কঠিন পাথর
কঠিন পাথর
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
ওহে পাথুরে পাহাড়
বলি কিসে তোমার ডর?
দাওনা গুঁড়িয়ে বাদে-
রোষা তোমার পর।
শক্তি বলয়ে তুমি-
পাষাণের ঘরে,
হৃদয় রাখিলে নিজ-
জাত নাম ধরে।
তুমিই জ্বলিবে নরক-
জ্বালানির তরে?
পুড়াবে গ্রাসিতো সবই-
শত অবিরলে।
বর্ণভেদে সে রঙ তেজে হুংকার-
যেথা জলের পৃথিবী মজে-
একতিলে যার।
তবে কেন আজ বোকা তুমি-
জমিনের পরে?
তোমায় কেউ কেটে করে চিড়-
কেউ গুঁড়ো করে।
অর্শ্বে আরোহী জনের-
পাদুকার দোলে,
ওরা দাপটে দাপটে চলে-
হিংস্র সেই ক্রোধানলে,
জঙ্গি ধামালি তুলে-
বিনাশের ছুড়ে জাল-
কাদাজলে টেনে হাল।
লোপাট মাতালে।
তোমার বুক খানি মলে।
সেতো পাতিলে সেই পথে যেন-
নেই কোনো মান।
ওরা নিজেরই অসৎ ঘোরে-
কারো বধের ঘটা ধরে,
সেথা তরবারী ঘষে তোমার-
পরে তোলে শাণ।
ওহে পাথুরে পাহাড় বলি-
কিসে তোমার ডর?
তবে কি পাষান তোমার-
নয় অন্তর?
কষ্টে ব্যথিত হৃদয়-
তাপে ছ্যাঁকা পড়ে,
তাঁরই জ্বলীয় পচিনাজানি-
ভিজে তনু পরে।
তোমার গতরে সেতো-
পাই আমি খুঁজে,
তাই অন্তর পাষাণ তোমার-
নাহি আসে বুঝে।
মাটি তবে কম্পিত করে চৌচির,
পাহাড় পাষাণে উঠে-
বেহাল অধীর।
এবার বলেতো সে-
কিসে তুমি বলো ওহে নর,
প্রভুর গোলামে আমি-
আছে অন্তর।
সাধ্য নাহিতো আমার-
সেই নরকের পতি,
অনল জ্বালিতে আমায়-
করে পাষাণের গতি।
তোমারই জাতের বদ-
দিতে চির জ্বাল,
আমার নিয়তি আমি-
দিবো হাঞ্জাল।
আজ এই জীবনের শত গুঁড়ো চিড়-
যেন স্বর্গ সোহাগে আমি,
রতনের নীড়।
ঐ সহিবো কেমনে অখের-
আজই কিসে হুংকার,
শত বজ্র আতঙ্কে হেন-
আমি কঠিন পাথর।
----------------------------------
বিঃদ্র- হাঞ্জাল- যার দ্বারা নরক প্রজ্জ্বলিত করা হবে।
পচিনা- ঘাম
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
ওহে পাথুরে পাহাড়
বলি কিসে তোমার ডর?
দাওনা গুঁড়িয়ে বাদে-
রোষা তোমার পর।
শক্তি বলয়ে তুমি-
পাষাণের ঘরে,
হৃদয় রাখিলে নিজ-
জাত নাম ধরে।
তুমিই জ্বলিবে নরক-
জ্বালানির তরে?
পুড়াবে গ্রাসিতো সবই-
শত অবিরলে।
বর্ণভেদে সে রঙ তেজে হুংকার-
যেথা জলের পৃথিবী মজে-
একতিলে যার।
তবে কেন আজ বোকা তুমি-
জমিনের পরে?
তোমায় কেউ কেটে করে চিড়-
কেউ গুঁড়ো করে।
অর্শ্বে আরোহী জনের-
পাদুকার দোলে,
ওরা দাপটে দাপটে চলে-
হিংস্র সেই ক্রোধানলে,
জঙ্গি ধামালি তুলে-
বিনাশের ছুড়ে জাল-
কাদাজলে টেনে হাল।
লোপাট মাতালে।
তোমার বুক খানি মলে।
সেতো পাতিলে সেই পথে যেন-
নেই কোনো মান।
ওরা নিজেরই অসৎ ঘোরে-
কারো বধের ঘটা ধরে,
সেথা তরবারী ঘষে তোমার-
পরে তোলে শাণ।
ওহে পাথুরে পাহাড় বলি-
কিসে তোমার ডর?
তবে কি পাষান তোমার-
নয় অন্তর?
কষ্টে ব্যথিত হৃদয়-
তাপে ছ্যাঁকা পড়ে,
তাঁরই জ্বলীয় পচিনাজানি-
ভিজে তনু পরে।
তোমার গতরে সেতো-
পাই আমি খুঁজে,
তাই অন্তর পাষাণ তোমার-
নাহি আসে বুঝে।
মাটি তবে কম্পিত করে চৌচির,
পাহাড় পাষাণে উঠে-
বেহাল অধীর।
এবার বলেতো সে-
কিসে তুমি বলো ওহে নর,
প্রভুর গোলামে আমি-
আছে অন্তর।
সাধ্য নাহিতো আমার-
সেই নরকের পতি,
অনল জ্বালিতে আমায়-
করে পাষাণের গতি।
তোমারই জাতের বদ-
দিতে চির জ্বাল,
আমার নিয়তি আমি-
দিবো হাঞ্জাল।
আজ এই জীবনের শত গুঁড়ো চিড়-
যেন স্বর্গ সোহাগে আমি,
রতনের নীড়।
ঐ সহিবো কেমনে অখের-
আজই কিসে হুংকার,
শত বজ্র আতঙ্কে হেন-
আমি কঠিন পাথর।
----------------------------------
বিঃদ্র- হাঞ্জাল- যার দ্বারা নরক প্রজ্জ্বলিত করা হবে।
পচিনা- ঘাম
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সিন্ধু সেঁচে মুক্তা-আব্দুল কাদির মিয়া ২৮/০৪/২০২২ধন্যবাদ
-
তাবেরী ২৫/০৪/২০২২বেশ ভালো।
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ২৪/০৪/২০২২সুন্দর প্রকাশ।
-
আলমগীর সরকার লিটন ২১/০৪/২০২২একটু বড় হয়েছে
-
মোঃ বুলবুল হোসেন ২১/০৪/২০২২চমৎকার
-
শুভজিৎ বিশ্বাস ২১/০৪/২০২২চমৎকার
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২০/০৪/২০২২অনুপয মুগ্ধতায় চমৎকার লেখনী
-
ফয়জুল মহী ২০/০৪/২০২২অসাধারণ কথামালা অনেক ভালোলাগা নিয়ে গেলাম
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২০/০৪/২০২২ভাল।