হতভাগ্য সুলতানদের কথা
হেঁটে হেঁটে অনেকদূর এগিয়ে এসেছি। গ্রামের মেঠোপথ ধরে আরমাত্র মিনিট বিশেক হাঁটলেই স্কুলটি। নিকোটিনের আকর্ষণ অবহেলার নয়। তাই পথের ধারে একটি টং দোকান খোলা দেখে এগিয়ে গেলাম। শেষবিকেলের রোদটা মনে হয় খানিকটা তাতিয়েই উঠেছে। দিনশেষে মানুষের মেজাজ যেমন চিরচিরে থাকে তেমনই তাপ বিকিরণ করে যাচ্ছে সূর্যদেব।
-ভাই বেনসন আছে?
দোকানভাই বলল-ক্যাপস্টেন, শেখ আর মেরিজ ছাড়া কিছুই নাই।
-তাহলে তিনটা ক্যাপস্টেন-ই দেন।
দিয়াশলাই দিয়ে একটি সিগারেট জ্বালিয়ে আমি আবারও পথ ধরলাম। তীব্র ঝাঝালো সিগারেট। মনে হয় দম বন্ধ করে দিবে। তাও কেমন জানি শান্তি শান্তি লাগছে। পথের দু’ধারে যেদিকে চোখ যায় শুধুই সবজিক্ষেত। কৃষক মাথায় গামছা দিয়ে রোদমুক্তির চেষ্টা করছে। কিছু জমিতে দেখলাম কৃষকের সাথে কৃষাণীও ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত। আকাশে সাদা মেঘের উদ্দেশ্যহীন অহেতুক ওড়াওড়ি। আহা কি মধুর দৃশ্য।
ধানি জমিগুলোতে এখন পানি অনেকটাই কম। সেগুলিতে ছোট ছোট পোকামাকড় সবসময়ই থাকে। মাঝেমধ্যে কোথা থেকে যেন কিছু কানিবক এসে জমিতে বসে পোকা শিকার করছে। এখন বুঝছি পোকাদের অভিশাপেই বকগুলি কানা হয়েছে। পথের ধারে কিছুদূর পরপর আকাশ ফুঁড়ে ওঠা তালগাছ।
ঐতো দেখা যাচ্ছে স্কুলটি। সামনে এগিয়ে গেলাম। স্কুলের সামনে প্রকান্ড এক মাঠ। মাঠের ওপাকে ব্লক দিয়ে বাঁধানো আড়িয়াল খাঁ নদী। নদীর ওপাশেও ধানি জমি। চার কি পাঁচজনের একটি উলঙ্গ শিশুর দল এই পড়ন্ত বিকেলেও নদীতে ডুব দিয়ে যাচ্ছে অনবরত। এদের মধ্যে একটি শিশুকে দেখলাম প্রাণপন নাক টেনে যাচ্ছে যেন সর্দি ঠোঁট স্পর্শ করতে না পারে। সন্ধ্যা হয় হয় করছে আর সূর্য নদীর বুকে কুসুমাকৃতি হয়ে ঢলে পড়ার অপেক্ষায়।
মূল্যবান (ন্যূনতম কোটি টাকার) উপঢৌকন প্রদানে সিদ্ধহস্ত ব্রুনাইয়ের সুলতানও যদি এখানে থাকত আমি নিশ্চিত এত সুন্দর প্রকৃতি দেখে সমস্ত দামী উপঢৌকনের বদলে একটি তেতো ক্যাপস্টেন নিয়ে এতে একটি সুখটান দিয়ে বলতেন, “অসাধারণ লাগতাছে।”
(পুনশ্চঃ সুলতানদের আমাদের মতো ভাগ্য নিয়ে জন্ম হয়নি। কারন তারা এত সুন্দর দেশ দেখেনি। হায়রে বদ-নসিব...)
(ছবি সংযোজন করা প্রয়োজনবোধ করিনি)
-ভাই বেনসন আছে?
দোকানভাই বলল-ক্যাপস্টেন, শেখ আর মেরিজ ছাড়া কিছুই নাই।
-তাহলে তিনটা ক্যাপস্টেন-ই দেন।
দিয়াশলাই দিয়ে একটি সিগারেট জ্বালিয়ে আমি আবারও পথ ধরলাম। তীব্র ঝাঝালো সিগারেট। মনে হয় দম বন্ধ করে দিবে। তাও কেমন জানি শান্তি শান্তি লাগছে। পথের দু’ধারে যেদিকে চোখ যায় শুধুই সবজিক্ষেত। কৃষক মাথায় গামছা দিয়ে রোদমুক্তির চেষ্টা করছে। কিছু জমিতে দেখলাম কৃষকের সাথে কৃষাণীও ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত। আকাশে সাদা মেঘের উদ্দেশ্যহীন অহেতুক ওড়াওড়ি। আহা কি মধুর দৃশ্য।
ধানি জমিগুলোতে এখন পানি অনেকটাই কম। সেগুলিতে ছোট ছোট পোকামাকড় সবসময়ই থাকে। মাঝেমধ্যে কোথা থেকে যেন কিছু কানিবক এসে জমিতে বসে পোকা শিকার করছে। এখন বুঝছি পোকাদের অভিশাপেই বকগুলি কানা হয়েছে। পথের ধারে কিছুদূর পরপর আকাশ ফুঁড়ে ওঠা তালগাছ।
ঐতো দেখা যাচ্ছে স্কুলটি। সামনে এগিয়ে গেলাম। স্কুলের সামনে প্রকান্ড এক মাঠ। মাঠের ওপাকে ব্লক দিয়ে বাঁধানো আড়িয়াল খাঁ নদী। নদীর ওপাশেও ধানি জমি। চার কি পাঁচজনের একটি উলঙ্গ শিশুর দল এই পড়ন্ত বিকেলেও নদীতে ডুব দিয়ে যাচ্ছে অনবরত। এদের মধ্যে একটি শিশুকে দেখলাম প্রাণপন নাক টেনে যাচ্ছে যেন সর্দি ঠোঁট স্পর্শ করতে না পারে। সন্ধ্যা হয় হয় করছে আর সূর্য নদীর বুকে কুসুমাকৃতি হয়ে ঢলে পড়ার অপেক্ষায়।
মূল্যবান (ন্যূনতম কোটি টাকার) উপঢৌকন প্রদানে সিদ্ধহস্ত ব্রুনাইয়ের সুলতানও যদি এখানে থাকত আমি নিশ্চিত এত সুন্দর প্রকৃতি দেখে সমস্ত দামী উপঢৌকনের বদলে একটি তেতো ক্যাপস্টেন নিয়ে এতে একটি সুখটান দিয়ে বলতেন, “অসাধারণ লাগতাছে।”
(পুনশ্চঃ সুলতানদের আমাদের মতো ভাগ্য নিয়ে জন্ম হয়নি। কারন তারা এত সুন্দর দেশ দেখেনি। হায়রে বদ-নসিব...)
(ছবি সংযোজন করা প্রয়োজনবোধ করিনি)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৯/০৯/২০২৩ভালো। বেশ ভালো।
-
শাহারিয়ার ইমন ২৪/০৩/২০১৮সারমর্ম?
-
সুকান্ত মন্ডল ২১/০৩/২০১৮ভালো লাগল
-
অাব্দুল হাদী তুহিন ১৯/০৩/২০১৮সুন্দর
-
কামরুজ্জামান সাদ ১৩/০৩/২০১৮বাস্তবতা