একটি মার্ডার অথবা প্রেম
অন্ধকার একটা ঘর।মাকড়সার
জালে বোনা পুরো ঘরের এক
কোনে একটি চেয়ারে বেধে রাখা হয়েছে
একটি মেয়েকে।
সংজ্ঞাহীন।নাম নীলা।নীলা ছাড়াও
ঘরে আরেকজন আছে।পলাশ।শার্টের
ভিতরে গেন্জি পরা।শার্টের
সবগুলো বোতাম খোলা।
কলারটা উঠানো।আর দু'হাতে বালা!
তালি দেয়া ছেড়া প্যান্ট পরিহিত।
চেয়ে আছে নীলার দিকে একদৃষ্টিতে।
কত সুন্দর মুখ।আহা।কিন্তু আজ রাতেই
কাজ শেষ করে ফেলতে হবে তাকে।
বেকারত্ব ও অভাবের এই
শহরে টিকে থাকার জন্য এই একটাই
উপায় পেয়েছে সে।খুন।সে একজন
পেশাদার খুনি।কিন্তু এই পর্যন্ত একটাও
মার্ডার করতে পারেনি সে।তার
বাবা খুন হয়েছিল ওনার এক বন্ধুর হাতে।
তার চোখের সামনে।কিন্তু সবকিছু
দেখেও সে কিছু করতে পারেনি।পুলিশ
আংকেলের কাছে সে গিয়েছিল।
কিন্তু পুলিশ আংকেল তাকে চেনে না।
পুলিশ আংকেল চেনে টাকা।এখনপর্যন্ত
সে তিনটা অর্ডার পেয়েছে।কিন্তু
কাউকেই মারতে পারেনি সে।কারন
যখনি সে কাউকে মারতে যায়,তখনি বাবার
মুখটা মনে পড়ে।
এক বড়লোক ঘরের মেয়ে নীলা।
পারিবারিক শত্রুতার
ভিত্তিতে পলাশকে ভাড়া করেছে একদল
লোক।নীলাকে খতম করতে হবে।
নীলার দিকে আর
চেয়ে থাকতে পারে না পলাশ।
মায়া বসে যাচ্ছে মেয়েটার প্রতি।
উঠে দাড়িয়ে সে একটু
দূরে ময়লা একটা সোফায় শুয়ে পড়ে।তার
চোখের সামনে ভেসে ওঠে তিনদিন
আগের প্রতিচ্ছবি।সবকিছুই হয়েছিল
তার প্ল্যান মোতাবেক-
-এইযে মিস্টার।আপনার মানিব্যাগ।
-জ্বী।ওহ।ধন্যবাদ।আপনি কোথায়
পেলেন এইটা?
-এইতো রাস্তায়।আপনার পকেট
থেকে পড়ে গিয়েছিল।ভাগ্যিস
আমি দেখেছিলাম।
-আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
-আরে ভাই উপকার
করে তো ভালো মুশকিল হল!এত ধন্যবাদ
ধন্যবাদ করছেন কেন?আমি তো আপনার
সমবয়সী।অর্থাত্ বন্ধুর মতই।
-Oh sorry.
-আবার বলে সরি।দোস্তিকা এক উসুল
হে জনাব।নো সরি নো থ্যাংকস।
-হুম।ভালো ডায়ালগ মারতে পার
দেখছি।by the way আমি পলাশ।
-আমি নীলা।আপনি কোথায় থাকেন?
-দোস্তিকা আরেকটা উসুল
আছে ম্যাডাম।নো আপনি।অনলি তুমি or
তুই।
-oh.তোমার বাসা কোথায়?
-এইতো ধানমন্ডি।
-কফি খাবে?
-প্রতমদিনেই কফি খাওয়াবে?
পরে তো বলবে candle light dinner এ চলবে?
-আরে না না।এমনি।আসো না।
-ঠিক আছে চল।
হল কফি খাওয়া।শুধু কফি নয়।ওই দিন
লান্চও করেছিল তারা একসাথে।
পরেরদিন কাটিয়েছিল
একসাথে সারাটা সময়।তৃতীয়দিন
সোজা আই লাভ ইউ।প্রথম অবশ্য বলেছিল
নীলা-ই।
-তোমাকে একটা কথা বলি?
-বল।
-i am fall in love with. . . .
-with???
-you!!
-me too.
-what??
-love.
-so tell.
-no.you first.
-ok.i love you.
-love you too.
ঐ দিন পলাশ ডিনারের প্রস্তাব দেয়
নীলাকে।নীলা রাজি হয়।তারপর
খাবারের সাথে ঘুমের অষুধ
খাইয়ে পলাশ নীলাকে নিয়ে আসে এ
ঘরে।
-What is this palash??
নীলার জ্ঞান ফিরেছে।নিজেকে মুক্ত
করার বৃথা চেষ্টা করছে সে।
পারছে না।
-আমি তোমাকে মারার একটা অর্ডার
পেয়েছি।তোমাকে মারলেই পাব
১০লক্ষ টাকা।
-তুমি?হা হা হা।হাসালে আমাকে।
তুমি যদি আমাকে মারতে পার,তবে আমি লিখে দিতে
পারি এই
দুনিয়ায় ভালবাসা বলতে কিছু নেই।
-হুম।ঠিক বুঝে গেছ।এখন বল কি করব?
তোমার চাচা আমাকে তোমাকে মারার
জন্য ভাড়া করেছে।
-চাচা?চল আমরা বাবার কাছে যায়।
-তা না হয় গেলাম।কিন্তু তোমার
বাবা কোনোদিন তোমার সাথে আমায়
বিয়ে দিবে না।আর তোমাকে জীবিত
রাখলে তোমার
চাচা আমাকে ছাড়বেনা।
আমি যে তোমাকে ভালবাসি কতটা সেটা তো
জানোই।
কিছু একটা উপায় বের কর।
-তুমি কী টাকা এডভান্স নিয়ে নিয়েছ।
-হুম।পুরোটাই।
-গুড।চলো আমরা পালিয়ে যায় এখান
থেকে।আমার চাচা চান আমি আমার
বাবার সম্পদ না পাই।আমি আমার বাবার
একমাত্র সন্তান তাই।
আমি না থাকলে তিনি আর মনে হয়
না কিছু করবেন।তিনি ভাববেন
তুমি আমাকে মেরে,টাকা নিয়ে চলে গেছ।
-এত সুন্দর আইডিয়া তোমার মাথায়
আসে কিভাবে?তুমি আমার
জান. . . . .তুমি. . . ,. . . .
-থাক থাক আমার বাধন খুলো।
-আজ পুরো রাতটা এই ঘরেই
কাটাতে হবে।বিয়ের আগে বাসর
সাজাবে?
-যা দুষ্টো।
-হাম তুম এক কামরে মে বান্দ হো. . . .
জালে বোনা পুরো ঘরের এক
কোনে একটি চেয়ারে বেধে রাখা হয়েছে
একটি মেয়েকে।
সংজ্ঞাহীন।নাম নীলা।নীলা ছাড়াও
ঘরে আরেকজন আছে।পলাশ।শার্টের
ভিতরে গেন্জি পরা।শার্টের
সবগুলো বোতাম খোলা।
কলারটা উঠানো।আর দু'হাতে বালা!
তালি দেয়া ছেড়া প্যান্ট পরিহিত।
চেয়ে আছে নীলার দিকে একদৃষ্টিতে।
কত সুন্দর মুখ।আহা।কিন্তু আজ রাতেই
কাজ শেষ করে ফেলতে হবে তাকে।
বেকারত্ব ও অভাবের এই
শহরে টিকে থাকার জন্য এই একটাই
উপায় পেয়েছে সে।খুন।সে একজন
পেশাদার খুনি।কিন্তু এই পর্যন্ত একটাও
মার্ডার করতে পারেনি সে।তার
বাবা খুন হয়েছিল ওনার এক বন্ধুর হাতে।
তার চোখের সামনে।কিন্তু সবকিছু
দেখেও সে কিছু করতে পারেনি।পুলিশ
আংকেলের কাছে সে গিয়েছিল।
কিন্তু পুলিশ আংকেল তাকে চেনে না।
পুলিশ আংকেল চেনে টাকা।এখনপর্যন্ত
সে তিনটা অর্ডার পেয়েছে।কিন্তু
কাউকেই মারতে পারেনি সে।কারন
যখনি সে কাউকে মারতে যায়,তখনি বাবার
মুখটা মনে পড়ে।
এক বড়লোক ঘরের মেয়ে নীলা।
পারিবারিক শত্রুতার
ভিত্তিতে পলাশকে ভাড়া করেছে একদল
লোক।নীলাকে খতম করতে হবে।
নীলার দিকে আর
চেয়ে থাকতে পারে না পলাশ।
মায়া বসে যাচ্ছে মেয়েটার প্রতি।
উঠে দাড়িয়ে সে একটু
দূরে ময়লা একটা সোফায় শুয়ে পড়ে।তার
চোখের সামনে ভেসে ওঠে তিনদিন
আগের প্রতিচ্ছবি।সবকিছুই হয়েছিল
তার প্ল্যান মোতাবেক-
-এইযে মিস্টার।আপনার মানিব্যাগ।
-জ্বী।ওহ।ধন্যবাদ।আপনি কোথায়
পেলেন এইটা?
-এইতো রাস্তায়।আপনার পকেট
থেকে পড়ে গিয়েছিল।ভাগ্যিস
আমি দেখেছিলাম।
-আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
-আরে ভাই উপকার
করে তো ভালো মুশকিল হল!এত ধন্যবাদ
ধন্যবাদ করছেন কেন?আমি তো আপনার
সমবয়সী।অর্থাত্ বন্ধুর মতই।
-Oh sorry.
-আবার বলে সরি।দোস্তিকা এক উসুল
হে জনাব।নো সরি নো থ্যাংকস।
-হুম।ভালো ডায়ালগ মারতে পার
দেখছি।by the way আমি পলাশ।
-আমি নীলা।আপনি কোথায় থাকেন?
-দোস্তিকা আরেকটা উসুল
আছে ম্যাডাম।নো আপনি।অনলি তুমি or
তুই।
-oh.তোমার বাসা কোথায়?
-এইতো ধানমন্ডি।
-কফি খাবে?
-প্রতমদিনেই কফি খাওয়াবে?
পরে তো বলবে candle light dinner এ চলবে?
-আরে না না।এমনি।আসো না।
-ঠিক আছে চল।
হল কফি খাওয়া।শুধু কফি নয়।ওই দিন
লান্চও করেছিল তারা একসাথে।
পরেরদিন কাটিয়েছিল
একসাথে সারাটা সময়।তৃতীয়দিন
সোজা আই লাভ ইউ।প্রথম অবশ্য বলেছিল
নীলা-ই।
-তোমাকে একটা কথা বলি?
-বল।
-i am fall in love with. . . .
-with???
-you!!
-me too.
-what??
-love.
-so tell.
-no.you first.
-ok.i love you.
-love you too.
ঐ দিন পলাশ ডিনারের প্রস্তাব দেয়
নীলাকে।নীলা রাজি হয়।তারপর
খাবারের সাথে ঘুমের অষুধ
খাইয়ে পলাশ নীলাকে নিয়ে আসে এ
ঘরে।
-What is this palash??
নীলার জ্ঞান ফিরেছে।নিজেকে মুক্ত
করার বৃথা চেষ্টা করছে সে।
পারছে না।
-আমি তোমাকে মারার একটা অর্ডার
পেয়েছি।তোমাকে মারলেই পাব
১০লক্ষ টাকা।
-তুমি?হা হা হা।হাসালে আমাকে।
তুমি যদি আমাকে মারতে পার,তবে আমি লিখে দিতে
পারি এই
দুনিয়ায় ভালবাসা বলতে কিছু নেই।
-হুম।ঠিক বুঝে গেছ।এখন বল কি করব?
তোমার চাচা আমাকে তোমাকে মারার
জন্য ভাড়া করেছে।
-চাচা?চল আমরা বাবার কাছে যায়।
-তা না হয় গেলাম।কিন্তু তোমার
বাবা কোনোদিন তোমার সাথে আমায়
বিয়ে দিবে না।আর তোমাকে জীবিত
রাখলে তোমার
চাচা আমাকে ছাড়বেনা।
আমি যে তোমাকে ভালবাসি কতটা সেটা তো
জানোই।
কিছু একটা উপায় বের কর।
-তুমি কী টাকা এডভান্স নিয়ে নিয়েছ।
-হুম।পুরোটাই।
-গুড।চলো আমরা পালিয়ে যায় এখান
থেকে।আমার চাচা চান আমি আমার
বাবার সম্পদ না পাই।আমি আমার বাবার
একমাত্র সন্তান তাই।
আমি না থাকলে তিনি আর মনে হয়
না কিছু করবেন।তিনি ভাববেন
তুমি আমাকে মেরে,টাকা নিয়ে চলে গেছ।
-এত সুন্দর আইডিয়া তোমার মাথায়
আসে কিভাবে?তুমি আমার
জান. . . . .তুমি. . . ,. . . .
-থাক থাক আমার বাধন খুলো।
-আজ পুরো রাতটা এই ঘরেই
কাটাতে হবে।বিয়ের আগে বাসর
সাজাবে?
-যা দুষ্টো।
-হাম তুম এক কামরে মে বান্দ হো. . . .
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইদুর রহমান ১২/১০/২০১৪
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ১১/১০/২০১৪বাহ বেশ লিখেছেনতো।
-
সোমদত্তা মৈত্র ১১/১০/২০১৪ভালো লাগলো লেখাটি
-
পার্থ সাহা ১১/১০/২০১৪nice
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ১১/১০/২০১৪লেখাটা চমৎকার ভালো লাগলো। চালিয়ে যান...........
-
Jibon FS ১০/১০/২০১৪osadharon vaia.mind blowing.
শুভেচ্ছা।