অপদার্থের পাত্রী দেখা
বাসে উঠেই দেখি কোন সিট খালি নেই,একটি আসন ছাড়া।বাঁ পাশে একটি মেয়ে বসা।একেতো ক্লান্তি, তার উপর অনেক দুরের পথ দাঁড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব।উপায় না দেখে সরাসরি মেয়েটিকে প্রশ্ন করলাম,আপনার সথে কি কেউ আছেন।অনেক কষ্টে মনে হলো যেনো চিরতার রস সেবন করছেন,অতপর না বললেন।আমি কি বসতে পারি?না মানে ইয়ে শুনে বললাম-ভয় নেই, এখন সূর্য়লোক।আর কোন কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই বসে পড়লাম।
আসনে বসেই বাড়িতে ফোন দিলাম।মা ফোন ধরেই কোথায় আছিস বাবা?মা আমি গাড়িতে উঠেছি,চিন্তা করো না,ঠিক সময় মতই পৌছে যাবো।হে রে পাত্রী দেখতে যে গেলি-মেয়েটি দেখতে কেমন।সংক্ষেপে বললাম,মা দেখতে ভালই।শুধুই ভাল,চুল কেমন।বুঝলাম একে একে সব বলতে হবে।তাই একনাগাড়ে বললাম,মা মেয়েটির শুধু চুল,মুখ, নাক নয়,মাথা থেকে পা পর্যন্ত এক কথায় অপূর্ব।পছন্দ হয়েছে খুব।মায়ের গলা, আমি জানতাম পছন্দ তর হবেই।মা এখন রাখি।রাখ,সাবধানে আসিস।
ফোন রেখে এই প্রথম মেয়েটির দিকে ভাল করে তাকালাম।জানালার দিকে মুখ,বাতাসে সোনালী চুলগুলো উড়ছে,সথে মিষ্টি একটা গন্ধ।বনলতার মতো না হলেও বেশ সুন্দরী।রুক্ষ নয়,মায়াবী এখটা ভাব আছে চেহারায়।চাঁদের আলো যেমন জোছনা ছড়ায় অনেকটা সে রকম।তাতেই আমি হয়তো সম্মোহিত ছিলাম অনেক্ষন।চমকে উঠলাম আচমকা প্রশ্নে।
কি দেখছেন?সাথে সাথেই কয়েকটা গানের কলি মনে এলো-তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়,যদি বউ সাজো'গো আরও সুন্দর লাগবে গো,তুমি কোন কাননের ফুল ইত্যাদি।আবারও প্রশ্ন কি দেখছেন অমন করে?না-বললে ভুল বলা হবে,আসলে আপনাকে দেখছিলাম যা ধ্রুব সত্য।আমি কি আপনার পূর্ব পরিচিত। না,তবে আমরা পরিচিত হতে পারি।কি বলেন,পারি কি'না?কেমন করে বলুন?যেমন ধরুন আপনার নাম,বাবা,মা,বাড়ি কোথায় ইত্যাদি ইত্যাদি।
দাদুই আমার নাম রাখেন,কুলশ্রী গোস্বামী দেবী।আমি বললাম দাদুর নাম করন তবে সার্থক হয়েছে বলতেই হয়।আপনি বাকিটুকু বলুন।আমরা বলতে মা,বাবা ও ভাই সুবর্ণপুরে থাকি।বাবা প্রাঃ শিক্ষক।মামার বাড়ি কুড়ালি লক্ষিপুর।মা আপদ-মস্তক গৃহিণী।ছোট ভাই মাধব,ক্লাস নাইনে পড়ে।আমি তার থেকে পাঁছ বছরের বড়।পরিচয় বলতে এটুকুই,এবার দ্বিতীয় পর্বটা আপনি শুরু করুণ।
তাই,আপনি বেশ ঘুছিয়ে কথা বলেন আমি তার উল্টো।বাবার দেওয়া নাম নয়ন।বড় তিন ভাই তারা বিবাহিত, আমি সবার ছোট।সরকারী চাকুরীতে আছি।ঘরে শুধু আমি ও মা।বলার মতো এটুকুই।কি ভাবছেন?
ভাবছি বাচন ভঙিতে আপনিও কম যান'না।তখন মায়ের সাথে কি নিয়ে কথা হলো।হাসছেন যে,কি এমন বললাম যা আপনার হাসির খোরাক যোগালো।শুনবেন? হ্যা বলুন-আজ মা আমাকে পাত্রী দেখার জন্য পাঠিয়ে ছিলেন।ভাগ্য বশত ওখানে যাওয়া হয়'নি।তাই না দেখেই বাড়ি ফিরছিলাম।মধ্যে আপনার সাথে দেখা,বাকিটুকু নিশ্চয় অজানা নয়।দম আটকে বললাম এই মিথ্যা-সত্যকে কি জীবন্ত করা যায় না।জানালায় বাইরের দৃশ্য দেখে বুঝলাম গন্তব্য বেশী দুরে নয়,এবার বিদায় নেওয়ার পালা।সত্য-মিথ্যা থাক,আমরা দুজনই ভাল একটা সময় কাটালাম।কি ব্যাপার, হঠাৎ স্তব্দ হয়ে গেলেন?
দেবীকে কি এখনই বিসর্জন দিবেন,মায়ের সেবা করতে দিবেন না।দেবীর আসন না পাই দাসীর কাজ নিশ্চয় পারবো।মাকে বলা কথাও আপনার সত্যি হবে,হাতটা ধরবেন না?
আমি হাতটা সজোরে বুকে চেপে ধরি,খুশি আর উত্তেজনায় বুকে তখন ঢাকের শব্দ।কানে বাজছে বাঁশির সুর।পুরুষালি গলায় বলি, মাকে আগামীকাল পাঠাবো তোমাদের বাড়ি।বাক্য দানের লগ্ন দেখতে।দেবীর চোখে জল,জল আমার চোখেও।বাস থেমে গেছে,চোখ মুছে বললাম-আসি।
আসনে বসেই বাড়িতে ফোন দিলাম।মা ফোন ধরেই কোথায় আছিস বাবা?মা আমি গাড়িতে উঠেছি,চিন্তা করো না,ঠিক সময় মতই পৌছে যাবো।হে রে পাত্রী দেখতে যে গেলি-মেয়েটি দেখতে কেমন।সংক্ষেপে বললাম,মা দেখতে ভালই।শুধুই ভাল,চুল কেমন।বুঝলাম একে একে সব বলতে হবে।তাই একনাগাড়ে বললাম,মা মেয়েটির শুধু চুল,মুখ, নাক নয়,মাথা থেকে পা পর্যন্ত এক কথায় অপূর্ব।পছন্দ হয়েছে খুব।মায়ের গলা, আমি জানতাম পছন্দ তর হবেই।মা এখন রাখি।রাখ,সাবধানে আসিস।
ফোন রেখে এই প্রথম মেয়েটির দিকে ভাল করে তাকালাম।জানালার দিকে মুখ,বাতাসে সোনালী চুলগুলো উড়ছে,সথে মিষ্টি একটা গন্ধ।বনলতার মতো না হলেও বেশ সুন্দরী।রুক্ষ নয়,মায়াবী এখটা ভাব আছে চেহারায়।চাঁদের আলো যেমন জোছনা ছড়ায় অনেকটা সে রকম।তাতেই আমি হয়তো সম্মোহিত ছিলাম অনেক্ষন।চমকে উঠলাম আচমকা প্রশ্নে।
কি দেখছেন?সাথে সাথেই কয়েকটা গানের কলি মনে এলো-তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়,যদি বউ সাজো'গো আরও সুন্দর লাগবে গো,তুমি কোন কাননের ফুল ইত্যাদি।আবারও প্রশ্ন কি দেখছেন অমন করে?না-বললে ভুল বলা হবে,আসলে আপনাকে দেখছিলাম যা ধ্রুব সত্য।আমি কি আপনার পূর্ব পরিচিত। না,তবে আমরা পরিচিত হতে পারি।কি বলেন,পারি কি'না?কেমন করে বলুন?যেমন ধরুন আপনার নাম,বাবা,মা,বাড়ি কোথায় ইত্যাদি ইত্যাদি।
দাদুই আমার নাম রাখেন,কুলশ্রী গোস্বামী দেবী।আমি বললাম দাদুর নাম করন তবে সার্থক হয়েছে বলতেই হয়।আপনি বাকিটুকু বলুন।আমরা বলতে মা,বাবা ও ভাই সুবর্ণপুরে থাকি।বাবা প্রাঃ শিক্ষক।মামার বাড়ি কুড়ালি লক্ষিপুর।মা আপদ-মস্তক গৃহিণী।ছোট ভাই মাধব,ক্লাস নাইনে পড়ে।আমি তার থেকে পাঁছ বছরের বড়।পরিচয় বলতে এটুকুই,এবার দ্বিতীয় পর্বটা আপনি শুরু করুণ।
তাই,আপনি বেশ ঘুছিয়ে কথা বলেন আমি তার উল্টো।বাবার দেওয়া নাম নয়ন।বড় তিন ভাই তারা বিবাহিত, আমি সবার ছোট।সরকারী চাকুরীতে আছি।ঘরে শুধু আমি ও মা।বলার মতো এটুকুই।কি ভাবছেন?
ভাবছি বাচন ভঙিতে আপনিও কম যান'না।তখন মায়ের সাথে কি নিয়ে কথা হলো।হাসছেন যে,কি এমন বললাম যা আপনার হাসির খোরাক যোগালো।শুনবেন? হ্যা বলুন-আজ মা আমাকে পাত্রী দেখার জন্য পাঠিয়ে ছিলেন।ভাগ্য বশত ওখানে যাওয়া হয়'নি।তাই না দেখেই বাড়ি ফিরছিলাম।মধ্যে আপনার সাথে দেখা,বাকিটুকু নিশ্চয় অজানা নয়।দম আটকে বললাম এই মিথ্যা-সত্যকে কি জীবন্ত করা যায় না।জানালায় বাইরের দৃশ্য দেখে বুঝলাম গন্তব্য বেশী দুরে নয়,এবার বিদায় নেওয়ার পালা।সত্য-মিথ্যা থাক,আমরা দুজনই ভাল একটা সময় কাটালাম।কি ব্যাপার, হঠাৎ স্তব্দ হয়ে গেলেন?
দেবীকে কি এখনই বিসর্জন দিবেন,মায়ের সেবা করতে দিবেন না।দেবীর আসন না পাই দাসীর কাজ নিশ্চয় পারবো।মাকে বলা কথাও আপনার সত্যি হবে,হাতটা ধরবেন না?
আমি হাতটা সজোরে বুকে চেপে ধরি,খুশি আর উত্তেজনায় বুকে তখন ঢাকের শব্দ।কানে বাজছে বাঁশির সুর।পুরুষালি গলায় বলি, মাকে আগামীকাল পাঠাবো তোমাদের বাড়ি।বাক্য দানের লগ্ন দেখতে।দেবীর চোখে জল,জল আমার চোখেও।বাস থেমে গেছে,চোখ মুছে বললাম-আসি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জয়শ্রী রায় মৈত্র ২৩/০৪/২০১৭বাহ... । সুন্দর তো ! থিমটা খুব ভালো । বাস্তব নাকি ? তবে কোলকাতার বাসে এ-রকম ঘটনা বাস্তবে রূপ পায় না । তবে শুভ কামনা রইল । আরও ভালো গল্প আসরকে উপহার দিন । তবে অবশ্যই সম্পাদনা করে ।
-
রেজুয়ান চৌধুরী ২২/০৪/২০১৭বাহ : ! বেশ সুন্দর গল্প লিখেছেন কবি !
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ! ভালো থাকুন ! -
ঐশিকা বসু ১৮/০৪/২০১৭বাঃ, ছোটগল্প হিসেবে খুব সুন্দর লিখেছেন। অনেক শুভকামনা।
-
০।।০ ১৭/০৪/২০১৭অনবদ্য ভাবনার গল্প ।। অনেক অনেক ভালো লাগা
সুস্থ থাকুন সর্বদা ।। শুভ কামনা নিরন্তর... -
পরশ ১৭/০৪/২০১৭সুন্দর
-
মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন ১৭/০৪/২০১৭অসামান্য ,,সত্য কাহিণীকেও ফেল করে দিবে।।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১৭/০৪/২০১৭স্বার্থক এক ছোট গল্প।
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৬/০৪/২০১৭সুন্দর লেখা।