চাকরিতে আবেদনের বয়স সীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করণের উদ্দেশ্যে আন্দোলন কতটুকু যুক্তিসংগত
চাকরিতে আবেদনের বয়স সীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করণের উদ্দেশ্যে আন্দোলন কতটুকু
যুক্তিগত?
------
বয়স সীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করণের কোন যুক্তিকতা নাই।চাকরীতে বয়স সীমা না বাড়িয়ে বরং শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। বাড়াতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান। সরকার সরকারি চাকরিজীবী দের বেতন ভাতা আরো
চাকরির বয়স তো বাড়ালেন।
এখন আমার মনে হয়। শিক্ষার মান বাড়ানো সময়ের দাবি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর মান বাড়াতে হবে। বিশেষ করে গ্রাম এলাকার প্রতিষ্ঠান গুলো।
১)শিক্ষাতে সেসন জট কমাতে হবে
২) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি,
অপরাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
৩) নিয়োগ পরীক্ষা গুলো দূর্নীতি মুক্ত
করতে হবে।
৪)বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও
অধিক করে কারিগরি শিক্ষা
কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
৫) বেকারত্ব দূর করতে
শিক্ষিত যুব সমাজকে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে পারে।
৬) যুব সমাজকে পেশাদারিত্ব,
পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে
প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে। যেনো চাকরির পিছনে না ছুটে
নিজেরা কিছু করতে পারে।বেকারত্ব দূর করতে পারে।
৭) সবচাইতে বড় দরকার শিক্ষার মান
কারিগরি মুখি করা।
৮) ব্যাবসায়িক উদ্যোগ গ্রহনে
আর্থিক, সামাজিক, কারিগরি সহায়তা
প্রদান করতে পারে।
আপনার কোন কারনে মনে হল বয়স বাড়ালে ভালো হয়।
সেই মেধাসম্পন্ন যুক্তিগত বাক্যটাই আমি শুনতে চাই।
বলতে পারেন।
সবার একটু লেখাতে কাজ হচ্ছে না তাই বিশ্লেষণ করেই বলি।
১)শিক্ষার মান যদি বৃদ্ধি পায় তবে
আপনি থাকবেন মেধাবি। আপনাকে
চাকরির পরীক্ষাতে প্রশ্ন দেখে
অজ্ঞান হতে হবে না। বা নকল করা
বা প্রশ্ন ফাস করে পরীক্ষা দিতে যাবেন না।
২)সেসন জট কমে গেলে
২৫ বা ২৬বছর বয়সে আপনি গ্রেজুয়েট করতে পারবেন। তাহলে আপনি
চাকরি খুজতে পারবেন৬ থেকে ৭বছর।
আপনি বলতে পারেন
৭বছর চাকরি না পাবার পরেও
আপনি কেন
আবার সরকারি চাকরি খুজবেন?
বিকল্প কোন কিছু কেন করবেন না।
আপনার কি এর পরেও সরকারি চাকরি
খুজা উচিত?
৩)আপনি এই ৬বচর বসে থাকতে থাকতে আরো ৬টা বছর। আরো ৬টা বেচ। পাশ করে চাকরি খোজার প্রতিযোগিতা শুরু করবে নাকি?তখন প্রতিযোগিতা প্রতিযোগী দুইটাই বাড়বে।আপনি ৭বছরে যখন প্রতিযোগী কম তখন কিছু করতে পারলেন না। পরে কি করবেন?
৪)নিয়োগ পরীক্ষা দূর্নীতি মুক্ত হলে
আপনার মেধা ভালো থাকলে।
আর শিক্ষার মান ভালো হলে
।আপনি ৭,৮ বছর কেন বসে থাকবেন?
আপনার
তো এর আগেই একটা গতি হয়ে যাবে।
চাকরি
পাইতে কেন চাই ৩৫ বয়স সীমা?
দূর্নীতি না হলে তো আপনাকে আর আদু ভাই সাজতে হয় না।
৫) বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও
অধিক কারিগরি কলেজ
প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,
প্রতিষ্ঠা।
তাহলে আপনি হবেন কারিগরি ভাবে দক্ষ নাগরিক।
কোথাও ইন্টারভিউ
দিতে গেলেন আপনি কোন
মৌখিক
বা কারিগরি প্রশ্নে আটকাবেন না।
চাকরি
না পেলেও আপনি
অন্য কিছু
করতে পারবেন।
৬) আর্থিক সহায়তা ***
আপনি যখন দক্ষ নাগরিক।আপনার চাকরি হয়নি।
কিছু করতে চান।
তখন সরকার আপনাকে
কম সুদে আর্থিক সাহায্য দিলো।
কারিগরি সাহায্য
প্রদান করল।
আর তাহলে
বয়স বাড়াতে হবে কেন?
******
সবচাইতে বড় কথা
শিক্ষার মান বাড়লে, দক্ষ একজন
শিক্ষিত লোক
কখন বেকার থাকবে না।
আমরা তো
বই মুখস্থ করি। আর কম্পিউটার এর টাইপ করতেও পারি না।অফিসের বস, কেরানি (করনিক)
তার টাইপিং দেখলে হাসি আসে।আর মুখে যত বড় বড় কথা।
আরে বয়স না।
আপনার সক্ষমতা বাড়ান।
সরকারকে বলুন
কলেজ গুলুতে
পর্যাপ্ত
-বিজ্ঞান ল্যাব(science lab)
# কম্পিউটার ল্যাব (computer lab)
এবং পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত শিক্ষক দিতে।
ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক যেন কম্পিউটার
ল্যাবরেটরি তে শিক্ষা না দেয়।
আবারো বলব বয়স না
বাড়াতে যদি হয়
শিক্ষার মান। ছাত্রের মান , শিক্ষকদের
মান
বাড়ান।
দেশে শিক্ষার ধরন পরিবর্তন করুন। জাপান, চীন আজকের দিনে কি করে উন্নত।তাদের মতো উদ্যোগ গ্রহন করুন। দেশে আদু ভাই পয়দা করা বন্ধ করুন।
যে কোনো পণ্য বা প্রক্রিয়ার উন্নতিকল্পে জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে হলে নিত্যনতুন গবেষণার উপর দিতে হবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। ডেমিংয়ের মতে, পরিকল্পনা (plan), বাস্তবায়ন (do), চর্চা (study) ও ক্রিয়া (act)– এই চক্র সামগ্রিক জ্ঞানবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। যে কোনো প্রতিষ্ঠানের সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়সমূহ বিশেষ করে তাদের প্রণোদনা, উৎসাহ ও উদ্দীপনার উপর।
উল্লেখযোগ্যসংখ্যক জাপানি উদ্যোক্তা ড. ডেমিংয়ের তত্ত্বের সফল প্রয়োগ করেন। ফলে অর্জন করেন অভাবনীয় সাফল্য। তাদের সফলতার মূল মন্ত্র ছিল পণ্যের গুণগত মান ও উৎপাদনশীলতা, যার ফলে তারা সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন পণ্য ভোক্তার হাতে তুলে দিতে সক্ষম হন। সৃষ্টি হয় নতুন এক বাজার যা তাদের নিয়ে যায় উত্তরোত্তর সফলতার দিকে।
জাপানের এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মতো এক উদীয়মান অর্থনীতির জন্য হতে পারে ভীষণ কার্যকরী। আমরা সবাই অবগত আছি, বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশের আশু উন্নয়নের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। গোল্ডম্যান স্যাকস এবং অর্থনীতিবিদ জিম ও’নেইল কর্তৃক পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রকাশ: একবিংশ শতাব্দীর বৃহৎ ১১টি অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘বিজনেস ইনসাইডার’ এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে ‘এশিয়া মহাদেশের বাঘ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
অবারিত এই সম্ভাবনা বাস্তবে পরিণত করতে গেলে এখন থেকেই নিতে হবে সঠিক উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে, রপ্তানিমুখী উৎপাদন খাত হবে আমাদের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির নিয়ামক। সেক্ষেত্রে পণ্যের মান আর উৎপাদনশীলতা হবে সাফল্যের চাবিকাঠি।
ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়াসহ আফ্রিকা মহাদেশের মিসর, কেনিয়া কিংবা নাইজেরিয়ার মতো বিভিন্ন দেশ হবে আমাদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আমাদের যাত্রাপথ কুসুমাস্তীর্ণ হবে না, বরং আমাদের তৈরি হতে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের জন্যে। এ লড়াই হবে সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহের। আমাদের সামগ্রিক উৎপাদন প্রক্রিয়া এই চিন্তা সামনে রেখে ঢেলে সাজাতে হবে।
ড. ডেমিং যে তত্ত্ব আজ থেকে ৬৭ বছর আগে জাপানিদের শিখিয়েছিলেন, আজ এতদিন পরেও তা আমাদের জন্য একইভাবে প্রযোজ্য।
যদি জাপান পারে তাহলে নিশ্চয়ই আমরা পারব।
শুধু ভাবনা বদলাতে হবে। সেটা সরকারকে দোষারোপ করলেই হবে না। নিজেকে, সমাজকে, সমাজের ভাবনাকে বদলাতে হবে। নিয়োগ পরীক্ষার বয়স বাড়িয়ে নিয়ে আপনি বরং অলস হবার একটা সুযোগ তৈরি করবেন মাত্র।
আর কিছু না।।
যুক্তিগত?
------
বয়স সীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করণের কোন যুক্তিকতা নাই।চাকরীতে বয়স সীমা না বাড়িয়ে বরং শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। বাড়াতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান। সরকার সরকারি চাকরিজীবী দের বেতন ভাতা আরো
চাকরির বয়স তো বাড়ালেন।
এখন আমার মনে হয়। শিক্ষার মান বাড়ানো সময়ের দাবি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর মান বাড়াতে হবে। বিশেষ করে গ্রাম এলাকার প্রতিষ্ঠান গুলো।
১)শিক্ষাতে সেসন জট কমাতে হবে
২) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি,
অপরাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
৩) নিয়োগ পরীক্ষা গুলো দূর্নীতি মুক্ত
করতে হবে।
৪)বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও
অধিক করে কারিগরি শিক্ষা
কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
৫) বেকারত্ব দূর করতে
শিক্ষিত যুব সমাজকে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে পারে।
৬) যুব সমাজকে পেশাদারিত্ব,
পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে
প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে। যেনো চাকরির পিছনে না ছুটে
নিজেরা কিছু করতে পারে।বেকারত্ব দূর করতে পারে।
৭) সবচাইতে বড় দরকার শিক্ষার মান
কারিগরি মুখি করা।
৮) ব্যাবসায়িক উদ্যোগ গ্রহনে
আর্থিক, সামাজিক, কারিগরি সহায়তা
প্রদান করতে পারে।
আপনার কোন কারনে মনে হল বয়স বাড়ালে ভালো হয়।
সেই মেধাসম্পন্ন যুক্তিগত বাক্যটাই আমি শুনতে চাই।
বলতে পারেন।
সবার একটু লেখাতে কাজ হচ্ছে না তাই বিশ্লেষণ করেই বলি।
১)শিক্ষার মান যদি বৃদ্ধি পায় তবে
আপনি থাকবেন মেধাবি। আপনাকে
চাকরির পরীক্ষাতে প্রশ্ন দেখে
অজ্ঞান হতে হবে না। বা নকল করা
বা প্রশ্ন ফাস করে পরীক্ষা দিতে যাবেন না।
২)সেসন জট কমে গেলে
২৫ বা ২৬বছর বয়সে আপনি গ্রেজুয়েট করতে পারবেন। তাহলে আপনি
চাকরি খুজতে পারবেন৬ থেকে ৭বছর।
আপনি বলতে পারেন
৭বছর চাকরি না পাবার পরেও
আপনি কেন
আবার সরকারি চাকরি খুজবেন?
বিকল্প কোন কিছু কেন করবেন না।
আপনার কি এর পরেও সরকারি চাকরি
খুজা উচিত?
৩)আপনি এই ৬বচর বসে থাকতে থাকতে আরো ৬টা বছর। আরো ৬টা বেচ। পাশ করে চাকরি খোজার প্রতিযোগিতা শুরু করবে নাকি?তখন প্রতিযোগিতা প্রতিযোগী দুইটাই বাড়বে।আপনি ৭বছরে যখন প্রতিযোগী কম তখন কিছু করতে পারলেন না। পরে কি করবেন?
৪)নিয়োগ পরীক্ষা দূর্নীতি মুক্ত হলে
আপনার মেধা ভালো থাকলে।
আর শিক্ষার মান ভালো হলে
।আপনি ৭,৮ বছর কেন বসে থাকবেন?
আপনার
তো এর আগেই একটা গতি হয়ে যাবে।
চাকরি
পাইতে কেন চাই ৩৫ বয়স সীমা?
দূর্নীতি না হলে তো আপনাকে আর আদু ভাই সাজতে হয় না।
৫) বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও
অধিক কারিগরি কলেজ
প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,
প্রতিষ্ঠা।
তাহলে আপনি হবেন কারিগরি ভাবে দক্ষ নাগরিক।
কোথাও ইন্টারভিউ
দিতে গেলেন আপনি কোন
মৌখিক
বা কারিগরি প্রশ্নে আটকাবেন না।
চাকরি
না পেলেও আপনি
অন্য কিছু
করতে পারবেন।
৬) আর্থিক সহায়তা ***
আপনি যখন দক্ষ নাগরিক।আপনার চাকরি হয়নি।
কিছু করতে চান।
তখন সরকার আপনাকে
কম সুদে আর্থিক সাহায্য দিলো।
কারিগরি সাহায্য
প্রদান করল।
আর তাহলে
বয়স বাড়াতে হবে কেন?
******
সবচাইতে বড় কথা
শিক্ষার মান বাড়লে, দক্ষ একজন
শিক্ষিত লোক
কখন বেকার থাকবে না।
আমরা তো
বই মুখস্থ করি। আর কম্পিউটার এর টাইপ করতেও পারি না।অফিসের বস, কেরানি (করনিক)
তার টাইপিং দেখলে হাসি আসে।আর মুখে যত বড় বড় কথা।
আরে বয়স না।
আপনার সক্ষমতা বাড়ান।
সরকারকে বলুন
কলেজ গুলুতে
পর্যাপ্ত
-বিজ্ঞান ল্যাব(science lab)
# কম্পিউটার ল্যাব (computer lab)
এবং পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত শিক্ষক দিতে।
ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক যেন কম্পিউটার
ল্যাবরেটরি তে শিক্ষা না দেয়।
আবারো বলব বয়স না
বাড়াতে যদি হয়
শিক্ষার মান। ছাত্রের মান , শিক্ষকদের
মান
বাড়ান।
দেশে শিক্ষার ধরন পরিবর্তন করুন। জাপান, চীন আজকের দিনে কি করে উন্নত।তাদের মতো উদ্যোগ গ্রহন করুন। দেশে আদু ভাই পয়দা করা বন্ধ করুন।
যে কোনো পণ্য বা প্রক্রিয়ার উন্নতিকল্পে জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে হলে নিত্যনতুন গবেষণার উপর দিতে হবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। ডেমিংয়ের মতে, পরিকল্পনা (plan), বাস্তবায়ন (do), চর্চা (study) ও ক্রিয়া (act)– এই চক্র সামগ্রিক জ্ঞানবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। যে কোনো প্রতিষ্ঠানের সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়সমূহ বিশেষ করে তাদের প্রণোদনা, উৎসাহ ও উদ্দীপনার উপর।
উল্লেখযোগ্যসংখ্যক জাপানি উদ্যোক্তা ড. ডেমিংয়ের তত্ত্বের সফল প্রয়োগ করেন। ফলে অর্জন করেন অভাবনীয় সাফল্য। তাদের সফলতার মূল মন্ত্র ছিল পণ্যের গুণগত মান ও উৎপাদনশীলতা, যার ফলে তারা সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন পণ্য ভোক্তার হাতে তুলে দিতে সক্ষম হন। সৃষ্টি হয় নতুন এক বাজার যা তাদের নিয়ে যায় উত্তরোত্তর সফলতার দিকে।
জাপানের এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মতো এক উদীয়মান অর্থনীতির জন্য হতে পারে ভীষণ কার্যকরী। আমরা সবাই অবগত আছি, বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশের আশু উন্নয়নের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। গোল্ডম্যান স্যাকস এবং অর্থনীতিবিদ জিম ও’নেইল কর্তৃক পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রকাশ: একবিংশ শতাব্দীর বৃহৎ ১১টি অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘বিজনেস ইনসাইডার’ এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে ‘এশিয়া মহাদেশের বাঘ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
অবারিত এই সম্ভাবনা বাস্তবে পরিণত করতে গেলে এখন থেকেই নিতে হবে সঠিক উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে, রপ্তানিমুখী উৎপাদন খাত হবে আমাদের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির নিয়ামক। সেক্ষেত্রে পণ্যের মান আর উৎপাদনশীলতা হবে সাফল্যের চাবিকাঠি।
ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়াসহ আফ্রিকা মহাদেশের মিসর, কেনিয়া কিংবা নাইজেরিয়ার মতো বিভিন্ন দেশ হবে আমাদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আমাদের যাত্রাপথ কুসুমাস্তীর্ণ হবে না, বরং আমাদের তৈরি হতে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের জন্যে। এ লড়াই হবে সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহের। আমাদের সামগ্রিক উৎপাদন প্রক্রিয়া এই চিন্তা সামনে রেখে ঢেলে সাজাতে হবে।
ড. ডেমিং যে তত্ত্ব আজ থেকে ৬৭ বছর আগে জাপানিদের শিখিয়েছিলেন, আজ এতদিন পরেও তা আমাদের জন্য একইভাবে প্রযোজ্য।
যদি জাপান পারে তাহলে নিশ্চয়ই আমরা পারব।
শুধু ভাবনা বদলাতে হবে। সেটা সরকারকে দোষারোপ করলেই হবে না। নিজেকে, সমাজকে, সমাজের ভাবনাকে বদলাতে হবে। নিয়োগ পরীক্ষার বয়স বাড়িয়ে নিয়ে আপনি বরং অলস হবার একটা সুযোগ তৈরি করবেন মাত্র।
আর কিছু না।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রেজাউল রেজা (নীরব কবি) ০৭/০২/২০১৮
-
রা-ফা ০৫/০২/২০১৮ঠিক
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২৭/০১/২০১৮ভালো লাগলো...
এতে বেকারত্ব বাড়বে।
চিন্তা করুন জীবনের অর্ধেরকের বেশি সময় কর্মহীন থাকবে অনেকেই।
আর না বাড়ালে কিছুনা কিছু করবেই।