সুন্দরবন
বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘন বসতিপূর্ণ দেশ। এদেশের প্রকৃতি প্রতিনিয়ত মানুষের আঘাতে জর্জরিত। এদেশের বন জঙ্গল, নদী নালা, খাল বিল, বয়ু, মাটি, পানি, স্থরজ - জলজ উদ্ভিদ-প্রাণী সব কিছু আজ হুমকির সম্মুীন। অস্থির রাজনৈতিক পরিবেশ, মানুষের অজ্ঞতা, আইনের অপ্রয়োগ, অপপ্রোয়গ এসব বহুগুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে। জুরাসিক যুগে ডাইনসোররা যেভাবে নিজেদের ধংস করছিল ঠিক একই ভাবে বাংলাদেশ আজ এক বিরানভূমি। মানুষের লাগামহীন চাহিদা পূরণ আজ এ দেশ রিক্ত। প্রকৃতি প্রায় বিপর্যস্ত। অপরিকল্পিত জনসবতি, শিল্প কারখানা ঢাকা - চট্রগ্রামকে বসবাসের অনুপযোগী করে তুলেছে। বাসস্থানের পরিকল্পনা নেই, নেই বেচে থাকার নূন্যতম পরিবেশ। মানুষের রোগ বালাই এমন পর্যায়ে যেন খাদ্যের চেয়ে অসুধে খরছ বেশী। মানূষ দিন দিন অখাদ্য ভেজাল খাদ্য ভেজাল অসুধ খেয়ে প্রজন্মগতভাবে রোগা, খাটো দুর্বল ভ্গুর মানসিকতা সম্পন্ন হচ্ছে। অনিন্ত্রিত রাসায়নিকের ব্যবহার মানুষের জৈবিক- বংশগতিকে বিকৃত করে দিচ্ছে। এদেশ বহুবার অনাহার, খরা মঙ্গা দেখা দিলেও প্রকৃতি তার বক্ষ উদার করে আমাদের রক্ষা করেছে। কিন্তু এবার আমদাদের আক্রমণ সরাসরি সে পরিবেশ প্রকৃতির উপর। যা ধংস হয়ে গেলে আমাদের ধংস অনিবার্য। সুন্দরবন যে বালাদেশর কত বড় রক্ষক তা চুখে আঙ্গুল ড়ুকিয়ে বলার দরকার নেই। বাংলাদেশর মত নীচু সমতল ভূমির দেশের এধরনের উপকূলীয় বন একমাত্র প্রাকুতিক সুরক্ষা ছাড়া অন্য কিছু নয়। বিশ্বর অন্যান্য দেশের কথা বাদ দিলাম, ভারতবর্ষ সিমান্তে গেলেই আমরা তফাতটি বুঝতে পারব। একদিকে বিরান ভূমি আর অন্যদিকে শতবর্ষী ঘন সবুজ বন। অথচ একই পরিবেশ, মাটি সবই।
এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন সুপরিকল্পিত বনায়ন, চাষাবাদ আর পরিবেশ বান্ধব গৃহায়ন ও শিল্পায়ন। মানুষের প্রতি মানূষের ভালবাসা। আর অমানুষের কঠোর শাস্তি , ঘৃণা।
এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন সুপরিকল্পিত বনায়ন, চাষাবাদ আর পরিবেশ বান্ধব গৃহায়ন ও শিল্পায়ন। মানুষের প্রতি মানূষের ভালবাসা। আর অমানুষের কঠোর শাস্তি , ঘৃণা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুল হক ১৫/০৯/২০১৬সুন্দর লিখার জন্য ধন্যবাদ
-
সোলাইমান ০৪/০৯/২০১৬সুন্দর
-
মুহাম্মাদ রাসেল উদ্দীন ০১/০৯/২০১৬সহমত