ভালবাসা বড় অদ্ভুত
উদাস মনে ইজি চেয়ারে বসে আছে ফাহাদ .
হঠাৎ মনে হলো মিম কে ফোন দিয়ে একটু কথা বলি।
যেই ভাবা সেই কাজ।
হ্যালো...মিম, কেমন আছ জানু?
ওপার থেকে মিমের উত্তর....
শোন আমি এখন কথা বলতে পারব
না বাহিরে সিফাত
ভাইয়া বাইক নিয়ে আমার জন্য
অপেক্ষা করছে ।
-সিফাত ভাইয়াটা আবার কে ?আর
কোথায় যাবা?
আগেতো ওর
কথা কখনো বলো নি ।
-আরে তোমাকে গতকাল বললাম
না যে একটু গ্রামের
বাড়ি যাব । আর সিফাত আমার
কাজিন । গতকালই নতুন
বাইক
কিনিছে । জানো ও না আজ আমার
ব্লাক ড্রেস এর
সাথে ম্যাচ করে ব্লাক শার্ট ও ব্লাক
জিন্স পড়েছে ।
ওকে যা লাগছে না । পুরা হিরো ।
-বাহ ভাল । ওকে বাই । সাবধানে যেও
।(মিমের কথায়
চুপচাপ উওর
দেয় ফাহাদ ।)
ফাহাদ আর মিম । তাদের
পরিচয়টা ফেসবুকেই । সেখান
থেকেই
প্রেম । ফাহাদ মেডিকেল
কোচিং করছে ঢাকায় । আর
মীম
সবেমাত্র ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে ঢাকারই
এক কলেজে পড়ে।
মিম ভালবাসতো কথা বলতে আর
ফাহাদ
ভালবাসতো মিমের
কথা শুনতে । এই ভাবেই
ফোনে কথা বলে বা ফেবুতে চ্যাটিং করেই
কেটে যেত
তাদের মিষ্টি মধুর ভালবাসার এক
একটি রাত ।
আজ তাদের এই সম্পর্কের এক বছর পূর্ণ
হলো । ফাহাদ
ভেবেছিল
যে মিমই হয়তো আগে তাকে এই
কথা মনে করিয়ে দেবে ।
কিন্তু না মিমের আজকের দিনের
কথা মনেই নেই ।
সে ব্যাস্ত
তার কাজিন এর সাথে নতুন
বাইকে ঘোরা নিয়ে ।
ব্যাপারটা ফাহাদকে অনেক কষ্ট দেয়
। কিন্তু সে তার
পরেও মিমকে কিছুই বলেনা ।
ঐ দিন রাতে ঘুরে এসে মিম ফাহাদকে ফোন করে....
-মিমঃ জানো সিফাত
ভাইয়া আমাকে আজ
একটা ড্রেস
কিনে দিয়েছে । তার পর সাজুগুজু
করার অনেক কিছু
কিনে দিয়েছে । আমরা আজ
বাইকে অনেক জায়গায়
ঘুরেছি । অনেক কিছু খেয়েছি ।
-ফাহাদঃ তোমার না গ্রামের
বাড়িতে যাওয়ার কথা ?
-মিমঃ আসলে ভাইয়া বললো তাই একটু
ঘুরলাম আর কি ।
মিমের মুখে এসব কথা শুনে ফাহাদ
নিজেকে কন্ট্রোল
করতে না পেরে ফোনটা কেটে দিয়ে কেদে ওঠে ।
তারপর মিম অনেক বার ট্রাই করলেও
ফাহাদ ফোন রিসিভ
করে নি ।
কিছুদিনের মধ্যে ফাহাদ
বুঝতে পারে যে মিম
তাকে ইগনোর
করছে । আগের মতন আর
ফোনে কথা বলে না । ফোন
প্রায়ই
ওয়েটিং । এই কথা বললেই মিম
ফাহাদের
সাথে কথা কাটাকাটি করত । বলত
যে বিদেশ
থেকে মামা ফোন
দিয়েছিল, ইত্যাদি ইত্যাদি !!
এই ভাবেই ঝগড়া ঝাটির মধ্য
দিয়ে তাদের রিলেশন
চলছিল ।
হঠাত্ একদিন ফাহাদ কোচিং এ
যাবার পথে খেয়াল
করে যে মিম আর এক
ছেলে পার্কে বসে আছে ।
ব্যাপারটা ক্লিয়ার হওয়ার জন্য
সে সেখানে যাবার
চিন্তা করে । ফাহাদ মিমের
সামনে যেতেই মিমের হাত
পা সব
শীতল হয়ে যায় ।
-মিমঃ ফাহাদ তুমি এখানে ?
-ফাহাদঃ আসলে একটু
ঘুরতে আসছিলাম । ইনি কে?
ছেলেটি নিজেই তার পরিচয় দিল
-আমি সিফাত, মিমের বয়ফ্রেন্ড ।
-(একথা শুনে ফাহাদের
কথা আটকে গেল) ও আচ্ছা । গুড
দুজনকে খুব মানিয়েছে ।
মিম কি বলবে কিছু
বুঝতে পারছে না । ও শুধু ঘামছে আর
ঘামছে ।
-সিফাতঃ মিম এত ঘামছো ক্যান?
-আজ অনেক গরম কিনা তাই ।
মিম মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকে। আর ফাহাদ বিষাদ মাখানো হৃদয় নিয়ে ধীর পায়ে হেটে আসে পার্কের বাইরে, পার্কের
বাইরে এসেই মিমকে ফোন দিয়ে শুধু
কয়েকটা কথা বলে যে ...
"আজ আমি তোমায় ভালবাসি,আর
তুমি আমাকে অবহেলা করছো ।
একদিন তুমি যখন অন্য
কাউকে ভালবাসবে আর সে তখন
তোমাকে অবহেলা করবে তখন
তুমি বুঝবে ভালবাসার
মানুষের
কাছ থেকে অবহেলা পাওয়ার কষ্ট
কতটুকু,
তুমি ভালথেকো মিম।" এতটুকু বলে ফোন রেখে দেয় ফাহাদ ।
ফাহাদের কথা শুনে মিমের বুক ফেটে কান্না আসে। নিজের ভুল বুঝতে পারে সে। তার চোখ
দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে, সে কি করবে বুঝতে না পেরে সিফাতকে তার আর ফাহাদের প্রেমের
কথা খুলে বলে ।
সিফাত ফাহাদের পুরোনো ভালবাসার প্রাসাদ কে ভাঙতে চায়না।
তাই মিমকে বলে ফাহাদের কাছে ছুটে যেতে.
মিম ফাহাদের কাছে ছুটে যায় ।
কিন্তু তার সামনে বড় একটা প্রশ্ন
ফাহাদ
কি তাকে গ্রহন
করবে ?
বা ফাহাদের কি এখন মিমকে গ্রহন
করা উচিত্ ??
থাক..প্রশ্নটি প্রশ্নই থাক। আমরা মূল কথায় আসি।
আসলে আমরা খুব সহজে কোন কিছু
পেয়ে গেলে তার
মূল্য
দেই না । যখন আমাদের কাছে মূল্য
না পেয়ে কেউ চলে যায় । তখন
আমরা বুঝি
যে আমি তাকে কতটুকু ভালবাসতাম।
বা আমার
কাছে তার মূল্য কতটুকু ছিল ।
ভালবাসার অনুভূতি গুলো আসলেই বড়
অদ্ভুত ।
মানুষকে কখনো কাঁদায় আবার
কখনো হাসায়।
হঠাৎ মনে হলো মিম কে ফোন দিয়ে একটু কথা বলি।
যেই ভাবা সেই কাজ।
হ্যালো...মিম, কেমন আছ জানু?
ওপার থেকে মিমের উত্তর....
শোন আমি এখন কথা বলতে পারব
না বাহিরে সিফাত
ভাইয়া বাইক নিয়ে আমার জন্য
অপেক্ষা করছে ।
-সিফাত ভাইয়াটা আবার কে ?আর
কোথায় যাবা?
আগেতো ওর
কথা কখনো বলো নি ।
-আরে তোমাকে গতকাল বললাম
না যে একটু গ্রামের
বাড়ি যাব । আর সিফাত আমার
কাজিন । গতকালই নতুন
বাইক
কিনিছে । জানো ও না আজ আমার
ব্লাক ড্রেস এর
সাথে ম্যাচ করে ব্লাক শার্ট ও ব্লাক
জিন্স পড়েছে ।
ওকে যা লাগছে না । পুরা হিরো ।
-বাহ ভাল । ওকে বাই । সাবধানে যেও
।(মিমের কথায়
চুপচাপ উওর
দেয় ফাহাদ ।)
ফাহাদ আর মিম । তাদের
পরিচয়টা ফেসবুকেই । সেখান
থেকেই
প্রেম । ফাহাদ মেডিকেল
কোচিং করছে ঢাকায় । আর
মীম
সবেমাত্র ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে ঢাকারই
এক কলেজে পড়ে।
মিম ভালবাসতো কথা বলতে আর
ফাহাদ
ভালবাসতো মিমের
কথা শুনতে । এই ভাবেই
ফোনে কথা বলে বা ফেবুতে চ্যাটিং করেই
কেটে যেত
তাদের মিষ্টি মধুর ভালবাসার এক
একটি রাত ।
আজ তাদের এই সম্পর্কের এক বছর পূর্ণ
হলো । ফাহাদ
ভেবেছিল
যে মিমই হয়তো আগে তাকে এই
কথা মনে করিয়ে দেবে ।
কিন্তু না মিমের আজকের দিনের
কথা মনেই নেই ।
সে ব্যাস্ত
তার কাজিন এর সাথে নতুন
বাইকে ঘোরা নিয়ে ।
ব্যাপারটা ফাহাদকে অনেক কষ্ট দেয়
। কিন্তু সে তার
পরেও মিমকে কিছুই বলেনা ।
ঐ দিন রাতে ঘুরে এসে মিম ফাহাদকে ফোন করে....
-মিমঃ জানো সিফাত
ভাইয়া আমাকে আজ
একটা ড্রেস
কিনে দিয়েছে । তার পর সাজুগুজু
করার অনেক কিছু
কিনে দিয়েছে । আমরা আজ
বাইকে অনেক জায়গায়
ঘুরেছি । অনেক কিছু খেয়েছি ।
-ফাহাদঃ তোমার না গ্রামের
বাড়িতে যাওয়ার কথা ?
-মিমঃ আসলে ভাইয়া বললো তাই একটু
ঘুরলাম আর কি ।
মিমের মুখে এসব কথা শুনে ফাহাদ
নিজেকে কন্ট্রোল
করতে না পেরে ফোনটা কেটে দিয়ে কেদে ওঠে ।
তারপর মিম অনেক বার ট্রাই করলেও
ফাহাদ ফোন রিসিভ
করে নি ।
কিছুদিনের মধ্যে ফাহাদ
বুঝতে পারে যে মিম
তাকে ইগনোর
করছে । আগের মতন আর
ফোনে কথা বলে না । ফোন
প্রায়ই
ওয়েটিং । এই কথা বললেই মিম
ফাহাদের
সাথে কথা কাটাকাটি করত । বলত
যে বিদেশ
থেকে মামা ফোন
দিয়েছিল, ইত্যাদি ইত্যাদি !!
এই ভাবেই ঝগড়া ঝাটির মধ্য
দিয়ে তাদের রিলেশন
চলছিল ।
হঠাত্ একদিন ফাহাদ কোচিং এ
যাবার পথে খেয়াল
করে যে মিম আর এক
ছেলে পার্কে বসে আছে ।
ব্যাপারটা ক্লিয়ার হওয়ার জন্য
সে সেখানে যাবার
চিন্তা করে । ফাহাদ মিমের
সামনে যেতেই মিমের হাত
পা সব
শীতল হয়ে যায় ।
-মিমঃ ফাহাদ তুমি এখানে ?
-ফাহাদঃ আসলে একটু
ঘুরতে আসছিলাম । ইনি কে?
ছেলেটি নিজেই তার পরিচয় দিল
-আমি সিফাত, মিমের বয়ফ্রেন্ড ।
-(একথা শুনে ফাহাদের
কথা আটকে গেল) ও আচ্ছা । গুড
দুজনকে খুব মানিয়েছে ।
মিম কি বলবে কিছু
বুঝতে পারছে না । ও শুধু ঘামছে আর
ঘামছে ।
-সিফাতঃ মিম এত ঘামছো ক্যান?
-আজ অনেক গরম কিনা তাই ।
মিম মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকে। আর ফাহাদ বিষাদ মাখানো হৃদয় নিয়ে ধীর পায়ে হেটে আসে পার্কের বাইরে, পার্কের
বাইরে এসেই মিমকে ফোন দিয়ে শুধু
কয়েকটা কথা বলে যে ...
"আজ আমি তোমায় ভালবাসি,আর
তুমি আমাকে অবহেলা করছো ।
একদিন তুমি যখন অন্য
কাউকে ভালবাসবে আর সে তখন
তোমাকে অবহেলা করবে তখন
তুমি বুঝবে ভালবাসার
মানুষের
কাছ থেকে অবহেলা পাওয়ার কষ্ট
কতটুকু,
তুমি ভালথেকো মিম।" এতটুকু বলে ফোন রেখে দেয় ফাহাদ ।
ফাহাদের কথা শুনে মিমের বুক ফেটে কান্না আসে। নিজের ভুল বুঝতে পারে সে। তার চোখ
দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে, সে কি করবে বুঝতে না পেরে সিফাতকে তার আর ফাহাদের প্রেমের
কথা খুলে বলে ।
সিফাত ফাহাদের পুরোনো ভালবাসার প্রাসাদ কে ভাঙতে চায়না।
তাই মিমকে বলে ফাহাদের কাছে ছুটে যেতে.
মিম ফাহাদের কাছে ছুটে যায় ।
কিন্তু তার সামনে বড় একটা প্রশ্ন
ফাহাদ
কি তাকে গ্রহন
করবে ?
বা ফাহাদের কি এখন মিমকে গ্রহন
করা উচিত্ ??
থাক..প্রশ্নটি প্রশ্নই থাক। আমরা মূল কথায় আসি।
আসলে আমরা খুব সহজে কোন কিছু
পেয়ে গেলে তার
মূল্য
দেই না । যখন আমাদের কাছে মূল্য
না পেয়ে কেউ চলে যায় । তখন
আমরা বুঝি
যে আমি তাকে কতটুকু ভালবাসতাম।
বা আমার
কাছে তার মূল্য কতটুকু ছিল ।
ভালবাসার অনুভূতি গুলো আসলেই বড়
অদ্ভুত ।
মানুষকে কখনো কাঁদায় আবার
কখনো হাসায়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরিতোষ ভৌমিক ০৯/১২/২০১৪বেশ সুন্দর প্রেম কাহিনী, মনে হল নিজের চোখে দেখলাম ।
-
জমাতুল ইসলাম পরাগ ০৮/১২/২০১৪ভালো লাগা রইল
-
দীপঙ্কর বেরা ০৮/১২/২০১৪বেশ বেশ
ভা;ল লাগল -
তুহিনা সীমা ০৮/১২/২০১৪দূঃখ জনক।
-
অনিরুদ্ধ বুলবুল ০৮/১২/২০১৪যে ভালবাসল না তার জন্যে তাকে ঘৃণা করি না,
আমি যে তাকে ভালবাসি তার জন্যে নিজেকেই ঘৃণা .... -
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০৮/১২/২০১৪আই মিন দাত থাকতে দাতের মর্যাদা কেউ দিতে চায় না। আর হ্যা আমার মনে হয় ভালোবাসা টেস্ট করার জন্য মাঝে মধ্যে এরকম কিছু পার্টটাইম পেড়ে পরা দরকার। হাহাহ। ভালো লিখেছেন।