সময়ের মহাকাল
সময়ের মহাকাল
- মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন
---
দিন যায় রাত আসে।
কত ছবি চোখে ভাসে
দেখেছি তোমাদের হাতে গড়া খেলা।
সব খেলাতেই পুতুলকে কর অবহেলা
পুতুল তো আমজনতা ।
খেলোয়ার তোমরা,রাজা,মন্ত্রী,নেতা।
গরীব কৃষক ,মুচি,শ্রমিক ,
যারা খায় সবার গুতা।
তোমরা পাক্কা খেলোয়ার তাদের বড় নেতা।
ব্যবহার কর তাদের।
বানিয়ে শীতের কাথা।(খ্যাতা,কম্বল))
কত মহাকাল দেখি মনের পাতা খুলে।
কত মহান রাজার কাহিণী তাতে।
কত ইতিহাসের পৃষ্ঠাতে,
কত গল্প ,উপন্যাসের পাতাতে।
ইতিহাস তো দেখেছি।
লেখকের ভিন্ন মত দেখেছি।
লেখক পাল্টালেই ইতিহাস পাল্টে।
রাজাদের নিয়ে প্রজাদের কত কৌতুহল।
দেখেছি রাজকুমারী রাও কালো হয়।
গল্পের মত বাস্তবতা নয়।
বাস্তবের রাজকুমারীর থাকেনা লম্বা কেশ।
থাকেনা রূপবতি রূপবান।
তবু তারা সবার নজরে থাকে।
শোকে,দুঃখে, সকল বাক্যে।
দেখেছি ইতিহাস, গল্প সব ।
তাদের কাহিণীতেই ভরপুর।
কোন মুচি ,কৃষকের নামে নেই অধ্যায়
নেই ঠাই ইতিহাসে।
কেউ জানে সেই বীরদের কথা।
যার অন্ন খেয়ে বেচে থাকে রাজা।
বেচে থাকে চাটুকার ঐতিহাসিক।
ধিক শত ধিক তাদের চরণে।
যে রাজা অন্নদাতা কৃষককেই করেছে অত্যাচার।
করেনি ন্যয় বিচার।
করেছে বার বার অত্যাচার।
বার বার তাদের পিঠেই করেছে আঘাত।
বার বার করেছে পদাঘাত।
ইতিহাস তাদের হয়েই কথা বলে।
দিয়েছে অত্যাচারীদের বুকে ঠাই।
গরীবেরে নিয়ে কিছু বলে নাই।
কিছু লেখে নাই তার কথা ।
বুকে এইটুকুই ব্যাথা।
লেখক গুলোও তেমনি।
ইতিহাস নিয়ে খেলা করে।
বার বার শাসকের কটা হাত
কটা পা , কটা হাত
কটা দাত ,কটা মাথা।
এসব দিয়ে শাসক কি করে ।
লিখেছে সে ।
পেয়েছে পুরস্কার ।
পেয়েছে সে লেখার অধিকার।
খ্যাতি পেয়েছে লেখক হিসেবে।
এই হল গরীবের প্রতি আচরণ।
গরীবের কিভাবে হয় মরন।
কাকে বাচাতে তাদের এই মরন।
কেউ খোঁজেনা সেই কারন।
ইতিহাস তৈরি হতে ।
এই নগর সভ্যতার কাহিণী
যে সভ্যতা গড়ে ওঠেছে বার বার।
জানে না লেখক ও পাঠকেরা ।
এসব তৈরি হতে ,
কাঁচামাল হিসেবে হয়েছে ব্যবহার
গরীবের রক্ত ,মাংস ,হাড়।
কিছুই ছিলোনা অবদান রাজার।
সে শুধু ভোগ করেছে।
দখল করেছে সম্পদ।
সব কিছুই করেছে ভোগ দখল।
গরীবের জীবনকে করেছে বিকল।
গরীবরে তবু চিনলে না তোমরা।
দিন গেল ,রাত এল।
কেটে গেল মহাকাল।
কালের স্রোতে ভাসে গরীবের সন্ধ্যাকাল।
হে মহান কবিগন।
হে ইতিহাস লেখকের দল।
কতই তো রাজার গুণগান করলে।
এবার কর মাটির গান
যারা তোমার অন্ন যোগাতে দেয় প্রাণ।
তোমার জুতা জোরা যে করে তৈয়ার।
তোমাকে বসতে যে দিয়েছে চেয়ার।
তার কথা বল কবি ।
তার কথা বল।।
শাসকের কটা হাত ।
শোসকের কটা দাত ।
কটা গুনে খায় ভাত।
কটা টাকা হালাল তার ,
কত তার হারামের ।
সেটা দেখে লাভ কি বল?
দেখো এই জমিতে।
দেখো এই ভূমিতে।
তোমাকে খুঁজে পাবে।
আমাকে খুঁজে পাবে
- মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন
---
দিন যায় রাত আসে।
কত ছবি চোখে ভাসে
দেখেছি তোমাদের হাতে গড়া খেলা।
সব খেলাতেই পুতুলকে কর অবহেলা
পুতুল তো আমজনতা ।
খেলোয়ার তোমরা,রাজা,মন্ত্রী,নেতা।
গরীব কৃষক ,মুচি,শ্রমিক ,
যারা খায় সবার গুতা।
তোমরা পাক্কা খেলোয়ার তাদের বড় নেতা।
ব্যবহার কর তাদের।
বানিয়ে শীতের কাথা।(খ্যাতা,কম্বল))
কত মহাকাল দেখি মনের পাতা খুলে।
কত মহান রাজার কাহিণী তাতে।
কত ইতিহাসের পৃষ্ঠাতে,
কত গল্প ,উপন্যাসের পাতাতে।
ইতিহাস তো দেখেছি।
লেখকের ভিন্ন মত দেখেছি।
লেখক পাল্টালেই ইতিহাস পাল্টে।
রাজাদের নিয়ে প্রজাদের কত কৌতুহল।
দেখেছি রাজকুমারী রাও কালো হয়।
গল্পের মত বাস্তবতা নয়।
বাস্তবের রাজকুমারীর থাকেনা লম্বা কেশ।
থাকেনা রূপবতি রূপবান।
তবু তারা সবার নজরে থাকে।
শোকে,দুঃখে, সকল বাক্যে।
দেখেছি ইতিহাস, গল্প সব ।
তাদের কাহিণীতেই ভরপুর।
কোন মুচি ,কৃষকের নামে নেই অধ্যায়
নেই ঠাই ইতিহাসে।
কেউ জানে সেই বীরদের কথা।
যার অন্ন খেয়ে বেচে থাকে রাজা।
বেচে থাকে চাটুকার ঐতিহাসিক।
ধিক শত ধিক তাদের চরণে।
যে রাজা অন্নদাতা কৃষককেই করেছে অত্যাচার।
করেনি ন্যয় বিচার।
করেছে বার বার অত্যাচার।
বার বার তাদের পিঠেই করেছে আঘাত।
বার বার করেছে পদাঘাত।
ইতিহাস তাদের হয়েই কথা বলে।
দিয়েছে অত্যাচারীদের বুকে ঠাই।
গরীবেরে নিয়ে কিছু বলে নাই।
কিছু লেখে নাই তার কথা ।
বুকে এইটুকুই ব্যাথা।
লেখক গুলোও তেমনি।
ইতিহাস নিয়ে খেলা করে।
বার বার শাসকের কটা হাত
কটা পা , কটা হাত
কটা দাত ,কটা মাথা।
এসব দিয়ে শাসক কি করে ।
লিখেছে সে ।
পেয়েছে পুরস্কার ।
পেয়েছে সে লেখার অধিকার।
খ্যাতি পেয়েছে লেখক হিসেবে।
এই হল গরীবের প্রতি আচরণ।
গরীবের কিভাবে হয় মরন।
কাকে বাচাতে তাদের এই মরন।
কেউ খোঁজেনা সেই কারন।
ইতিহাস তৈরি হতে ।
এই নগর সভ্যতার কাহিণী
যে সভ্যতা গড়ে ওঠেছে বার বার।
জানে না লেখক ও পাঠকেরা ।
এসব তৈরি হতে ,
কাঁচামাল হিসেবে হয়েছে ব্যবহার
গরীবের রক্ত ,মাংস ,হাড়।
কিছুই ছিলোনা অবদান রাজার।
সে শুধু ভোগ করেছে।
দখল করেছে সম্পদ।
সব কিছুই করেছে ভোগ দখল।
গরীবের জীবনকে করেছে বিকল।
গরীবরে তবু চিনলে না তোমরা।
দিন গেল ,রাত এল।
কেটে গেল মহাকাল।
কালের স্রোতে ভাসে গরীবের সন্ধ্যাকাল।
হে মহান কবিগন।
হে ইতিহাস লেখকের দল।
কতই তো রাজার গুণগান করলে।
এবার কর মাটির গান
যারা তোমার অন্ন যোগাতে দেয় প্রাণ।
তোমার জুতা জোরা যে করে তৈয়ার।
তোমাকে বসতে যে দিয়েছে চেয়ার।
তার কথা বল কবি ।
তার কথা বল।।
শাসকের কটা হাত ।
শোসকের কটা দাত ।
কটা গুনে খায় ভাত।
কটা টাকা হালাল তার ,
কত তার হারামের ।
সেটা দেখে লাভ কি বল?
দেখো এই জমিতে।
দেখো এই ভূমিতে।
তোমাকে খুঁজে পাবে।
আমাকে খুঁজে পাবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কবিসম্রাট রাধাশ্যাম জানা ২১/০৩/২০১৭সুন্দর লেখনী।
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২০/০৩/২০১৭খুব ভালো।