সংবাদ বনাম সাংবাদিকতা
সংবাদ বনাম সাংবাদিকতা
*************************
#সাংবাদিকতা কী?
-----------
সাংবাদিকতা শব্দটির ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে Journalism : ইংরেজি এই শব্দটি Journal এবং ism এ দুটি শব্দের সমন্বিত রূপ। জার্নাল মানে কোনো কিছু প্রকাশ করা (Publishing something) এবং ইজম মানে অনুশীলন বা চর্চা (Practice)। সাংবাদিকতা হচ্ছে এমন একটি অনুশীলন বা চর্চা কিংবা ছাঁচ যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কোনো ঘটনা বা তথ্য উদ্ঘাটন করা হয় এবং সেসব তথ্য রিপোর্ট কিংবা সংবাদ আকারে জনসাধারণের কাছে বস্তুনিষ্ঠভাবে জ্ঞাপনের জন্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। স্যার এরিক হজিনসের মতে, সাংবাদিকতা হচ্ছে কোনো সংবাদ মাধ্যমের সাহায্যে সঠিক ও পরিজ্ঞাত তথ্যাদি ছড়িয়ে দেওয়া, যেখানে সত্য পরিবেশিত হয় এবং কখনো কখনো তাৎক্ষণিকভাবে না হলেও এসব তথ্যের যথার্থতা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ইংরেজি ‘জার্নাল’ ও ‘ইজম’ শব্দের মিলনে ‘জার্নালিজম’ শব্দটি তৈরি। জার্নাল হচ্ছে কোনো কিছু প্রকাশ করা আর ইজম মানে অভ্যাস করা, অনুশীলন বা চর্চা করা। বলা যেতে পারে, কোনো কিছু প্রকাশ করার জন্য যে চর্চা বা অনুশীলন করা হয়, তা-ই সাংবাদিকতা বা জার্নালিজম। সাদামাটা ও সংকীর্ণ ভাষায়, যিনি সংবাদপত্রের জন্য সংবাদ সংগ্রহ করেন ও লিখেন, তিনিই সাংবাদিক।
****
ডেভিড ওয়েন রাইট বলেছেন,‘Journalism is information. It is communication. It is the events of the day distilled into a few .. . .. .. to satisfy human curiosity of the world that is always eager to know what’s news’. সাংবাদিকতা হচ্ছে চলমান জীবনের প্রতিচ্ছবির জ্ঞাপন যা, কখনো কখনো মৃন্ময় তবে বস্তুনিষ্ঠ। সাংবাদিকতা কোনো propaganda মেশিনারি বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা কোনো কিছু প্রচার-প্রকাশের কৌশল নয়। সাংবাদিকতায় তথ্য, সত্য ও গণজ্ঞাপন এ বিষয়গুলোই হচ্ছে মুখ্য। এখন প্রশ্ন হচ্ছে পৃথিবীতে ঘটনা তো ঘটে অনেক কিন্তু সব ঘটনাই কি সংবাদ মাধ্যমে খবর বা তথ্য হয়ে উঠে আসে? নিশ্চয়ই না। কোনো ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ উপযোগী আইটেম অর্থাৎ খবর হতে হলে সে ঘটনার কিছু বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত উপাদান থাকতে হয়, সাংবাদিকতা পেশার সবাই সেগুলো জানেন। আমাদের মনে রাখতে হবে, সাংবাদিকতা করতে গিয়ে একজন সাংবাদিকের মৌলিক কাজ হচ্ছে সংবাদ মূল রয়েছে এমন সব ঘটনা বা বিষয়ের তথ্য তুলে আনা এবং তা জ্ঞাপনের ব্যবস্থা করা। একজন সাংবাদিক কোনোভাবেই কোনো curranto maker বা চলতি ঘটনার সৃষ্টিকার নয়।
*******
সাংবাদিকতা হল বিভিন্ন ঘটনাবলী, বিষয়, ধারণা, ও মানুষ সম্পর্কিত
প্রতিবেদন তৈরি ও পরিবেশন, যা উক্ত দিনের প্রধান সংবাদ এবং তা সমাজে প্রভাব বিস্তার করে। এই পেশায় শব্দটি দিয়ে তথ্য সংগ্রহের কৌশল ও সাহিত্যিক উপায় অবলম্বনকে বোঝায়। মুদ্রিত,
টেলিভিশন , বেতার , ইন্টারনেট , এবং পূর্বে ব্যবহৃত নিউজরিল সংবাদ মাধ্যমের অন্তর্গত।
সাংবাদিকতার যথোপযুক্ত নিয়মের ধারণা ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। কিছু দেশে, সংবাদ মাধ্যমে সরকারি হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং পুরোপুরি স্বাধীন সত্তা নয়। [১] অন্যান্য দেশে, সংবাদ মাধ্যম সরকার থেকে স্বাধীন কিন্তু লাভ-লোকসান সাংবিধানিক নিরাপত্তার আওতায় থাকে। স্বাধীন ও প্রতিযোগিতামূলক সাংবাদিকতার মাধ্যমে সংগ্রহ করার মুক্ত উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে প্রবেশাধিকার জনগণকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে সাহায্য করে।(উইকিপিডিয়া)
-------
সংবাদ প্রকাশ করা হল সাংবাদিকতা। তাই প্রশ্ন উঠেছে সামাজিক দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্য ছাড়া তথ্য-ব্যবসাকে কী সাংবাদিকতা আখ্যা দেওয়া যায়?
***
ট্যানডক মনে করেন, নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী তিনিই সাংবাদিক বিবেচিত হতে পারেন, যিনি প্রথাগত চাকরির পাশাপাশি সংবাদ ‘মাধ্যম’ও নির্ধারণ করে নেন। কারণ বিশেষায়িত সংবাদ মাধ্যমের সংজ্ঞা নির্ধারণের একটা প্রবণতা সংবাদপত্র শিল্পে দেখা যাচ্ছে। এটাকে নিশ্চিতভাবে বদলে যাওয়া সময়ের প্রতিফলন বলা যায়। কারণ সাংবাদিকরা এখন আর শুধু একটি একক মাধ্যমে কাজ করেন না।
********
সংবাদ বলতে মুদ্রণজগৎ, সম্প্রচার কেন্দ্র, ইন্টারনেট অথবা তৃতীয় পক্ষের মুখপাত্র কিংবা গণমাধ্যমে উপস্থাপিত বর্তমান ঘটনাপ্রবাহের একগুচ্ছ নির্বাচিত তথ্যের সমষ্টি যা যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
সংবাদদাতা বা সাংবাদিক বিভিন্ন স্থান, ক্ষেত্র, বিষয় ইত্যাদিকে ঘিরে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংবাদ সংগ্রহসহ বিভিন্ন ধরণের তথ্য সংগ্রহপূর্বক সংবাদ কিংবা প্রতিবেদন রচনা করে সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরণ করে থাকেন।
*-
সংবাদ বলতে মুদ্রণজগৎ, সম্প্রচার কেন্দ্র, ইন্টারনেট অথবা তৃতীয় পক্ষের মুখপাত্র কিংবা গণমাধ্যমে উপস্থাপিত বর্তমান ঘটনাপ্রবাহের একগুচ্ছ নির্বাচিত তথ্যের সমষ্টি যা যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
#আজকের দিনের সাংবাদিকতা কি সংবাদ সংগ্রহ? না মন চায় প্রকাশ করে যাই
***********-*-****-*******--**-***-*
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যা খুশি তাই প্রচার করে দেয়া নিশ্চয়ই দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নয় ৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে অনেক ক্ষেত্রে সংবাদের উৎস বা সূত্র ভাবা যেতে পারে, কিন্তু পরিপূর্ণ এবং প্রশ্নাতীতভাবে ঠিক খবরের পরিবেশক ভাবা কখনোই ঠিক নয়৷ তবে আজকের দিনে আমরা কি দেখতে পাচ্ছি?
কিছু কিছু জাতীয় দৈনিক এর সাংবাদিক
গুলোও ফেসবুক বা অনলাইন ম্যাগাজিন,
অনলাইনে বে নামি পেপার হতে সংবাদ
সংগ্রহ করে।
এটা কতটুকু পেশাদারিত্ব আদায়
আর আতটুকু দায়িত্ব আদায়।
কোনটা প্রচারযোগ্য খবর?
খবরের জন্য এখন সবসময় মাঠে-ঘাটে যেতে হয় না৷ ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে আরাম কেদারায় বসেও সহজেই লিখে দেয়া যায় বড় বড় খবর৷ রাজন হত্যা থেকে শুরু করে বেশ কিছু খবর তো মূলধারার সংবাদমাধ্যমের আগে সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই আমরা পেয়েছি৷
কিন্তু আজকাল নির্ভরযোগ্যতার বাছবিচর ছাড়াই সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভরতা বাড়ছে৷ ফলে ভুল সংবাদ প্রচারের দায়ও নিতে হয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমকে৷ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের নামও কিন্তু এই তালিকায় আছে৷ ‘সাংবাদিকের চোখ' এবং বিবেচনাবোধ ছাড়া
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যা খুশি তাই প্রচার করে দেয়া নিশ্চয়ই দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নয় ৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে অনেক ক্ষেত্রে সংবাদের উৎস বা সূত্র ভাবা যেতে পারে, কিন্তু পরিপূর্ণ এবং প্রশ্নাতীতভাবে ঠিক খবরের পরিবেশক ভাবা কখনোই ঠিক নয়৷
এটা সবাই আমার সাথে একমত পোশন
করবে।।
****
এক তরফা বা খণ্ডিত বক্তব্য প্রচার
অনেকক্ষেত্রেই বড় বড় ইস্যুতে এক তরফা বক্তব্য প্রচার করতে দেখা যায়৷ কোনো বিষয়ে পক্ষের বা বিপক্ষের বক্তব্যই প্রচার করা আংশিক সত্য প্রকাশ এবং বাকি অংশের সত্য চাপা দেয়ার শামিল৷ কারো বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার করে বিতর্ক জন্ম দেয়ার অভিযোগও আছে সংবাদমাধ্যমের একাংশের বিরুদ্ধে৷ এ সব কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না৷
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♣♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
সাংবাদিকতার পরিধি বেড়েছে,
সাংবাদিক বেড়েছে, সংবাদ কর্মী বেড়েছে
***
কিন্তু অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বাড়েনি
সংবাদ এর মান বাড়েনি
**********************************
মনে করুন
মেয়ে বা ছেলের মুখেভাতে-জন্মদিনে, বিবাহবার্ষিকীতে বা অন্য পারিবারিক অনুষ্ঠানে মন্ত্রীদের ডাকা হল। এতে নিজেদের ওজন বাড়ছে মনে হচ্ছে
,দু চারজন সাংবাদিক ডেকে আনলো, নিজেদের পরিচয় দাঁড়ায় প্রথম পাতায়।
বা
কোন নেতা বা মডেল, অভিনেত্রী, সুন্দরি
সুপার মডেল কি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলো। কোন নেতা কি লেখলো স্যোসাল মিডিয়াতে
-তাকে খবর বলে চালিয়ে দেয়।
বা কার কুকুর মরল কার বিড়াল মরে
পানিতে ভাসল। সেই কুকুর টা কার।
মালিক কে।
বা
■ সরকার যা চেপে যেতে চায়, সেটাই খবর। বাকিটা প্রচার। খবর খুঁজে বার করতে হয় সাংবাদিককেই। সরকারের দেওয়া তথ্য নিজেরা যাচাই না করে প্রচার করা অর্থহীন।
তবে সংবাদ হল না সাংবাদিকতা?
অনেকেই ভাবি না যে, কোনও সংবাদেরই আয়ু বেশিদিন নয়। সংবাদ অবশ্যই পচনশীল। আজ যেটা তাক লাগানো মনে হচ্ছে, কালই তা ঠোঙা বা ভ্যানিটি ব্যাগ বিক্রেতাদের ব্যাগ ফুলিয়ে রাখার কাজে ব্যবহৃত বস্তু। আজ যেটা সেনসেশন, কাল তা পাঠকদের নজরে ‘আমিও জানি’ তকমা-ভূষিত শুকনো তথ্য। তাই এই ‘Perishable Commodity’-র কারবারিদের কেউই বিশেষ মনে রাখে না। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে একথা শোনার, “সাহিত্যিক অমর হতে পারেন, কিন্তু সাংবাদিকের অমরত্ব কষ্টকল্পনা। সময় তাঁকে মুছে দেয় খবরেরই সঙ্গে।”
---
আসলে এই মুহূর্তের একাধিক তথাকথিত সাংবাদিকের সঙ্গে হীরকরাজার সভাসদদের সঙ্গে তুলনা করা যায়। সংবাদমাধ্যমের ভাষায় যারা শাসকদলের ‘বিট’ করেন, তারা দিনকয়েকের মধ্যেই আশ্চর্য দক্ষতায় সাংবাদিক কম, সভাসদ বেশি হয়ে যাচ্ছেন। এটা দুর্ভাগ্যের, এটা দুঃখের এবং এটা আত্মঘাতী।
+--
আসল কথা হল সাংবাদিকতার কেমন
হাল আজকে।।
‘‘এখন আর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নেই৷'' তার মানে আগে ছিল? কতটা ছিল, এখন কি আসলেই নেই বা কমে গেছে?
১. সাংবাদিকতার পরিধি অনেক বিস্তৃত হয়েছে৷ প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যাপকতা বেড়েছে৷ তা ছাপিয়ে জয়যাত্রা চলছে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার৷ অনলাইন সাংবাদিকতা এসেছে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে৷ প্রতিযোগিতা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে৷
সাংবাদিকতার এই প্রচার, প্রসারের বৃদ্ধির কালে কেন এই আলোচনা যে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কমে গেছে? কেন এ কথা সামনে আসে যে, এখন আর অনুসন্ধানী
প্রতিবেদন দেখা যায় না?
#২)এ সব জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও তথ্য
------*************
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সংবাদ না করে
যা তা দিয়ে সংবাদ ভরে রাখে।
কার কি হল। কোন ফিল্ম স্টার কি করল।
এসব।।
৩)
তথ্যকে ও প্রমান কে প্রাধান্য না দেয়া
++++++++++++++++----
আজকাল কিছু অনলাইন পত্রিকা বা
বাংলাদেশি কিছু নামকরা পত্রিকাও আছে।এদের খবর দেখলে মনে হয় এরা ফেসবুজ খুব বেশি ব্যবহার করে।
একজন তরুন ছেলে
প্রথম ফেসবুক খুললে যেমব হয় তেমন।
তারা ফেসবুকের
তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করে।
+++++
৪) রংচটা চটকদার সংবাদ
++++++++++
শিরোনাম গুলোকে বেশি চটকদার করে।
যেনো কি বিশাল তথ্য আছে।
পরে দেখা যায়
আসলে কিছুই না।
যেমন।
#জানেন_সাইফ_কারিনার_পুত্র_কি করতে পারে/?
কি আর খাইতে পারে আর পটি করতে পারে।
সব চেয়ে হতাশার বিষয় হল আমদের গণমাধ্যম গুলো কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক তাই এদেশে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করাটা বেশ কষ্টসাধ্য ।
এ ছাড়াও অনেক ধরনের চাপ , লোভ , অজ্ঞতা সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠতা থেকে দূরে সরিয়ে দেয় ।
*************************
#সাংবাদিকতা কী?
-----------
সাংবাদিকতা শব্দটির ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে Journalism : ইংরেজি এই শব্দটি Journal এবং ism এ দুটি শব্দের সমন্বিত রূপ। জার্নাল মানে কোনো কিছু প্রকাশ করা (Publishing something) এবং ইজম মানে অনুশীলন বা চর্চা (Practice)। সাংবাদিকতা হচ্ছে এমন একটি অনুশীলন বা চর্চা কিংবা ছাঁচ যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কোনো ঘটনা বা তথ্য উদ্ঘাটন করা হয় এবং সেসব তথ্য রিপোর্ট কিংবা সংবাদ আকারে জনসাধারণের কাছে বস্তুনিষ্ঠভাবে জ্ঞাপনের জন্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। স্যার এরিক হজিনসের মতে, সাংবাদিকতা হচ্ছে কোনো সংবাদ মাধ্যমের সাহায্যে সঠিক ও পরিজ্ঞাত তথ্যাদি ছড়িয়ে দেওয়া, যেখানে সত্য পরিবেশিত হয় এবং কখনো কখনো তাৎক্ষণিকভাবে না হলেও এসব তথ্যের যথার্থতা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ইংরেজি ‘জার্নাল’ ও ‘ইজম’ শব্দের মিলনে ‘জার্নালিজম’ শব্দটি তৈরি। জার্নাল হচ্ছে কোনো কিছু প্রকাশ করা আর ইজম মানে অভ্যাস করা, অনুশীলন বা চর্চা করা। বলা যেতে পারে, কোনো কিছু প্রকাশ করার জন্য যে চর্চা বা অনুশীলন করা হয়, তা-ই সাংবাদিকতা বা জার্নালিজম। সাদামাটা ও সংকীর্ণ ভাষায়, যিনি সংবাদপত্রের জন্য সংবাদ সংগ্রহ করেন ও লিখেন, তিনিই সাংবাদিক।
****
ডেভিড ওয়েন রাইট বলেছেন,‘Journalism is information. It is communication. It is the events of the day distilled into a few .. . .. .. to satisfy human curiosity of the world that is always eager to know what’s news’. সাংবাদিকতা হচ্ছে চলমান জীবনের প্রতিচ্ছবির জ্ঞাপন যা, কখনো কখনো মৃন্ময় তবে বস্তুনিষ্ঠ। সাংবাদিকতা কোনো propaganda মেশিনারি বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা কোনো কিছু প্রচার-প্রকাশের কৌশল নয়। সাংবাদিকতায় তথ্য, সত্য ও গণজ্ঞাপন এ বিষয়গুলোই হচ্ছে মুখ্য। এখন প্রশ্ন হচ্ছে পৃথিবীতে ঘটনা তো ঘটে অনেক কিন্তু সব ঘটনাই কি সংবাদ মাধ্যমে খবর বা তথ্য হয়ে উঠে আসে? নিশ্চয়ই না। কোনো ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ উপযোগী আইটেম অর্থাৎ খবর হতে হলে সে ঘটনার কিছু বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত উপাদান থাকতে হয়, সাংবাদিকতা পেশার সবাই সেগুলো জানেন। আমাদের মনে রাখতে হবে, সাংবাদিকতা করতে গিয়ে একজন সাংবাদিকের মৌলিক কাজ হচ্ছে সংবাদ মূল রয়েছে এমন সব ঘটনা বা বিষয়ের তথ্য তুলে আনা এবং তা জ্ঞাপনের ব্যবস্থা করা। একজন সাংবাদিক কোনোভাবেই কোনো curranto maker বা চলতি ঘটনার সৃষ্টিকার নয়।
*******
সাংবাদিকতা হল বিভিন্ন ঘটনাবলী, বিষয়, ধারণা, ও মানুষ সম্পর্কিত
প্রতিবেদন তৈরি ও পরিবেশন, যা উক্ত দিনের প্রধান সংবাদ এবং তা সমাজে প্রভাব বিস্তার করে। এই পেশায় শব্দটি দিয়ে তথ্য সংগ্রহের কৌশল ও সাহিত্যিক উপায় অবলম্বনকে বোঝায়। মুদ্রিত,
টেলিভিশন , বেতার , ইন্টারনেট , এবং পূর্বে ব্যবহৃত নিউজরিল সংবাদ মাধ্যমের অন্তর্গত।
সাংবাদিকতার যথোপযুক্ত নিয়মের ধারণা ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। কিছু দেশে, সংবাদ মাধ্যমে সরকারি হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং পুরোপুরি স্বাধীন সত্তা নয়। [১] অন্যান্য দেশে, সংবাদ মাধ্যম সরকার থেকে স্বাধীন কিন্তু লাভ-লোকসান সাংবিধানিক নিরাপত্তার আওতায় থাকে। স্বাধীন ও প্রতিযোগিতামূলক সাংবাদিকতার মাধ্যমে সংগ্রহ করার মুক্ত উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে প্রবেশাধিকার জনগণকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে সাহায্য করে।(উইকিপিডিয়া)
-------
সংবাদ প্রকাশ করা হল সাংবাদিকতা। তাই প্রশ্ন উঠেছে সামাজিক দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্য ছাড়া তথ্য-ব্যবসাকে কী সাংবাদিকতা আখ্যা দেওয়া যায়?
***
ট্যানডক মনে করেন, নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী তিনিই সাংবাদিক বিবেচিত হতে পারেন, যিনি প্রথাগত চাকরির পাশাপাশি সংবাদ ‘মাধ্যম’ও নির্ধারণ করে নেন। কারণ বিশেষায়িত সংবাদ মাধ্যমের সংজ্ঞা নির্ধারণের একটা প্রবণতা সংবাদপত্র শিল্পে দেখা যাচ্ছে। এটাকে নিশ্চিতভাবে বদলে যাওয়া সময়ের প্রতিফলন বলা যায়। কারণ সাংবাদিকরা এখন আর শুধু একটি একক মাধ্যমে কাজ করেন না।
********
সংবাদ বলতে মুদ্রণজগৎ, সম্প্রচার কেন্দ্র, ইন্টারনেট অথবা তৃতীয় পক্ষের মুখপাত্র কিংবা গণমাধ্যমে উপস্থাপিত বর্তমান ঘটনাপ্রবাহের একগুচ্ছ নির্বাচিত তথ্যের সমষ্টি যা যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
সংবাদদাতা বা সাংবাদিক বিভিন্ন স্থান, ক্ষেত্র, বিষয় ইত্যাদিকে ঘিরে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংবাদ সংগ্রহসহ বিভিন্ন ধরণের তথ্য সংগ্রহপূর্বক সংবাদ কিংবা প্রতিবেদন রচনা করে সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরণ করে থাকেন।
*-
সংবাদ বলতে মুদ্রণজগৎ, সম্প্রচার কেন্দ্র, ইন্টারনেট অথবা তৃতীয় পক্ষের মুখপাত্র কিংবা গণমাধ্যমে উপস্থাপিত বর্তমান ঘটনাপ্রবাহের একগুচ্ছ নির্বাচিত তথ্যের সমষ্টি যা যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
#আজকের দিনের সাংবাদিকতা কি সংবাদ সংগ্রহ? না মন চায় প্রকাশ করে যাই
***********-*-****-*******--**-***-*
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যা খুশি তাই প্রচার করে দেয়া নিশ্চয়ই দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নয় ৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে অনেক ক্ষেত্রে সংবাদের উৎস বা সূত্র ভাবা যেতে পারে, কিন্তু পরিপূর্ণ এবং প্রশ্নাতীতভাবে ঠিক খবরের পরিবেশক ভাবা কখনোই ঠিক নয়৷ তবে আজকের দিনে আমরা কি দেখতে পাচ্ছি?
কিছু কিছু জাতীয় দৈনিক এর সাংবাদিক
গুলোও ফেসবুক বা অনলাইন ম্যাগাজিন,
অনলাইনে বে নামি পেপার হতে সংবাদ
সংগ্রহ করে।
এটা কতটুকু পেশাদারিত্ব আদায়
আর আতটুকু দায়িত্ব আদায়।
কোনটা প্রচারযোগ্য খবর?
খবরের জন্য এখন সবসময় মাঠে-ঘাটে যেতে হয় না৷ ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে আরাম কেদারায় বসেও সহজেই লিখে দেয়া যায় বড় বড় খবর৷ রাজন হত্যা থেকে শুরু করে বেশ কিছু খবর তো মূলধারার সংবাদমাধ্যমের আগে সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই আমরা পেয়েছি৷
কিন্তু আজকাল নির্ভরযোগ্যতার বাছবিচর ছাড়াই সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভরতা বাড়ছে৷ ফলে ভুল সংবাদ প্রচারের দায়ও নিতে হয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমকে৷ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের নামও কিন্তু এই তালিকায় আছে৷ ‘সাংবাদিকের চোখ' এবং বিবেচনাবোধ ছাড়া
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যা খুশি তাই প্রচার করে দেয়া নিশ্চয়ই দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নয় ৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে অনেক ক্ষেত্রে সংবাদের উৎস বা সূত্র ভাবা যেতে পারে, কিন্তু পরিপূর্ণ এবং প্রশ্নাতীতভাবে ঠিক খবরের পরিবেশক ভাবা কখনোই ঠিক নয়৷
এটা সবাই আমার সাথে একমত পোশন
করবে।।
****
এক তরফা বা খণ্ডিত বক্তব্য প্রচার
অনেকক্ষেত্রেই বড় বড় ইস্যুতে এক তরফা বক্তব্য প্রচার করতে দেখা যায়৷ কোনো বিষয়ে পক্ষের বা বিপক্ষের বক্তব্যই প্রচার করা আংশিক সত্য প্রকাশ এবং বাকি অংশের সত্য চাপা দেয়ার শামিল৷ কারো বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার করে বিতর্ক জন্ম দেয়ার অভিযোগও আছে সংবাদমাধ্যমের একাংশের বিরুদ্ধে৷ এ সব কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না৷
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♣♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
সাংবাদিকতার পরিধি বেড়েছে,
সাংবাদিক বেড়েছে, সংবাদ কর্মী বেড়েছে
***
কিন্তু অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বাড়েনি
সংবাদ এর মান বাড়েনি
**********************************
মনে করুন
মেয়ে বা ছেলের মুখেভাতে-জন্মদিনে, বিবাহবার্ষিকীতে বা অন্য পারিবারিক অনুষ্ঠানে মন্ত্রীদের ডাকা হল। এতে নিজেদের ওজন বাড়ছে মনে হচ্ছে
,দু চারজন সাংবাদিক ডেকে আনলো, নিজেদের পরিচয় দাঁড়ায় প্রথম পাতায়।
বা
কোন নেতা বা মডেল, অভিনেত্রী, সুন্দরি
সুপার মডেল কি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলো। কোন নেতা কি লেখলো স্যোসাল মিডিয়াতে
-তাকে খবর বলে চালিয়ে দেয়।
বা কার কুকুর মরল কার বিড়াল মরে
পানিতে ভাসল। সেই কুকুর টা কার।
মালিক কে।
বা
■ সরকার যা চেপে যেতে চায়, সেটাই খবর। বাকিটা প্রচার। খবর খুঁজে বার করতে হয় সাংবাদিককেই। সরকারের দেওয়া তথ্য নিজেরা যাচাই না করে প্রচার করা অর্থহীন।
তবে সংবাদ হল না সাংবাদিকতা?
অনেকেই ভাবি না যে, কোনও সংবাদেরই আয়ু বেশিদিন নয়। সংবাদ অবশ্যই পচনশীল। আজ যেটা তাক লাগানো মনে হচ্ছে, কালই তা ঠোঙা বা ভ্যানিটি ব্যাগ বিক্রেতাদের ব্যাগ ফুলিয়ে রাখার কাজে ব্যবহৃত বস্তু। আজ যেটা সেনসেশন, কাল তা পাঠকদের নজরে ‘আমিও জানি’ তকমা-ভূষিত শুকনো তথ্য। তাই এই ‘Perishable Commodity’-র কারবারিদের কেউই বিশেষ মনে রাখে না। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে একথা শোনার, “সাহিত্যিক অমর হতে পারেন, কিন্তু সাংবাদিকের অমরত্ব কষ্টকল্পনা। সময় তাঁকে মুছে দেয় খবরেরই সঙ্গে।”
---
আসলে এই মুহূর্তের একাধিক তথাকথিত সাংবাদিকের সঙ্গে হীরকরাজার সভাসদদের সঙ্গে তুলনা করা যায়। সংবাদমাধ্যমের ভাষায় যারা শাসকদলের ‘বিট’ করেন, তারা দিনকয়েকের মধ্যেই আশ্চর্য দক্ষতায় সাংবাদিক কম, সভাসদ বেশি হয়ে যাচ্ছেন। এটা দুর্ভাগ্যের, এটা দুঃখের এবং এটা আত্মঘাতী।
+--
আসল কথা হল সাংবাদিকতার কেমন
হাল আজকে।।
‘‘এখন আর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নেই৷'' তার মানে আগে ছিল? কতটা ছিল, এখন কি আসলেই নেই বা কমে গেছে?
১. সাংবাদিকতার পরিধি অনেক বিস্তৃত হয়েছে৷ প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যাপকতা বেড়েছে৷ তা ছাপিয়ে জয়যাত্রা চলছে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার৷ অনলাইন সাংবাদিকতা এসেছে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে৷ প্রতিযোগিতা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে৷
সাংবাদিকতার এই প্রচার, প্রসারের বৃদ্ধির কালে কেন এই আলোচনা যে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কমে গেছে? কেন এ কথা সামনে আসে যে, এখন আর অনুসন্ধানী
প্রতিবেদন দেখা যায় না?
#২)এ সব জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও তথ্য
------*************
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সংবাদ না করে
যা তা দিয়ে সংবাদ ভরে রাখে।
কার কি হল। কোন ফিল্ম স্টার কি করল।
এসব।।
৩)
তথ্যকে ও প্রমান কে প্রাধান্য না দেয়া
++++++++++++++++----
আজকাল কিছু অনলাইন পত্রিকা বা
বাংলাদেশি কিছু নামকরা পত্রিকাও আছে।এদের খবর দেখলে মনে হয় এরা ফেসবুজ খুব বেশি ব্যবহার করে।
একজন তরুন ছেলে
প্রথম ফেসবুক খুললে যেমব হয় তেমন।
তারা ফেসবুকের
তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করে।
+++++
৪) রংচটা চটকদার সংবাদ
++++++++++
শিরোনাম গুলোকে বেশি চটকদার করে।
যেনো কি বিশাল তথ্য আছে।
পরে দেখা যায়
আসলে কিছুই না।
যেমন।
#জানেন_সাইফ_কারিনার_পুত্র_কি করতে পারে/?
কি আর খাইতে পারে আর পটি করতে পারে।
সব চেয়ে হতাশার বিষয় হল আমদের গণমাধ্যম গুলো কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক তাই এদেশে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করাটা বেশ কষ্টসাধ্য ।
এ ছাড়াও অনেক ধরনের চাপ , লোভ , অজ্ঞতা সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠতা থেকে দূরে সরিয়ে দেয় ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুল হক ২৫/০১/২০১৮বেশ বড়, ভাঃলো লিখা!