বলো সে আমায় (শেষাংশ)
বলো সে আমায় (শেষাংশ)
আব্দুল কাদির মিয়া
===================
একি মানুষের গায়ে দেখি পাথরের মন
আর বরফের চোখ।
ঠিক যেন কাঠ পুড়ে আছে-
লেগে মুখ জুড়ে,
খড়কুট কেশে পতি-
বিয়োগের শোক।
যার আলতো ছোঁয়াতে-
যে হৃদ দরিয়ার মোমের তরী-
শুকনোতে ভেসে,
পৃতির দার টেনে উঠিতো ধূলিয়া।
সখের আচর পেয়ে-
পালঙ্কে দোলন খেয়ে,
রক্তের ঢলে কাঁপন রঙ্গন-
বেণী নিলো খুলিয়া।
হে মহা অগ্নীশ্বর-
সে আনন্দ ঘাতকের-
কাহ্হারু বল সে তুমি।
লাল মেহেদী পড়ে-
চর কুমারিয়ায় বেঁধেছিলো-
যে দামানের ঘর।
বছর ত্রিশের পরে সে-
নির্দোষীর রক্ত লাল বরে,
আজ কাফনে চড়ালো কেন-
পিশাচের তীর,
তাঁরে জনমের মত করে পর।
গগনের নীলা তলে-
কারো কেউ ঋণি বলে,
বিজলীর চোখ যদি-
শোধে হয় মান।
মিজান কাটার দ্বারে,
মুক্তির চির পাড়ে,
সে চোখের শত মণি,
মনের জ্যোতি-
যে বা রতি করে দান।
আত্মার নিপীড়নে-
পিত্তের তিক্ততায় বসে-
নির্বাসে সে কি পায়?
তৃপ্তির ঐ আলো চেয়ে,
জীবনের ক্ষয়ে ক্ষয়ে,
সে পেল কিনা বলো তুমি,
বলো সে আমায়।
আব্দুল কাদির মিয়া
===================
একি মানুষের গায়ে দেখি পাথরের মন
আর বরফের চোখ।
ঠিক যেন কাঠ পুড়ে আছে-
লেগে মুখ জুড়ে,
খড়কুট কেশে পতি-
বিয়োগের শোক।
যার আলতো ছোঁয়াতে-
যে হৃদ দরিয়ার মোমের তরী-
শুকনোতে ভেসে,
পৃতির দার টেনে উঠিতো ধূলিয়া।
সখের আচর পেয়ে-
পালঙ্কে দোলন খেয়ে,
রক্তের ঢলে কাঁপন রঙ্গন-
বেণী নিলো খুলিয়া।
হে মহা অগ্নীশ্বর-
সে আনন্দ ঘাতকের-
কাহ্হারু বল সে তুমি।
লাল মেহেদী পড়ে-
চর কুমারিয়ায় বেঁধেছিলো-
যে দামানের ঘর।
বছর ত্রিশের পরে সে-
নির্দোষীর রক্ত লাল বরে,
আজ কাফনে চড়ালো কেন-
পিশাচের তীর,
তাঁরে জনমের মত করে পর।
গগনের নীলা তলে-
কারো কেউ ঋণি বলে,
বিজলীর চোখ যদি-
শোধে হয় মান।
মিজান কাটার দ্বারে,
মুক্তির চির পাড়ে,
সে চোখের শত মণি,
মনের জ্যোতি-
যে বা রতি করে দান।
আত্মার নিপীড়নে-
পিত্তের তিক্ততায় বসে-
নির্বাসে সে কি পায়?
তৃপ্তির ঐ আলো চেয়ে,
জীবনের ক্ষয়ে ক্ষয়ে,
সে পেল কিনা বলো তুমি,
বলো সে আমায়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আলমগীর সরকার লিটন ০৩/০৮/২০২৩সুন্দর এক অনুভব
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০২/০৮/২০২৩অনুপম
-
ফয়জুল মহী ০১/০৮/২০২৩এক কথায় অতুলনীয়।
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০১/০৮/২০২৩অনুপম