সন্তানের প্রতি পিতার উপদেশ
প্রিয় বৎস!
আজ তুমি অনেক ছোট। তোমাকে যদি কোন উপদেশ দেই তাহলে সেটা মানা বা না মানার উপযোগী নও তুমি। একদিন তুমি অনেক বড় হবে। সেদিন আমি থাকব কিনা জানিনা। আর বেচেঁ থাকা মানুষের উপদেশ অনেক ক্ষেত্রে খুব উপযোগী হয় না। তাই তুমি যেদিন বড় হবে, তখন হয়তোবা খুঁজবে তোমার প্রতি পিতার কোন উপদেশ আছে কিনা। সেদিনের জন্য আজকের এই লেখা৷ তুমি পবিত্র কুরআনের সুরা লোকমানে বর্ণিত হযরত লোকমান (আঃ) কর্তৃক তার সন্তানকে দেয়া উপদেশগুলো ভালো করে পড়বে এবং জীবনে বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। আর নিচের বিষয়গুলোও জীবন চলার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হবে।
১. সমাজের নিম্ন শ্রেণির কোন মানুষের সাথেও এমন আচরণ কর না যার দ্বারা তার অবমাননা হয় এবং তোমার অহংকার বৃদ্ধি পায়। যেমন: জুতা সেলাই বা রং করতে চাইলে মেরামতকারীর দোকানের সামনে পা বাড়িয়ে দিওনা, বরং জুতাটা খুলে নিজে একবার মুছে দিও।
২. কাউকে অসম্মানজনক শব্দে সম্মোধন করো না। যেমন: কখনও কাউকে কামলা, কাজের লোক বা বুয়া বলে ডেকোনা। মনে রেখো তারাও কারো না কারো ভাই, বোন, মা, বাবা। তাদেরকে সম্মান দিয়ে ডেকো।
৩. বয়স, শিক্ষা, পদ বা পদবীর দিক দিয়ে কেউ ছোট হলেও কখনও কাউকে ছোট করে দেখোনা। নইলে তুমি ছোট হয়ে যাবে।
৪. পড়াশুনা করে জীবনে উন্নতি করবে, কিন্তু কারো ঘাড়ে পা দিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করবে না।
৫. কাউকে সাহায্য করে পিছনে ফিরে চেওনা, সে লজ্জা পেতে পারে।
৬. সব সময় পাওয়ার চেয়ে দেয়ার চেষ্টা বেশি করবে। মনে রেখো, প্রদানকারির হাত সর্বদা উপরেই থাকে।
৭. এমন কিছু করোনা যার জন্য তোমার এবং তোমার পরিবারের উপর আঙুল ওঠে।
৮. ছেলে হয়ে জন্ম নিয়েছো, তাই দায়িত্ব এড়িয়ে যেওনা।
৯. তোমার কি আছে তোমার গায়ে লেখা নেই। কিন্তু তোমার ব্যবহারে দেখা যাবে তোমার পরিবার কেমন।
১০. কখনও মার কথা শুনে বউকে এবং বউয়ের কথা শুনে মাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করবে না। কারণ এটা চিরন্তন বিবাদ। প্রত্যেককে তার অবস্থানে মূল্যায়ন করবে। এদের কাউকে ছেড়ে তোমার পরিবাব পূর্ণ নয়। তাই কাউকে ফেলতে পারবে না।
১১. পরনির্ভরশীল হতে যেওনা। কারও বাসায় নিমন্ত্রন খেতে গেলে বাসায় দু-মুঠো ভাত খেয়ে যেও। অন্যের পাতিলের ভাতের আশায় থেকো না।
১২. কারো বাসার খাবার নিয়ে সমালোচনা করবে না। কেউ খাবার ইচ্ছে করে অস্বাদ করার চেষ্টা করে না।
১৩. বড় হবার জন্য নয়, মানুষ হবার জন্য চেষ্টা করবে।
১৪. মুরুব্বি ও গুরুজনদের এতটা সম্মান করবে, যতটুকু সম্মান তোমার বাবা-মাকে করা উচিৎ এবং তাদের প্রতি এমন আচরন করবে, যাতে তারা তোমাকে মন থেকে দোয়া দেয়।
১৫. সব সময় ভদ্র ও নম্রভাবে চলবে এবং কথা বলবে। কিন্তু অন্যায়ের সাথে আপোষ করবেনা।
১৬। কারো কান কথায় মনযোগ দিওনা। এতে করে বড় ধরনের বিপত্তি ও ঝগড়ার সৃষ্টি হতে পারে।
১৭। অতি তাড়াতাড়ি বড় ও বিত্তশালী হওয়ার চেষ্টা করবে না। এতে করে তোমার অতি তাড়াতাড়ি কুফলও বয়ে আসতে পারে অথবা চারিত্রিক স্খলন ঘটতে পারে।
১৮। কখনো ধৈর্য্য ও মনোবল হারাবে না। মনে রেখ, ধৈর্য্যশীলদের আল্লাহ ভালোবাসেন। আর মনোবল তোমাকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিবে।
উৎসর্গঃ
আমার প্রাণপ্রিয় সন্তান
আবরার হুসাইন আদিল
আজ তুমি অনেক ছোট। তোমাকে যদি কোন উপদেশ দেই তাহলে সেটা মানা বা না মানার উপযোগী নও তুমি। একদিন তুমি অনেক বড় হবে। সেদিন আমি থাকব কিনা জানিনা। আর বেচেঁ থাকা মানুষের উপদেশ অনেক ক্ষেত্রে খুব উপযোগী হয় না। তাই তুমি যেদিন বড় হবে, তখন হয়তোবা খুঁজবে তোমার প্রতি পিতার কোন উপদেশ আছে কিনা। সেদিনের জন্য আজকের এই লেখা৷ তুমি পবিত্র কুরআনের সুরা লোকমানে বর্ণিত হযরত লোকমান (আঃ) কর্তৃক তার সন্তানকে দেয়া উপদেশগুলো ভালো করে পড়বে এবং জীবনে বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। আর নিচের বিষয়গুলোও জীবন চলার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হবে।
১. সমাজের নিম্ন শ্রেণির কোন মানুষের সাথেও এমন আচরণ কর না যার দ্বারা তার অবমাননা হয় এবং তোমার অহংকার বৃদ্ধি পায়। যেমন: জুতা সেলাই বা রং করতে চাইলে মেরামতকারীর দোকানের সামনে পা বাড়িয়ে দিওনা, বরং জুতাটা খুলে নিজে একবার মুছে দিও।
২. কাউকে অসম্মানজনক শব্দে সম্মোধন করো না। যেমন: কখনও কাউকে কামলা, কাজের লোক বা বুয়া বলে ডেকোনা। মনে রেখো তারাও কারো না কারো ভাই, বোন, মা, বাবা। তাদেরকে সম্মান দিয়ে ডেকো।
৩. বয়স, শিক্ষা, পদ বা পদবীর দিক দিয়ে কেউ ছোট হলেও কখনও কাউকে ছোট করে দেখোনা। নইলে তুমি ছোট হয়ে যাবে।
৪. পড়াশুনা করে জীবনে উন্নতি করবে, কিন্তু কারো ঘাড়ে পা দিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করবে না।
৫. কাউকে সাহায্য করে পিছনে ফিরে চেওনা, সে লজ্জা পেতে পারে।
৬. সব সময় পাওয়ার চেয়ে দেয়ার চেষ্টা বেশি করবে। মনে রেখো, প্রদানকারির হাত সর্বদা উপরেই থাকে।
৭. এমন কিছু করোনা যার জন্য তোমার এবং তোমার পরিবারের উপর আঙুল ওঠে।
৮. ছেলে হয়ে জন্ম নিয়েছো, তাই দায়িত্ব এড়িয়ে যেওনা।
৯. তোমার কি আছে তোমার গায়ে লেখা নেই। কিন্তু তোমার ব্যবহারে দেখা যাবে তোমার পরিবার কেমন।
১০. কখনও মার কথা শুনে বউকে এবং বউয়ের কথা শুনে মাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করবে না। কারণ এটা চিরন্তন বিবাদ। প্রত্যেককে তার অবস্থানে মূল্যায়ন করবে। এদের কাউকে ছেড়ে তোমার পরিবাব পূর্ণ নয়। তাই কাউকে ফেলতে পারবে না।
১১. পরনির্ভরশীল হতে যেওনা। কারও বাসায় নিমন্ত্রন খেতে গেলে বাসায় দু-মুঠো ভাত খেয়ে যেও। অন্যের পাতিলের ভাতের আশায় থেকো না।
১২. কারো বাসার খাবার নিয়ে সমালোচনা করবে না। কেউ খাবার ইচ্ছে করে অস্বাদ করার চেষ্টা করে না।
১৩. বড় হবার জন্য নয়, মানুষ হবার জন্য চেষ্টা করবে।
১৪. মুরুব্বি ও গুরুজনদের এতটা সম্মান করবে, যতটুকু সম্মান তোমার বাবা-মাকে করা উচিৎ এবং তাদের প্রতি এমন আচরন করবে, যাতে তারা তোমাকে মন থেকে দোয়া দেয়।
১৫. সব সময় ভদ্র ও নম্রভাবে চলবে এবং কথা বলবে। কিন্তু অন্যায়ের সাথে আপোষ করবেনা।
১৬। কারো কান কথায় মনযোগ দিওনা। এতে করে বড় ধরনের বিপত্তি ও ঝগড়ার সৃষ্টি হতে পারে।
১৭। অতি তাড়াতাড়ি বড় ও বিত্তশালী হওয়ার চেষ্টা করবে না। এতে করে তোমার অতি তাড়াতাড়ি কুফলও বয়ে আসতে পারে অথবা চারিত্রিক স্খলন ঘটতে পারে।
১৮। কখনো ধৈর্য্য ও মনোবল হারাবে না। মনে রেখ, ধৈর্য্যশীলদের আল্লাহ ভালোবাসেন। আর মনোবল তোমাকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিবে।
উৎসর্গঃ
আমার প্রাণপ্রিয় সন্তান
আবরার হুসাইন আদিল
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী ০৯/০৪/২০২৩এই লেখাটি আপনার নয় ! অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা ! অতএব , এখানে ফার্স্ট লেখকের নাম মেনশন করা উচিত ছিল কিংবা লেখার দরকার ছিল- সংগৃহিত ! তাতে আপনার সততা প্রকাশ পেতো !
-
নাসরীন আক্তার রুবি ২১/১০/২০২২ধন্যবাদ আপনাকে, চমৎকার লেখা
-
শ.ম. শহীদ ০৪/১০/২০২২চমৎকার লিখেছেন। শুভেচ্ছা রইলো।
-
জানবক্স খান ২৮/০৯/২০২২ভালো হলো।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৮/০৯/২০২২সৎ উপদেশ।
-
ফয়জুল মহী ১৭/০৯/২০২২Good post