www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

আদৌ হ্যাকিং নাকি পাচার করা হয়েছে রিজার্ভের ঐ টাকা

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে ব্যাপক উন্নয়ন ও বিস্তার লাভ করেছে। প্রযুক্তির ব্যবহারও বেড়েছে ব্যাপক হারে। জনগণও নিজ আগ্রহে প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। কিন্তু প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠা এই জাতির জন্য প্রযুক্তিই হবে অভিশাপ তা হয়ত কেউ ভাবতেই পারছেন না। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বাংলাদেশের শত শত কোটি টাকা।

বাংলাদেশের টাকা বেশ কিছু দেশে রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে, যুক্তরাজ্যে ও অস্ট্রলিয়াতে ডলার, পাউন্ড ও অস্ট্রেলিয়ান ডলার রয়েছে বাংলাদেশের।
প্রায় ২৮'শ কোটি ডলার রাখা হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারাল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে। কিন্তু হঠাৎ করেই গত ৫ই ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারাল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে আকষ্মিক ভাবে সরিয়ে নেয়া হয় ৮৭০ কোটি ডলার বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমান প্রায় ৬,৯৬০ কোটি টাকা

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘটনাটি ধামা চাপা দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়। কিন্তু যখন ফিলিপাইনের দৈনিক ইন কুয়ারার পত্রিকা ও ABSCBN টিভি চ্যালেনে এই নিয়ে প্রতিবেন প্রচার হয় তখন আর তা ধামা চাপা দেয়া সম্ভব হয়নি।
ABSCBN এর রিপোর্টে বলা হয় যে বাংলাদেশ থেকে প্রচার হওয়া টাকা দিয়ে ফিলিপাইন সহ বেশ কিছু দেশে জুয়া খেলা হচ্ছে। ফিলিপাইন আরো জানায় ক্যাসিনুর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রচার হওয়া টাকা বৈধ করার চেষ্টা করা হয় কিন্তু ফিলিপাইন কতৃপক্ষের কারণে আর তা সম্ভব হয়নি।

ফিলিপাইনে খবরটি প্রচারের পর মুখ খুলতে বাধ্য হন বাংলাদেশ ব্যাংকের মূখ্যপাত্র জনাব শুভংকর। তিনি বলেন -"এটা সত্যি যে বাংলাদেশের রিজার্ভের কিছু টাকা হ্যাক করা হয়েছে যার পরিমান ৮০/৮১ মিলিয়ন ডলার।"
বাংলাদেশ সরকার পক্ষের দাবী এ টাকা চীনা হ্যাকাররা হ্যাকিং এর মাধ্যমে সরিয়ে নিয়েছে বিভিন্ন দেশে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট ও বাংলাদেশের প্রযুক্তিবিদরা বলছেন যে এ টাকা হ্যাকিং নয় বরং তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফ কোডটি ব্যবহার করেই টাকা সরানো হয়েছে। প্রযুক্তিবিদরা আরো বলছেন - আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফারিং সিস্টেম এতই জোরাল যে এত সহজে তা ভেঙ্গে ফেলা এত সহজ নয় আর যদিও তা সম্ভব হয় তবে কয়েক ধাপে তার দ্বারা টাকা সরানো সম্ভব নয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি টাকা হ্যাকিং না করা হয়ে তা হলে কে বা কারা এই টাকা পাচারের সাথে জড়িত?
নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবহৃত সুইফ কোডটি কেবল মাত্র প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা এই চার জনই জানেন অন্য কেউ নয়। তাহলে যদি টাকা প্রাচার হয় তবে এখান থেকে কে বা কারা জড়িত এর সাথে আর হ্যাক হয়ে থাকলে তথ্য উপদেষ্টা হওয়া শর্তেও কেন সজীব ওয়াজেদ জয়ের এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেই, কেনই বা সরকার এ ঘটনায় নিরব এবং কেন এত লুকোচুরি? এগুলো এখন সরকারের জড়িত থাকা না থাকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তুলেছে।
আদৌ এ ঘটনা হ্যাকিং নাকি প্রাচার তা এক বিরাট রহস্য। তবে হ্যাকিং বা প্রাচার যাই হউক না কেন বিভিন্ন দেশে সরিয়ে দেয়া টাকাগুলো অচিরেই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এমনটিই দেশের জনগণের প্রত্যাশা।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৯৯৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৩/০৩/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • পরশ ০১/০৪/২০১৬
    ভাই বুঝলাম না
  • চারজন ব্যক্তির কাছে সুইফ (প্রকৃত শব্দটি কি তা জানেন?) থাকে বা আছে, আর কারো কাছে নেই বা কেউ জানে না, এই উদ্ভট তথ্য কোথায় পেলেন?
    টাকা পাচার হোক বা হ্যাক হোক বা জালিয়াতি করে বা যোগ সাজস করে সরানো হোক, আমরা চাই তা --- (১) ফেরত আসুক এবং (২) জড়িত যে-ই হোক --- তা চিহ্নিত করা হোক এবং (৩) তাদের যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হোক। এখানে ছাড়ের বা মার্সির কোন সুযোগ নেই।
    কঠোর ভাবে আইন প্রযুক্ত হোক। সবার সমর্থন প্রত্যাশিত।
 
Quantcast