বিচ্ছেদ -২
পর্ব-২
আমার রাত জেগে লেখা সকল কবিতা
জানালার কপাট দিয়ে উড়ে যাচ্ছে
হঠাৎ ঝরো বাতাস এসে।
আজ দিন অন্ধকার
স্বপ্ন মরে পারাপার।
আমি কয়েদি হয়ে
কবিতার কারাগারে বন্দী।
বিচ্ছেদ ঘটেছে আমার প্রিয়তমার সাথে
অতীতের কল্পনার কাগজে।
ঘুমহীন চোখে
মন কাঁদে বিরহে।
অতীতের সেই দিনগুলি
স্মৃতি হয়ে ভাসে চোখে।
সেই প্রথম প্রেমের চিঠি
আমি দিয়েছিলাম তোমারে
যখন গোলাপের পাপড়ি
ঝরে পড়তো হৃদয়ের খামে।
প্রেমের নাম অতীত কাল
ভালোবাসা চিরকাল।
আমাদের বিচ্ছেদ ঘটেছে
প্রান্তরের জমে যাওয়া ঘাসে।
শিশিরের বিন্দুগুলি দৃষ্টি রাখে
ক্ষণিকের প্রেমের কাহিনীতে।
তুমি চলে গেছো অনুভবে দূরে
আমারে মৃত্যুর পাহাড়ে একা রেখে।
এতো শুধু - 'বিস্ময়'।
চিঠি আসে কবিতার কারাগারে
ফাঁসির দিনের অপেক্ষাতে।
আমার লেখা নীল ডায়েরির উপন্যাস
আমারে বাঁচতে শিখিয়েছে প্রতিক্ষণ।
আমার লেখা কবিতা বিধাতার কাছে আপিল করে
মুক্তি কি দিতে পারবে আমারে!
দিন চলে যায় অনুভবে
তোমার জীবনের আয়ু নিয়ে।
যখন অন্ধকার নামে কবিতার কারাগারে
জোনাকিরা আলো দিয়ে ভরিয়ে দেয় মনকে।
জীবন্ত পালক পএ দিয়ে বিচারপতিকে
আমারে মুক্তি দিয়েছে ফাঁসি থেকে।
- এই মুক্তি
আমার প্রিয়তমার অজানা।
এভাবেই কেটে গেলো বহু বছর
বিচ্ছেদের লেখা পড়ে পড়ে।
কলমে ফাগুন আমার বারোমাস
'ছদ্ম' নামে চিঠি লিখি প্রিয়তমার ঠিকানাতে।
আজ নতুন উপন্যাসে
প্রিয়তমার নাম শিরোনামে।
নীল আকাশের সীমানাতে
যুদ্ধ ঘটেছে মেঘে মেঘে।
রামধনুর সাতটি রঙ
ঝরে পড়েছে প্রেমের চিঠিতে।
তোমার আমার না বলা কিছু কথা
জানি না কিভাবে লিখে দিয়েছে
জাদুময় কলম এসে;
অতীত জীবনের সঙ্গী হয়ে।।
২৮/০৬/২০২১
আমার রাত জেগে লেখা সকল কবিতা
জানালার কপাট দিয়ে উড়ে যাচ্ছে
হঠাৎ ঝরো বাতাস এসে।
আজ দিন অন্ধকার
স্বপ্ন মরে পারাপার।
আমি কয়েদি হয়ে
কবিতার কারাগারে বন্দী।
বিচ্ছেদ ঘটেছে আমার প্রিয়তমার সাথে
অতীতের কল্পনার কাগজে।
ঘুমহীন চোখে
মন কাঁদে বিরহে।
অতীতের সেই দিনগুলি
স্মৃতি হয়ে ভাসে চোখে।
সেই প্রথম প্রেমের চিঠি
আমি দিয়েছিলাম তোমারে
যখন গোলাপের পাপড়ি
ঝরে পড়তো হৃদয়ের খামে।
প্রেমের নাম অতীত কাল
ভালোবাসা চিরকাল।
আমাদের বিচ্ছেদ ঘটেছে
প্রান্তরের জমে যাওয়া ঘাসে।
শিশিরের বিন্দুগুলি দৃষ্টি রাখে
ক্ষণিকের প্রেমের কাহিনীতে।
তুমি চলে গেছো অনুভবে দূরে
আমারে মৃত্যুর পাহাড়ে একা রেখে।
এতো শুধু - 'বিস্ময়'।
চিঠি আসে কবিতার কারাগারে
ফাঁসির দিনের অপেক্ষাতে।
আমার লেখা নীল ডায়েরির উপন্যাস
আমারে বাঁচতে শিখিয়েছে প্রতিক্ষণ।
আমার লেখা কবিতা বিধাতার কাছে আপিল করে
মুক্তি কি দিতে পারবে আমারে!
দিন চলে যায় অনুভবে
তোমার জীবনের আয়ু নিয়ে।
যখন অন্ধকার নামে কবিতার কারাগারে
জোনাকিরা আলো দিয়ে ভরিয়ে দেয় মনকে।
জীবন্ত পালক পএ দিয়ে বিচারপতিকে
আমারে মুক্তি দিয়েছে ফাঁসি থেকে।
- এই মুক্তি
আমার প্রিয়তমার অজানা।
এভাবেই কেটে গেলো বহু বছর
বিচ্ছেদের লেখা পড়ে পড়ে।
কলমে ফাগুন আমার বারোমাস
'ছদ্ম' নামে চিঠি লিখি প্রিয়তমার ঠিকানাতে।
আজ নতুন উপন্যাসে
প্রিয়তমার নাম শিরোনামে।
নীল আকাশের সীমানাতে
যুদ্ধ ঘটেছে মেঘে মেঘে।
রামধনুর সাতটি রঙ
ঝরে পড়েছে প্রেমের চিঠিতে।
তোমার আমার না বলা কিছু কথা
জানি না কিভাবে লিখে দিয়েছে
জাদুময় কলম এসে;
অতীত জীবনের সঙ্গী হয়ে।।
২৮/০৬/২০২১
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ.ম. শহীদ ১১/১০/২০২২
-
আমি-তারেক ০৪/০৯/২০২২vabnar vinno rokom uposthapona
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ০৩/০৯/২০২২অনেক সুন্দর লেখা!
শুভ কামনা রইল সতত! -
সাইয়িদ রফিকুল হক ০২/০৯/২০২২ভাল।
-
মধু মঙ্গল সিনহা ০২/০৯/২০২২মনোমুগ্ধকর রচনা
-
ফয়জুল মহী ০১/০৯/২০২২মনোমুগ্ধকর রচনা করলেন।
আন্তরিক ধন্যবাদ সহ শুভকামনা রইল।
শুভেচ্ছা রইলো কবির জন্য।