শীতের রিক্ততা
সেই শীতে তার সাথে আমার শেষ কথা
তার পর কত বছর বয়ে চলছি শীতের রিক্ততা
সেদিন আমি শহরে আসি বিদ্যা লাভের আশায়
পথের ধারে এসেছিল সখি জানাতে মোরে বিদায়
অবুঝ বালিকার মত কেঁদেছিল সে আমার দুহাত ধরে
বলেছিল-দেরি করোনা, পড়া শেষে শীঘ্রই এসো ফিরে
মাত্র তো ক’টি বছর, তারপর আবার তোমার কাছে
একটু হেসে বিদায় দাও, নয়তো ট্রেন হারাব পাছে
হাসিল সখি একটু খানেক চোখ মুছে দুই হাতে
কপালে তাহার চুমু দিয়ে পা বাড়ালাম পথে
তারপর যতক্ষণ দেখেছি- সে তাকিয়েছিল মোর পানে
আর বারবার শুধু চোখ মুছছিল আচলখানি টেনে
শহরে এসে এক মাসেও কাটেনি তাহার মায়া
সারা দিন শুধু থাকতাম তার ছবির দিকে চাইয়া
তাকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখতাম বসেবসে
ভাবিনি কভু সেই স্বপ্ন মিথ্যে হবে শেষে
শহরে এসে তিনটে চিঠি লিখেছি প্রথম মাসে
একটিরও কোন উত্তর দিলনা, মন ভাঙল শেষে
তারপর তাকে আরো লিখলাম ডজনখাকে চিঠি
উত্তর না পেয়ে অবশেষে আমি গ্রামেই গেলাম ছুটি
আমাদের বাড়িতে যাবার পথে আগেই ওদের বাড়ি
দেখলাম সেথা রাস্তার পাশে অনেক মোটর গাড়ি
এক লোককে জিজ্ঞাসিলাম এই উৎসবের কারণ
বল্ল সে লোক- খা সাহেবের মেয়ের বিয়ের লগন
পাত্র তাহার বিলেতে থাকে, অনেক পয়সাওয়ালা
পাত্রীকেও নিয়ে যাবে- এই হল ফয়সালা
থমকে গেলাম কথা শুনে বাড়লনা আর পা
লবন লাগল কাটা মনে জলে উঠল ঘা
সেদিন তারে দেখেছিলাম জীবনের শেষ দেখা
পরণে ছিল লাল শাড়ি তার মুখে সুখের রেখা
সেদিন যে দুখ লাগল আমার মনের গহীন দেশে
কুল কিনারা পেলাম না আর জীবনের চারপাশে
হায়রে নিয়তি এই হল তোর নিষ্ঠুর অবিচার
সুখ দিলিনা একটু মোরে দুঃখই বারবার।
তার পর কত বছর বয়ে চলছি শীতের রিক্ততা
সেদিন আমি শহরে আসি বিদ্যা লাভের আশায়
পথের ধারে এসেছিল সখি জানাতে মোরে বিদায়
অবুঝ বালিকার মত কেঁদেছিল সে আমার দুহাত ধরে
বলেছিল-দেরি করোনা, পড়া শেষে শীঘ্রই এসো ফিরে
মাত্র তো ক’টি বছর, তারপর আবার তোমার কাছে
একটু হেসে বিদায় দাও, নয়তো ট্রেন হারাব পাছে
হাসিল সখি একটু খানেক চোখ মুছে দুই হাতে
কপালে তাহার চুমু দিয়ে পা বাড়ালাম পথে
তারপর যতক্ষণ দেখেছি- সে তাকিয়েছিল মোর পানে
আর বারবার শুধু চোখ মুছছিল আচলখানি টেনে
শহরে এসে এক মাসেও কাটেনি তাহার মায়া
সারা দিন শুধু থাকতাম তার ছবির দিকে চাইয়া
তাকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখতাম বসেবসে
ভাবিনি কভু সেই স্বপ্ন মিথ্যে হবে শেষে
শহরে এসে তিনটে চিঠি লিখেছি প্রথম মাসে
একটিরও কোন উত্তর দিলনা, মন ভাঙল শেষে
তারপর তাকে আরো লিখলাম ডজনখাকে চিঠি
উত্তর না পেয়ে অবশেষে আমি গ্রামেই গেলাম ছুটি
আমাদের বাড়িতে যাবার পথে আগেই ওদের বাড়ি
দেখলাম সেথা রাস্তার পাশে অনেক মোটর গাড়ি
এক লোককে জিজ্ঞাসিলাম এই উৎসবের কারণ
বল্ল সে লোক- খা সাহেবের মেয়ের বিয়ের লগন
পাত্র তাহার বিলেতে থাকে, অনেক পয়সাওয়ালা
পাত্রীকেও নিয়ে যাবে- এই হল ফয়সালা
থমকে গেলাম কথা শুনে বাড়লনা আর পা
লবন লাগল কাটা মনে জলে উঠল ঘা
সেদিন তারে দেখেছিলাম জীবনের শেষ দেখা
পরণে ছিল লাল শাড়ি তার মুখে সুখের রেখা
সেদিন যে দুখ লাগল আমার মনের গহীন দেশে
কুল কিনারা পেলাম না আর জীবনের চারপাশে
হায়রে নিয়তি এই হল তোর নিষ্ঠুর অবিচার
সুখ দিলিনা একটু মোরে দুঃখই বারবার।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অনিরুদ্ধ বুলবুল ০৮/১২/২০১৪
ভাল থাকুন ।