বিদেশে যারা কাজ করেন
দাসপ্রথা বিশ্ব থেকে বিলুপ্ত হয়েছে অনেক আগে। কিন্তু মানুষের শ্রম কেনা বিক্রি কমেনি বরং বেড়েছে। বিভিন্ন কারণে মানুষ আজ অন্যকে দিয়ে কাজ করায় কিংবা অন্যের কাজ করে। বেঁচে থাকার জন্য অনেকের কাজ দরকার আবার আরাম আয়েশী জীবনের জন্য অনেকের সেবা দরকার। এখানে যিনি শ্রম বিক্রি করেন তাকে শ্রমিক বলা হলেও তিনি আসলে শ্রিমক নন। তিনি হলেন সেবা দানকারী। বর্তমান বিশ্বে এ সেবা দানকারীদের অনেকেই সম্মানের চোখে দেখননা। যারা সেবা দান করেন অনেকেই বুঝেন না যে তাঁরা এখানে কোন অসম্মানের কিছু করছেননা। আসলে পুজিবাদী, বস্তুবাদী বিশ্ব একথা কাউকে বুঝতে দেয়না। এটি আসলে এক ধরনের দাসত্ব ছাড়া কিছু নয়। মানবতাবাদীরা একে আধুনিক দাসত্ব বললেও আমি মনেকরি এটি সেই প্রাচীন দাসত্বের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
এবার মূল কথায় আসি। মানুষ কিসের জন্য এ দাসত্ব গ্রহণ করবে । আমার দেমাগে ধরেনা। অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্র সেবার জন্য মুনুষের প্রয়োজন আবশ্যক। এসব ক্ষেত্র যারা কাজ করেন তাদের শ্রমিক না বলে পেশাজীবী বলা যায়। এসব পেশাজীবীদের স্ব-সম্মান আছে সব দেশে। যেসব ক্ষেত্রে শ্রম অত্যাবশ্যক সেখানে শ্রমিকদের মালিকানার অংশ অবশ্যই না দিলে বিশ্ব দাসমুক্ত হবে কিভাবে?
এখন উন্নয়নশীল বিশ্ব হতে প্রতিবছর যারা নিজেদের দেশে অথবা প্রবাসে শ্রমজীবী হন, তারা অনেকেই উচ্চ শিক্ষিত নন। তারা অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের দেশে এরকম দাসত্বের স্বীকার। তারা যখন বিদেশে যান, দেশের সাথে মিলিয়ে দেখেন। অনেক সমায় ভালো বেতন, পরিবেশ, সময়, ব্যবহার, নিরাপত্তা ইত্যাদি দারা প্রভাবিত হন। অনেক সময় বিদেশ যাবার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যায় করেন এবং কোন আইন কানুনের ধার না করে আধুনিক দাসে পরিণত হন, তা তারা নিজেই জানেননা।
উন্নত দেশগুলিতে অনেক আইন আছে তাদের নিরাপত্তার জন্য কিন্তু না জানার কারণে, তার প্রতিবাদ করতে পারেননা। আবার দু' একজন তার প্রতিবাদ করলেও কোন লাভ হয়না , কারণ তাঁর অন্য সহযোগীরা এটিকে স্বাভাবিক মনে করেন।
বিশ্ব মানবাধীকার সংস্থা, দেশীয় সংস্থাগুলো যদি এব্যাপারে সহায়তা না করতে পারে তাহলে মানবাধীকার কর্মী নাম ব্যবহার করে মানব জাতির সাথে প্রতারণার কোন মানে হয়না।
এবার মূল কথায় আসি। মানুষ কিসের জন্য এ দাসত্ব গ্রহণ করবে । আমার দেমাগে ধরেনা। অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্র সেবার জন্য মুনুষের প্রয়োজন আবশ্যক। এসব ক্ষেত্র যারা কাজ করেন তাদের শ্রমিক না বলে পেশাজীবী বলা যায়। এসব পেশাজীবীদের স্ব-সম্মান আছে সব দেশে। যেসব ক্ষেত্রে শ্রম অত্যাবশ্যক সেখানে শ্রমিকদের মালিকানার অংশ অবশ্যই না দিলে বিশ্ব দাসমুক্ত হবে কিভাবে?
এখন উন্নয়নশীল বিশ্ব হতে প্রতিবছর যারা নিজেদের দেশে অথবা প্রবাসে শ্রমজীবী হন, তারা অনেকেই উচ্চ শিক্ষিত নন। তারা অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের দেশে এরকম দাসত্বের স্বীকার। তারা যখন বিদেশে যান, দেশের সাথে মিলিয়ে দেখেন। অনেক সমায় ভালো বেতন, পরিবেশ, সময়, ব্যবহার, নিরাপত্তা ইত্যাদি দারা প্রভাবিত হন। অনেক সময় বিদেশ যাবার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যায় করেন এবং কোন আইন কানুনের ধার না করে আধুনিক দাসে পরিণত হন, তা তারা নিজেই জানেননা।
উন্নত দেশগুলিতে অনেক আইন আছে তাদের নিরাপত্তার জন্য কিন্তু না জানার কারণে, তার প্রতিবাদ করতে পারেননা। আবার দু' একজন তার প্রতিবাদ করলেও কোন লাভ হয়না , কারণ তাঁর অন্য সহযোগীরা এটিকে স্বাভাবিক মনে করেন।
বিশ্ব মানবাধীকার সংস্থা, দেশীয় সংস্থাগুলো যদি এব্যাপারে সহায়তা না করতে পারে তাহলে মানবাধীকার কর্মী নাম ব্যবহার করে মানব জাতির সাথে প্রতারণার কোন মানে হয়না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৫/০৯/২০১৬মানুষ মানুষের জন্য।
-
সোলাইমান ১৫/০৯/২০১৬অনেক সুন্দর
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৫/০৯/২০১৬চমৎকার লেখা, ধন্যবাদ লেখক।
-
আব্দুল হক ১৫/০৯/২০১৬ভালো হয়েছে