পরিতৃপ্তি
রয়াল তেহারী হাউস। সস্ত্রীক তেহারী খাওয়ার উদ্দেশ্য প্রবেশ করলাম। আট-দশ বছরের দুই বাচ্চা ছেলে টেবিলে পানি দেওয়া, টেবিল পরিষ্কার করা-- এসব ফুট ফরমাশ খাটে। কাজের ফাঁকে দু'জনকে খাবার দেওয়া হয়েছে। খাবার টেবিলে দ'জনের কথোপকথন:
ধরে নিলাম একজনের নাম কমল, আরেকজনের নাম কানন।
কমল: তোর পাতে দুইডা আলু দিছে। আমারে খালি ঝোল দিল।
কানন: হয়। তুই এখানে কাম করবি?
কমল: না, কাম করুম না! তয় কাইল মারে কমু। দেহি মায় কি কয়।
আমরা খাওয়া বাদ দিয়ে তাদের কথোপকথন শুনছিলাম। খুব খারাপ লাগছিল। কি বলব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ইতোমধ্যে অপেক্ষাকৃত বড় এক ওয়েটার হাফ তেহারি নিয়া কমল ও কাননের সামনে রাখল। সাথে শাসন মাখা আদুরে গলায় বলল, "তাড়াতাড়ি খেয়ে ফ্যাল"।
তেহারির প্লেট দেখে কমল-কাননের চোখ-মুখে যে চিকচিকে ভাব দেখলাম, তা ঢাকা মহানগরীর ছ'খানা বাড়ির মালিকের চোখে-মুখে কখনো দেখা যাইবে না।
ধরে নিলাম একজনের নাম কমল, আরেকজনের নাম কানন।
কমল: তোর পাতে দুইডা আলু দিছে। আমারে খালি ঝোল দিল।
কানন: হয়। তুই এখানে কাম করবি?
কমল: না, কাম করুম না! তয় কাইল মারে কমু। দেহি মায় কি কয়।
আমরা খাওয়া বাদ দিয়ে তাদের কথোপকথন শুনছিলাম। খুব খারাপ লাগছিল। কি বলব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ইতোমধ্যে অপেক্ষাকৃত বড় এক ওয়েটার হাফ তেহারি নিয়া কমল ও কাননের সামনে রাখল। সাথে শাসন মাখা আদুরে গলায় বলল, "তাড়াতাড়ি খেয়ে ফ্যাল"।
তেহারির প্লেট দেখে কমল-কাননের চোখ-মুখে যে চিকচিকে ভাব দেখলাম, তা ঢাকা মহানগরীর ছ'খানা বাড়ির মালিকের চোখে-মুখে কখনো দেখা যাইবে না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৯/০৯/২০২৩তৃপ্তিদায়ক
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০৩/০৫/২০১৮চমৎকার এক অভিজ্ঞতার শেয়ার
-
মীর মুহাম্মাদ আলী ০২/০৪/২০১৮সুন্দর অভিজ্ঞতা।