কলকাতার রং ফিকে
কলকাতার রং আরও কিছুটা ফিকে হল, চলে গেলেন প্রবীণ চিত্রশিল্পী বলদেব রাজ পানেসর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। পাঞ্জাবের গ্রামে ১৯২৭-এ জন্ম এই মানুষটি ছবি আঁকার প্রেরণা থেকে চিত্রশিল্পী হয়ে ওঠা – সবটাই কলকাতায়। এসেছিলেন স্টাটিস্টিক্স লিয়ে পড়তে আইএসআই-তে, যার প্রধান তখন রবীন্দ্র-স্নেহধন্য প্রশান্তচন্দ্র ও রাণি মহলানবীশ। ছোটবেলা থেকেই কোলাজে ছবি আঁকার ঝোঁক ছিল, কিন্তু কোনও প্রথাগত ছবি আঁকা না শিখেও সেই ঝোঁকটাই বেড়ে গেল মহলানবীশের প্রিয় ছাত্রের। ভারত সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ অফিসার ছিলেন, কিন্তু অবসর বিনোদনের মাধ্যম ছিল ছবি আঁকা।
১৯৭৪ সালে তিনি সোসাইটি অফ কন্টেম্পোরারি আর্টিস্টস এর সদস্য হন। সুনীল দাস, বিকাশ ভট্টাচার্য, গণেশ পাইন প্রমুখও এর সদস্য। পানেসরের ছবিকে প্রোমোট করেন নি কেউ, যা আজকাল হামেশাই হয়ে থাকে। অলে, অত্যন্ত উঁচু মাণের শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর ছবি কখনই সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা হায় নি। তা নিয়ে তাঁর কোনও আক্ষেপ কখনও কেউ শোনেন নি। শেষ দিলে দেবজ্যোতি রায় ও শাকিলার মত তাঁর কিছু গুণগ্রাহী তাঁর শিল্পকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করেন।
পানেসর কখনই বাণিজ্যের তাগিদে ছবি আকেন নি। কখনই আমোদ-প্রমোদে মাতেন নি, এমনকি অতি সাধারণের জীবন অতিবাহিত করেছে। থাকতেন ওয়াইএমসিএ-র একটি সাদামাটা ঘরে, এখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সারা জীবনের যা কিছু রোজগার আর ছবি বেচার যতটুকু অর্থ পেয়েছেন, সব দান করেছেন সমাজসেবামূলক সংস্থাগুলির মাধ্যমে। তারই হাত ধরে ছবি আঁকা শেখেন শাকিলা, যাকে নিয়ে কয়েক বছর আগে কাগজে কাগজে হৈ-চৈ হয়েছিল। তালতলায় রাস্তার পাহে সবজি বেচতেন শাকিলা, আর অসাধারণ ছবি আকতেন। ছবি আঁকার মাধ্যমেই আজ আর্থিক দৈন্যদশা কাটিয়েছেন শাকিলা, যার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান বল্রাজ পানেসরের। তিনি চলে গেলেন নিঃশব্দে।
১৯৭৪ সালে তিনি সোসাইটি অফ কন্টেম্পোরারি আর্টিস্টস এর সদস্য হন। সুনীল দাস, বিকাশ ভট্টাচার্য, গণেশ পাইন প্রমুখও এর সদস্য। পানেসরের ছবিকে প্রোমোট করেন নি কেউ, যা আজকাল হামেশাই হয়ে থাকে। অলে, অত্যন্ত উঁচু মাণের শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর ছবি কখনই সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা হায় নি। তা নিয়ে তাঁর কোনও আক্ষেপ কখনও কেউ শোনেন নি। শেষ দিলে দেবজ্যোতি রায় ও শাকিলার মত তাঁর কিছু গুণগ্রাহী তাঁর শিল্পকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করেন।
পানেসর কখনই বাণিজ্যের তাগিদে ছবি আকেন নি। কখনই আমোদ-প্রমোদে মাতেন নি, এমনকি অতি সাধারণের জীবন অতিবাহিত করেছে। থাকতেন ওয়াইএমসিএ-র একটি সাদামাটা ঘরে, এখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সারা জীবনের যা কিছু রোজগার আর ছবি বেচার যতটুকু অর্থ পেয়েছেন, সব দান করেছেন সমাজসেবামূলক সংস্থাগুলির মাধ্যমে। তারই হাত ধরে ছবি আঁকা শেখেন শাকিলা, যাকে নিয়ে কয়েক বছর আগে কাগজে কাগজে হৈ-চৈ হয়েছিল। তালতলায় রাস্তার পাহে সবজি বেচতেন শাকিলা, আর অসাধারণ ছবি আকতেন। ছবি আঁকার মাধ্যমেই আজ আর্থিক দৈন্যদশা কাটিয়েছেন শাকিলা, যার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান বল্রাজ পানেসরের। তিনি চলে গেলেন নিঃশব্দে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মাসউদুর রহমান খান ০৯/০১/২০১৪
-
আরাফাত মুন্না ০৮/০১/২০১৪
অজানা জানা গেল।
লিজেন্ড নেভার ডাই!