ভুরিভোজন
মিত্র বাড়ি থেকে দুপুরে একবেলা খাওয়ার নিমন্ত্রণ এসেছে শুনে নিবারণের ছেলে নিরদ বেশ আনন্দিত হল।কতদিন হয় ভাল কিছু খাওয়া হয় না,ভুরিভোজনের কথা ভেবেই জ্বিবে জল এলো।তাই দুপুরের পূর্বেই ভাল জামা কাপড় ,ভাল বলতে মন্দের ভাল,পড়েই মিত্র বাড়িতে উপস্থিত হলো।
তারাপদ মিত্রের একমাত্র ছোট ছেলের অন্নপ্রাসন বলে কথা,আড়ম্ভরে কোন কমতি নেই।বড় পেন্ডেল, সারি সারি করে চেয়ার টেবিল সাজানো।আত্মীয়-স্বজন,পাড়া-প্রতিবেশীতে বাড়ি ভরপুর।নিমন্ত্রিত সবাই উপস্তিত,রন্ধন ও শেষ।পুরোহিত মহাশয় আসন ছাড়তেই,অথিতি সেবার তোরজোড় শুরু হলো।সবাই সাজানো চেয়ারের দিকে পা বাড়াতেই, নিরদও পা বাড়ালো।
আকস্মিক বাতি নিভে গেলে যেমন মানুষ থমকে দাঁড়ায়, তেমনি মিত্র বাবুর বড় মেয়ে পূরবীর ডাকে চমকে দাঁড়ায়।দুজনই স্কুলের সহপাঠী। কি'রে তুই কি চেয়ারে বসে খেতে পারবি, অভ্যাস আছে।তার চেয়ে বরং পিঁড়ি পেতে মাটিতে বস আরাম করে খাবি।সেদিন ভুরিভোজন হলেও একটা অতৃপ্তি থেকে যায় নিরদের মনে।
সেই মাটিতে বসে খাওয়া নিরদ এখন প্রফেসর, সুশিক্ষায় শিক্ষিত। জামাই হয়ে এসেছে মিত্র বাড়িতে।কুঞ্জে সাজানো রাজকীয় চেয়ার,হাজরও লোকের ভিড়ে যা একমাত্র নিরদের জন্য।
কনের সাজে পূরবীর কুঞ্জে আগমন,নিরদ তখন রাজকীয় চেয়ারে বসা।একে একে পুষ্প অর্পন, সাতপাক,যঞ্জ ও বৌভাত শেষে আজ হস্ত গ্রহনের রাত।
নিরদ যথারিতি আজও চেয়ারে বসা।পূরবী ত্রস্ত হাতে হাত ধোয়ার জল,খাওয়ার জল,ভাত ও তরকারি পরিবেশনে ব্যস্ত।বহুদিন পর নিরদ আজ তৃপ্তিকর ভুরিভোজন সম্পন্ন করলো।বিদ্যুৎ ঘর্ষনে যেমন মেঘ ভেংগে বৃষ্টি নামে তদ্রুপ যে আগুন এতদিন জ্বলছিলো তা হঠাৎই পানি হয়ে গেলো।সুশিক্ষার এমনই গুন।
শিক্ষা কেউ মাতৃগর্ভ হতে নিয়ে আসে না।থাকে শিখে নিতে হয়,থাকে শিখার সুযোগ দিতে হয়।কর্মের সুযোগ না দিলে অভিঞ্জতা কেমন করে হবে।
তারাপদ মিত্রের একমাত্র ছোট ছেলের অন্নপ্রাসন বলে কথা,আড়ম্ভরে কোন কমতি নেই।বড় পেন্ডেল, সারি সারি করে চেয়ার টেবিল সাজানো।আত্মীয়-স্বজন,পাড়া-প্রতিবেশীতে বাড়ি ভরপুর।নিমন্ত্রিত সবাই উপস্তিত,রন্ধন ও শেষ।পুরোহিত মহাশয় আসন ছাড়তেই,অথিতি সেবার তোরজোড় শুরু হলো।সবাই সাজানো চেয়ারের দিকে পা বাড়াতেই, নিরদও পা বাড়ালো।
আকস্মিক বাতি নিভে গেলে যেমন মানুষ থমকে দাঁড়ায়, তেমনি মিত্র বাবুর বড় মেয়ে পূরবীর ডাকে চমকে দাঁড়ায়।দুজনই স্কুলের সহপাঠী। কি'রে তুই কি চেয়ারে বসে খেতে পারবি, অভ্যাস আছে।তার চেয়ে বরং পিঁড়ি পেতে মাটিতে বস আরাম করে খাবি।সেদিন ভুরিভোজন হলেও একটা অতৃপ্তি থেকে যায় নিরদের মনে।
সেই মাটিতে বসে খাওয়া নিরদ এখন প্রফেসর, সুশিক্ষায় শিক্ষিত। জামাই হয়ে এসেছে মিত্র বাড়িতে।কুঞ্জে সাজানো রাজকীয় চেয়ার,হাজরও লোকের ভিড়ে যা একমাত্র নিরদের জন্য।
কনের সাজে পূরবীর কুঞ্জে আগমন,নিরদ তখন রাজকীয় চেয়ারে বসা।একে একে পুষ্প অর্পন, সাতপাক,যঞ্জ ও বৌভাত শেষে আজ হস্ত গ্রহনের রাত।
নিরদ যথারিতি আজও চেয়ারে বসা।পূরবী ত্রস্ত হাতে হাত ধোয়ার জল,খাওয়ার জল,ভাত ও তরকারি পরিবেশনে ব্যস্ত।বহুদিন পর নিরদ আজ তৃপ্তিকর ভুরিভোজন সম্পন্ন করলো।বিদ্যুৎ ঘর্ষনে যেমন মেঘ ভেংগে বৃষ্টি নামে তদ্রুপ যে আগুন এতদিন জ্বলছিলো তা হঠাৎই পানি হয়ে গেলো।সুশিক্ষার এমনই গুন।
শিক্ষা কেউ মাতৃগর্ভ হতে নিয়ে আসে না।থাকে শিখে নিতে হয়,থাকে শিখার সুযোগ দিতে হয়।কর্মের সুযোগ না দিলে অভিঞ্জতা কেমন করে হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাঁঝের তারা ১০/০৫/২০১৭ভাল ভাবনা...
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১০/০৫/২০১৭ভালো লাগলো,ধন্যবাদ।