২৮ অক্টোবরের দশবছর মানবতার রক্তাক্ত ক্ষত শুকায়নি আজো
আটাশ অক্টোবর। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক দিন। আজ সেই ভয়াল রক্তাক্ত দিনের দশবছর পূর্ণ হলো। ২০০৬ সালের এই দিন গোটা দেশজুড়ে লগি বৈঠার তান্ডবে স্তম্ভিত হয়েছিলো দেশবাসী। চোখের সামনে প্রকাশ্য দিনের আলোয় পিটিয়ে মানুষ মারার এমন দৃশ্য এর আগে দেখেনি বাংলাদেশের শান্তিকামী মানুষ। গোটা দেশের অন্যান্য স্থানের মতো সিলেটও এর চেয়ে আলাদা ছিলো না। পুণ্যভূমির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সম্প্রীতি, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহমর্মিতা আর সম্মানের ইতিহাসে এদিন কালিমা লেপন করে সিলেট আওয়ামীলীগ। সেই যে ইতিহাস ভাঙ্গার শুরু তা আজো অব্যাহত রেখেছেন তারা।
দিনটি ছিলো শনিবার। ১৪১৩ বাংলা সনের ১৩ কার্তিক। এদিন ছিলো তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকারের মেয়াদ পূরণের শেষ দিন। দেশের অন্যান্য জায়গার মতো সিলেটে ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশের আয়োজন করে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য। এর মাত্র ৩ দিন আগে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আমেজ তখনো কাটেনি। সকাল থেকে চলছিলো মঞ্চ তৈরীর কাজ। এর ফাঁকে যে যার মতো নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে সেরে নিচ্ছিলেন ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়। সমাবেশ শুরু হতে তখনো অনেক দেরী। মঞ্চের পাশে থেকে সবকিছু তত্ত্বাবধান করছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরীর তৎকালীন সভাপতি নুরুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রদল সভাপতি এমরান আহমদ চৌধুরী। সবকিছুই চলছিলো ঠিকঠাক মতো। হঠাৎ মঞ্চের দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে ক্বীনব্রীজ হয়ে নগরীতে প্রবেশ করলো আওয়ামীলীগের একটি মিছিল। সবার হাতে লগি বৈঠা ও দেশীয় অস্ত্র।
এদিকে, কোর্ট পয়েন্টে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের মঞ্চের পাশে গুটিকয়েক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই আওয়ামীলীগের মিছিল থেকে এসে সমাবেশ মঞ্চ ও নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হয়। হামলা আঁচ করতে পেরে ছাত্রদল নেতা এমরান পাশের পুরানলেন ডায়াবেটিস গলি দিয়ে দৌড়ে আতœরক্ষা করেন। একা পেয়ে এসময় হামলাকারীরা শিবির সভাপতি নুরুল ইসলামের উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের হামলা থেকে শিবির সভাপতিকে রক্ষায় পাশে থাকা শিবির নেতা মঞ্জুর রহমানসহ যে কয়জন ছিলেন তারা মারাত্মকভাবে আহত হন। গজারি কাঠের ধারালো বৈঠার কোপে তাদের সারা শরীর রক্তাক্ত হয়ে পড়ে। হামলাকারীদের অনবরত আঘাতে শিবির সভাপতি নুরুল ইসলাম সাথে সাথে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান । এসময় তার মাথার খুলিতে ৬ স্থানে ফাটল সৃষ্টি হয়। মুহূর্মুহু আঘাতের মাঝে নেতাকর্মীরা তাদের সভাপতিকে নিজেদের শরীর দিয়ে ঢাল তৈরী করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যান। নুরুল ইসলামকে প্রথমে নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার আরো খারাপের দিকে গেলে জরুরী ভিত্তিতে এয়ার এম্বুলেসে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। হামলার পরপরই হামলাকারীরা এসময় কয়েকটি মটর সাইকেলে আগুন দিয়ে এবং মঞ্চের মাইক ভাংচুর করে দ্রুত চলে যায়।
দীর্ঘ চিকিৎসার পর অনেকটা সুস্থ হলেও ঘটনার আজ দশবছর পরেও নুরুল ইসলাম ও গুরুতর আহত শিবির নেতা মঞ্জুর রহমান আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন নি। যে নুরুল ইসলাম এর বক্তব্য শোনবার জন্য নেতাকর্মীরা অধীর আগ্রহে বসে থাকতেন সেই নুরুল ইসলাম আজ কথা বলতে গেলে বারবার তার কথা আটকে যায়।
সময়ের বাস্তবতায় সুরমা কুশিয়ারা মনু দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। কিন্তু আটাশ অক্টোবরের সেই তান্ডবকারীরা আজো থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। যারা হামলার শিকার হলো উল্টো তাদের দেয়া হয়েছে মামলা। করা হয়েছে নির্যাতন। মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের নানান ধরনের নিপীড়ণের। বছর ঘুরে আটাশ অক্টোবর ফিরে আসে বারবার। মনে করিয়ে দেয় মানবতা আর নৈতিকতার মূল্যবোধকে।
দিনটি ছিলো শনিবার। ১৪১৩ বাংলা সনের ১৩ কার্তিক। এদিন ছিলো তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকারের মেয়াদ পূরণের শেষ দিন। দেশের অন্যান্য জায়গার মতো সিলেটে ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশের আয়োজন করে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য। এর মাত্র ৩ দিন আগে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আমেজ তখনো কাটেনি। সকাল থেকে চলছিলো মঞ্চ তৈরীর কাজ। এর ফাঁকে যে যার মতো নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে সেরে নিচ্ছিলেন ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়। সমাবেশ শুরু হতে তখনো অনেক দেরী। মঞ্চের পাশে থেকে সবকিছু তত্ত্বাবধান করছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরীর তৎকালীন সভাপতি নুরুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রদল সভাপতি এমরান আহমদ চৌধুরী। সবকিছুই চলছিলো ঠিকঠাক মতো। হঠাৎ মঞ্চের দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে ক্বীনব্রীজ হয়ে নগরীতে প্রবেশ করলো আওয়ামীলীগের একটি মিছিল। সবার হাতে লগি বৈঠা ও দেশীয় অস্ত্র।
এদিকে, কোর্ট পয়েন্টে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের মঞ্চের পাশে গুটিকয়েক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই আওয়ামীলীগের মিছিল থেকে এসে সমাবেশ মঞ্চ ও নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হয়। হামলা আঁচ করতে পেরে ছাত্রদল নেতা এমরান পাশের পুরানলেন ডায়াবেটিস গলি দিয়ে দৌড়ে আতœরক্ষা করেন। একা পেয়ে এসময় হামলাকারীরা শিবির সভাপতি নুরুল ইসলামের উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের হামলা থেকে শিবির সভাপতিকে রক্ষায় পাশে থাকা শিবির নেতা মঞ্জুর রহমানসহ যে কয়জন ছিলেন তারা মারাত্মকভাবে আহত হন। গজারি কাঠের ধারালো বৈঠার কোপে তাদের সারা শরীর রক্তাক্ত হয়ে পড়ে। হামলাকারীদের অনবরত আঘাতে শিবির সভাপতি নুরুল ইসলাম সাথে সাথে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান । এসময় তার মাথার খুলিতে ৬ স্থানে ফাটল সৃষ্টি হয়। মুহূর্মুহু আঘাতের মাঝে নেতাকর্মীরা তাদের সভাপতিকে নিজেদের শরীর দিয়ে ঢাল তৈরী করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যান। নুরুল ইসলামকে প্রথমে নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার আরো খারাপের দিকে গেলে জরুরী ভিত্তিতে এয়ার এম্বুলেসে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। হামলার পরপরই হামলাকারীরা এসময় কয়েকটি মটর সাইকেলে আগুন দিয়ে এবং মঞ্চের মাইক ভাংচুর করে দ্রুত চলে যায়।
দীর্ঘ চিকিৎসার পর অনেকটা সুস্থ হলেও ঘটনার আজ দশবছর পরেও নুরুল ইসলাম ও গুরুতর আহত শিবির নেতা মঞ্জুর রহমান আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন নি। যে নুরুল ইসলাম এর বক্তব্য শোনবার জন্য নেতাকর্মীরা অধীর আগ্রহে বসে থাকতেন সেই নুরুল ইসলাম আজ কথা বলতে গেলে বারবার তার কথা আটকে যায়।
সময়ের বাস্তবতায় সুরমা কুশিয়ারা মনু দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। কিন্তু আটাশ অক্টোবরের সেই তান্ডবকারীরা আজো থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। যারা হামলার শিকার হলো উল্টো তাদের দেয়া হয়েছে মামলা। করা হয়েছে নির্যাতন। মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের নানান ধরনের নিপীড়ণের। বছর ঘুরে আটাশ অক্টোবর ফিরে আসে বারবার। মনে করিয়ে দেয় মানবতা আর নৈতিকতার মূল্যবোধকে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুজ্জামান সাদ ২২/০৯/২০১৭শিবিরের এরকম রক্তাক্ত ইতিহাস আছে।তারপরও তারা পিছিয়ে কেনো?এতো দমন পীড়নের ঢাল হতে পারছে না কেনো?
-
আব্দুল হক ২৭/১১/২০১৬দঃখজনক
-
জহির রহমান ২০/১১/২০১৬
-
ষড়ানন ঘোষ(উদাসী কবি) ০২/১১/২০১৬very sad.
-
আব্দুল হক ৩০/১০/২০১৬Sad