স্বপ্নদানের তুমি (৩য় অধ্যায়)
ভেবেছিলাম জীবনটা বুঝি অনেক সুখর এবং স্বপ্নের। আসলে তা নয়। জীবনের পরতে পরতে মিশে আছে নানা জটিলতা।এত ছোট মন মানুষিকতার মানুষের ভীরে চাকুরী করা যা্য়না। কয়েকদিনেই তা বেশ টের পেলাম। নতুন কলেজ, নতুন শিক্ষক, নতুন এমপি ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু কলেজের লেখা পড়ার মান তেমন ভাল নয়। এখানের যে শিক্ষকগন রয়েছ অধিকাংশই আসলে বেয়াদব টাইপের। আসলে অবাক হয়ে যাই এই কলেজ থেকে প্রতিনয়ত অনেক স্টুডেন্ট পাশ করে যাচ্ছে।
আমি আমার ছাত্রদের সাথে বন্ধুর মত মিশতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অনেকেরই তা সহ্য হলোনা। প্রতিবারই এই কলেজে ইংরেজীতে অনেক স্টুডেন্ট ফেল মারে। আমি দুএকজনের সাথে কথা বলে তাদেরকে বিনা টাকায় পড়াতে শুরু কললাম। আমার ইচ্ছা সবাই যাতে পাশ করে। কিন্তু বাদ সাধল আমাদের কলেজের কেরানী সাত্তার এবং ইংরেজী শিক্ষকের। তারা ধরে নিল তাদের প্রাইভেট পড়াতে আমি ব্যঘাত ঘটাচ্ছি এবং তাদের ভাতে পানি দিচ্ছি।আমার পড়ানোটা আর বেশি দিন টিকলনা। বরাবরই আমি হতাশ ।
আামাদের ইতিহাসের নতুন শিক্ষক এসেছে। ছোয়াব স্যার। খুবই ভাল। তার সম্পর্কে না বলে পারছিনা। বয়স ৪৫ এর কাছাকাছি। তবে দেখে মনে হয় এখনও তরুন। মনটা যেন কি এক মায়ার চাদরে ঢাকা। কি যেন জাদু আছে তার মাঝে। আমার খুবই প্রিয় এই ছোয়াব স্যারকে।
বিকেল বেলা আমি ,ছোয়াব স্যার ও জালাল স্যার বসে আড্ডা দিচ্ছি।
শান্ত বিকেল। চারিদিকে কি নীলাভ আকাশ। মন এমনিতেই ভাল হয়ে যায়। স্যারে কথা বার্তায় কি যেন একরকম জাদু রয়েছে।
আমিন ভাই আপনার খবর কি? অনেক দিন ধরে আপনার কোন খবর পাইনা। বিসিএস এর কি খবর?
বেশি ভাল না , জানিনা কপালে কি আছে , প্রিলি পরীক্ষা তেমন ভাল হয়নি।
আপনাকে নিয়ে আমরা কিন্তু খুবই আশা বাদী। আপনি আমাদের , মূখ উজ্জ্বল করবেন।
জালার সাহেবের পরীক্ষা কেমন হয়েছে।
না তেমন ভাল হয়নি।
আপনি তো খুব ভাল করে পড়েছিলেন।
পড়েছিলাম, তবে আমি যে পড়া পড়েছি এ পড়া দিয়ে বিসিএস এর মত চাকুরী আমার কপালে নেই।
আচ্ছা বাদ দেন তো , এত পড়ালেখা আর ভাল লাগেনা। আমরা চলেন কোথাও থেকে ঘুরে আসি।
যাইলে তো ভাল হয়।আমার অনেক ঘুরতে ভাল লাগে।
কোথায় যাও য়া যায় বলেনতো।
জমির ভাই ভাল বলতে পারবে।
জমির ভাইকে ফোন দেন । যেখানে আছে অবশ্যই আপনার ফোন পেলে চলে আনবে।
ছৌয়াব স্যার জমির ভাইকে ফোন দিলেন । একটু পরে তিনি আসলেন আমাদের আসরে।
জমির ভাই আমরা চাই আগাশী শুক্রবার দিন কোথাল থেকে ঘুরে আসতে ,আপনি কি বলেন?
ভাল,চলেন ঘুরে আসি।
কোথায় যালয়া য়ায় আপনি বলেন।
চলেন সিলেট থেকে ঘুরে আসি।
না সিলেট অনেক দূরে্ আর রাস্তা ঘাট এর যে অবস্খা,যাও য়া বোধ হয় ঠিক হবেনা।
তাহলে চলেন বাধা ঘাটে যাই।
এটা ককোথায়? আমি তো চিনিনা।
জমির ভাই চিনে,বললাম আমি।
আচ্ছা ঠিক আছে। আমরা কিভাবে যাব।
মোটর সাইকেলে।
ঠিক আছে।
চা খাবেন।
এই বুলেট ৫ কাপ চা দে?
আমাকে রং চা।
চিনি একটু বেশি করে দিশ।
আচ্ছা স্যার।
আজ বিকেলের আড্ডাটা জমছে বেশ।
আজ তাহলে উঠা যাক।
পরদিন খুব সকাল বেলা, জমির ভাই একটি হার মোনিয়াম নিয়ে হাজির। জমির ভাই ভাল বাজাতে জানে।আর ছোয়াব স্যার তো বেশ ভাল গান জানে।
সকালে বিছানা ছেড়ে আমরা গানের আড্ডায় বসে গেলাম।
স্যার তার মনে র সুরে গানে সুর তুলিলেন।
রাতের আধারে চুপিসারে কে চলে যায় গহীন বিহনে
মনকে বলি তুই চুপসে থাক মন চলে কোন জনে
একতারা দুতারা কোন কিছুই নেই তবুও চলবে এই আসর
গানের জগতে এই মন চিরদিন রবে অমর।
ফুল ফোটে আবার ঝড়ে পরে ভোরের শিশিরে
তোমারল লাগি আমার এই মন প্রাণ কেঁদে মরে।
সূখ সুখ করে চলে গেলে বিজন বনে একলা করে মোরে
শুণ্যতায় পড়ে রইলাম আমি ভালবেসে তোরে
পূর্নিমার আলোয় ভেসে আসে ঐ দূরের ভিন গায়
একলা আমি পরে রইলাম শুধু তোমারই আশায়।
স্যার বেশ তো আপনার গলা। এথন থেকে প্রতিদিন বসবে আমাদের এই গানের আসর।
ঠিক আছে জমির ভাই।
প্রথম দিন আজকে আর কোন গান নয়। নাস্তা করা হয়নি। চলেন আজ বাজার থেকে নাস্তা করে আষি।
চলেন।
এই বলে আমার বাজারে গিয়ে নাস্তা সেড়ে অসলাম।
একটু পরে আমাকে কলেজে যেতে হবে।
তাই আর বিলম্ব না কের তৈরি হয়ে কলেজে এস পড়লাম
মনটা অনেক ফুরফুরে। কোন টেনশন নেই। লাভলীর কথা আর বেশি মনে হয়না। যে চলে যাবার সে তো চলে যাবেই। তাকে শত বাধা বিপত্তি দিয়ে বেঁধে রাখা যাবেনা।
আমি আমার ছাত্রদের সাথে বন্ধুর মত মিশতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অনেকেরই তা সহ্য হলোনা। প্রতিবারই এই কলেজে ইংরেজীতে অনেক স্টুডেন্ট ফেল মারে। আমি দুএকজনের সাথে কথা বলে তাদেরকে বিনা টাকায় পড়াতে শুরু কললাম। আমার ইচ্ছা সবাই যাতে পাশ করে। কিন্তু বাদ সাধল আমাদের কলেজের কেরানী সাত্তার এবং ইংরেজী শিক্ষকের। তারা ধরে নিল তাদের প্রাইভেট পড়াতে আমি ব্যঘাত ঘটাচ্ছি এবং তাদের ভাতে পানি দিচ্ছি।আমার পড়ানোটা আর বেশি দিন টিকলনা। বরাবরই আমি হতাশ ।
আামাদের ইতিহাসের নতুন শিক্ষক এসেছে। ছোয়াব স্যার। খুবই ভাল। তার সম্পর্কে না বলে পারছিনা। বয়স ৪৫ এর কাছাকাছি। তবে দেখে মনে হয় এখনও তরুন। মনটা যেন কি এক মায়ার চাদরে ঢাকা। কি যেন জাদু আছে তার মাঝে। আমার খুবই প্রিয় এই ছোয়াব স্যারকে।
বিকেল বেলা আমি ,ছোয়াব স্যার ও জালাল স্যার বসে আড্ডা দিচ্ছি।
শান্ত বিকেল। চারিদিকে কি নীলাভ আকাশ। মন এমনিতেই ভাল হয়ে যায়। স্যারে কথা বার্তায় কি যেন একরকম জাদু রয়েছে।
আমিন ভাই আপনার খবর কি? অনেক দিন ধরে আপনার কোন খবর পাইনা। বিসিএস এর কি খবর?
বেশি ভাল না , জানিনা কপালে কি আছে , প্রিলি পরীক্ষা তেমন ভাল হয়নি।
আপনাকে নিয়ে আমরা কিন্তু খুবই আশা বাদী। আপনি আমাদের , মূখ উজ্জ্বল করবেন।
জালার সাহেবের পরীক্ষা কেমন হয়েছে।
না তেমন ভাল হয়নি।
আপনি তো খুব ভাল করে পড়েছিলেন।
পড়েছিলাম, তবে আমি যে পড়া পড়েছি এ পড়া দিয়ে বিসিএস এর মত চাকুরী আমার কপালে নেই।
আচ্ছা বাদ দেন তো , এত পড়ালেখা আর ভাল লাগেনা। আমরা চলেন কোথাও থেকে ঘুরে আসি।
যাইলে তো ভাল হয়।আমার অনেক ঘুরতে ভাল লাগে।
কোথায় যাও য়া যায় বলেনতো।
জমির ভাই ভাল বলতে পারবে।
জমির ভাইকে ফোন দেন । যেখানে আছে অবশ্যই আপনার ফোন পেলে চলে আনবে।
ছৌয়াব স্যার জমির ভাইকে ফোন দিলেন । একটু পরে তিনি আসলেন আমাদের আসরে।
জমির ভাই আমরা চাই আগাশী শুক্রবার দিন কোথাল থেকে ঘুরে আসতে ,আপনি কি বলেন?
ভাল,চলেন ঘুরে আসি।
কোথায় যালয়া য়ায় আপনি বলেন।
চলেন সিলেট থেকে ঘুরে আসি।
না সিলেট অনেক দূরে্ আর রাস্তা ঘাট এর যে অবস্খা,যাও য়া বোধ হয় ঠিক হবেনা।
তাহলে চলেন বাধা ঘাটে যাই।
এটা ককোথায়? আমি তো চিনিনা।
জমির ভাই চিনে,বললাম আমি।
আচ্ছা ঠিক আছে। আমরা কিভাবে যাব।
মোটর সাইকেলে।
ঠিক আছে।
চা খাবেন।
এই বুলেট ৫ কাপ চা দে?
আমাকে রং চা।
চিনি একটু বেশি করে দিশ।
আচ্ছা স্যার।
আজ বিকেলের আড্ডাটা জমছে বেশ।
আজ তাহলে উঠা যাক।
পরদিন খুব সকাল বেলা, জমির ভাই একটি হার মোনিয়াম নিয়ে হাজির। জমির ভাই ভাল বাজাতে জানে।আর ছোয়াব স্যার তো বেশ ভাল গান জানে।
সকালে বিছানা ছেড়ে আমরা গানের আড্ডায় বসে গেলাম।
স্যার তার মনে র সুরে গানে সুর তুলিলেন।
রাতের আধারে চুপিসারে কে চলে যায় গহীন বিহনে
মনকে বলি তুই চুপসে থাক মন চলে কোন জনে
একতারা দুতারা কোন কিছুই নেই তবুও চলবে এই আসর
গানের জগতে এই মন চিরদিন রবে অমর।
ফুল ফোটে আবার ঝড়ে পরে ভোরের শিশিরে
তোমারল লাগি আমার এই মন প্রাণ কেঁদে মরে।
সূখ সুখ করে চলে গেলে বিজন বনে একলা করে মোরে
শুণ্যতায় পড়ে রইলাম আমি ভালবেসে তোরে
পূর্নিমার আলোয় ভেসে আসে ঐ দূরের ভিন গায়
একলা আমি পরে রইলাম শুধু তোমারই আশায়।
স্যার বেশ তো আপনার গলা। এথন থেকে প্রতিদিন বসবে আমাদের এই গানের আসর।
ঠিক আছে জমির ভাই।
প্রথম দিন আজকে আর কোন গান নয়। নাস্তা করা হয়নি। চলেন আজ বাজার থেকে নাস্তা করে আষি।
চলেন।
এই বলে আমার বাজারে গিয়ে নাস্তা সেড়ে অসলাম।
একটু পরে আমাকে কলেজে যেতে হবে।
তাই আর বিলম্ব না কের তৈরি হয়ে কলেজে এস পড়লাম
মনটা অনেক ফুরফুরে। কোন টেনশন নেই। লাভলীর কথা আর বেশি মনে হয়না। যে চলে যাবার সে তো চলে যাবেই। তাকে শত বাধা বিপত্তি দিয়ে বেঁধে রাখা যাবেনা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সবুজ আহমেদ কক্স ১৭/০৮/২০১৫ভালো লাগলো পড়ে
-
নাবিক ১৪/০৮/২০১৫ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো