মেয়ে হওয়ার বিড়ম্বনা
১ম দৃশ্য: ঢাকা টু নারায়ণগঞ্জ ৭টা ২০ এর ট্রেন এ যাব ওখান থেকে লঞ্চ ধরবো। আজকাল অবরোধের কারণে যাতায়াতের জন্য এই রুট টাকেই বেছে নিয়েছি। সেদিন সকালে ট্রেনে উঠার জন্য অপেক্ষা করছি সবাই দ্রুত উঠে যাচ্ছে পাশে এক ভদ্রলোক কে বললাম ভাই উঠতে পারলে সিট রাখবেন প্লিজ।ভদ্রলোক খুব অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, আপনাদের জন্য আলাদা কম্পার্টমেন্ট দেয়া আছে সেটায় না উঠে পুরুষদের সাথে গা ঘেষাঘেষি করে যেতে যে আপনাদের কত ভালো লাগে বুঝিনা। আমি হতবাক। এখানে বলে রাখা ভালো এই ট্রেনটায় মাত্র একটা বগি রাখা হয়েছে মহিলাদের জন্য যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। অন্যান্য বগিতে মহিলাদের উঠার ব্যাপারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোন নিষেধাজ্ঞা আছে বলে আমার জানা নাই।
২য় দৃশ্য:বাসে করে যাচ্ছি মুন্সিগঞ্জ সাথে আমার আরেকজন মহিলা কলিগ । দুজন একটা সিটে বষলাম সিটগুলো খুব চাপা দুজন মহিলা বা দুজন পুরুষ একসাথে বসতেই খুব কষ্ট হয় সেখানে একজন মহিলা বা একজন পুরুষ বসা প্রায় অসম্ভব। তারপরও এখানে যারা চাকরী করেন এভাবে যন্ত্রনা সহ্য করেই প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করতে হয়। গাড়ী সিটিং সার্ভিস হলেও সারা রাস্তা থেকেই এরা বিনা টিকেটের লোক তুলে। এই লোকগুলো আমরা যারা সিটে বসি তাদের ঘাড়ের উপর উপুড় হয়ে দাড়িয়ে থাকে, এমনকি গা লাগিয়ে দাড়িয়ে থাকে এটা প্রতিদিনের দৃশ্য।সেদিন আমি জানালার কাছে বসেছি আমার কলিগ আমার পাশে তার ঘাড়ের উপড় যথারীতি একজন দাড়ানো পেছনে বা সামনে খালি জায়গা থাকতেও দেখা যায় সবাই মহিলারা যেখানে বসে তার সামনেই এরা দাড়ায়। লোকটা একদম গায়ের সাথে ঠৈস দিয়ে দাড়িয়ে আছে দেখে বারবার তাকে একটু সরে দাঁড়াতে বলতেই বলে, এত সমস্যা যখন গাড়ী িকনা গাড়ী দিয়া যাইতে পারেননা? বাসে গেলে এভাবেই যাইতে হইবো। অফিসে পুরুষগো লগে কাম করেন তখন সমস্যা হয়না। না আমাগো পছন্দ হইতাছেনা। আপনার কোথায় টাচ্ লাগছে বলেন। মহিলা গুলা সব জায়গায় সমস্যা । একটা লোক ও এর প্রতিবাদ করলোনা মনে হলো একথায় সবার সায় আছে।সন্মান বাচাতে আমরাও চুপ।
৩য় দৃশ্য: স্টাফ রুমে বসে আছি আরো আনেকেই আছেন আমার এক কলিগ এখনো বিয়ে করেননি তাই উনাকে নিয়ে অনেকেই দুষ্টামি করছেন কেন বিয়ে করছেন না,কিরকম পাত্রী পছন্দ ইত্যাদি নানা প্রশ্ন করছেন। আমার এই শিক্ষিত আনমেরিড কলিগ তার পছন্দের পাত্রীর বর্ণনা দিল এভাবে, পাত্রী সুন্দরী হতে হবে, মোটামুটি শিক্ষিত হলেই হবে , অবস্থা সম্পন্ন হতে হবে ,তবে চাকরী করতে পারবেনা কারন চাকরী করলে মেয়েদের চোখমুখ খুলে যায়, বাসায় থাকবে রান্নাবান্না করবে সন্তান লালন পালন করবে, খেতে বসলে পাশে বসে বাতাস করবে। এহলো উচ্চশিক্ষিত সরকারি কর্মকর্তার মেয়েদের সম্বন্ধে দৃষ্টিভঙ্গী।
চলবে......
২য় দৃশ্য:বাসে করে যাচ্ছি মুন্সিগঞ্জ সাথে আমার আরেকজন মহিলা কলিগ । দুজন একটা সিটে বষলাম সিটগুলো খুব চাপা দুজন মহিলা বা দুজন পুরুষ একসাথে বসতেই খুব কষ্ট হয় সেখানে একজন মহিলা বা একজন পুরুষ বসা প্রায় অসম্ভব। তারপরও এখানে যারা চাকরী করেন এভাবে যন্ত্রনা সহ্য করেই প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করতে হয়। গাড়ী সিটিং সার্ভিস হলেও সারা রাস্তা থেকেই এরা বিনা টিকেটের লোক তুলে। এই লোকগুলো আমরা যারা সিটে বসি তাদের ঘাড়ের উপর উপুড় হয়ে দাড়িয়ে থাকে, এমনকি গা লাগিয়ে দাড়িয়ে থাকে এটা প্রতিদিনের দৃশ্য।সেদিন আমি জানালার কাছে বসেছি আমার কলিগ আমার পাশে তার ঘাড়ের উপড় যথারীতি একজন দাড়ানো পেছনে বা সামনে খালি জায়গা থাকতেও দেখা যায় সবাই মহিলারা যেখানে বসে তার সামনেই এরা দাড়ায়। লোকটা একদম গায়ের সাথে ঠৈস দিয়ে দাড়িয়ে আছে দেখে বারবার তাকে একটু সরে দাঁড়াতে বলতেই বলে, এত সমস্যা যখন গাড়ী িকনা গাড়ী দিয়া যাইতে পারেননা? বাসে গেলে এভাবেই যাইতে হইবো। অফিসে পুরুষগো লগে কাম করেন তখন সমস্যা হয়না। না আমাগো পছন্দ হইতাছেনা। আপনার কোথায় টাচ্ লাগছে বলেন। মহিলা গুলা সব জায়গায় সমস্যা । একটা লোক ও এর প্রতিবাদ করলোনা মনে হলো একথায় সবার সায় আছে।সন্মান বাচাতে আমরাও চুপ।
৩য় দৃশ্য: স্টাফ রুমে বসে আছি আরো আনেকেই আছেন আমার এক কলিগ এখনো বিয়ে করেননি তাই উনাকে নিয়ে অনেকেই দুষ্টামি করছেন কেন বিয়ে করছেন না,কিরকম পাত্রী পছন্দ ইত্যাদি নানা প্রশ্ন করছেন। আমার এই শিক্ষিত আনমেরিড কলিগ তার পছন্দের পাত্রীর বর্ণনা দিল এভাবে, পাত্রী সুন্দরী হতে হবে, মোটামুটি শিক্ষিত হলেই হবে , অবস্থা সম্পন্ন হতে হবে ,তবে চাকরী করতে পারবেনা কারন চাকরী করলে মেয়েদের চোখমুখ খুলে যায়, বাসায় থাকবে রান্নাবান্না করবে সন্তান লালন পালন করবে, খেতে বসলে পাশে বসে বাতাস করবে। এহলো উচ্চশিক্ষিত সরকারি কর্মকর্তার মেয়েদের সম্বন্ধে দৃষ্টিভঙ্গী।
চলবে......
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এফ সাকি ১৯/১২/২০১৩ঘটনা বাস্তবে এমনই ঘটে।তবে দোষী কিন্তু কেউ একা নয়।কোথাও পুরুষ কোথাও নারী।
-
אולי כולנו טועים ১৮/১২/২০১৩সত্য কথন। ভালো লিখেছেন।
-
প্রবাসী পাঠক ১৮/১২/২০১৩তিনটি ক্ষেত্রেই অসুস্থ মন মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।
-
জি,মাওলা ১৮/১২/২০১৩দৃষ্টি প্রসারিত করতে হবে//////////////////////
-
জি,মাওলা ১৮/১২/২০১৩দৃষ্টি প্রসারিত করতে হবে//////////////////////
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ১৮/১২/২০১৩চমৎকার লিখেছেন আপা। কিন্তু জীবনটা কখনোই এতো চমৎকার না। বিশেষ করে নারীদের। আপনি অনেক কমই লিখেছেন। আমি পুরুষ হয়েও অনেক নগ্ন দেখেছি। কিন্তু এই পুরুষ শাসিত সমাজে এটা মেনে নেওয়াটাই নিয়ম