এ কোন শকুনের কবলে বাংলাদেশ
চিলে কান নিয়ে গেছে শুনার মত লাগছিল এতদিন। গুজব ভেবে হাত দিয়ে দেখিনি। কিন্তু যখন হাত দিলাম তখন দেখি হায় হায় সত্যি সত্যিই তো কান চিলে নিয়ে গেছে। এমনটিই তো মনে হলো ভারত থেকে নিয়ে আসা ট্রেন দেখে।
আচ্ছা চলুন একটু কল্পনার জগৎ থেকে ভ্রমণ করে আসি। ধরুন সিলেট থেকে ঢাকা যাবেন। Indian Railway লগো লাগানো আছে এমন ট্রেনে যাবেন। বাংলার বদলে হিন্দি নির্দেশিকা কিন্তু আপনি হিন্দি জানেন না। ভিতরে হিন্দুস্থানি কর্মী এসেই আপনাকে বললো- "আপকা টিকেট দিখাইয়ে"। আপনি তো হিন্দি জানেন না তাই হ্যাঁ কিংবা না-তেই উত্তর দিলেন।তখন সে বললো- "আপকা বাত সামঝা নেহি, হিন্দিমে বলিয়ে।" আপনি রেগে গেলে সে আবার বললো- "আপ উঠিয়ে নিকালিয়ে ট্রেনসে, টিকেট নেহি দেখাতা ফির মেজাজ দেখাতা, শালা বাঙ্গালী"।
এক পর্যায়ে সমস্যা হলো পুলিশ এলো আপনাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল। অনেক কাহিনী হলো মামা, খালু অনেককেই ধরলেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না। আর হবেই বা কি করে এ যে দাদার সাথে সমস্যা।
এবার ফিরে আসি বাস্তবতায়। আসলে উপরের ঘটনাটি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বাস্তবে ঘটার আর মনে হয় খুব একটা দেরী নয়। আচ্ছা য়দি এমনটিই হবে তাহলে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের কোন দরকার ছিল কি?
হ্যাঁ ভাষা আন্দোলনের ৬৪ বছর পর আজ আমরা অন্য কোন ভাষার চর্চা করছি। বিদেশি ভাষা তো আর বিদেশি ভাষাই সেটা হিন্দি হউক আর উর্দূই হউক। যদি বিদেশি ভাষার চর্চাই করবো তাহলে তো উর্দূ থাকলেই হতো। কি প্রয়োজন ছিল ভাষা আন্দোলনের।
আচ্ছা আমরা কি ভুলে গেছি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এদেশে যাত্রা শুরুর কথা। নিশ্চয়ই না। তবু আরেকবার স্মরণ করিয়ে দেই। ১৬০০ সালে "দ্যা কোম্পানি অফ মার্চেন্টস অফ লন্ডন ট্রেডিং ইনটু দি ইস্ট কোম্পানি"(এরপর শুধুমাত্র "কোম্পানি" বলে উল্লেখিত হবে) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৬১২ সালে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর পশ্চিম উপকূলের সুরাট বন্দরে কোম্পনিকে বাণিজ্যকুটি স্থাপনের অনুমতি প্রদান করেন। ১৬৪০ সালে বিজয়নগর সম্রাটের কাছ থেকে অনুরূপ একটি অনুমতি আদায় করে দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে মাদ্রাজে কোম্পানি দ্বিতীয় বাণিজ্যকুটি স্থাপন করে। আর এভাবেই শুরু হয় কোম্পানিরর আগমন। এ সবকিছু আপনাদের অজানার কথা নয়। এটি যে কত বড় ভুল ছিল তা আজ আমরা মর্মে মর্মে বুঝতে পারছি। এই ভুলের ফল আমাদের যে আরো কত কাল দিতে হবে তা জানা নেই।
একিই অবস্থায় ভারতীয়রাও এই দেশে থেকে বিডিআর বিদ্রোহ থেকে শুরু করে একের পর এক নানা ঘটনা ঘটাচ্ছ। আর এইসব ঘটনা প্রবাহই প্রমান করছে যে দেশে জঙ্গি জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করে সরকার আমাদের সাথে কানামাছি ভোঁ ভোঁ খেলছে।
এসব থেকে একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কিছু শকুনের কবলে পড়েছে। শকুনেরা যদি ফসল সহ সব খেয়ে ফেলে তাহলে আমরা কি আঙ্গুল চুসবো? আমাদের কি উচিত নয় সময় থাকতে এসব বিষয়ে সচেতন হওয়া।
নির্বাহী সম্পাদক -পারিস বার্তা ফ্রান্স
facebook.com/akbar.syed89
BLOGE
আমরা বাংলার সোনার ছেলে
আচ্ছা চলুন একটু কল্পনার জগৎ থেকে ভ্রমণ করে আসি। ধরুন সিলেট থেকে ঢাকা যাবেন। Indian Railway লগো লাগানো আছে এমন ট্রেনে যাবেন। বাংলার বদলে হিন্দি নির্দেশিকা কিন্তু আপনি হিন্দি জানেন না। ভিতরে হিন্দুস্থানি কর্মী এসেই আপনাকে বললো- "আপকা টিকেট দিখাইয়ে"। আপনি তো হিন্দি জানেন না তাই হ্যাঁ কিংবা না-তেই উত্তর দিলেন।তখন সে বললো- "আপকা বাত সামঝা নেহি, হিন্দিমে বলিয়ে।" আপনি রেগে গেলে সে আবার বললো- "আপ উঠিয়ে নিকালিয়ে ট্রেনসে, টিকেট নেহি দেখাতা ফির মেজাজ দেখাতা, শালা বাঙ্গালী"।
এক পর্যায়ে সমস্যা হলো পুলিশ এলো আপনাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল। অনেক কাহিনী হলো মামা, খালু অনেককেই ধরলেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না। আর হবেই বা কি করে এ যে দাদার সাথে সমস্যা।
এবার ফিরে আসি বাস্তবতায়। আসলে উপরের ঘটনাটি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বাস্তবে ঘটার আর মনে হয় খুব একটা দেরী নয়। আচ্ছা য়দি এমনটিই হবে তাহলে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের কোন দরকার ছিল কি?
হ্যাঁ ভাষা আন্দোলনের ৬৪ বছর পর আজ আমরা অন্য কোন ভাষার চর্চা করছি। বিদেশি ভাষা তো আর বিদেশি ভাষাই সেটা হিন্দি হউক আর উর্দূই হউক। যদি বিদেশি ভাষার চর্চাই করবো তাহলে তো উর্দূ থাকলেই হতো। কি প্রয়োজন ছিল ভাষা আন্দোলনের।
আচ্ছা আমরা কি ভুলে গেছি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এদেশে যাত্রা শুরুর কথা। নিশ্চয়ই না। তবু আরেকবার স্মরণ করিয়ে দেই। ১৬০০ সালে "দ্যা কোম্পানি অফ মার্চেন্টস অফ লন্ডন ট্রেডিং ইনটু দি ইস্ট কোম্পানি"(এরপর শুধুমাত্র "কোম্পানি" বলে উল্লেখিত হবে) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৬১২ সালে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর পশ্চিম উপকূলের সুরাট বন্দরে কোম্পনিকে বাণিজ্যকুটি স্থাপনের অনুমতি প্রদান করেন। ১৬৪০ সালে বিজয়নগর সম্রাটের কাছ থেকে অনুরূপ একটি অনুমতি আদায় করে দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে মাদ্রাজে কোম্পানি দ্বিতীয় বাণিজ্যকুটি স্থাপন করে। আর এভাবেই শুরু হয় কোম্পানিরর আগমন। এ সবকিছু আপনাদের অজানার কথা নয়। এটি যে কত বড় ভুল ছিল তা আজ আমরা মর্মে মর্মে বুঝতে পারছি। এই ভুলের ফল আমাদের যে আরো কত কাল দিতে হবে তা জানা নেই।
একিই অবস্থায় ভারতীয়রাও এই দেশে থেকে বিডিআর বিদ্রোহ থেকে শুরু করে একের পর এক নানা ঘটনা ঘটাচ্ছ। আর এইসব ঘটনা প্রবাহই প্রমান করছে যে দেশে জঙ্গি জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করে সরকার আমাদের সাথে কানামাছি ভোঁ ভোঁ খেলছে।
এসব থেকে একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কিছু শকুনের কবলে পড়েছে। শকুনেরা যদি ফসল সহ সব খেয়ে ফেলে তাহলে আমরা কি আঙ্গুল চুসবো? আমাদের কি উচিত নয় সময় থাকতে এসব বিষয়ে সচেতন হওয়া।
নির্বাহী সম্পাদক -পারিস বার্তা ফ্রান্স
facebook.com/akbar.syed89
BLOGE
আমরা বাংলার সোনার ছেলে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুব্রত সামন্ত (বুবাই) ০৩/০৭/২০১৬thik tai
-
ফয়জুল মহী ০২/০৭/২০১৬হে স্বাধীন চারণ ক্ষেত্র তোমার বুকে আইএসএস,এও কি কোন শ্রদ্ধেয় নেতার স্বপ্ন।