সময়- অসময়
ক.
১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে কোনো সন্তানের মুখ দেখতে না পারায় মাসুদ সাহেব তার সব পৈতৃক জমি বিক্রি করে বৌকে নিয়ে আমেরিকা চলে যান উন্নত চিকিৎসার জন্য। ফলও পেলেন। ফুটফুটে এক পুত্র সন্তানের মুখ দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন উনি আর উনার স্ত্রী। সেই ছেলে মাত্র ২১ বছর বয়সে শখের বশে বাইক রাইডিং করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরে এলো।
খ.
তিল তিল করে একমাত্র মেয়েকে ডাক্তারি পড়াবার জন্য কিছু টাকা জমিয়ে ছিলেন আকবর সাহেব। মেয়ে লন্ডনে পড়ার সুযোগও পেয়ে গেলো। আজই পেমেন্ট করার শেষ তারিখ তাই ব্যাংক থেকে টাকাগুলো তুলতে গেলেন। টাকা নিয়ে ফেরার পথেই হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলেন। জ্ঞান ফিরে দেখলেন হাতে টাকার ব্যাগটি আর নেই। মেয়ের পেমেন্ট করার সময়ও শেষ।
গ.
দীর্ঘ ২ বছর ধরে টিফিনের টাকা জমিয়ে প্রায় ৭-৮ হাজারের মত জমিয়েছিলো সামিন। ছোটোবেলা থেকেই তার শখ একটা সাইকেল কিনবে। বাবার ব্যবসায় একের পর এক লস হওয়ায় বাবার আশা ছেড়ে নিজেই টিফিন না খেয়ে টাকাটা জমালো সে। তারপর নিজের পছন্দের ব্র্যান্ডের একটা সাইকেলও নিয়ে নিলো। একদিন এক বন্ধুর সাথে সাইকেল রেসে গিয়ে রাস্তার পাশে সাইকেলটা রেখে একটা দোকানে ঢুকলো পানি কিনতে। ফিরে এসে দেখে তার শত কষ্টে কেনা শখের সাইকেলটা কিছুক্ষণ আগেই একটা বেপরোয়া ট্রাক পিষে চলে গেছে। দুমড়েমুচড়ে পড়ে আছে ভাঙা অংশগুলো।
ঘ.
বন্ধুদের সাথে পিকনিকে গিয়েছিলো স্নিগ্ধা। হূট করে প্ল্যান করায় যাবার আগে বাবাকে বলে যেতে পারেনি সে। বাবা অফিসে ছিলো তখন। বান্দরবনে নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকায় গত তিনদিন তার কোনো যোগাযোগ ছিলো না পরিবারের সাথে। তিনদিন পর এসে দেখে আত্মীয়স্বজনে ভরা বাড়ি। সে যেদিন পিকনিকে গিয়েছিলো সেদিন রাতেই তার বাবা হার্ট অ্যাটাক করেছিলো। মৃত্যুর সঙ্গে আর পেরে উঠেনি। শত চেষ্টা করেও কেউ স্নিগ্ধা অবধি খবরটা পৌছাতে পারেনি। মেয়েটা শুধু এখন ভাবছে তার বাবার সঙ্গে বলা শেষ কথাটি কি ছিলো!
ঙ.
৮ মাস আগেই শাহীনের হাত ধরে পালিয়ে আসে মুন্নি। দুজনে মিলে ছোটোখাটো একটা সংসারও গুছিয়ে ফেলে। মুন্নি এখন ৪ মাসের অন্ত সত্তা। আজ সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত হয়ে গেলো কিন্তু শাহীন এখনো বাড়ি ফিরেনি। পাগলের মত খুঁজে দুদিন পর বুড়িগঙ্গার পাশে একটি যুবকের লাশ মিললো। তদন্ত করে পরে জানা গেলো শুধুমাত্র ফোন আর ওয়ালেটের জন্য তাকে মেরে ফেলে দেয়া হয়েছিলো।
১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে কোনো সন্তানের মুখ দেখতে না পারায় মাসুদ সাহেব তার সব পৈতৃক জমি বিক্রি করে বৌকে নিয়ে আমেরিকা চলে যান উন্নত চিকিৎসার জন্য। ফলও পেলেন। ফুটফুটে এক পুত্র সন্তানের মুখ দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন উনি আর উনার স্ত্রী। সেই ছেলে মাত্র ২১ বছর বয়সে শখের বশে বাইক রাইডিং করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরে এলো।
খ.
তিল তিল করে একমাত্র মেয়েকে ডাক্তারি পড়াবার জন্য কিছু টাকা জমিয়ে ছিলেন আকবর সাহেব। মেয়ে লন্ডনে পড়ার সুযোগও পেয়ে গেলো। আজই পেমেন্ট করার শেষ তারিখ তাই ব্যাংক থেকে টাকাগুলো তুলতে গেলেন। টাকা নিয়ে ফেরার পথেই হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলেন। জ্ঞান ফিরে দেখলেন হাতে টাকার ব্যাগটি আর নেই। মেয়ের পেমেন্ট করার সময়ও শেষ।
গ.
দীর্ঘ ২ বছর ধরে টিফিনের টাকা জমিয়ে প্রায় ৭-৮ হাজারের মত জমিয়েছিলো সামিন। ছোটোবেলা থেকেই তার শখ একটা সাইকেল কিনবে। বাবার ব্যবসায় একের পর এক লস হওয়ায় বাবার আশা ছেড়ে নিজেই টিফিন না খেয়ে টাকাটা জমালো সে। তারপর নিজের পছন্দের ব্র্যান্ডের একটা সাইকেলও নিয়ে নিলো। একদিন এক বন্ধুর সাথে সাইকেল রেসে গিয়ে রাস্তার পাশে সাইকেলটা রেখে একটা দোকানে ঢুকলো পানি কিনতে। ফিরে এসে দেখে তার শত কষ্টে কেনা শখের সাইকেলটা কিছুক্ষণ আগেই একটা বেপরোয়া ট্রাক পিষে চলে গেছে। দুমড়েমুচড়ে পড়ে আছে ভাঙা অংশগুলো।
ঘ.
বন্ধুদের সাথে পিকনিকে গিয়েছিলো স্নিগ্ধা। হূট করে প্ল্যান করায় যাবার আগে বাবাকে বলে যেতে পারেনি সে। বাবা অফিসে ছিলো তখন। বান্দরবনে নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকায় গত তিনদিন তার কোনো যোগাযোগ ছিলো না পরিবারের সাথে। তিনদিন পর এসে দেখে আত্মীয়স্বজনে ভরা বাড়ি। সে যেদিন পিকনিকে গিয়েছিলো সেদিন রাতেই তার বাবা হার্ট অ্যাটাক করেছিলো। মৃত্যুর সঙ্গে আর পেরে উঠেনি। শত চেষ্টা করেও কেউ স্নিগ্ধা অবধি খবরটা পৌছাতে পারেনি। মেয়েটা শুধু এখন ভাবছে তার বাবার সঙ্গে বলা শেষ কথাটি কি ছিলো!
ঙ.
৮ মাস আগেই শাহীনের হাত ধরে পালিয়ে আসে মুন্নি। দুজনে মিলে ছোটোখাটো একটা সংসারও গুছিয়ে ফেলে। মুন্নি এখন ৪ মাসের অন্ত সত্তা। আজ সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত হয়ে গেলো কিন্তু শাহীন এখনো বাড়ি ফিরেনি। পাগলের মত খুঁজে দুদিন পর বুড়িগঙ্গার পাশে একটি যুবকের লাশ মিললো। তদন্ত করে পরে জানা গেলো শুধুমাত্র ফোন আর ওয়ালেটের জন্য তাকে মেরে ফেলে দেয়া হয়েছিলো।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
suman ১২/০৭/২০২৪অসাধারণ বাস্তবতার চালচিত্র... আরও লিখুন বর্ণনা শৈলী মনোগ্রাহী...
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৮/০৬/২০২৪বেশ ভাল
-
Md. Rayhan Kazi ১২/০৬/২০২৪বেশ ভালো
-
আলমগীর সরকার লিটন ১২/০৬/২০২৪শুভ কামনা জানাই