তোতাপাখির ন্যায় অভিনয় করে মানুষকে কি বুঝাতে চান
তোতা পাখি কথা শুনে কথা বলে । সেই কথায় বলে যেটা তার সামনে বলিবেন। একবার এক ভিডিও দেখেছিলাম তোতা গান গাইছে। সত্য মিথ্যা কিনা সেটা বড় কথা না। কথা হল, তোতা পাখির নিজস্ব কোন বিবেচনা নাই। বিচার করার ক্ষমতা নাই।
আগে ভাবতাম মানুষ জাতি শিক্ষিত হলে নিজের বিবেচনা জ্ঞান থাকে। সে সত্য খুঁজে। দুই পক্ষের মাঝে বিচার করতে দিলে। সে সত্য জেনে বিচার করে। সে বিবেচনা করে। আহরণ করে জ্ঞান, বিজ্ঞান, সত্য মিথ্যার ভিতরে লুকিয়ে থাকা সত্য।
কিন্তু এখন দেখছি, কিছু মানুষ হাজারো সার্টিফিকেট অর্জন করে। তবে তার মানসিকতা সেই তোতা পাখির মতোই। সে বাপ দাদা র শিক্ষার উপর ই নিজের বিচার বিবেচনা চালায়। না জেনে ই ফলাফল ঘোষণা করে দেয় ।
একদিন ক এর দাদা বলে গিয়েছিলো, উত্তর বাড়ি (খ) খুব খারাপ ব্যক্তি। এর পর থেকে সে ওই বাড়ির সবাইকে শত্রু ভাবা শুরু করেছে। এক বারের জন্যে ও তাদের সাথে কথা বলে দেখেনি। (খ) ও মারা গেলো, তার পরবর্তী প্রজন্ম এখন ওই বাড়িতে থাকে। (ক) এখনো তাদের মূর্খ আর খারাপ হিসেবেই জানে । একদিন ক রাস্তায় দুর্ঘটনার শিকার হল। খ এর নাতি জনাব ঘ (ক)কে হাসপাতালে নিয়ে গেলো। আর অপারেশন করার সময় ক কে রক্ত রক্ত দান করে । ক সুস্থ হয়। সে জানতে পারে ওই শত্রু বাড়ির ছেলেটি তাকে রক্ত দান করে নতুন জীবন দিয়েছে। আর ছেলেটি অনেক ভালো মনের। এখন ক সাহেবের মনের ভুল চলে গেলো। সে বুঝতে পারল, তার পুরোনো সেই ভাবনা ঠিক না। তার জানার দরকার ছিলো , সত্য কি, এটা জানার দরকার ছিলো। কিন্তু সে তা করেনি। ভালো মানুষ গুলোকে এতোদিন খারাপ ভেবে এসেছে।
উপরে বর্ণনা করা কাহিনী টি সত্য না। কিন্তু বাস্তবে এমন হলে ভালো হতো। আমাদের সমাজে এখনো সাম্প্রদায়িক যে মারামারি গুলো হয় ঠিক এমন ই। কোন আমলে কি হয়েছিল , সেই কথা বারবার মনে করিয়ে শত্রুতা বাড়িয়ে তোলা হয়। তারপর মারামারি, কাটাকাটি।
আরে তোর দাদা রে ক দলের নেতা কুপিয়ে মেরেছিল রে। এখন তোরা ক্ষমতায়, ক দলকে ছেড়ে দিবি? ওদের গুষ্টি র নামে মামলা কর । ওদের বাড়িতে হামলা কর। যাহ, আহ কোন কথা নাই। ১০ বছর আগে দাদা হামলা করেছিলো। এখন সে নাতি কে হামলা করবে ।
তাহলে এই শিক্ষা গ্রহণ করে লাভ টা কি? কেন আমাদের বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট দেয়া হয়। এসবের কি দরকার? যদি মানুষের প্রাণে মনে মগজে শিক্ষা নামক ঘ্রাণ টা নাই প্রবেশ করে।
তোমার দাদাকে উমুকের দাদা আক্রমণ করেছে এই জন্য তাদের গোষ্ঠী র ঘুম হারাম করে দিলে। তাহলে একটা বন্য হায়েনার চাইতে তুমি কম কিসে? তাহলে তুমি নিজেকে শিক্ষিত দাবি কর কেন?
এটা তো গেল আক্রমণের কথা। এখন আসি জ্ঞানী লেখক দের বিষয়ে । তারা তাদের লেখাতেও তাদের অন্ধ বিশ্বাস কে পুঁজি করে লিখে। কিছু লেখক আছে, তারা যাকে শত্রু ভাবে, সেই জাতিকে এমন ব্যাখ্যা দেয়। পরবর্তী দশ যুগ পর্যন্ত যেন লোকেরা ওই জাতিকে কুকুর ই ভাবে৷ সেই রকম শক্ত পোক্ত কাহিনী তারা লিখে যাবে। একবারো ভাবে না, আরে এই জাতির পরবর্তী জামানার লোকেরা তো ভালো ও থাকতে পারে।
না তার যেটা বিশ্বাস সেটা সে ছেড়ে যাবেই। আর জাতি তে জাতি তে বিভেদ লাগিয়ে দিয়ে যাবে । কিছু লোক ইদানীং দেখি আমাদের বাংলাদেশের মানুষ দের নিয়ে খুব আজগুবি বর্ণনা দেয়। সুযোগ পেলেই অপমান করে যাতা লিখে ।
দুনিয়াকে দেখাতে চায় তারা আমরা ইচ্ছা করলেও মানুষ হতে পারবোনা। আমাদের সেই অধিকার ই নাই। আমাদের জাতির মানুষ হয়েও তারা আমাদের অপমান করে নানান শব্দ ব্যবহার করে।
এক লেখিকা লিখেছেন, বাঙালি নোবেল পেলেই তারা মহান হয়ে যাবে? মানে আমরা যতো বড় কিছুই করি না কেন, আমরা মানুষের কাতারে যাই না। তার মতামত এইটা। আজব মানুষ সে, আমাদের প্রতি তার কেমন হিংস্র আক্রমণ, তার লেখা দেখলেই বুঝা যায় ।
কিছু লোক আছে, খুব সুন্দর করে জাতি কে বিভক্ত করে দেয়। আর মানুষের মনে স্থায়ী হিংসা ঘৃণার বীজ রোপণ করে দেয়। তারাও লেখক। আজব তারা তোতা পাখির মতোই।
আমার মতামত এইটাই আপনি যদি বিখ্যাত কেউ হয়ে যান। জাতিতে জাতিতে বিভেদ কইরেন না। এইটা করে অনেকে বিখ্যাত হয়েছেন। তবে কোন মানুষের ভালো উপকার তিনি করে যাননি ।
মানুষের মাঝে বিচার করার আগে দুই পক্ষের কথা মনোযোগ দিয়ে দেখুন শুনে নিন । তারপর বিচার করুন, কে অপরাধী।
যদি কোন জাতির বিষয়ে বিচার বা মন্তব্য করার প্রয়োজন আসে, তাহলে সবার কথা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করুন। আপনি কি বিশ্বাস করেন সেটা দিয়ে বিচার করবেন না। আপনার পিতা সেই জাতি সম্পর্কে কি বলেছিল , আপনার দাদা সেই জাতি সম্পর্কে কি বলেছিল সেটাই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না।
আপনার সিদ্ধান্ত টাও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না। আপনার বিচার টা সেখানে চুড়ান্ত হবে এটা ভাবার কিছু নাই । তাই এমন কিছু বলবেন না যাতে দুই জাতিতে জাতিতে শত্রুতা গড়ে উঠে । জেনে বুঝে কথা বলুন । মুখের কথা আর কলমের লেখা ফিরিয়ে নেয়া যায়না । তাই লেখার আগে ভেবে লিখবেন, হাজার মানুষের সামনে কথা বলার আগে ভেবে কথা বলুন । মনে রাখবেন আপনি মানুষ, তোতা পাখি না, ময়না পাখি না।
কিছু মানুষের বিবেচনা বিচার ওই প্রেমিকার মতো, ১,২ জন ছেলের কাছে ধোঁকা খেয়ে সে এলাকায় ঢোল পিটিয়ে বলে, সব ছেলেরা খারাপ। সব ছেলেরা নারীদের নোংরা নজরে দেখে। এদের কাজ ই এমন। এদের বয়কট কর সবাই। আসো আমরা ছেলেদের বিয়ে না করে এদের কে ছ্যাঁকা দেই। তার মুখ দিয়ে এই কথা বারবার বের হয়, সব ছেলে এক।
আর ওই প্রেমিকের মতো
যে বলে সব মেয়ে এক। সব মেয়ে চরিত্রহীনা, । আজব কথা না? তারা ১, ২ জনকে দেখেই নারী পুরুষ জাতিকেই খারাপ ঘোষণা করে। তাহলে তারা কোন জাতিতে? হিজরা নাকি?
তাই আমার প্রিয় গান হল এইটা।
গুরু গো... গুরু গো...
বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা
বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা
আর এক কানা মন আমার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা
বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা
আর এক কানা মন আমার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
এক কানা কয় আর এক কানারে
চল এবার ভবপারে
এক কানা কয় আর এক কানারে
চল এবার ভবপারে
নিজে কানা পথ চেনে না
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বারে বার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
পণ্ডিত কানা অহংকারে
মাতবর কানা চোগলখোরে
পণ্ডিত কানা অহংকারে
সাধু কানা অন বিচারে
আন্দাজে এক খুঁটি গাড়ে
আন্দাজে এক খুঁটি গাড়ে
জানেনা সীমানা কার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
কানায় কানায় উলামিলা
বোবাতে খায় রসগোল্লা গো
হায় হায়, বোবাতে খায় রসগোল্লা গো
তেমনি লালন মদনা কানা
তেমনি লালন মদনা কানা
ঘুমের ঘোরে দেয় বাহার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা
বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা
আর এক কানা মন আমার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার। ( লালন শাই) লালন গীতিকা)))
আগে ভাবতাম মানুষ জাতি শিক্ষিত হলে নিজের বিবেচনা জ্ঞান থাকে। সে সত্য খুঁজে। দুই পক্ষের মাঝে বিচার করতে দিলে। সে সত্য জেনে বিচার করে। সে বিবেচনা করে। আহরণ করে জ্ঞান, বিজ্ঞান, সত্য মিথ্যার ভিতরে লুকিয়ে থাকা সত্য।
কিন্তু এখন দেখছি, কিছু মানুষ হাজারো সার্টিফিকেট অর্জন করে। তবে তার মানসিকতা সেই তোতা পাখির মতোই। সে বাপ দাদা র শিক্ষার উপর ই নিজের বিচার বিবেচনা চালায়। না জেনে ই ফলাফল ঘোষণা করে দেয় ।
একদিন ক এর দাদা বলে গিয়েছিলো, উত্তর বাড়ি (খ) খুব খারাপ ব্যক্তি। এর পর থেকে সে ওই বাড়ির সবাইকে শত্রু ভাবা শুরু করেছে। এক বারের জন্যে ও তাদের সাথে কথা বলে দেখেনি। (খ) ও মারা গেলো, তার পরবর্তী প্রজন্ম এখন ওই বাড়িতে থাকে। (ক) এখনো তাদের মূর্খ আর খারাপ হিসেবেই জানে । একদিন ক রাস্তায় দুর্ঘটনার শিকার হল। খ এর নাতি জনাব ঘ (ক)কে হাসপাতালে নিয়ে গেলো। আর অপারেশন করার সময় ক কে রক্ত রক্ত দান করে । ক সুস্থ হয়। সে জানতে পারে ওই শত্রু বাড়ির ছেলেটি তাকে রক্ত দান করে নতুন জীবন দিয়েছে। আর ছেলেটি অনেক ভালো মনের। এখন ক সাহেবের মনের ভুল চলে গেলো। সে বুঝতে পারল, তার পুরোনো সেই ভাবনা ঠিক না। তার জানার দরকার ছিলো , সত্য কি, এটা জানার দরকার ছিলো। কিন্তু সে তা করেনি। ভালো মানুষ গুলোকে এতোদিন খারাপ ভেবে এসেছে।
উপরে বর্ণনা করা কাহিনী টি সত্য না। কিন্তু বাস্তবে এমন হলে ভালো হতো। আমাদের সমাজে এখনো সাম্প্রদায়িক যে মারামারি গুলো হয় ঠিক এমন ই। কোন আমলে কি হয়েছিল , সেই কথা বারবার মনে করিয়ে শত্রুতা বাড়িয়ে তোলা হয়। তারপর মারামারি, কাটাকাটি।
আরে তোর দাদা রে ক দলের নেতা কুপিয়ে মেরেছিল রে। এখন তোরা ক্ষমতায়, ক দলকে ছেড়ে দিবি? ওদের গুষ্টি র নামে মামলা কর । ওদের বাড়িতে হামলা কর। যাহ, আহ কোন কথা নাই। ১০ বছর আগে দাদা হামলা করেছিলো। এখন সে নাতি কে হামলা করবে ।
তাহলে এই শিক্ষা গ্রহণ করে লাভ টা কি? কেন আমাদের বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট দেয়া হয়। এসবের কি দরকার? যদি মানুষের প্রাণে মনে মগজে শিক্ষা নামক ঘ্রাণ টা নাই প্রবেশ করে।
তোমার দাদাকে উমুকের দাদা আক্রমণ করেছে এই জন্য তাদের গোষ্ঠী র ঘুম হারাম করে দিলে। তাহলে একটা বন্য হায়েনার চাইতে তুমি কম কিসে? তাহলে তুমি নিজেকে শিক্ষিত দাবি কর কেন?
এটা তো গেল আক্রমণের কথা। এখন আসি জ্ঞানী লেখক দের বিষয়ে । তারা তাদের লেখাতেও তাদের অন্ধ বিশ্বাস কে পুঁজি করে লিখে। কিছু লেখক আছে, তারা যাকে শত্রু ভাবে, সেই জাতিকে এমন ব্যাখ্যা দেয়। পরবর্তী দশ যুগ পর্যন্ত যেন লোকেরা ওই জাতিকে কুকুর ই ভাবে৷ সেই রকম শক্ত পোক্ত কাহিনী তারা লিখে যাবে। একবারো ভাবে না, আরে এই জাতির পরবর্তী জামানার লোকেরা তো ভালো ও থাকতে পারে।
না তার যেটা বিশ্বাস সেটা সে ছেড়ে যাবেই। আর জাতি তে জাতি তে বিভেদ লাগিয়ে দিয়ে যাবে । কিছু লোক ইদানীং দেখি আমাদের বাংলাদেশের মানুষ দের নিয়ে খুব আজগুবি বর্ণনা দেয়। সুযোগ পেলেই অপমান করে যাতা লিখে ।
দুনিয়াকে দেখাতে চায় তারা আমরা ইচ্ছা করলেও মানুষ হতে পারবোনা। আমাদের সেই অধিকার ই নাই। আমাদের জাতির মানুষ হয়েও তারা আমাদের অপমান করে নানান শব্দ ব্যবহার করে।
এক লেখিকা লিখেছেন, বাঙালি নোবেল পেলেই তারা মহান হয়ে যাবে? মানে আমরা যতো বড় কিছুই করি না কেন, আমরা মানুষের কাতারে যাই না। তার মতামত এইটা। আজব মানুষ সে, আমাদের প্রতি তার কেমন হিংস্র আক্রমণ, তার লেখা দেখলেই বুঝা যায় ।
কিছু লোক আছে, খুব সুন্দর করে জাতি কে বিভক্ত করে দেয়। আর মানুষের মনে স্থায়ী হিংসা ঘৃণার বীজ রোপণ করে দেয়। তারাও লেখক। আজব তারা তোতা পাখির মতোই।
আমার মতামত এইটাই আপনি যদি বিখ্যাত কেউ হয়ে যান। জাতিতে জাতিতে বিভেদ কইরেন না। এইটা করে অনেকে বিখ্যাত হয়েছেন। তবে কোন মানুষের ভালো উপকার তিনি করে যাননি ।
মানুষের মাঝে বিচার করার আগে দুই পক্ষের কথা মনোযোগ দিয়ে দেখুন শুনে নিন । তারপর বিচার করুন, কে অপরাধী।
যদি কোন জাতির বিষয়ে বিচার বা মন্তব্য করার প্রয়োজন আসে, তাহলে সবার কথা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করুন। আপনি কি বিশ্বাস করেন সেটা দিয়ে বিচার করবেন না। আপনার পিতা সেই জাতি সম্পর্কে কি বলেছিল , আপনার দাদা সেই জাতি সম্পর্কে কি বলেছিল সেটাই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না।
আপনার সিদ্ধান্ত টাও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না। আপনার বিচার টা সেখানে চুড়ান্ত হবে এটা ভাবার কিছু নাই । তাই এমন কিছু বলবেন না যাতে দুই জাতিতে জাতিতে শত্রুতা গড়ে উঠে । জেনে বুঝে কথা বলুন । মুখের কথা আর কলমের লেখা ফিরিয়ে নেয়া যায়না । তাই লেখার আগে ভেবে লিখবেন, হাজার মানুষের সামনে কথা বলার আগে ভেবে কথা বলুন । মনে রাখবেন আপনি মানুষ, তোতা পাখি না, ময়না পাখি না।
কিছু মানুষের বিবেচনা বিচার ওই প্রেমিকার মতো, ১,২ জন ছেলের কাছে ধোঁকা খেয়ে সে এলাকায় ঢোল পিটিয়ে বলে, সব ছেলেরা খারাপ। সব ছেলেরা নারীদের নোংরা নজরে দেখে। এদের কাজ ই এমন। এদের বয়কট কর সবাই। আসো আমরা ছেলেদের বিয়ে না করে এদের কে ছ্যাঁকা দেই। তার মুখ দিয়ে এই কথা বারবার বের হয়, সব ছেলে এক।
আর ওই প্রেমিকের মতো
যে বলে সব মেয়ে এক। সব মেয়ে চরিত্রহীনা, । আজব কথা না? তারা ১, ২ জনকে দেখেই নারী পুরুষ জাতিকেই খারাপ ঘোষণা করে। তাহলে তারা কোন জাতিতে? হিজরা নাকি?
তাই আমার প্রিয় গান হল এইটা।
গুরু গো... গুরু গো...
বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা
বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা
আর এক কানা মন আমার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা
বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা
আর এক কানা মন আমার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
এক কানা কয় আর এক কানারে
চল এবার ভবপারে
এক কানা কয় আর এক কানারে
চল এবার ভবপারে
নিজে কানা পথ চেনে না
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বারে বার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
পণ্ডিত কানা অহংকারে
মাতবর কানা চোগলখোরে
পণ্ডিত কানা অহংকারে
সাধু কানা অন বিচারে
আন্দাজে এক খুঁটি গাড়ে
আন্দাজে এক খুঁটি গাড়ে
জানেনা সীমানা কার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
কানায় কানায় উলামিলা
বোবাতে খায় রসগোল্লা গো
হায় হায়, বোবাতে খায় রসগোল্লা গো
তেমনি লালন মদনা কানা
তেমনি লালন মদনা কানা
ঘুমের ঘোরে দেয় বাহার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা
বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা
আর এক কানা মন আমার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার।
এসব দেখি কানার হাট বাজার। ( লালন শাই) লালন গীতিকা)))
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নাসরীন আক্তার রুবি ৩০/১১/২০১৯বেশ লিখেছেন
-
এইচ আর মুন্না ২৬/১০/২০১৯এই সময়ের সকলের উচিৎ এই প্রবন্ধটা পড়া
শুভেচ্ছা রইল -
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৩/১০/২০১৯অসাম
-
জাহিরুল মিলন ২৩/১০/২০১৯ভাল। এগিয়ে যেতে হবে
-
আব্দুল হক ২২/১০/২০১৯সুন্দর লিখা!
-
মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন ২২/১০/২০১৯এসব দেখি কানার হাট বাজার
বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা
আর এক কানা মন আমার।।
পণ্ডিত কানা অহংকারে
মাতবর কানা চোগলখোরে।
সাধু কানা অন বিচারে
আন্দাজে এক খুঁটি গেড়ে,
চেনে না সীমানা কার।।
এক কানা কয় আর এক কানারে
চল এবার ভবপারে।
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বারে বার।।
কানায় কানায় উলামিলা
বোবাতে খায় রসগোল্লা।
লালন তেমনি মদনা কানা
ঘুমের ঘোরে দেয় বাহার।।