙ্গে তা সরবরাহ করে গ্লুকোজ এর মাত্রা কে স্বাভাবিক করে।
#ডায়েবেটিস এর প্রকারভেদ ও কারন ঃ
টাইপ-১ ডায়েবেটিস- ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া এর বিরুদ্ধে শরীরে রোগ প্রতিরোধ করতে যেয়ে
অনেক সময় ইনসুলিন উতপাদনকারী কোষ গুলির ক্ষতি হয়ে থাকে যার ফলে ইনসুলিন সৃষ্টিতে ব্যঘাত ঘটে এবং রক্তে স্যুগার বাড়তে থাকে ফলস্বরুপ ডায়েবেটিস হয়ে থাকে।
#টাইপ-১ ডায়েবেটিস এর রিস্ক ফ্যাক্টর বা কারনঃ
-পারিবারিকভাবে/পূর্বপুরুষ সূত্রে
-জীন/ক্রোমোসোমের এর কারণেও
-বয়স ৭বছরের কম বাচ্চাদের কিংবা ৩০ উর্ধ্ব ব্যক্তির ক্ষেত্রে হতে পারে এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষ্মতা শিথিল থাকে।
-ভৌগোলিক পরিবেশ ও একটা কারন হতে পারে।দেশ।এলাকাভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে টাইপ-১ ডায়েবেটিস এর আক্রান্তের হার।
#টাইপ-২ ডায়েবেটিস ঃ শরীর যখন তৈরী হওয়া ইনসুলিনের সাথে কাজ করা বন্ধ করে দেয় কিংবা ইনসুলিন শরীরে রেজিস্টেন্ট তৈরি করে তখন টাইপ-২ ডায়েবেটিস হয়।
ইনসুলিন রেজিস্টেন্স এর ফলে অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারেনা । বডি রিসেপ্টর ইনসুলিন রিসেপ্ট করতে পারেনা যার ফলে স্যুগার আর কোষে প্রবেশ করতে পারেনা এবং ফলস্বরুপ রক্তে গ্লুকোজ এর পরিমান বেড়ে গিয়ে ডায়েবেটিস ইন্ডিকেট করে থাকে।
#টাইপ-২ ডায়েবেটিস এর রিস্ক ফ্যাক্টর বা কারণ ঃ
ওজন(weight): যত বেশি ওজন হবে(ফ্যাটি টিস্যু) ততই শরীরে ইনসুলিন রেজিস্টেন্স সেল এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়
নিষ্ক্রিয়তা(Inactivity):
পারিবারিক ইতিহাসঃ পরিবারের কেউ যদি টাইপ-২ ডায়েবেটিস থেকে থাকে বাকিদের জন্য রিস্ক হতে পারে তা।
উচ্চরক্ত চাপঃ ব্লাড প্রেশার 140/mmHg এর বেশি হলে টাইপ -২ এর জন্য রিস্ক ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।
বয়সঃ বয়স বাড়াস সাথে সাথে শারিরিক ব্যায়াম,পেশিভর লস ওজন বৃদ্ধি এবং মোস্টলি ৪০/৪৫ বছর পর থেকে টাইপ-২ ডায়েবেটিস বেশি পরিলক্ষিত হয়।
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম থাকলে এবং
অস্বাভাবিক মাত্রার কোলেস্টেরল শরীরে থাকলে টাইপ-২ ডায়েবেটিস হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
টাইপ-১ ও টাইপ-২ ছাড়াও আরেকটি ডায়েবেটিস দেখা যায় যা কেবল শুধু মহিলাদের ক্ষেত্রেই ঘটে
#গর্ভাবস্থায় ডায়েবেটিসঃ প্লাসেন্টা গর্ভাবস্থা বজায় রাখতে হরমোন তৈরি করে।
এই হরমোনগুলি তখন দেহের কোষগুলিকে ইনসুলিন প্রতিরোধী করে তোলে।
অগ্ন্যাশয় এই প্রতিরোধকে অতিক্রম করার জন্য পর্যাপ্ত অতিরিক্ত ইনসুলিন
উত্পাদন করে প্রতিক্রিয়া জানায়। তবে কখনও কখনও অগ্ন্যাশয় তা ধরে রাখতে পারে না।
ফলে তখন খুব কম গ্লুকোজ শরীরের কোষে প্রবেশ করে এবং
রক্তে খুব বেশি থাকে, যার ফলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়।
#ডায়েবেটিস এর ফলে যেসব সমস্যা হতে পারে বা ঝুকি বাড়ায়ঃ
হৃদরোগঃ ডায়েবেটিস আপনার হৃদরোগ এর ঝুকি বাড়ায়।এছাড়াও হার্ট এটাক,
করোনারি আর্টারি ডিজিজ, এথেরোস্ক্লেরোসিস ইত্যাদি হতে পারে।
কিডনি ড্যামেজঃডায়েবেটিস এর ফলে কিডনির ফিল্টারিং সিস্টেম ড্যামেজ হতে পারে।ড্যামেজ মারাত্মক হলে তার পরবর্তী তে নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে।
রেটিনোপ্যাথিঃ যা চোখের রক্ত নালি এর ক্ষতি করে থাকে ফলে দৃষ্টি হ্রাস এমন কি অন্ধত্ব বরন করাতে পারে।
শ্রবন প্রতিবন্ধকতাঃ ডায়েবটিস রোগীদের মধ্যে কানে শুনতে পারার সমস্যা টা খুব কমন।
পায়ের ক্ষতিঃ পায়ের নার্ভের ক্ষতি করতে পারে কিংবা রক্ত প্রবাহ কমে গিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
ত্বকের সমস্যাঃ স্কিনে ব্যাক্টেরিয়াল ও ছত্রাকজনিত ইনফেকশন বেড়ে যেতে পারে।
বিষন্নতাঃটাইপ-১ কিংবা টাইপ-২ ডায়েবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে বিষন্নতা খুবই কমন একটি বিষয়।
লো ব্লাড স্যুগারঃ গর্ভাবস্থায় ডায়েবটিস এর ক্ষেত্রে মায়েদের ব্লাড স্যুগার কমে যেতে পারে।
অতিরিক্ত বৃদ্ধিঃ অতিরিক্ত গ্লুকোজ প্লাসেন্টা ভেদ করে যেতে পারার ফলে তখন বেবির বৃদ্ধি
স্বাভাবিক থেকে বেশি হয়ে যেতে পারে।যার ফলে তখন সি-সেকশন এর প্রয়োজন হয়।
#ডায়েবেটিস হলে করনীয় ও প্রতিরোধঃ
মনে রাখতে হবে এটা যে ডায়েবেটিস একবার হয়ে গেলে তা আর কখনোই সম্পূর্ন সুস্থ হবে না।কেবল তাহা নিয়ন্ত্রন এ রাখা যায়। ডায়েবেটিস হলে অবশ্যই ডাক্তার এর শরনাপন্ন হতে হবে।
অনেক সময় টাইপ-১ ডায়েবেটিস প্রপার মেডিকেশন এর ফলে নিয়ন্ত্রন এ চলে আসতে পারে।
যখন ডায়েবেটিস এর মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাবে তখন ইনসুলিন নেয়া লাগতে পারে।
এছাড়া আরো কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে নিয়ন্ত্রন এর জন্যে।
-সঠিক খাদ্য গ্রহন(স্বাস্থসম্মত)
-নিয়ম করে হাটা চলা
-পর্যাপ্ত ঘুম
-মানসিক চাপ মুক্ত থাকা
-মিষ্টিজাতীয় খাদ্য থেকে বিরত থাকা
-ধূমপান ও মধ্যপান ত্যাগ
-ডায়েবেটিস টেস্ট চেক আপ
-বাহিরের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার ত্যাগ
-ওজন নিয়ন্ত্রন রাখা
-চিনি জাতীয় খাবার/পানীয়,সাদা পাউরুটি,মধু,পাকা কাঠাল,ম্যাপেল সিরাপ যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন না খাওয়ার।
#ডায়েবেটিস কি?
শরীরের রক্তে গ্লুকোজ এর পরিমান স্বাভাবিক এর থেকে বেড়ে যাওয়া বা ইনসুলিন
পর্যাপ্ত পরিমানে তৈরি হতে পারেনা কিংবা কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারেনা তখন ডায়েবেটিস হয়।
#ডায়েবেটিস এর লক্ষনসমূহঃ টাইপ-১ ও টাইপ-২ এর ফলে যেসব লক্ষন দেখা যেতে পারে তা হচ্ছে-
-পানির তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়া
-পস্রাব এর মাত্রা বেড়ে যাওয়া(স্বাভাবিক এর থেকে বেশি সংখ্যক বার)
-মুত্রে কিটোন পাওয়া(কিটোন্ পাওয়া যায় শরীরে ইনসুলিন পর্যাপ্ত না থাকলে)
-প্রচন্ড ক্ষুদা পাওয়া
-অপ্রত্যাশিত ভাবে ওজন হ্রাস
-ক্লান্তিবোধ(অলসতা কিংবা অল্পতেই কাজ এ ক্লান্তি আসা)
-দৃষ্টিশক্তি হ্রাস বা আবছা আবছা দেখা
-কোনো প্রকার কাটা/ঘা শুকাতে দীর্ঘসময় লাগা
-বিরক্তিবোধ ,ইত্যাদি।
#ইনসুলিন ও গ্লুকোজ ঃ ইনসুলিন একটি হরমোন যা শরীরের পাকস্থলির অগ্ন্যাশয় এর ল্যাঙ্গারহ্যান্স নামক অংশ থেকে তৈরি হয়।শরীরের কোষ সমূহে স্যুগার/গ্লুকোজ প্রবেশ করতে সাহায্য করে।রক্তে স্যুগার এর পরিমান কমাতে মূখ্য ভুমিকা রাখে ইনসুলিন।রক্তে শর্করা বা স্যুগার কমার সাথে সাথে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন ও সিক্রেশন হতে থাকে।
গ্লুকোজ বা শর্করা শরীরের কোষের শক্তি/এনার্জি সোর্স এর অন্যতম উপাদান ।এই গ্লুকোজ আসে খাবার থেকে ও লিভার থেকে।রক্তপ্রবাহে এই স্যুগার এবজর্ব হয় এবং ইনসুলিন এর সহায়তায় তা কোষে প্রবেশ করে। লিভার শর্করা সঞ্চয় করে রাখে ।গ্লুকোজ এর লেভেল কমে গেলে লিভার তার সঞ্চিত গ্লাইকোজেন ভেঙ্গে তা সরবরাহ করে গ্লুকোজ এর মাত্রা কে স্বাভাবিক করে।
#ডায়েবেটিস এর প্রকারভেদ ও কারন ঃ
টাইপ-১ ডায়েবেটিস- ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া এর বিরুদ্ধে শরীরে রোগ প্রতিরোধ করতে যেয়ে
অনেক সময় ইনসুলিন উতপাদনকারী কোষ গুলির ক্ষতি হয়ে থাকে যার ফলে ইনসুলিন সৃষ্টিতে ব্যঘাত ঘটে এবং রক্তে স্যুগার বাড়তে থাকে ফলস্বরুপ ডায়েবেটিস হয়ে থাকে।
#টাইপ-১ ডায়েবেটিস এর রিস্ক ফ্যাক্টর বা কারনঃ
-পারিবারিকভাবে/পূর্বপুরুষ সূত্রে
-জীন/ক্রোমোসোমের এর কারণেও
-বয়স ৭বছরের কম বাচ্চাদের কিংবা ৩০ উর্ধ্ব ব্যক্তির ক্ষেত্রে হতে পারে এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষ্মতা শিথিল থাকে।
-ভৌগোলিক পরিবেশ ও একটা কারন হতে পারে।দেশ।এলাকাভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে টাইপ-১ ডায়েবেটিস এর আক্রান্তের হার।
#টাইপ-২ ডায়েবেটিস ঃ শরীর যখন তৈরী হওয়া ইনসুলিনের সাথে কাজ করা বন্ধ করে দেয় কিংবা ইনসুলিন শরীরে রেজিস্টেন্ট তৈরি করে তখন টাইপ-২ ডায়েবেটিস হয়।
ইনসুলিন রেজিস্টেন্স এর ফলে অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারেনা । বডি রিসেপ্টর ইনসুলিন রিসেপ্ট করতে পারেনা যার ফলে স্যুগার আর কোষে প্রবেশ করতে পারেনা এবং ফলস্বরুপ রক্তে গ্লুকোজ এর পরিমান বেড়ে গিয়ে ডায়েবেটিস ইন্ডিকেট করে থাকে।
#টাইপ-২ ডায়েবেটিস এর রিস্ক ফ্যাক্টর বা কারণ ঃ
ওজন(weight): যত বেশি ওজন হবে(ফ্যাটি টিস্যু) ততই শরীরে ইনসুলিন রেজিস্টেন্স সেল এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়
নিষ্ক্রিয়তা(Inactivity):
পারিবারিক ইতিহাসঃ পরিবারের কেউ যদি টাইপ-২ ডায়েবেটিস থেকে থাকে বাকিদের জন্য রিস্ক হতে পারে তা।
উচ্চরক্ত চাপঃ ব্লাড প্রেশার 140/mmHg এর বেশি হলে টাইপ -২ এর জন্য রিস্ক ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।
বয়সঃ বয়স বাড়াস সাথে সাথে শারিরিক ব্যায়াম,পেশিভর লস ওজন বৃদ্ধি এবং মোস্টলি ৪০/৪৫ বছর পর থেকে টাইপ-২ ডায়েবেটিস বেশি পরিলক্ষিত হয়।
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম থাকলে এবং
অস্বাভাবিক মাত্রার কোলেস্টেরল শরীরে থাকলে টাইপ-২ ডায়েবেটিস হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
টাইপ-১ ও টাইপ-২ ছাড়াও আরেকটি ডায়েবেটিস দেখা যায় যা কেবল শুধু মহিলাদের ক্ষেত্রেই ঘটে
#গর্ভাবস্থায় ডায়েবেটিসঃ প্লাসেন্টা গর্ভাবস্থা বজায় রাখতে হরমোন তৈরি করে।
এই হরমোনগুলি তখন দেহের কোষগুলিকে ইনসুলিন প্রতিরোধী করে তোলে।
অগ্ন্যাশয় এই প্রতিরোধকে অতিক্রম করার জন্য পর্যাপ্ত অতিরিক্ত ইনসুলিন
উত্পাদন করে প্রতিক্রিয়া জানায়। তবে কখনও কখনও অগ্ন্যাশয় তা ধরে রাখতে পারে না।
ফলে তখন খুব কম গ্লুকোজ শরীরের কোষে প্রবেশ করে এবং
রক্তে খুব বেশি থাকে, যার ফলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়।
#ডায়েবেটিস এর ফলে যেসব সমস্যা হতে পারে বা ঝুকি বাড়ায়ঃ
হৃদরোগঃ ডায়েবেটিস আপনার হৃদরোগ এর ঝুকি বাড়ায়।এছাড়াও হার্ট এটাক,
করোনারি আর্টারি ডিজিজ, এথেরোস্ক্লেরোসিস ইত্যাদি হতে পারে।
কিডনি ড্যামেজঃডায়েবেটিস এর ফলে কিডনির ফিল্টারিং সিস্টেম ড্যামেজ হতে পারে।ড্যামেজ মারাত্মক হলে তার পরবর্তী তে নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে।
রেটিনোপ্যাথিঃ যা চোখের রক্ত নালি এর ক্ষতি করে থাকে ফলে দৃষ্টি হ্রাস এমন কি অন্ধত্ব বরন করাতে পারে।
শ্রবন প্রতিবন্ধকতাঃ ডায়েবটিস রোগীদের মধ্যে কানে শুনতে পারার সমস্যা টা খুব কমন।
পায়ের ক্ষতিঃ পায়ের নার্ভের ক্ষতি করতে পারে কিংবা রক্ত প্রবাহ কমে গিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
ত্বকের সমস্যাঃ স্কিনে ব্যাক্টেরিয়াল ও ছত্রাকজনিত ইনফেকশন বেড়ে যেতে পারে।
বিষন্নতাঃটাইপ-১ কিংবা টাইপ-২ ডায়েবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে বিষন্নতা খুবই কমন একটি বিষয়।
লো ব্লাড স্যুগারঃ গর্ভাবস্থায় ডায়েবটিস এর ক্ষেত্রে মায়েদের ব্লাড স্যুগার কমে যেতে পারে।
অতিরিক্ত বৃদ্ধিঃ অতিরিক্ত গ্লুকোজ প্লাসেন্টা ভেদ করে যেতে পারার ফলে তখন বেবির বৃদ্ধি
স্বাভাবিক থেকে বেশি হয়ে যেতে পারে।যার ফলে তখন সি-সেকশন এর প্রয়োজন হয়।
#ডায়েবেটিস হলে করনীয় ও প্রতিরোধঃ
মনে রাখতে হবে এটা যে ডায়েবেটিস একবার হয়ে গেলে তা আর কখনোই সম্পূর্ন সুস্থ হবে না।কেবল তাহা নিয়ন্ত্রন এ রাখা যায়। ডায়েবেটিস হলে অবশ্যই ডাক্তার এর শরনাপন্ন হতে হবে।
অনেক সময় টাইপ-১ ডায়েবেটিস প্রপার মেডিকেশন এর ফলে নিয়ন্ত্রন এ চলে আসতে পারে।
যখন ডায়েবেটিস এর মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাবে তখন ইনসুলিন নেয়া লাগতে পারে।
এছাড়া আরো কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে নিয়ন্ত্রন এর জন্যে।
-সঠিক খাদ্য গ্রহন(স্বাস্থসম্মত)
-নিয়ম করে হাটা চলা
-পর্যাপ্ত ঘুম
-মানসিক চাপ মুক্ত থাকা
-মিষ্টিজাতীয় খাদ্য থেকে বিরত থাকা
-ধূমপান ও মধ্যপান ত্যাগ
-ডায়েবেটিস টেস্ট চেক আপ
-বাহিরের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার ত্যাগ
-ওজন নিয়ন্ত্রন রাখা
-চিনি জাতীয় খাবার/পানীয়,সাদা পাউরুটি,মধু,পাকা কাঠাল,ম্যাপেল সিরাপ যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন না খাওয়ার।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আলমগীর সরকার লিটন ২৩/০১/২০২১ভাল বিষয় পোস্ট
-
ফয়জুল মহী ২১/০১/২০২১Good post