রসগোল্লা রসে রসে মুখ মিঠা
রসগোল্লা , রসে রসে মুখ মিঠা
আমি যখন ছোট ছিলাম। আমাদের বাজারে একজন ময়রা ছিলো। সে প্রতি হাটবাজার এর দিন আসতো। আর একটা কাঠাল গাছের নিছে দোকান নিয়ে বসতো। আর রসগোল্লা বিক্রি করতো। তার রসগোল্লা ছিলো খাটি বাংলার রসগোল্লা । আমি বড় হওয়ার পর এতো জেলা ঘুরেছি, ওই রসগোল্লার মতো রসগোল্লা কোথাও দেখিনি । সেই রসগোল্লা ছিলো রসে রসে ভরপুর। মানে রসগোল্লা নামের পূর্ণ সম্মান ইজ্জত রাখে এমন রসগোল্লা।
কি বলবো এখন তো মিষ্টির দোকানে যে রসগোল্লা বিক্রি করে। তাতে নামে মাত্র রস থাকে। আর গোল্লাতে আটা ময়দা থাকে বেশি ।
কিছু দোকানে গোল্লার ভিতরে কাচা আটার বল পাওয়া যায়।
আমাদের গ্রামের সেই চাচার রসগোল্লা ছিলো, রসগোল্লা গল্পের -সৈয়দ মুজতবা আলীর বর্ণনা করা রসগোল্লার মতোই রসে ভরা। মানে মুখে দিলে সেটা অনুভব করা যেতো। অর্থাৎ যে রসগোল্লা খেয়ে ফরাসি জার্মানি ইতালির স্প্যানিয়ার্ডদের মন রসে ভরে গিয়েছিল, আর সবাই বলেছিল বাহ বাহ। । এটা ছিলো সেই রসগোল্লা ।
ইতালির প্রখ্যাত কবি ফিলিকাজা গেয়েছেন,
‘ইতালি, ইতালি, এত রূপ তুমি কেন ধরেছিলে, হায়!
অনন্ত ক্লেশ লেখা ও-ললাটে নিরাশার কালিমায়।’
আমিও তার স্মরণে গাইলুম,
রসের গোলক, এত রস তুমি কেন ধরেছিলে হায়!
ইতালির দেশ ধর্ম ভুলিয়া লুটাইল তব পায়!! ( রসগোল্লা-সৈয়দ মুজতবা আলী))
রসগোল্লাতে এত রস ছিলো যে, একটা রসগোল্লা খেলেও ২০০ গ্রাম রস /সিরা পাওয়া যেতো। গোল্লা গুলো সিরায় সাতার কাটতো ।
এই হল রসগোল্লা। নামের সাথে সাথে রসেও ভরপুর । নামেও রস হাড়িতেও রস / সিরা ।
বাংলা সাহিত্যেও এই রসগোল্লাকে নিয়ে রচিত হয়েছে সরেস সাহিত্যকর্ম। বিশিষ্ট রম্য সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচনা করেছেন বিখ্যাত রম্যগল্প "রসগোল্লা" যা ইউরোপের বহু দেশে সমাদৃত হয়েছে।
রসগোল্লার আবিষ্কারক কে, কখন ও কোথায় এর আবিষ্কার হয়েছিল- এসব নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। সবচেয়ে প্রচলিত মত হলো- কলকাতার সাবেক চিনি ব্যবসায়ী নবীন চন্দ্র দাস রসগোল্লার আবিষ্কারক। তার পঞ্চম প্রজন্মের উত্তরসূরি ধীমান দাসের মতে, রসগোল্লার আবিষ্কার নিয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই।
রসগোল্লা আবিষ্কারক হিসেবে কলকাতায় যে নবীন চন্দ্রের কথা বলা হয়, তিনি বরিশাল অঞ্চলের লোক। এক সময় তিনি পটুয়াখালীর কাছেই থাকতেন। তার হাত ধরে শিল্পটি সেখানে (কলকাতায়) যেতে পারে। ( পেপার হতে , ইন্টারনেট, ও অন্যান্য তথ্য কোষ)
আমি যখন ছোট ছিলাম। আমাদের বাজারে একজন ময়রা ছিলো। সে প্রতি হাটবাজার এর দিন আসতো। আর একটা কাঠাল গাছের নিছে দোকান নিয়ে বসতো। আর রসগোল্লা বিক্রি করতো। তার রসগোল্লা ছিলো খাটি বাংলার রসগোল্লা । আমি বড় হওয়ার পর এতো জেলা ঘুরেছি, ওই রসগোল্লার মতো রসগোল্লা কোথাও দেখিনি । সেই রসগোল্লা ছিলো রসে রসে ভরপুর। মানে রসগোল্লা নামের পূর্ণ সম্মান ইজ্জত রাখে এমন রসগোল্লা।
কি বলবো এখন তো মিষ্টির দোকানে যে রসগোল্লা বিক্রি করে। তাতে নামে মাত্র রস থাকে। আর গোল্লাতে আটা ময়দা থাকে বেশি ।
কিছু দোকানে গোল্লার ভিতরে কাচা আটার বল পাওয়া যায়।
আমাদের গ্রামের সেই চাচার রসগোল্লা ছিলো, রসগোল্লা গল্পের -সৈয়দ মুজতবা আলীর বর্ণনা করা রসগোল্লার মতোই রসে ভরা। মানে মুখে দিলে সেটা অনুভব করা যেতো। অর্থাৎ যে রসগোল্লা খেয়ে ফরাসি জার্মানি ইতালির স্প্যানিয়ার্ডদের মন রসে ভরে গিয়েছিল, আর সবাই বলেছিল বাহ বাহ। । এটা ছিলো সেই রসগোল্লা ।
ইতালির প্রখ্যাত কবি ফিলিকাজা গেয়েছেন,
‘ইতালি, ইতালি, এত রূপ তুমি কেন ধরেছিলে, হায়!
অনন্ত ক্লেশ লেখা ও-ললাটে নিরাশার কালিমায়।’
আমিও তার স্মরণে গাইলুম,
রসের গোলক, এত রস তুমি কেন ধরেছিলে হায়!
ইতালির দেশ ধর্ম ভুলিয়া লুটাইল তব পায়!! ( রসগোল্লা-সৈয়দ মুজতবা আলী))
রসগোল্লাতে এত রস ছিলো যে, একটা রসগোল্লা খেলেও ২০০ গ্রাম রস /সিরা পাওয়া যেতো। গোল্লা গুলো সিরায় সাতার কাটতো ।
এই হল রসগোল্লা। নামের সাথে সাথে রসেও ভরপুর । নামেও রস হাড়িতেও রস / সিরা ।
বাংলা সাহিত্যেও এই রসগোল্লাকে নিয়ে রচিত হয়েছে সরেস সাহিত্যকর্ম। বিশিষ্ট রম্য সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচনা করেছেন বিখ্যাত রম্যগল্প "রসগোল্লা" যা ইউরোপের বহু দেশে সমাদৃত হয়েছে।
রসগোল্লার আবিষ্কারক কে, কখন ও কোথায় এর আবিষ্কার হয়েছিল- এসব নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। সবচেয়ে প্রচলিত মত হলো- কলকাতার সাবেক চিনি ব্যবসায়ী নবীন চন্দ্র দাস রসগোল্লার আবিষ্কারক। তার পঞ্চম প্রজন্মের উত্তরসূরি ধীমান দাসের মতে, রসগোল্লার আবিষ্কার নিয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই।
রসগোল্লা আবিষ্কারক হিসেবে কলকাতায় যে নবীন চন্দ্রের কথা বলা হয়, তিনি বরিশাল অঞ্চলের লোক। এক সময় তিনি পটুয়াখালীর কাছেই থাকতেন। তার হাত ধরে শিল্পটি সেখানে (কলকাতায়) যেতে পারে। ( পেপার হতে , ইন্টারনেট, ও অন্যান্য তথ্য কোষ)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
হাসান ইবনে নজরুল ১০/১১/২০১৯সৈয়দ মুজতবা আলীর 'রসগোল্লা' পড়েছি। রসগোল্লা নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতাও ভাল। আমারো মনে পড়ে ছোট বেলায় ওমন রসগোল্লা খেয়েছি সাথে ছিল... বনরুটি/পাওরুটি।
-
সেলিম রেজা সাগর ৩১/১০/২০১৯অসাধারণ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৫/১০/২০১৯বাহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৪/১০/২০১৯ভালো লাগলো।