কাঁটা
কাঁটা
অচিন্ত্য সরকার
প্রতি বছরের মতো এবারও রথীন এসেছে
ভাইফোঁটা নিতে,তাই কুহেলি খুব ব্যস্ত।ট্যংড়া মাছ আর খাসির মাংস রথীনের খুব পছন্দ।রান্না হয়েছে সবই।ফোঁটা নিতে বসেছে রথীন।কুহেলি ফোঁটা দিত দিতে মৃদু স্বরে বলছে,"ভাই এর কপালে দিলাম ফোঁটা......"রথীন মাঝখানে থামিয়ে বলল,"জোর করে বল,না হলে যম শুনবে কি করে?ফোনে যে বলবি,কিন্তু আজ যা লাইন বিজি থাকবে......"কুহেলি রেগে বলে,"তুই কি সব সময় অসভ্যতা করবি?দিলি তো মন্ত্রটা কেটে.....তুই কি কোন দিন সিরিয়াস হবিনে।"দিদি কষ্ট পেয়েছে দেখে রথীন চুপ চাপ বসে ফোঁটা নিয়ে ফল মিষ্টি খেতে শুরু করে।
টিভিতে অজয় দেবগণের রেইড সিনেমাটা দেখছিলো একমনে।দিদি ওকে টিভির ঘরেই খেতে দিল আলাদা টেবিল পেতে।বড়ো বড়ো দু'টো ডিম ওয়ালা ট্যাংড়া আর উপছে পড়া বড়ো একবাটি খাসির মাংস,আর কিচ্ছু চাই না রথীনের।রেইড দেখতে দেখতে ভাবছে,কেন সারা বছর হাড় ভাঙা পরিশ্রম করেও একদিন ভালো বাজার করতে বাবার এত কষ্ট হয়।
ট্যাংড়া মাছের মাথাগুলো চিবিয়ে,চুষে ছিবড়ে করে দিচ্ছে টিভির দিকে চেয়ে।হঠাৎ একটা কাঁটা আঢ় হয়ে বাঁধল গলায়।জল,আলু,শুকনো ভাত কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। কুহেলি ছুটে এসে দেখে চোখ দিয়ে জল আর মুখ দিয়ে লালা ঝরছে, চোখ মুখ লাল।কি করবে বুঝে উঠে পারছে না কুহেলি।
গনেশ গেছে ওর দিদির বাড়ি বর্ধমানে ফোঁটা নিতে।কুহেলি ছ'মাসের অন্তসত্ত্বা।ঘরে অসুস্থ শ্বশুর।তাই গনেশের কথা মতো রথীন কে ডাকা।
এই শরীর নিয়ে রাস্তা থেকে টোটো ডেকে আনে কুহেলি।যখন হাসপাতালে পৌঁছেছে ওঁরা তখন রথীনের জ্ঞান নেই,গাল দিয়ে অঝোরে রক্ত ঝরছে।গ্রামীন হাসপাতালে এ সময় ডাক্তার না পাওয়াটাই স্বাভাবিক,এ ক্ষেত্রেও অস্বাভাবিক কিছু হলো না।উপস্থিত স্বাস্থ্য কর্মীরা কি করবে বুঝতে বুঝতেই রথীনের শরীরটা ঠান্ডা হয়ে গেল।
অচিন্ত্য সরকার
প্রতি বছরের মতো এবারও রথীন এসেছে
ভাইফোঁটা নিতে,তাই কুহেলি খুব ব্যস্ত।ট্যংড়া মাছ আর খাসির মাংস রথীনের খুব পছন্দ।রান্না হয়েছে সবই।ফোঁটা নিতে বসেছে রথীন।কুহেলি ফোঁটা দিত দিতে মৃদু স্বরে বলছে,"ভাই এর কপালে দিলাম ফোঁটা......"রথীন মাঝখানে থামিয়ে বলল,"জোর করে বল,না হলে যম শুনবে কি করে?ফোনে যে বলবি,কিন্তু আজ যা লাইন বিজি থাকবে......"কুহেলি রেগে বলে,"তুই কি সব সময় অসভ্যতা করবি?দিলি তো মন্ত্রটা কেটে.....তুই কি কোন দিন সিরিয়াস হবিনে।"দিদি কষ্ট পেয়েছে দেখে রথীন চুপ চাপ বসে ফোঁটা নিয়ে ফল মিষ্টি খেতে শুরু করে।
টিভিতে অজয় দেবগণের রেইড সিনেমাটা দেখছিলো একমনে।দিদি ওকে টিভির ঘরেই খেতে দিল আলাদা টেবিল পেতে।বড়ো বড়ো দু'টো ডিম ওয়ালা ট্যাংড়া আর উপছে পড়া বড়ো একবাটি খাসির মাংস,আর কিচ্ছু চাই না রথীনের।রেইড দেখতে দেখতে ভাবছে,কেন সারা বছর হাড় ভাঙা পরিশ্রম করেও একদিন ভালো বাজার করতে বাবার এত কষ্ট হয়।
ট্যাংড়া মাছের মাথাগুলো চিবিয়ে,চুষে ছিবড়ে করে দিচ্ছে টিভির দিকে চেয়ে।হঠাৎ একটা কাঁটা আঢ় হয়ে বাঁধল গলায়।জল,আলু,শুকনো ভাত কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। কুহেলি ছুটে এসে দেখে চোখ দিয়ে জল আর মুখ দিয়ে লালা ঝরছে, চোখ মুখ লাল।কি করবে বুঝে উঠে পারছে না কুহেলি।
গনেশ গেছে ওর দিদির বাড়ি বর্ধমানে ফোঁটা নিতে।কুহেলি ছ'মাসের অন্তসত্ত্বা।ঘরে অসুস্থ শ্বশুর।তাই গনেশের কথা মতো রথীন কে ডাকা।
এই শরীর নিয়ে রাস্তা থেকে টোটো ডেকে আনে কুহেলি।যখন হাসপাতালে পৌঁছেছে ওঁরা তখন রথীনের জ্ঞান নেই,গাল দিয়ে অঝোরে রক্ত ঝরছে।গ্রামীন হাসপাতালে এ সময় ডাক্তার না পাওয়াটাই স্বাভাবিক,এ ক্ষেত্রেও অস্বাভাবিক কিছু হলো না।উপস্থিত স্বাস্থ্য কর্মীরা কি করবে বুঝতে বুঝতেই রথীনের শরীরটা ঠান্ডা হয়ে গেল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৬/০৪/২০২২চমৎকার লেখা