বাঙালী জাতির হাস্য রস ও সৈয়দ মুজতবা আলীর রসগোল্লা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্টানে রাষ্ট্রপতি এমন মজা করেন আজ নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন ভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্টানে তিনি মজা করেছেন।আসলে তিনি আমাদের কলেজে এসেছিলেন তখন ঠিক এমন ই কিছু মজার কথা বলেছিলেন।এটা যাই হোক কেউ এটা নিয়ে সমালোচনা করেছে, আবার এটা নিয়ে কেউ বলেছে তিনি আসলে এমন ই।সহজ সরল আর একটু মজা করে কথা বলতে চায়। আসলে তিনি একা নন পুরো বাঙালী জাতিই এমন হাস্য রস করে।
আমি অনুষ্ঠান টি দেখার সময় তাই সৈয়দ মুজতবা আলীর রসগোল্লা রম্য রচনার কথা মনে পড়ে গেলো। ঝান্ডুদা নামে চরিত্র, সে নামে ইতালির ভেনিস বন্দরে জাহাজ থেকে। চুঙ্গিঘরের যাবতীয় প্রশ্নের সদুত্তর দিয়ে শেষটায় লিখেছেন, এক টিন ভ্যাকুয়াম প্যাক্ড মিষ্টান্ন। মূল্য দশ টাকা। চুঙ্গিওলা তাকে শুধালে ওই টিনটার ভিতরে কি?- সুইটস ।ওটা খুলুন ।
ঝান্ডুদা মরিয়া হয়ে কাতর নয়নে বললেন, ‘ব্রাদার, এ টিনটা আমি নিয়ে যাচ্ছি আমার এক বন্ধুর মেয়ের জন্যে লন্ডনে, এটা খুললে সর্বনাশ হয়ে যাবে।ঝান্ডুদা যতোই বলছেন খুলবেনা ততোই তাকে হুকুম দিচ্ছে খুলুন।অবশেষে ঝান্ডুদা টিন কাটলেন।কী আর বেরুবে? বেরুল রসগোল্লা। কাঁটাচামচের তোয়াক্কা না করে রসগোল্লা হাত দিয়ে তুলে প্রথমেই বিতরন করলেন বাঙ্গালিদের। তারপর যাবতীয় ভারতীয়দের, তারপর সবাইকে অর্থাৎ ফরাসি, জার্মান, ইতালীয়, এবং স্পাইনিয়ার্ডদের।সেইখানে ঝান্ডুদা করে ফেললেন এক কান্ড চুঙ্গিওলার মুখে লেপটে দিলেন এক রসগোল্লা। যাই হোক সে গল্প সবার জানা। আর ‘রসগোল্লা’ রম্য রচনা পড়ে কে না হেসেছে? রসগোল্লার পাঠকরা নির্দ্বিধায় তা স্বীকার করবেন। চমৎকার এক রম্যকাহিনী রসগোল্লা।ঝান্ডুদা, গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র।সৈয়দ মুজতবা আলী রম্য রচনায় বাংলা সাহিত্যে প্রবাদপুরুষ। এ ছাড়া তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও অনুবাদক।তিনি তার ভ্রমণকাহিনীগুলির জন্যও বিশেষভাবে জনপ্রিয়। বহুভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলীর রচনা একই সঙ্গে পাণ্ডিত্য এবং রম্যবোধে পরিপুষ্ট। তাই আমরা বুঝতে পারি যে আমার এটাই মনে হয়েছে। বাঙালি জাতি আসলেই হাস্য রসিকতা ভালোবাসে। আরামপ্রিয় জাতি, আর অলস জাতি । তারা দেয়ালে পিঠ না
ঠেকার আগ পর্যন্ত যুদ্ধ করেনা। আসলে এটা আমার কথা নয়।বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তির কথার সমষ্টি । আমি শুধু মনে করিয়ে দিচ্ছি। যাই হোক
এই সময়ে অনেকেই দেখি বিশেষ পদে আসনে থেকে যেসব হাস্য রসিকতা করেন। এতে বলাই যায় হাস্য রসটা আমাদের প্রাণে মিশে আছে। এখন আমরা পার্লামেন্ট ভবনে গিয়েও হাস্য রসিকতা করি। গান গাই, গল্প বলি, আর মজার কাহিনী শুনাই। আমাদের এমন এমপি সাহেব ও আছেন। ভালো হাস্য রসিক বাঙালী নিজের পরিচয় দেয়। একবার দেখলাম এক এমপি সাহেব হাসির জোক্স বলছে। আরেকদিন একজন পার্লামেন্ট এ অধিবেশন চলাকালীন সময়ে গান গাইলেন। ভালো প্রতিভা থাকা ভালো।
আমাদের রাষ্ট্রপতি আমার জানা মতে একজন ভালো ব্যক্তিত্ব। আর আমাদের। বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগে এমন একজন প্রবীণ আর শ্রদ্ধেয়
আর নাই। তাকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে ভালোই জানি। আর মানুষ তাকে সহজ সরল আর সহাস্যমুখ, রসিক মানুষ বলেই জানে।
অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, এতো কিছু লিখে কি বুঝাতে চাচ্ছেন? ভাই আমি আর কি বলব। আমি কি বুঝাবো আপনারা আমার চাইতে জ্ঞানী গুনি ব্লগার। আমি কিছুই বুঝাতে চাইনা। আবার বিরোধিতা করে কাউকে খারাপ বলে আমার লাভ নাই।
আমি শুধু বলতে চাই এই সংস্কৃতি আমরাই তৈরি করেছি। আমরাই সংসদে গিয়ে মজা করি আর জোক্স বলে থাকা এমপি দের দেখে হাসি।
এটাও একদিন সংস্কৃতির অংশ হয়ে যাবে।। এম পি দের সংসদে গিয়ে মজা করা।।এম পিরা সংসদে রসিকতা করতে পারলে রাষ্ট্রপতি সাহেব রাষ্ট্রের প্রধান হয়ে সমাবর্তন অনুষ্টানে রসিকতা করতে পারবেন না কেন?
আমি অনুষ্ঠান টি দেখার সময় তাই সৈয়দ মুজতবা আলীর রসগোল্লা রম্য রচনার কথা মনে পড়ে গেলো। ঝান্ডুদা নামে চরিত্র, সে নামে ইতালির ভেনিস বন্দরে জাহাজ থেকে। চুঙ্গিঘরের যাবতীয় প্রশ্নের সদুত্তর দিয়ে শেষটায় লিখেছেন, এক টিন ভ্যাকুয়াম প্যাক্ড মিষ্টান্ন। মূল্য দশ টাকা। চুঙ্গিওলা তাকে শুধালে ওই টিনটার ভিতরে কি?- সুইটস ।ওটা খুলুন ।
ঝান্ডুদা মরিয়া হয়ে কাতর নয়নে বললেন, ‘ব্রাদার, এ টিনটা আমি নিয়ে যাচ্ছি আমার এক বন্ধুর মেয়ের জন্যে লন্ডনে, এটা খুললে সর্বনাশ হয়ে যাবে।ঝান্ডুদা যতোই বলছেন খুলবেনা ততোই তাকে হুকুম দিচ্ছে খুলুন।অবশেষে ঝান্ডুদা টিন কাটলেন।কী আর বেরুবে? বেরুল রসগোল্লা। কাঁটাচামচের তোয়াক্কা না করে রসগোল্লা হাত দিয়ে তুলে প্রথমেই বিতরন করলেন বাঙ্গালিদের। তারপর যাবতীয় ভারতীয়দের, তারপর সবাইকে অর্থাৎ ফরাসি, জার্মান, ইতালীয়, এবং স্পাইনিয়ার্ডদের।সেইখানে ঝান্ডুদা করে ফেললেন এক কান্ড চুঙ্গিওলার মুখে লেপটে দিলেন এক রসগোল্লা। যাই হোক সে গল্প সবার জানা। আর ‘রসগোল্লা’ রম্য রচনা পড়ে কে না হেসেছে? রসগোল্লার পাঠকরা নির্দ্বিধায় তা স্বীকার করবেন। চমৎকার এক রম্যকাহিনী রসগোল্লা।ঝান্ডুদা, গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র।সৈয়দ মুজতবা আলী রম্য রচনায় বাংলা সাহিত্যে প্রবাদপুরুষ। এ ছাড়া তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও অনুবাদক।তিনি তার ভ্রমণকাহিনীগুলির জন্যও বিশেষভাবে জনপ্রিয়। বহুভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলীর রচনা একই সঙ্গে পাণ্ডিত্য এবং রম্যবোধে পরিপুষ্ট। তাই আমরা বুঝতে পারি যে আমার এটাই মনে হয়েছে। বাঙালি জাতি আসলেই হাস্য রসিকতা ভালোবাসে। আরামপ্রিয় জাতি, আর অলস জাতি । তারা দেয়ালে পিঠ না
ঠেকার আগ পর্যন্ত যুদ্ধ করেনা। আসলে এটা আমার কথা নয়।বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তির কথার সমষ্টি । আমি শুধু মনে করিয়ে দিচ্ছি। যাই হোক
এই সময়ে অনেকেই দেখি বিশেষ পদে আসনে থেকে যেসব হাস্য রসিকতা করেন। এতে বলাই যায় হাস্য রসটা আমাদের প্রাণে মিশে আছে। এখন আমরা পার্লামেন্ট ভবনে গিয়েও হাস্য রসিকতা করি। গান গাই, গল্প বলি, আর মজার কাহিনী শুনাই। আমাদের এমন এমপি সাহেব ও আছেন। ভালো হাস্য রসিক বাঙালী নিজের পরিচয় দেয়। একবার দেখলাম এক এমপি সাহেব হাসির জোক্স বলছে। আরেকদিন একজন পার্লামেন্ট এ অধিবেশন চলাকালীন সময়ে গান গাইলেন। ভালো প্রতিভা থাকা ভালো।
আমাদের রাষ্ট্রপতি আমার জানা মতে একজন ভালো ব্যক্তিত্ব। আর আমাদের। বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগে এমন একজন প্রবীণ আর শ্রদ্ধেয়
আর নাই। তাকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে ভালোই জানি। আর মানুষ তাকে সহজ সরল আর সহাস্যমুখ, রসিক মানুষ বলেই জানে।
অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, এতো কিছু লিখে কি বুঝাতে চাচ্ছেন? ভাই আমি আর কি বলব। আমি কি বুঝাবো আপনারা আমার চাইতে জ্ঞানী গুনি ব্লগার। আমি কিছুই বুঝাতে চাইনা। আবার বিরোধিতা করে কাউকে খারাপ বলে আমার লাভ নাই।
আমি শুধু বলতে চাই এই সংস্কৃতি আমরাই তৈরি করেছি। আমরাই সংসদে গিয়ে মজা করি আর জোক্স বলে থাকা এমপি দের দেখে হাসি।
এটাও একদিন সংস্কৃতির অংশ হয়ে যাবে।। এম পি দের সংসদে গিয়ে মজা করা।।এম পিরা সংসদে রসিকতা করতে পারলে রাষ্ট্রপতি সাহেব রাষ্ট্রের প্রধান হয়ে সমাবর্তন অনুষ্টানে রসিকতা করতে পারবেন না কেন?
মন্তব্যসমূহ
-
আনন্দ চ্যাটার্জী ০৯/১০/২০১৮খুব সুন্দর লেখা
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৭/১০/২০১৮রসবোধ মানুষের অনন্য প্রতিভা। এটি সবার থাকে না।
-
শুভদীপ চক্রবর্তী ০৭/১০/২০১৮অসাধারণ লেখা।
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ০৭/১০/২০১৮বাস্তবিকতার আলোকে সুন্দর অভিব্যক্তি।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০৭/১০/২০১৮দারুণ রম্য সমসাময়িকী!!!!!