স্যালুট আবেদ ভাই তোমাকে স্যালুট
স্যালুট আবেদ ভাই, তোমাকে স্যালুট
নিজেকে পরম সৌভাগ্যবান মনে হয় যে, আমি ক্ষুদ্র এই মানুষটি পৃথিবীর বৃহত্তর একজন স্বপ্ন স্রষ্টা ও স্বপ্ন দ্রষ্টা এক মহান মানুষ স্যার ফজলে হাসান আবেদ ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল।
মানুষ তার স্বপ্নে সমান বড় হয়। কিন্তু আবেদ ভাই তাঁর স্বপ্নের চেয়ে অনেক বড় হয়েছিলেন। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখেন না, স্বপ্ন দেখানও। তিনি শুধু তৈরি পথ ধরেই চলেন না, নতুন নতুন পথ তৈরিও করেন। তৃতীয় বিশ্বের ছোট্ট একটা দেশ বাংলাদেশে বিনির্মাণ করলেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও ১ নম্বর এনজিও। আমি গর্বিত একজন ব্র্যাক কর্মী হিসেবে, এবং আরও গর্বিত যে আমি আবেদ ভাইয়ের সাক্ষাৎ পেয়েছি।
প্রিয় আবেদ ভাইকে আমার দুইবার দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায় উনি এসেছিলেন। ব্র্যাক স্কুল পরিদর্শন করেছিলেন। আমি দেখেছি, শিশুদের সঙ্গে মেশার কি এক অপূর্ব দক্ষতা ছিল তাঁর। শিশু সুলভ আচরণ, হাসৌজ্জল মুখ, কথা বলার ধরন খুব সহজেই শিশুদের আপন করে নিত। না ছিল ভাইয়ের মধ্যে বিখ্যাত ব্যক্তির ভাব গাম্ভীর্য, না ছিল শিশুদের মধ্যে জড়তা। মায়ার বন্ধনে মিলে গিয়েছিলেন এক মোহনায়।
এটিএন বাংলা, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি(ডিএফডি) ও ব্র্যাকের যৌথ আয়োজনে বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠানে উনি এসেছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে। ২০১২ সালের সেই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থী বিতর্কে দেশ সেরা হয়েছিল আমার কর্ম এলাকার দলটি। সেই কারণেই অনেকটা কাছাকাছি থেকে তাঁকে দেখা ও শুনার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেদিন অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি বক্তব্য দিয়েছিলেন, কিন্তু সব বক্তব্য ছাপিয়ে আবেদ ভাইয়ের বক্তব্যে সকল আলো কেন্দ্রীভূত হয়েছিল। সবার অন্তরে নাড়া দিয়ে গেল সেই শ্রুতিমধুর কথাগুলো। এ শুধুই কথা নয়, কথার যেন অনুপ্রেরণার এক শ্রেষ্ঠতম গল্পসমগ্র। বক্তব্যে ভাষার গভীরতা, কণ্ঠের মাধুর্যতা, উচ্চারণে সাবলীলতা, ছোট্র ছোট্র শব্দের বুননে অসাধারণ কারুকার্যতা এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনে প্রত্যয় ও দৃঢ়তা গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছে। উপস্থিত দর্শকদের অভিভূত করেছে। পিনপতন নীরবতায় বিমুগ্ধ হয়ে তাঁর কথাগুলো শুনছিলেন সবাই। উনার কথায় ছিল এক মহা সম্মোহনী শক্তি যা খুব সহজেই অন্যকে আবিষ্ট করে রাখতো।
অনুষ্ঠান শেষে আবেদ ভাই বিদায় জানাতে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে যাচ্ছিলাম। লাঠির উপর ভর দিয়ে ভাই হাঁটছেন এবং মৃদু মৃদু স্বরে কথা বলছেন। হঠাৎ তাঁর হাত থেকে লাঠিটা পড়ে যায়, আমি দ্রুত এগিয়ে গেলাম সেই লাঠিটি তুলে দিতে। উনি হাতের ইশারায় আমাকে বাঁধা দিয়ে নিজেই লাঠিটি ওঠালেন এবং বললেন ‘আমার কাজটা আমাকেই করতে দাও’।
সেই মূহূর্তটা কয়েক সেকেন্ডের কিন্তু অনুভূতিটা সারা জীবনের । সেই স্মৃতি আমাকে আজও নাড়া দেয়, আমাকে ভাবায়, আমাকে উজ্জীবিত করে ,উদ্বুদ্ধ করে। তিনি সেই আবেদ ভাই যিনি শিখিয়েছেন কীভাবে নিজের কাজ নিজেই করতে হয়। কীভাবে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হয়।
স্যালুট আবেদ ভাই, তোমাকে স্যালুট। বিন¤্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় তোমাকে বুকে আঁগলে রাখব অহর্নিশ। তুমি পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নের সারথি। তোমার বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা ও অর্জন, মানুষের জন্য চমৎকার সব ভাবনাগুলো তোমাকে যেমন করেছে ঋদ্ধ, পরিণত ও প্রজ্ঞ; তেমনি তোমার কর্মযজ্ঞ তোমাকে পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখবে অনন্তকাল। তুমি ঘুমিয়ে থাক ওপারে, তোমার আদর্শ ও অনুপ্রেরণা আমাদের জাগিয়ে রাখবে তোমার নির্দেশিত পথে পৃথিবী বদলানোর মন্ত্রে।
নিজেকে পরম সৌভাগ্যবান মনে হয় যে, আমি ক্ষুদ্র এই মানুষটি পৃথিবীর বৃহত্তর একজন স্বপ্ন স্রষ্টা ও স্বপ্ন দ্রষ্টা এক মহান মানুষ স্যার ফজলে হাসান আবেদ ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল।
মানুষ তার স্বপ্নে সমান বড় হয়। কিন্তু আবেদ ভাই তাঁর স্বপ্নের চেয়ে অনেক বড় হয়েছিলেন। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখেন না, স্বপ্ন দেখানও। তিনি শুধু তৈরি পথ ধরেই চলেন না, নতুন নতুন পথ তৈরিও করেন। তৃতীয় বিশ্বের ছোট্ট একটা দেশ বাংলাদেশে বিনির্মাণ করলেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও ১ নম্বর এনজিও। আমি গর্বিত একজন ব্র্যাক কর্মী হিসেবে, এবং আরও গর্বিত যে আমি আবেদ ভাইয়ের সাক্ষাৎ পেয়েছি।
প্রিয় আবেদ ভাইকে আমার দুইবার দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায় উনি এসেছিলেন। ব্র্যাক স্কুল পরিদর্শন করেছিলেন। আমি দেখেছি, শিশুদের সঙ্গে মেশার কি এক অপূর্ব দক্ষতা ছিল তাঁর। শিশু সুলভ আচরণ, হাসৌজ্জল মুখ, কথা বলার ধরন খুব সহজেই শিশুদের আপন করে নিত। না ছিল ভাইয়ের মধ্যে বিখ্যাত ব্যক্তির ভাব গাম্ভীর্য, না ছিল শিশুদের মধ্যে জড়তা। মায়ার বন্ধনে মিলে গিয়েছিলেন এক মোহনায়।
এটিএন বাংলা, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি(ডিএফডি) ও ব্র্যাকের যৌথ আয়োজনে বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠানে উনি এসেছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে। ২০১২ সালের সেই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থী বিতর্কে দেশ সেরা হয়েছিল আমার কর্ম এলাকার দলটি। সেই কারণেই অনেকটা কাছাকাছি থেকে তাঁকে দেখা ও শুনার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেদিন অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি বক্তব্য দিয়েছিলেন, কিন্তু সব বক্তব্য ছাপিয়ে আবেদ ভাইয়ের বক্তব্যে সকল আলো কেন্দ্রীভূত হয়েছিল। সবার অন্তরে নাড়া দিয়ে গেল সেই শ্রুতিমধুর কথাগুলো। এ শুধুই কথা নয়, কথার যেন অনুপ্রেরণার এক শ্রেষ্ঠতম গল্পসমগ্র। বক্তব্যে ভাষার গভীরতা, কণ্ঠের মাধুর্যতা, উচ্চারণে সাবলীলতা, ছোট্র ছোট্র শব্দের বুননে অসাধারণ কারুকার্যতা এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনে প্রত্যয় ও দৃঢ়তা গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছে। উপস্থিত দর্শকদের অভিভূত করেছে। পিনপতন নীরবতায় বিমুগ্ধ হয়ে তাঁর কথাগুলো শুনছিলেন সবাই। উনার কথায় ছিল এক মহা সম্মোহনী শক্তি যা খুব সহজেই অন্যকে আবিষ্ট করে রাখতো।
অনুষ্ঠান শেষে আবেদ ভাই বিদায় জানাতে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে যাচ্ছিলাম। লাঠির উপর ভর দিয়ে ভাই হাঁটছেন এবং মৃদু মৃদু স্বরে কথা বলছেন। হঠাৎ তাঁর হাত থেকে লাঠিটা পড়ে যায়, আমি দ্রুত এগিয়ে গেলাম সেই লাঠিটি তুলে দিতে। উনি হাতের ইশারায় আমাকে বাঁধা দিয়ে নিজেই লাঠিটি ওঠালেন এবং বললেন ‘আমার কাজটা আমাকেই করতে দাও’।
সেই মূহূর্তটা কয়েক সেকেন্ডের কিন্তু অনুভূতিটা সারা জীবনের । সেই স্মৃতি আমাকে আজও নাড়া দেয়, আমাকে ভাবায়, আমাকে উজ্জীবিত করে ,উদ্বুদ্ধ করে। তিনি সেই আবেদ ভাই যিনি শিখিয়েছেন কীভাবে নিজের কাজ নিজেই করতে হয়। কীভাবে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হয়।
স্যালুট আবেদ ভাই, তোমাকে স্যালুট। বিন¤্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় তোমাকে বুকে আঁগলে রাখব অহর্নিশ। তুমি পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নের সারথি। তোমার বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা ও অর্জন, মানুষের জন্য চমৎকার সব ভাবনাগুলো তোমাকে যেমন করেছে ঋদ্ধ, পরিণত ও প্রজ্ঞ; তেমনি তোমার কর্মযজ্ঞ তোমাকে পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখবে অনন্তকাল। তুমি ঘুমিয়ে থাক ওপারে, তোমার আদর্শ ও অনুপ্রেরণা আমাদের জাগিয়ে রাখবে তোমার নির্দেশিত পথে পৃথিবী বদলানোর মন্ত্রে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জামাল উদ্দিন জীবন ২১/০৯/২০২১সুন্দর।
-
আনাস খান ১৬/০৯/২০২১মুগ্ধ হলাম
-
ফয়জুল মহী ১৪/০৯/২০২১Respect
-
আলমগীর সরকার লিটন ১৪/০৯/২০২১অনেক বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই