www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

বধুবেশ

এমনটা কি হওয়ার ছিল?
হয়তো ছিল!
অদৃষ্টের লিখন
কে পারে করিতে খন্ডন?

মোবাইলের যুগে একটা
মোবাইল প্রেম,
করেছিলাম আমি।
আবালদের প্রেম নয়
আমার প্রেম ছিল সত্য
একদমই সত্য এবং খাঁটি।
প্রমান হিসেবে বলতে পারি
ওকে দেখে এখন
চোখ দুটো
ভিজে যাচ্ছে জলে।
শুধু জল আর জলে।
কেমন যেন
স্তব্ধ হয়ে গেছি!
মনে হয়
ভালবেসে ফেলেছি বেশি!

হঠাত্ করে
দেখার ইচ্ছা হল ওকে,
কত দিন আর
প্রেম করা যায় না দেখে?
ঐ দিন বললাম
প্রিয়তমা,চলে এসো
রমনা পার্কে বধু বেশে।
তোমাকে দেখতে খুব
মনে চাইছে
আসবে বধুবেশ
আর খোলা কেশে।
সে বলে,আসব
তবে বধু বেশে নয়
সাদা শাড়ি পড়ে।
আমি বললাম,
আচ্ছা তোমার মর্জি
শুধু বল আসবে
ঐ আমার আর্জি।

তারপর কেবল অপেক্ষা,
রমনায় আমি একা
আর কতক্ষন থাকব দাঁড়িয়ে?
রিং দিচ্ছি
রিসিভ করছেনা কেউ,
মনে মনে বকছি,
অন্তত ফোনটা তো ধরো!
হঠাত্ কে যেন
বলল ওপাশ থেকে,
আপনি কি পেসেন্টকে চেনেন?
আমি বুঝতে পারছিনা
তারা কি বলছে,
কোন পেসেন্ট?কার কথা বলেন?

দৌঁড়ে গেলাম,সেই হাসপাতালে
রোগী এখনও বাইরে
আধো জ্ঞান আছে!
কাছে গিয়ে দেখি
হায় হায় একি?
আমার ইচ্ছা হল
পূরন অবশেষে!
সাদা শাড়ি তার
রক্তে ভিজে লাল!
সে যে শুয়ে আছে
বধুবেশে!
সে যে চেয়ে আছে
আমার পানে
একটু হাসল,
বলল,আমি তোমাকে ভালবাসি।
ও কিভাবে এখনও
এরকম বলছে!
আমি মনে মনে ভাবি।

আমি সাইন করলাম,
কি যেন একটা কাগজ
সাক্ষর ছাড়া অপারেশন করবেনা!
তারা নিয়ে যাচ্ছে ওকে
অপারেশন থিয়েটারের দিকে
সে এখনও চেয়ে আছে
আমারই দিকে।

চোখ দিয়ে পড়ছে আমার
গরম অশ্রুজল
ও কতই না সুন্দর দেখতে,
এলোকেশে!বধুবেশে!
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ১১৩৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৯/১০/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast