ধর্ষন একটি সামাজিক ব্যাধি।
ধর্ষন একটি সামাজিক ব্যাধি।
সৈয়দ আলি আকবর
সাম্প্রতিক কালে বহুল আলোচিত হয়ে উঠেছে ধর্ষন শব্দটি। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই চোখে পড়ে ধর্ষনের নানা ঘটনার খবর।
গ্রামে কিংবা শহরে, বাড়িতে কিংবা রাস্তায়, অফিসে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমনকি চলমান বাসে পর্যন্ত, একথায় বলা চলে প্রায় সর্বত্রই ঘটছে এমন ন্যাক্কাড় জনক ঘটনার।ধর্ষন এখন ডাল-ভাতের মত হয়ে উটেছে।
ধর্ষন সম্পর্কে আলোচনার পূর্বে আমাদের জানা দরকার ধর্ষন বলতে আমরা কি বুঝি বা ধর্ষন কি?
ধর্ষন বলতে আমরা যা বুঝি তাহলো "কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে যৌন তৃপ্তি লাভ করা।" বর্তমান সমাজে অহরহই ঘটছে এমন লজ্জাজনক ঘটনা।নারীরা লাঞ্ছিত হচ্ছে যেখানে সেখানে।দিন দিন বেড়েই চলেছে এমন ন্যাক্কাড় জনক কাজ।
এসকল কাজের নেপথ্যে কি কি কারণ রয়েছ কে বা কারা দায়ী তা কি আমরা কখনো ভেবে দেখেছি।নানামুখি কারণে ধর্ষনের মত এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।
ধর্ষনের পিছনে যেসকল কারণকে দায়ী করবো তাহলো নৈতিকতার অভাব বা অবক্ষয়, নারীদের সচেতনতার অভাব, দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি না দেয়া, পারিবারিক ও সামাজিক প্রতিরোধের অভাব, নারীর খোলামেলা ও আবেদনময়ী পোশাক পরিধান, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার সুযোগ, সন্তানে প্রতি পিতা-মাতার উদাসহীনতা ইত্যাদি। এরকম নানান কারণে ঘটছে ধর্ষনের ঘটনা লাঞ্ছিত হচ্ছে নারীরা। বর্তমানে ধর্ষন একটি সামাজিক ব্যাধি।এটি কারো একার পক্ষে প্রতিরোধ করা সম্ভব না প্রয়োজন পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তলা।ধর্ষন প্রতিরোধে সর্বপ্রথম যা প্রয়োজন বলে মনে হয় তাহল সকলের মাঝে নৈতিকতাবোধ জাগরণ। ইসলাম সহ কোন ধর্মেই ধর্ষনের মতো কাজকে উৎসাহিত করা হয়েনি।সুতরাং ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার উপর প্রবল গুরুত্ব দেওয়া উচিত।ধর্মীয় অনুশাষন মেনে চলার মাধ্যমে নৈতিকতাবোধ সৃষ্টি ও নৈতিক অবক্ষয় রোধ করার মাধ্যমে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব সৃষ্টিই পারে ধর্ষন প্রতিরোধে প্রধান ভুমিকা রাখতে।
এছাড়া নারীদের ধর্ষন সম্পর্কে সচেতন করে তুলা এবং হঠাৎ করে ধর্ষনের শিকার হলে নিজেদের বাঁচাতে পারে এমন আত্নরক্ষামূলক কৌশল শিখানো উচিত।
অন্য আরেকটি ব্যাপার যা ধর্ষন প্রতিরোধে অনন্য ভুমিকা রাখতে পারে আর তাহল পিতা-মাতা বা অভিবাবকের সতর্কতা।
অনেক মেয়েই আছে যারা নিজ পরিবারেই ধর্ষনের মত পাষবীক নির্যাতনের শিকার হয়।এর জন্যে অনেক ক্ষেত্রেই পিতা-মাতা বা অভিবাবকের উদাসহীনতা দায়ী। অনেকেই চাচা,মামা বা চাচাতো-মামাতো, খালাতো-ফুফাতো ভাই-বোনদের অবাধে মেলামেশা করতে দেন।যার ফলে এক সময় মেয়েটি শিকার হয় ধর্ষন নামের নগ্ন নির্যাতনের।অনেক পরিবারে কোন পুরুষ আত্নীয় এলে মেয়েটিকে একাই দেয়া হয় আদর আপ্যায়নে।অনেক সময় এসব ক্ষেত্রেও ঘটে ধর্ষন।তাই পিতা-মাতা বা অভিবাবকের এসব ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে যাতে মেয়েটি কোন পুরুষ আত্নীয়ের সবার অগোচরে যাবার সুযোগ না হয়।
অপরাধী শাস্তি না পেলে সে বার বার অপরাধমুলক কাজ করে তাতে অপরাধ বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে অন্যরা অপরাধে জড়াতে উৎসাহিত হয়।তাই ধর্ষনকারীকে বিচরের মাধ্যমে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন যাতে অন্যেরা ভবিষ্যতে এমনটি করার সাহস না পায়।
উপরের কারণ ছাড়াও আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো মেয়েদের খোলামেলা পোশাক পরিধান।বর্তমানে মেয়ারা এমনভাবে পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান করে যার ফলে শরীরে বেশির ভাগ এমনকি অনেকের পুরোটাই দৃশ্যমান।এমন খোলামেলা পোশাক পুরুষদের উত্তেজিত করে তুলতে সহায়ক।এর ফলে পুরুষ অনেকটা বাধ্য হয়েই ধর্ষন করে।তাই বলা যায় যে ধর্ষনের জন্যে মেয়েরাও কম দায়ী নয়।এজন্যে ইসলামিক আইন অনুযায়ী সকল মুসলিম নারীদের পর্দা প্রথা বাধ্যতামূলক করা হলে এবং অন্যান ধর্মের নারীরা শালীন পোশাক পরিধান করলে নিশ্চিত ধর্ষন অনেকাংশেই কমে আসবে।
সবশেষে বলবো যে দেশে প্রচলিত আইন ১৯৭৬ সালের ধারা ৭৬ দন্ডবিধি অনুসারে প্রত্যেক ধর্ষনকারীর শাস্তি নিশ্চিত করা হলেই ধর্ষন প্রতিরোধ সম্ভব।
সৈয়দ আলি আকবর
পারিস ফ্রান্স
সাম্প্রতিক কালে বহুল আলোচিত হয়ে উঠেছে ধর্ষন শব্দটি। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই চোখে পড়ে ধর্ষনের নানা ঘটনার খবর।
গ্রামে কিংবা শহরে, বাড়িতে কিংবা রাস্তায়, অফিসে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমনকি চলমান বাসে পর্যন্ত, একথায় বলা চলে প্রায় সর্বত্রই ঘটছে এমন ন্যাক্কাড় জনক ঘটনার।ধর্ষন এখন ডাল-ভাতের মত হয়ে উটেছে।
ধর্ষন সম্পর্কে আলোচনার পূর্বে আমাদের জানা দরকার ধর্ষন বলতে আমরা কি বুঝি বা ধর্ষন কি?
ধর্ষন বলতে আমরা যা বুঝি তাহলো "কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে যৌন তৃপ্তি লাভ করা।" বর্তমান সমাজে অহরহই ঘটছে এমন লজ্জাজনক ঘটনা।নারীরা লাঞ্ছিত হচ্ছে যেখানে সেখানে।দিন দিন বেড়েই চলেছে এমন ন্যাক্কাড় জনক কাজ।
এসকল কাজের নেপথ্যে কি কি কারণ রয়েছ কে বা কারা দায়ী তা কি আমরা কখনো ভেবে দেখেছি।নানামুখি কারণে ধর্ষনের মত এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।
ধর্ষনের পিছনে যেসকল কারণকে দায়ী করবো তাহলো নৈতিকতার অভাব বা অবক্ষয়, নারীদের সচেতনতার অভাব, দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি না দেয়া, পারিবারিক ও সামাজিক প্রতিরোধের অভাব, নারীর খোলামেলা ও আবেদনময়ী পোশাক পরিধান, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার সুযোগ, সন্তানে প্রতি পিতা-মাতার উদাসহীনতা ইত্যাদি। এরকম নানান কারণে ঘটছে ধর্ষনের ঘটনা লাঞ্ছিত হচ্ছে নারীরা। বর্তমানে ধর্ষন একটি সামাজিক ব্যাধি।এটি কারো একার পক্ষে প্রতিরোধ করা সম্ভব না প্রয়োজন পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তলা।ধর্ষন প্রতিরোধে সর্বপ্রথম যা প্রয়োজন বলে মনে হয় তাহল সকলের মাঝে নৈতিকতাবোধ জাগরণ। ইসলাম সহ কোন ধর্মেই ধর্ষনের মতো কাজকে উৎসাহিত করা হয়েনি।সুতরাং ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার উপর প্রবল গুরুত্ব দেওয়া উচিত।ধর্মীয় অনুশাষন মেনে চলার মাধ্যমে নৈতিকতাবোধ সৃষ্টি ও নৈতিক অবক্ষয় রোধ করার মাধ্যমে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব সৃষ্টিই পারে ধর্ষন প্রতিরোধে প্রধান ভুমিকা রাখতে।
এছাড়া নারীদের ধর্ষন সম্পর্কে সচেতন করে তুলা এবং হঠাৎ করে ধর্ষনের শিকার হলে নিজেদের বাঁচাতে পারে এমন আত্নরক্ষামূলক কৌশল শিখানো উচিত।
অন্য আরেকটি ব্যাপার যা ধর্ষন প্রতিরোধে অনন্য ভুমিকা রাখতে পারে আর তাহল পিতা-মাতা বা অভিবাবকের সতর্কতা।
অনেক মেয়েই আছে যারা নিজ পরিবারেই ধর্ষনের মত পাষবীক নির্যাতনের শিকার হয়।এর জন্যে অনেক ক্ষেত্রেই পিতা-মাতা বা অভিবাবকের উদাসহীনতা দায়ী। অনেকেই চাচা,মামা বা চাচাতো-মামাতো, খালাতো-ফুফাতো ভাই-বোনদের অবাধে মেলামেশা করতে দেন।যার ফলে এক সময় মেয়েটি শিকার হয় ধর্ষন নামের নগ্ন নির্যাতনের।অনেক পরিবারে কোন পুরুষ আত্নীয় এলে মেয়েটিকে একাই দেয়া হয় আদর আপ্যায়নে।অনেক সময় এসব ক্ষেত্রেও ঘটে ধর্ষন।তাই পিতা-মাতা বা অভিবাবকের এসব ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে যাতে মেয়েটি কোন পুরুষ আত্নীয়ের সবার অগোচরে যাবার সুযোগ না হয়।
অপরাধী শাস্তি না পেলে সে বার বার অপরাধমুলক কাজ করে তাতে অপরাধ বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে অন্যরা অপরাধে জড়াতে উৎসাহিত হয়।তাই ধর্ষনকারীকে বিচরের মাধ্যমে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন যাতে অন্যেরা ভবিষ্যতে এমনটি করার সাহস না পায়।
উপরের কারণ ছাড়াও আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো মেয়েদের খোলামেলা পোশাক পরিধান।বর্তমানে মেয়ারা এমনভাবে পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান করে যার ফলে শরীরে বেশির ভাগ এমনকি অনেকের পুরোটাই দৃশ্যমান।এমন খোলামেলা পোশাক পুরুষদের উত্তেজিত করে তুলতে সহায়ক।এর ফলে পুরুষ অনেকটা বাধ্য হয়েই ধর্ষন করে।তাই বলা যায় যে ধর্ষনের জন্যে মেয়েরাও কম দায়ী নয়।এজন্যে ইসলামিক আইন অনুযায়ী সকল মুসলিম নারীদের পর্দা প্রথা বাধ্যতামূলক করা হলে এবং অন্যান ধর্মের নারীরা শালীন পোশাক পরিধান করলে নিশ্চিত ধর্ষন অনেকাংশেই কমে আসবে।
সবশেষে বলবো যে দেশে প্রচলিত আইন ১৯৭৬ সালের ধারা ৭৬ দন্ডবিধি অনুসারে প্রত্যেক ধর্ষনকারীর শাস্তি নিশ্চিত করা হলেই ধর্ষন প্রতিরোধ সম্ভব।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুরমী খানম ১৯/০৪/২০১৫সুন্দর ভাব্না
-
সবুজ আহমেদ কক্স ১৬/০৪/২০১৫ভাবনা ইজ নাইস
-
আবিদ আল আহসান ১৫/০৪/২০১৫Nice
-
সৈয়দ আলি আকবর, ১৫/০৪/২০১৫ধর্ষন কারির কি শাস্তি 0ওয়া উছিত