মাঝির সাথে মাঝদরিয়ায়
শঙ্খনদীতে কৃতী হৃদয়ে তরনী বায় অনন্ত মাঝি। বৃষ্টিধোয়া আকাশ নীলে বহুদূর উদার অনুকূলে ভেসে দিগন্তের কিনারে তার নিত্য আসা যাওয়া। মিত্র নদী বিতরণ করে তরঙ্গ সংগীত ঈষৎ বাতাসে। দিনমান আলাপ মুখর ধ্বনি প্রতিধ্বনিতে ক্লান্তির চিহ্ন থাকে না মাঝির চোখে। অমিয় করুনায় মগ্ন হয়ে দিবস যায়, যামিনী যায়। ভবিষ্যতের ভয় মুছে, অতীতের মনস্তাপ কল্লোলে অর্পণ করে ভাবের লেনদেন চলে তার নদীর সাথে। নদী বোঝে তার কাতরতা.. জীবনের টানাপোড়েনের গল্প। নম্র হয়ে বন্ধনে বাঁধে তাই মাঝির জীবন স্রোত। এ এক আশ্চর্য প্রেরণা, নিবিড় আকুলতা। সীমান্ত ছাড়িয়ে অবিরাম বৈঠা বেয়ে দুজনেই দেশান্তরী হয়। স্বাদু জলে ভাসতে ভাসতে অবলীলায় মাঝি রোজনামচার অধ্যায় খোলে। হৃদয়ের যাবতীয় পূর্ণতা ও শূন্যতার আগল ভাঙে নদীর বুকে। অনিবার্য স্রোত তাকে রকমারি সান্ত্বনা দেয়। অবসাদে দেয় প্রলেপ উল্লাসে দেয় প্রসারিত মায়া। এই জলেই তার জয় পরাজয়, ভাব ভালবাসা... মানুষ জন্মের অহংকার।
স্রোতস্বিনীর তীর ছুঁয়ে যখন অমিতাভ সূর্য আড়মোড়া ভাঙে তখন এই দৈব মুহূর্ত মাঝি ও নদীকে অনুরোধ জানায় একটি গান শোনাতে। উজ্জ্বল স্রোত হেলেদুলে আয়োজন করে সংগীত মাধুরী। আবেগ রটে মাঝির সুরে ।প্লাবিত আলোয় তাল মিলিয়ে সহজ উৎসাহে সুদূরের দেশে হারিয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। স্তব্ধ চরাচরের শ্যামল কূল আনন্দ সুরে সোনালী আলোয় নিত্য বিগলিত ।প্রভাতের প্রথম আলোর উল্লাস নয়ন জুড়িয়ে উপভোগ করে মাঝি। বিধাতা এই সৌভাগ্য নিয়ত প্রদান করেছেন সস্নেহে তাকে। এ কি ক্ষুদ্র অহমিকা! জলরাশি তার আপন স্বদেশ.. তার স্বপ্নলোকের বিচরনস্থল.. তার রূঢ় বাস্তবের ক্লান্ত পৃথিবী।
খেয়া পারাপার অনন্ত মাঝির কুলক্রমিক জীবিকা। নদীর কাছে তার অশেষ কৃতজ্ঞতা দিনরাত্রি। এই কল্লোলিত মায়াস্রোত বীনে অপূর্ণ তার জীবন। এই ভালবাসার সাথে কোন কিছুই তুলনীয় নয়। নদী বেয়ে দিবারাত্রির যাতায়াতে তার জীবন পাত্রে সঞ্চিত হয় দিন যাপনের সম্বল, প্রত্যহের প্রয়োজনের রসদ।
নদীর সাথে এমনি চলে মাঝির দিন গুজরান। নদী তার জীবনে আনন্দের আলো, শীতল আশীর্বাদ, প্রবাহিত ভালবাসা। আর কিছু নয়, এই যে সর্বদা সঙ্গী হয়েছে প্রশান্তি স্রোত, অতুলনীয় তটরেখা, উতরোল স্পন্দন যা এড়িয়ে যায় না তাকে নিরানন্দ কুয়াশায়... সেই যথেষ্ট। সেই সান্ত্বনার চিরন্তন প্রতিশ্রুতি পেয়েছে মাঝির হৃৎপিন্ড নদীর কাছে। মনের মাঝে সাড়া পেয়ে তার আবেগ আঁখিজলে চিকচিকে সুখ তাই মুচকি হাসে। শান্তি আসে নেমে। শ্রমের গৌরবে গোটা জীবনময় মেলে এক পাগলপারা আন্তরিকতা বহতা নদীর কাছে।
স্রোতস্বিনীর তীর ছুঁয়ে যখন অমিতাভ সূর্য আড়মোড়া ভাঙে তখন এই দৈব মুহূর্ত মাঝি ও নদীকে অনুরোধ জানায় একটি গান শোনাতে। উজ্জ্বল স্রোত হেলেদুলে আয়োজন করে সংগীত মাধুরী। আবেগ রটে মাঝির সুরে ।প্লাবিত আলোয় তাল মিলিয়ে সহজ উৎসাহে সুদূরের দেশে হারিয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। স্তব্ধ চরাচরের শ্যামল কূল আনন্দ সুরে সোনালী আলোয় নিত্য বিগলিত ।প্রভাতের প্রথম আলোর উল্লাস নয়ন জুড়িয়ে উপভোগ করে মাঝি। বিধাতা এই সৌভাগ্য নিয়ত প্রদান করেছেন সস্নেহে তাকে। এ কি ক্ষুদ্র অহমিকা! জলরাশি তার আপন স্বদেশ.. তার স্বপ্নলোকের বিচরনস্থল.. তার রূঢ় বাস্তবের ক্লান্ত পৃথিবী।
খেয়া পারাপার অনন্ত মাঝির কুলক্রমিক জীবিকা। নদীর কাছে তার অশেষ কৃতজ্ঞতা দিনরাত্রি। এই কল্লোলিত মায়াস্রোত বীনে অপূর্ণ তার জীবন। এই ভালবাসার সাথে কোন কিছুই তুলনীয় নয়। নদী বেয়ে দিবারাত্রির যাতায়াতে তার জীবন পাত্রে সঞ্চিত হয় দিন যাপনের সম্বল, প্রত্যহের প্রয়োজনের রসদ।
নদীর সাথে এমনি চলে মাঝির দিন গুজরান। নদী তার জীবনে আনন্দের আলো, শীতল আশীর্বাদ, প্রবাহিত ভালবাসা। আর কিছু নয়, এই যে সর্বদা সঙ্গী হয়েছে প্রশান্তি স্রোত, অতুলনীয় তটরেখা, উতরোল স্পন্দন যা এড়িয়ে যায় না তাকে নিরানন্দ কুয়াশায়... সেই যথেষ্ট। সেই সান্ত্বনার চিরন্তন প্রতিশ্রুতি পেয়েছে মাঝির হৃৎপিন্ড নদীর কাছে। মনের মাঝে সাড়া পেয়ে তার আবেগ আঁখিজলে চিকচিকে সুখ তাই মুচকি হাসে। শান্তি আসে নেমে। শ্রমের গৌরবে গোটা জীবনময় মেলে এক পাগলপারা আন্তরিকতা বহতা নদীর কাছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৮/০৮/২০১৮ভালো লাগলো। এটি প্রবন্ধশাখায় পোস্ট করতে পারেন।
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৮/০৮/২০১৮বাহ! চমৎকার।